গল্পঃ ধর্ষণের মিথ্যা অপবাদ ৩য় পর্ব | Dhorsoner Mitha Opobad Part 3

 
গল্পঃ ধর্ষণের মিথ্যা অপবাদ ৩য় পর্ব | Dhorsoner Mitha Opobad Part 3

#ধর্ষণের_মিথ্যা_অপবাদ
✍লেখক✍কালো ভূত
🌺৩য় পর্ব
আজকে নাকি আর ক্লাস হবে না তাই রাসেল বাড়ির উদ্দেশ্যে ক্লাস রুম থেকে বাহির হতে নিলে,
কেউ একজন পিছন থেকে ডাকে,

অপরিচিত:-এই ছেলে দাঁড়া,

রাসেল শুনতে পেয়ে দাঁড়িয়ে যায়,
আর পিছনে তাকিয়ে দেখে তার বয়সের একটা ছেলে ডাকতাছে,
হ্যাঁ ভাই আমাকে ডেকেছেন,

অপরিচিত:-হ্যা তুমি ছাড়া তো আর কাউকে ডাকিনি,

রাসেল:-ওহহহ তাহলে বলেন কি জন্য ডেকেছেন,

অপরিচিত:-আমি শুনেছি তুই নাকি শিখা কে বিরক্ত করেছিস,

রাসেল:-ওহহহ তাহলে ঐ মেয়েটা বলেছে,
মনে মনে,
ভাই আমি ইচ্ছে করে তো ওমনটা করিনি,

অপরিচিত :-শোন তোকে দেখে ওমন টা মনে হয় না, আর যেহেতু আজকে তুই প্রথম,
তাই মাফ করে দিলাম,কিন্তু পরে যদি শুনি তাহলে হাড্ডি একটাও আমান থাকবেনা,

রাসেল:-ধন্যবাদ ভাই,
আমি তাহলে আসি,আর আমি আপনার কথাগুলো মনে রাখবো,

বলেই রাসেল একটা রিকশা নিয়ে বাসাই চলে আসে,

আম্মু:-কিরে বাবা আজকে প্রথম দিন ক্লাস কেমন করলি, আর কোনো ঝামেলা হয়নি তো আবার,

রাসেল:-না আম্মু কিছুই হয়নি,
আর একটা ক্লাস করেই ছুটি হয়েছে,প্রথম দিন বলে নাকি এমনটা হয়েছে,

আম্মু:-ওহহহ আচ্ছা তাহলে যা ফ্রেস হয়ে খেতে আই,

রাসেল:-আম্মু তুমিতো আদালতে গেছিলা ফিরেছো কখন,

আম্মু:-আজকে বেশি কাজ নেই তাই চলে এসেছি একটু আগে,

তারপর রাসেল তার রুমে চলে আসে,
সব কিছু রেখে ড্রেস পরিবর্তন করে একটা থ্রি কটার প্যান্ট আর একটা টি-শার্ট পরে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেস হয়ে নিচে চলে আসে,

রাসেল:-আম্মু আব্বু আজকে খেতে আসবেনা,

আম্মু:-না আজকে আসবেনা অফিসে নাকি আজ অনেক কাজ,
তুই তারাতাড়ি খেয়েনে অনেক খুদা লেগেছে তোর দেখেই বুঝতে পারতাছি,

রাসেল:-হুম আম্মু অনেক খুদা লেগেছে,
দাও খেতে দাও,

তারপর রাসেলের আম্মু খাবার দেই 
রাসেলের প্লেটে
রাসেল তৃপ্তি সহকারে পেটপুরে খেয়ে নেই,

আম্মু:-রাসেল কলেজে কি কোনো মেয়ে পছন্দ করেছিস নাকি,

রাসেল কে ওর আম্মু হাসতে হাসতে উপরের কথাটা জিগ্গেস করলো,
আসলে বলতে গেলে এরা সবাই বন্ধুর মতই,

রাসেল:-আম্মু তোমাকে তো আজকে কলেজে ঘটে  যাওয়া ঘটনা বলাই হয়নি,

রাসেলের আম্মু অনেক টাই অবাক হয়ে জিগ্গেস করে,

আম্মু:-কি কথা বাবা,
তারাতাড়ি বল কোনো ঝামেলা নাতো,

রাসেল:আরে সেইসব কিছুই না,
তুমি তাহলে শোনো,

তারপর রাসেল কলেজে ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনাটা ওর আম্মু কে বলে,
আপনেরা তো জানেন তাই আর নতুন করে বললাম না,
এইদিকে রাসেলের কথা শুনে ওর মা তো হাসতে হাসতে শেষ,

আম্মু:-হাহাহা আমার ছেলে তাহলে একটা মেয়ের হাতে থাপ্পড় খেলো,

রাসেল:-আম্মু তুমি এই রকম কেনো করতেছো,
আর জানো ঐটা মনে হয় কোনো মানুষ ছিলনা ছিলো একটা মানুষ রুপি পরী,

আম্মু:-কি আমার বউমা তাহলে এতো সুন্দর,

রাসেল:-আরে যে আমাকে দেখতেই পারেনা আর তুমি তাকে বউমা বলছো,

এইসব কথাবার্তার মাঝেই রাসেলের ফোনে একটা কল আসে,
তাই কলটা রিসিভ করার জন্য হাতে নেই,

আম্মু:-কে ফোন দিছে বাবা,

রাসেল:-তোমার আদরের মাদ্রাসাতে পড়া হুজুর মেয়ে জুঁই কল দিয়েছে,
হ্যালো,
আসসালামুয়ালাইকুম, জুঁই কেমন আসিছ হুম,

জুঁই:- ওয়ালাইকুমাসালাম,
আমি ভালো আছি, ভাইয়া তোমরা সবাই কেমন আছো,

রাসেল:-হুম ভালো আছি,
আর আম্মু এখানেই আছে নে আম্মুর সাথে কথা বল আমি ভাত খাওয়া শেষ করি,

জুঁই:-আচ্ছা ভাইয়া ঠিক আছে,
তুমি আম্মুর কাছে দাও,

রাসেল তখন ফোনটা ওর আম্মুর কাছে দেই,
জুঁই এর সাথে কথা বলার জন্য,

জুঁই:- আসসালামুয়ালাইকুম,
আম্মু কেমন আছো,আর আব্বু কেমন আছে,

আম্মু:- ওয়ালাইকুমাসালাম,
আমি ভালো আছি, আর তোর বাবাও ভালো আছে,তুই কেমন আছিস মা,

জুঁই:-আমিও ভালো আছি,
আম্মু আমি এক মাসের ছুটি পাইছি,
আগামী সপ্তাহে বাড়িতে আসবো,

আম্মু:- সত্যি বলছিস,
আমার না অনেক খুসি লাগতাছে,তুই বাড়ি আসবি এইটা শুনে, মা দেখে শুনে সাবধানে আসিস কেমন,

এইভাবে আরো অনেক কথা বলে ফোন কেটে দেই
বিকেলে রাসেল ঘুমিয়ে আছে,
তখন ফোন থেকে সৃষ্টি ভুমিকম্পের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়,ঘুম ঘুম চোখেই মোবাইলের স্কিণে তাকিয়ে দেখে ওর বন্ধু হালিম কল দিছে আমেরিকা থেকে,তাই তারাতাড়ি করে ফোনটা রিসিভ করে,

রাসেল:-হ্যালো মামা কেমন আছিস,
আর এতোদিন পরে আমার কথা মনে পরলো,

হালিম:-আমি ভালো আছি, তুই কেমন আছিস,
আর আমিতো তোকে মনে রেখেছি বলেই তোর কথা মনে পরতেই তোকে কল দিলাম,
আর বেটা তুইতো একবারও খোঁজ নিসনাই সালা আবার কথা কস,

রাসেল:-সরিরে দোস্ত,
আসলে আমি কেমন চাপের মাঝে থাকি সেইটা তো তুই জানসি,

হালিম:-হুম তাইতো তোকে কিছু বললাম না,
সালা বেঁচে গেলি,

রাসেল:-তা দেশে আসিস না কেনো হুম,
সালা ঐখানে থেকে বুইড়া হলে কেউ পরে মেয়ে দিবনা তখন বুঝবা মজা,

হালিম:-আমি না হয় দূরে থাকি,
কিন্তু তুইতো দেশেই আসিস তাহলে বিয়ে করছিস না কেনো হুম,

রাসেল:-এই বেটা আমি এখনো পিচ্চি খোকা আছি জানস না,
সালা দেশে কবে আসবি,

এইভাবে দুই বন্ধুর মাঝে অনেক কথা হয়,
অনেক সময় কথা বলার পরে ফোন রেখে দিয়ে ফ্রেস হয়ে রাসেল বাইরে চলে আসে,
ধিরে ধিরে হাটতে হাটতে সামনের একটা টং দোকানে এসে বসে,

রাসেল:-এই মামা একটা স্পেশাল দুধ আ দিনতো,

দোকানদার:-হুম মামা বসেন,
আমি এক মিনিটে বানিয়ে দুই মিনিটে দিচ্ছি,

কিছু সময় পরে,

দোকানদার:-এইমামা নিন আপনার চা,

তারপর রাসেল চা নিয়ে খেতে থাকে এক পর্যায় রাসেলে চোখ রাস্তায় আটকে যায়,
দেখতে পাই রাস্তা দিয়ে একা সাদা পরী হেঁটে যাচ্ছে, মনে হচ্ছে পরীর রাজ্য থেকে ভুল করে মাটিতে চলে এসেছে,
একটু ভালো করে খেয়াল করলেই তার ভাবনা টা ভুল প্রমাণিত হয়,
কেননা ঐ মেয়েটা ডেন্জারাজ শিখা ছিলো,
সুন্দর হতে পারে কিন্তু মনটা তো আর সুন্দর না,

রাসেল:-একটা কথা মাথায় ধরছে না যেই মেয়ে প্যান্ট আর শার্ট বা টি-শার্ট ছাড়া কিছুই পরেনা, সে আজ থ্রি পিজ পরেছে,
কারণ কি,দূর কারণ যাই হোকনা কেন ওকে কিন্তু এই গেটাপে অসম্ভব সুন্দর লাগতেছে,
মনে মনে

রাসেলের এইভাবে তাকিয়ে থাকা টা শিখা ঠিকই খেয়াল করে,আর রাগে তার শরিরটা কটমট করতে থাকে,কিন্তু একটা ভালো কাজে যাচ্ছে বলে কিছু না বলেই চলে যায়,

শিখা:-সালা আমি একটা ভালো কাজে যাচ্ছি বলে এখন বেঁচে গেলি নাহলে তোর খবর করতাম,
মনে মনে

তারপর রাসেল চা শেষ করে আবার বাসাই চলে আসে,
বাসাই এসে একটু বই নিয়ে বসে, কিন্তু বই আজ তার সাথে বেইমানি করতেছে,
পড়ার পরিবর্তে শিখার চাঁদ মুখটি ভেসে উঠছে,

রাসেল:- ধুর আমি কি পাগল হয়ে গেলাম নাকি,
ওর কথা কেন মনে পরতেছে,
তবে কি আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি,
হ্যা আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেই যেইটা প্রথম দেখাই এক তরফা ভালোবাসা নামেই পরিচিত,

এইসব ভাবতেছে ঠিক তখন রাসেলের মনে পরে অনেক দিন হলো এফবিতে যাওয়া হয় না,
তাই বই রেখে এফবিতে ডুকে,
কিন্তু মেসেজ দেখে ওর চোখ কপালে,
কেননা প্রতিটা মেসেজ শুধু,
ভাই গল্প কি আর দিবেন না,
কবে দিবেন গল্প,
ভাই আপনের , মনের গহিনে লুকিয়ে থাকা প্রেম,
গল্পটা যতই পড়ি ততই পড়তে ইচ্ছে করে,আরো অনেক কিছু,
আপনাদের কিন্তু বলতে ভুলেই গেছি আমাদের গল্পের নায়ক গল্প লেখে,

রাসেল:-বাবারে বাবা এতো মেসেজ এদের কি খেয়ে দেয়ে কোনো কাজ নাই নাকি,
শুধু মেসেজ করেই গেছে,

আম্ম:-রাসেল খাবার খেতে আই,
তোর বাবা অপেক্ষা করতেছে,

রাসেল:-আম্মু আসতাছি,

বলেই রাসেল একটু পরে নিচে চলে আসে,

রাসেল:-আব্বু সারাদিন কোথায় ছিলা,
তোমার কোনো খোঁজ খবর নেই,

আব্বু:-অর বলিস না আজকে একা মিটিং ছিলো অনেক জরুরি তাই,

রাসেল:-ওহহহহ আচ্ছা তাহলে এইবেপার,
আমিতো ভেবিছিলাম তুমি,,,

আব্বু:-দেখ বাবা আর সামনে আগাস না বলে দিলাম,তাহলে আমার উপরে বিপদ নেমে আসবে,

আম্মু:-এই তোমরা কিসের কথা বলছো কিছুই তো বুঝতে পারতেছিনা,

রাসেল:-আম্মু তুমি বুঝবেনা,

তারপর কেউ আর কোনো কথা না বলে,
চুপচাপ খাবার খেয়ে নেই,
পরে যার মতো ঘুমানোর জন্য রূমে চলে আসে,
রাসেল বিছানায় শরিরটা এলিয়ে দিতেই ওর দুইচোখ ভরে ঘুম চলে আসে, সকালে ফযরের আযানের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়,
তখন ঘুম থেকে উঠে নামাজ পরতে মসজিদে চলে যায়, নামাজ পড়ে একটু হেঁটে আবার বাসাই আসে, এসে নাস্তা করে কলেজের উদ্দেশ্যে বের হয়,কলেজে এসে একটা গাছের নিচে বসে আছে,
ওর কোনো বন্ধু না হওয়াই একাই থাকতে হয়,আর কেইবা ওর বন্ধু হবে ও তো একটা ক্ষেত,

রাসেল:-এই দুনিয়ায় টাকা পয়সা স্টাইলিশ হওয়াটাই কি আসল,
গরিব মানুষ কি মানুষ না,
তাদের রক্ত আর ধনীদের রক্ত তো একই তাহলে এই অট্টালিকাই থাকা মানুষ গুলা সেইটা কেন মানতে চাইনা,

মনে মনে এইসব নিরবে ভাবতাছে রাসেল,
ঠিক তখনি কিছুটা দূর থেকে শিখা ওকে ডেকেই চলেছে কিন্তু সেই দিকে ওর কোনো খেয়ালি নেই, এতে শিখা তো রেগে আগুন হয়ে যায়,
তাই কাছে এসে কলার ধরে,

শিখা:-ঐ কুত্তা তোকে কখন থেকে ডাকি কথা কানে যায় না,
রাগে মনে হচ্ছে চোখ দিয়েই আগুন বের হবে,

রাসেল:-আমাকে ডেকেছেন আপনে,
আমতা আমতা করে বলল,

শিখা:-না তোকে ডাকিনি,
এইখানে তো আরো অনেকেই আছে,
সালা হনুমান,

রাসেল:-আমি সেইটা খেয়াল করিনি,সরি 

শিখা:-সেইটা খেয়াল করবি কি করে সারাক্ষণ তো মেয়েদের দিকে তাকিয়ে থাকতেই তোর সময় কাটে,

রাসেল:-এইটা আপনে কি বলছেন,
আমি আবার কোনো মেয়ের দিকে তাকালাম,

শিখা:-কেনো মনে নেই কালকে বিকালে আমার দিকে তাকিয়ে তো চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছিলি,
একটু লজ্জাভাব নিয়ে,

রাসেল:-যা বাবাহ এই মেয়ে সেইটা জানলো কি করে,এ আবার ভূত নইতো,
মনে মনে,
এহহহ আপনে কোথাকার সুন্দরী যে আপনার দিকে আমি তাকিয়ে থাকবো,

এই কথাটা বলতে দেরি রাসেলের গালে ঠাসসসস ঠাসসসসস শব্দ হতে দেরি হলোনা,
রাসেল বোকার মতো গালে হাত দিয়ে তাকিয়ে দেখছে সবাই ওর দিকেই চেয়ে বিনা টিকিটে সিনেমা দেখছে,

শিখা:-তোর সাহস কি করে হয় আমার মুখে মুখে তর্ক করার,
আবার আমাকে অসুন্দর বলস,
যা ভাগ আমার সামনে থেকে,
অনেকটাই রেগে বলল,

রাসেল তখন আর কিছু না বলে গালে হাত দিয়ে ফাকে চলে আসে,
ফর্সা গালে পাঁচটা আঙ্গুলের ছাপ ভেসে উঠেছে,
ঐখানে না থাকাই ভালো কারণ শিখা অনেক রেগে ছিলো না জানি আরো কি কি করতো,

রাসেল:-এই মেয়ের কি কোনো কাজ নেই নাকি আমার সাথে এমনটা করা ছাড়া,
আমি যেখানেই থাকিনা কেন ঠিক খুজে বের করবেই,

এইসব ভাবতেছে তখনই কেউ একজন রাসেলের কাধে হাত রাখে,,,,,,,,।
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣

আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে  সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
💝..........চলবে........
💝
🌺আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,
আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো প্রকার ভুল ক্রটি হয় তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে🌺
🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺
🌺Wait for next part coming tomorrow 6am to 7am🌺
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post