✍লেখক✍কালো ভূত
🌺২য় পর্ব
❣
❣
রাসেল:-মামা সবাই যদি এক হতো তাহলে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা কষ্ট কর হয়ে যেতো,
তাই ভালো মন্দ মিলেই এই পৃথিবী টিকে আছে, আচ্ছা মামা থাকো আমি এখন যায়,আমি তো আজকে কলেজে নতুন তাই রুম খুজতে সমস্যা হবে,
রিকশাওয়ালা:-আচ্ছা মামা দোয়া করি জীবনে অনেক বড় হন,
রাসেল:-মামা আমি কি ছোট,
রিকশাওয়ালা:-হাহাহা মামা এই বড় সেই বড় না,
এটা হলো শিক্ষিত হয়ে মানুষের মতো মানুষ হয়ে ওঠা,
রাসেল:-মামা আমি কি তাইলে মানুষ না,
রিকশাওয়ালা:-মামা আমি মাফ চাই তোমার সাথে কথা বলে পারবো না,
ভালো থাকো মন দিয়ে লেখাপড়া করো,
রাসেল তখন হাসতে হাসতে বলে,
রাসেল:-হাহাহা আচ্ছা মামা ঠিক আছে আপনেও সাবধানে থাকবেন এমনিতেই রাস্তাই চলাচল এখন অনেক কঠিন,চারিদিকে শুধু বড় বড় গাড়ি আর গাড়ি,
বলেই রাসেল কলেজের গেট দিয়ে ভিতরে ডুকতে যাবে তখনই পিছন থেকে কেউ একজন ধাক্কা দেয়,যার কারণে রাসেল তাল সামলাতে না পেরে পরে যায়, সামনে দিয়ে যাওয়া কোনো এক জীবন্ত বস্তুর উপরে,
রাসেল:-কিরে মামা আজ কাল মাটি এতো নরম হলো কি করে মনে হচ্ছে,
আমি কোনো এক তুলার বস্তার উপরে আছি,
রাসেলের এইসবের থেকে দ্যান ভাঙ্গে ঠাসসস ঠাসসসস শব্দে,
রাসেল:-এটা কি হলো,
আমাকে থাপ্পড় দিলো কেডা,
অনেক টাই আতঙ্কিত হয়ে,
আসলে রাসেল একটা মেয়ের উপরে পরেছে,
তাই তার কাছে মনে হচ্ছে সে কোনো তুলার বস্তার উপরে আছে,
এই মেয়েটাই হলো আমাদের আজকের গল্পের নায়িকা,
নুসরাত ইমরোজ শিখা,
বাবা মা আদর করে শিখা বলেই ডাকে,
একেবারে বদজাতের হাড্ডি,
ছেলেদের পোশাক পরে থাকতেই বেশি পছন্দ করে,
সারা শরির যেনো অহংকার আর দেমাগে ভড়া,
এইবার বিএসসি প্রথম সেমিস্টারে অ্যাডমিশন নিয়েছে,
ইলেকট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ডিপার্টমেন্টে,
বাবা শরিফ চৌধুরী একজন নামকরা বিজনেস ম্যান আর শিখার মা একজন গৃহিণী,
শিখা:-ছোটলোকের বাচ্চা তোর সাহস কি করে হয় আমার উপরে পরার,
রাসেল চারিদিকে খোঁজে আসলে এই কথা বলছে কোথায় থেকে কিন্তু সে বুঝতে পারছে না যে একটা মেয়ের উপরে সুয়ে এইসব ভাবতাছে,
যখন কথা শুনলো না তখন শিখা আবার ঠাসসস ঠাসসস করে লাগিয়ে দেয় রাসেলের গালে,
এইবার ঘোরের অবসান ঘটেছে,
তাই ঘটনা বুঝতে পেরে তারাতাড়ি করে উঠে পরে,
রাসেল:-এইরে আমি এতো সময় এই তুলার উপরে সুয়ে ছিলাম,
এইসব কিছু আনমনা হয়ে ভাবতাছে,
শিখা:-কিরে ক্ষেত গুনে গুনে চারটা থাপ্পড় খেয়েও আমার কথার জবাব দিচ্ছিস না আরো খেতে ইচ্ছে করছে নাকি,
রাসেল:-এতো সুন্দরী মেয়ের নরম হাতে থাপ্পড় খেলে খারাপ লাগবে না,
শিখার দিকে তাকিয়ে ঘোরের মাঝে বলে ফেলে,
শিখা:-কি যেনো বির বির করে বললি আবার বল আমি শুনতে পাইনি,
অনেকটা রেগে,
রাসেল:-না কিছু বলিনি তো,
শুধু বলেছি আপনে অনেক সুন্দর,একদম পরীর মতো,
শিখা:-চুপ তোর মতো ছোটলোকের মুখে আমার সৌন্দর্যের কথা শুনতে ভালো লাগেনা,
তুই আগে এটা বল আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে উপরে পরেছিলি কেনো,
রাসেল:-আসলে আমি ইচ্ছে করে করিনি কেউ পিছন থেকে আমাকে ধাক্কা দেওয়ার কারণে পরে গেছি আপনার উপরে,
সরি🙏🙏🙏
শিখা:-তোর সরির গুস্টি কিলাই,
তখন পিছন থেকে শিখার বান্ধবীরা নীলা, অনামিকা, সুমি, ইসরাত, চলে আসে,
নীলা:-এই শিখা ছেলেটা সরি তো বলছে তাহলে এমন করতেছিস কেন,
শিখা:-তোরা এর পোশাক দেখেছিস মনে হয় নর্দমা থেকে উঠে এসেছে,
আমার পোশাক টাই নষ্ট করে দিছে,
ছি, কি গন্ধ,
সুমি:-তুই একাই গন্ধ পাচ্ছিস আমরাতো গন্ধ পাচ্ছি না,
শিখা:-তোদের মনে হয় ঠান্ডা লেগেছে তার জন্য এমন বাজে গন্ধ পাচ্ছিস না,
অনামিকা:-এই শিখা বসে বসে তামাশা না দেখে ওকে এমন শাস্তি দে যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো মেয়ের উপরে পরার সাহস না করে,
এই কথা শুনে রাসেল তো ভয়ে চুপসে গেছে,
এরা এমন কেনো,
রাসেল:-এই দুইটা মেয়ে কতো ভালো আমাকে ছেড়ে দিতে বলল আর এরা কি ভয়ংকর,
রে বাবা আমাকে কি করে আল্লাহ ভালো জানে মনে মনে,
শিখা:-কিরে ছোটলোকের বাচ্চা কি ভাবস,
হুম তারাতাড়ি কানে ধরে বিশবার উঠবস কর,
রাসেল:-দেখেন আমি তো সরি বলেছি তাও এমন কেনো করতেছেন,
আজকে আমার কলেজে প্রথম দিন,
শিখা:-কি তুই প্রথম আর সিনিয়র দের সাথে এমন ব্যবহার করেছিস,
দাঁড়া স্যার কে বলে তোকে টিসি দিতে বলতেছি,
রাসেল:-না এটা করবেন না আমি গরিব আমার বাবা মায়ের অনেক সপ্ন আমাকে নিয়ে,
প্লিজ এমনটা করবেন না,
নীলা:-দেখ শিখা ছেলেটার সাথে এমন করিসনা,
ওকে দেখে কিন্তু গরিব বলেই মনে হচ্ছে,
শিখা:-এহহহ তোর দেখি এই ক্ষেতের জন্য দরদ উতলাই পরতেছে,
ওর পরিবর্তে তুই তাহলে কানে ধর,
সবাই হাসতে হাসতে বলল,
নীলা:-দ্যাত তোদের সাথে কথা বলাটাই ভুল থাক আমি গেলাম,
রাসেল:-আমাকে যেতে দিন প্লিজ,
শিখা:-বাবু যাবা তো আগে কানে ধরো না হলে আমি স্যারের কাছে গেলাম,
রাসেল:-আচ্ছা এইটা বাদ দিয়ে আরেকটা শাস্তি দিলে হয়না,
শিখা:-আরেকটা শাস্তি,
কি করা যায় কি করা যায়,
এইতো পাইছি,আচ্ছা তুই এখন গিয়ে আমাদের সামনে একটা মেয়েকে লিপ কিছ করে দেখাবি,
এটা শুনেতো রাসেলের কলিজা শুকিয়ে গেলো,
যেই ছেলে মেয়েদের থেকে গুনে গুনে একশো হাত দূরে থাকে আর আজ সে নাকি কোনো মেয়েকে কিছ করবে তাও সবার সামনে,
রাসেল:-কি বলছেন এই সব,
শিখা:-তাহলে আগের টা কর,
এটা বাদ দিয়ে,
রাসেল:-নাহহহহ আমি এটাই করবো,
কাকে করতে হবে বলেন,
শিখা:-তোর ইচ্ছা মতো কোনো মেয়েকে কিছ করবি ব্যাস লিপ টু লিপ কিছ,
রাসেল অনেক সময় ভেবে,
কাউকে তার মনের মতো না পেয়ে শিখাকে ঝাপটে ধরে কিছ করে,
যা দেখে ঐখানে থাকা সবার চোখ কপালে উঠে আসার মতো অবস্থা হয়ে যায়,
যেই মেয়ের হাত পযর্ন্ত ধরার সাহস করেনা আর এই ছেলে শিখাকে কিছ করেছে,
শিখার তো চোখ ছানা বড় হয়ে গেছে রাসেল কে ছাড়াতেও পারছেনা,
পাঁচ মিনিট পরে ছেড়ে দিয়েই একটা দৌড়ে রুম খুজে রুমে চলে আসে,
শিখা:-এই কুত্তা কৈ যাস দাঁড়া,
তোর সাহস কি করে হয় আমাকে কিছ করার হুম,
শালা তোকে আমি দেখে নিবো,
বলেই রাগে গজ গজ করতে করতে চলে যায় ক্লাসের দিকে,
এইদিকে রাসেল ক্লাসে এসে বসে পরে আর ভাবতে থাকে তার সাথে আবার কি করবে ঐ মেয়েটা,
এইসব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ রাসেলের চোখ যায় দরজার দিকে,
আর দেখতে পাই শিখাদের,
রাসেল:-যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয় গুরুজনেরা ঠিকই বলেছে,
আর কি মেয়েরে বাবা আমার সাথেই পড়ে আর আমাকে বলে কিনা সে আমার সিনিয়র,
অনামিকা:-শিখা দেখ ঐ ছেলেটা আমাদের সাথেই পড়ে মনে হয় আর কি সুন্দর করে বসে আছে তোর জন্য একটুও ভয় করতেছেনা,
শিখা:পরে দেখাবো এই শিখা কি জিনিস,
আগে ক্লাস করতেদে,
কিছু সময় পরে ক্লাসে স্যার (আমিনুল ইসলাম)চলে আসে,
আর সবাই দাঁড়িয়ে সালাম দেই,
আসসালামুয়ালাইকুম স্যার,
আমিনুল স্যার:- ওয়ালাইকুমাসালাম,
তোমরা সবাই কেমন আছো,
সবাই একসাথে বলে ওঠে আমরা ভালো আছি,
আপনে কেমন আছেন স্যার,
আমিনুল স্যার:-আমিও অনেক ভালো আছি,
আচ্ছা তোমাদের সাথে আগে পরিচয় হয়েনি,
আমি মোঃ আমিনুল ইসলাম,তোমাদের ট্রেড ক্লাস নিবো,
এখন তোমাদের সবার পরিচয় দাও একে একে,
তারপর সবাই সামনে থেকে পরিচয় দেয়,
এখন রাসেলের পালা,
কিন্তু রাসেল কিছু বলছেনা,
আমিনুল স্যার:-কি বেপার তুমি কিছু বলছোনা কেনো,
রাসেল:-স্যার আমার বলার কিছু নেই,
তবুও বলি আমি সোহান আফরিন রাসেল,
সবাই রাসেল বলেই ডাকে,
আমার বাবা একটা ছোট ব্যবসা করে,
মা গৃহিণী,
এক কথাই বলতে পারেন খুবই গরিব ঘরের ছেলে আমি,
আমিনুল স্যার :-রাসেল গরিব বলে কষ্ট পাবার কিছু নেই,
ভালো ভাবে পড়াশোনা করো অনেক বড় হবে,
রাসেল:-ধন্যবাদ স্যার,
এখন পরিচয় দেবার পালা আসে শিখার:-
আমিনুল স্যার :-এই মেয়ে তুমি বলো,
শিখা:-স্যার আমি এই শহরের নাম করা ব্যবসায়ী শরিফ সাহেবের মেয়ের,নুসরাত ইমরোজ শিখা,
এইভাবে অনেক কথা বলে পরিচয় পর্ব শেষ করে কিছু কথা বলে স্যার চলে যায়,
আজকে নাকি আর ক্লাস হবে না তাই রাসেল বাড়ির উদ্দেশ্যে ক্লাস রুম থেকে বাহির হতে নিলে,
কিউ একজন পিছন থেকে,,,,,,,,,,,
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣
আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
💝..........চলবে........
💝
🌺আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,
আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো প্রকার ভুল ক্রটি হয় তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে🌺
🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺
🌺Wait for next part coming tomorrow 6am to 7am🌺