গল্পঃ ধর্ষণের মিথ্যা অপবাদ ৭ম এবং ৮ম পর্ব | Dhorsoner Mitha Opobad Part 7 And 8

 #ধর্ষণের_মিথ্যা_অপবাদ
✍লেখক✍কালো ভূত
🌺৭ম পর্ব
আম্মু:-তুই আমার ছেলে না,
আমার ছেলে তখনই আমাদের কাছে মারা গেছে,
যখন শুনেছি তুই একটা ধর্ষক,
আমাদের সামনে কখনো আসিস না,
সবাই চলেন, আর অফিসার একে নিয়ে যান,
আর এমন শাস্তি দিবেন যাতে যতদিন বেঁচে থাকে কোনো মেয়ের দিকে খারাপ নজরে তাকানোর সাহস না করে,

অনেক টাই রেগে,
আর সেইটা শুনে রাসেল বলে ওঠে,

রাসেল:-জজ সাহেবা আজকে আইনের কালো কাপরে আপনার চোখ বাধা পরে আছে, কিন্তু একদিন এই সত্যটা জানতে পারবেন,
যেদিন আপনার চোখ থেকে কালো কাপড় টা সোরে যাবে, 
কিন্তু আফসোস সেইদিন হয়তো আমাকে আর পাবেন না,
আর এইযে ম্যাডাম আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যেই কষ্টটা আমাকে দিলেন এর চারগুণ কষ্ট আমি আপনাকে ফেরত দিবো,

কথাটা শুনেও শিখা কিছু বললনা,
কিবা বলবে সবতো তারই কাজ আর রাসেল তো ভুল বলেনি, 
ইট মারলে পাথর তো খেতেই হবে,
রাসেল ওর বাবা মাকে উদ্দেশ্য করে বলে,

রাসেল:-সাহেব আর জজ ম্যাডাম,
আমিতো আপনাদের না জানিয়ে একটা এতিমখানার সব খরচ বহন করতাম,
এখন তো আমি জেলে যাচ্ছি,
যানিনা কোনদিন এই দুনিয়ার আলো আমার চোখে পরবে কিনা,
নাকি ধুকে ধুকে ঐ অন্ধকার জেলের এক কোণায় মরে পরে থাকবো,
কেউ খোঁজ ও নিবেনা যে পযর্ন্ত আমার এই শরিরে পচন ধরে গন্ধ বের না হবে,
দয়াকরে আপনেরা ঐ এতিমখানার খরচ বহন করিয়েন এটা আমার অনুরোধ,
ছেলে হয়ে না একজন কয়েদি হয়ে,
আর পারলে ক্ষমা করে দিয়েন,অফিসার চলেন,

চোখ মুছতে মুছতে বের হয়ে গেলো রাসেল পুলিশের সাথে, তার আর কথা বলার শক্তি নেই,
আজ সবার চোখেই পানি,
কেউ যেনো ভালো নেই,

আব্বু:-রাসেলের আম্মু ওর শেষ ইচ্ছাটা কিন্তু আমাদের পূরণ করা উচিৎ,

আম্মু:-এটাতো আর খারাপ কাজ না যে ভাবতে হবে,
ওর ইচ্ছাটা পূরণ করবো,

অতিতের কাহিনী শেষ,
এখন বতর্মানে আসা যাক,

রাসেল:-স্যার এই ছিলো আমার কালো অতিতের ধর্ষণ উপাধি পেয়ে জেলে আসার কথা,

কেউ কথা বলতে পারছেনা,
সবার চোখেই পানি,
যেনো গল্পটা শুনে সবাই পাথর হয়ে গেছে,
তখন জেলার সাহেব বলে ওঠে,

আদনান:একটা মেয়ে প্রতিশোধের জন্য এমনটা কি করে করতে পারে,
আমার তো ইচ্ছা করছে ওকে গুলি করে মেরে দিতে,

রাফি:-স্যার আসলেই মানুষ এতটা খারাপ কি করে হয়,

রাসেল:-স্যার ভাগ্য যার সাথে না থাকে তার সাথে এমনটাই ঘটে,

আদনান:-আচ্ছা রাসেল রাত অনেক হয়েছে তুমি খেয়ে ঘুমিয়ে পরো,
আমরা আসি সকালে দেখা হবে,

রাসেল:-ঠিক আছে স্যার,
আসসালামুয়ালাইকুম আর শুভ রাত্রি,

আদনান:- ওয়ালাইকুমাসালাম,
শুভ রাত্রি,

বলেই সবাই চলে যায় রাসেল একা একা আবারো আনমোনা হয়ে পরে,
আজকে একটু হলেও ওর ভালো লাগতেছে,
এটা ভেবে যে একটু হলেও তার কষ্টটা কারো র্সরে শেয়ার করেছে,

এইদিকের কথা তো অনেক শুনলেন,
রাসেলের অতিতের কাহিনী ও শুনলেনে এখন চলে একটু রাসেলের পরিবারের কাছ থেকে ঘুরে আসি,

শিখা:-আম্মু ওষুধ টা আগে খেয়ে নাও,
নাহলে আমি কিন্তু কান্না করেদিবো হুম,

আসলে রাসেল টেনশনে রাসেলের আম্মু প্রায় অসুস্থ থাকে তাই জোর করে শিখা ওষুধ খাওয়াই,
আর শিখার এমন আচারণ রাসেলের আম্মুর ও অনেক ভালো লাগে,

আম্মু:-দে মা আগে খেয়ে নেই,
না হলে তুই সত্যি সত্যি কান্না করবি তোর কোনো ভরসা নেই,

হাসতে হাসতে,বলে,
শিখাও ওষুধ টা খাইয়ে দেই,
তখনি রুমে ডোকে রাসেলের বাবা,

আব্বু:-কি নিয়ে মা মেয়ে এতো খুশি হুম,

শিখা:-বাবা তুমি কখন আসলে,
আর আমাদের জানালেও না যে তুমি আজকে আসবে,
তোমার সাথে কথা নেই যাও,

শিখা মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে অভিমানী হয়ে বলল,
এখন শিখা তাদের সাথে একদম মিসে গেছে,
কেউ বলবেনা এদের কোনো কষ্ট আছে,

আব্বু:-আরে মামুনি রাগ করিস না আমি তো তোদের ছাড়প্রাইজ দেওয়ার জন্যই না বলে(আমেরিকা) এসেছি

আম্মু:-তোমরা বাবা মেয়ে বোঝগা আমি খাবার রেডি করতে গেলাম,

শিখা:-না তুমি কোনো কাজ করবেনা,
তোমার ছেলের বউ আছে কি জন্য হুম,

ছেলে কথাটা শুনেই সবার মুখটা ছোট হয়ে যায় আর রাসেলের আম্মু আব্বু সেখান থেকে চলে যায়,চোখে জল টলমল করতেছে,

শিখা:-দ্যাত কেনো যে ছেলে কথাটা বলতে গেলাম,
এখন হাসি খুসি মুড টা নষ্ট করে দিলাম,

এইসব ভাবতে ভাবতে নিচে চলে আসে,
আর সবাইকে অনেক কষ্টে খাবার খাইয়ে রুমে চলে আসে,
রুমে এসে রাসেলের ছবি বুকে নিয়ে দুই চোখের জল ফেলছে আর,

শিখা:-আজ আমার একটি ভুলের জন্য তুমি তোমার বাবা মার থেকে দূরে, নিরাপরাধ হয়ে ও শাস্তি পেতে হচ্ছে,
কষ্ট পেতে হচ্ছে দিনের পর দিন,

এইসব ভাবতে ভাবতেই ছবির উপরে কখন ঘুমিয়ে গেছে সেই দিকে তার কোনো খেয়ালি নেই,,
শুধু আজকে না প্রায় রাত এভাবেই কেটে যায় শিখার,
সকালে উঠে নামাজ পড়ে সবার জন্য নাস্তা বানাচ্ছে,
বলে রাখা ভালো এখন শিখা সব কাজ করে,রাসেলের 
আম্মু কে কিছুই করতে দেইনা বলতে গেলে শিখা এখন একজন আদর্শ বউ,
শিখা কাজের মেয়ে রহিমা কে বলে,

শিখা:-আপনে এইদিকটা দেখতে থাকেন আর আমি কফি বানিয়ে বাবা মায়ের রুমে দিয়ে আসি,,

রহিমা:-আচ্ছা ভাবি যান আপনে কোনো চিন্তা করিয়েন না আমি এইদিকে সব দেখে শুনেই করমু,

শিখা তার পর কফির মগ দুটি ট্রেতেকরে ধিরে ধিরে সিড়ি বেয়ে রাসেলের বাবা মায়ের রুমে যায়,

শিখা:-আম্মু আব্বু এই নাও তোমাদের সকালের কফি,
আর জটপট খেয়ে ফ্রেস হয়ে নিচে আসো,
আমি নাস্তা রেডি করতেছি,,দেরি করলে কিন্তু খবর আছে বলে দিলাম,

তাদের পাল্টা উত্তর না নিয়েই শিখা আবার নিচে চলে আসে,
এসে সব খাবার টেবিলে সাজাতে শুরু করে,

আম্মু:-পাগলি একটা,
আমাদের সেবা যত্ন ছাড়া কিছুই বোঝেনা,

আব্বু:-হুম আমরা ভাগ্যের জোরে এমন একটা লক্ষি বউমা পেয়েছি,

আম্মু:-হুম,তোমার মনে আছে আজকে রাসেলের এক বছর পূর্ণ হলো জেলে থাকার,

আব্বু:-হুম অনেক ভালো করেই মনে আছে,
ওর কথা মনে করে কষ্ট না পেয়ে চলো নিচে যায় নাহলে আমাদের রাক্ষসী মেয়ে শিখা আবার এসে খেয়ে ফেলবে,
হাসতে হাসতে,

আম্মু:-হুম চলো,

তারপরে দুইজন নিচে গিয়ে দেখে সব কাছু রেডি,
তাই চেয়ার টেনে বসে খাওয়া শুরু করে,
সাথে শিখা কে খাইয়ে দিচ্ছে রাসেলের আম্মু,

শিখা:-আচ্ছা আম্মু আমাকে সারাজীবন এই ভাবে খাইয়ে দিবে,
কখনো ভুল বুঝবেনাতো,

আম্মু:-হুম খাইয়ে দিবো আর ভুল বুঝবো কেনো,
অবাক হয়ে,

আব্বু:-হ্যা ভুল বুঝবো কেনো বল,

শিখা:-না তেমন যদি কখনো জানতে পারো আমি তোমাদের সাথে অন্যায় করেছি,

শিখা আরো কিছু বলতে যাবে তখনি,
দরজার কাছ থেকে রাসেলের বোন জুঁই বলে ওঠে,
জুঁই কে দেখে মনে হচ্ছে জান্নাতের পরী এসেছে,  হাতে মুজা পায়ে মুজা কালো বোরকা এক কথায় পুরাই পর্দানশীল,
শুধু চোখটাই দেখা যাচ্ছে,

জুঁই:- আসসালামুয়ালাইকুম,
আম্মু আব্বু কেমন আছো তোমরা সবাই,

সবাই অবাক জুঁই কে দেখে,
কেননা কেউ ভাবতেই পারছেনা জুঁই এসেছে,

আব্বু:- ওয়ালাইকুমাসালাম,
মামুনি তুমি এলে অথচ আমাদের জানালেনা কেনো,

আম্মু:-হ্যা আমাদের জানালে না কেনো,

জুঁই:-আমি তোমাদের ছাড়প্রাইজ দিতে চেয়েছি তাই কিছু বলিনি,
এভাবে বাইরে দাঁড়িয়ে রাখবে,

আম্মু:-আই ভিতরে আই,

জুঁই:-আম্মু আমি ভাইয়ার সাথে কিন্তু একটুও কথা বলবো না,
একটি বছর হলো আমার সাথে কথা বলেনা,ফোন দিলে বলে সুইচ স্টপ,
তোমাদের বললে বলো কাজে ব্যস্ত,
আমার থেকে কি ভাইয়ার কাজ টাই বড়,

রাসেলের কথা শুনে সকলে মুখটা শুকিয়ে যায়,
এতোদিন নানান বাহানা দিয়েছে,
কিন্তু এখন কি বলবে,

জুঁই:-তোমাদের সকলের মুখ বাংলার পাঁচের মতো হলো কেনো,
বলো ভাইয়া কোথায়,

আব্বু:-মামুনি তুমি অনেক দূর থেকে এসেছো আগে রেস্ট নাও,তার পর না হয় সব কিছু শুনবে,
তুমি অনেক ক্লান্ত,

শিখা:-হ্যা তুমি আগে ফ্রেস হয়ে খাবার খেয়ে রেস্ট নাও,

জুঁই:-ভাবি তুমি তো বলো ভাইয়া কোথায় ওর সাথে আমার বোঝা পরা আছে,
কেন আমার সাথে কথা বলেনা,

জুঁই এর এমন আচারণ দেখে সবাই বুঝতে পারে,
এই মেয়েকে সব কিছু খুলে না বলে উপায় নাই,
এখন আর লুকাতে পারবেনা,
তাই সিদ্ধান্ত নেই সব খুলে বলবে,

আব্বু:-মামুনি আসলে রাসেল আমাদের সাথে থাকেনা একটি বছর হলো,

এইকথা শুনেতো জুঁই অনেক টাই অবাক হয়,

জুঁই:-কেনো ভাইয়া আবার কোথায় থাকে,

আব্বু:-আসলে,
তোমার ভাই এমন একটা কাজ করেছে যা তুমি কষ্ট পাবে বলে এতোদিন তোমাকে বলিনি,
কিন্তু আজ আর না বলে পারছিনা,

তারপর শুরু থেকে সব টাই খুলে বলে,
আপনেরা তো জানেন তাই আর নতুন করে বলে আপনাদের মুল্যবান সময় নষ্ট করতে পারলাম না,
এইসব শুনে তো জুঁই কান্না করে দেই,
কারণ সব থেকে বেশি ভালোবাসতো রাসেল তাকে,

জুঁই:-আমার ভাই এমনটা কখনই করতে পারেনা,
তোমরা বিশ্বাস করলে কি ভাবে,

আম্মু:-দেখ মামুনি আমরা সব কিছু জেনেছি,
রাসেল এমনটাই করেছে তোর ভাবির সাথে,

শিখার মুখে হাসি নেই সেও কান্না করতেছে,
চোখের জল গাল বেয়ে বেয়ে পরতেছে,
শিখার ও আর সবার কষ্ট সহ্য হয় না তাই সিদ্ধান্ত নেই যা হবা হবে সে সব কিছু খুলে বলবে,

শিখা:-আব্বু আম্মু আমি কিছু বলতে চাই,
যদি আপনেরা আমাকে ভুলনা বোঝেন তো,

যখনই বলতে যাবে তখনি দরজার পাশথেকে কেউ বলে ওঠে,,,,
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣

আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে  সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
💝..........চলবে........
💝
🌺আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,
আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো প্রকার ভুল ক্রটি হয় তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে🌺
🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺
🌺Wait for next part coming tomorrow 6am to 7am🌺
গল্পঃ ধর্ষণের মিথ্যা অপবাদ ৭ম এবং ৮ম পর্ব | Dhorsoner Mitha Opobad Part 7 And 8


#ধর্ষণের_মিথ্যা_অপবাদ
✍লেখক✍কালো ভূত
🌺৮ম পর্ব
শিখা:-আব্বু আম্মু আমি তোমাদের কিছু বলতে চাই,
যদি তোমরা কথাটা শোনার পরে আমাকে ভুলনা বোঝতো,

আব্বু:-আমরা কি মনে করবো হুম,
পাগলি মেয়ে একটা বল কি বলতে অনুমতি চাচ্ছিস আমাদের থেকে,

শিখা:-আমি বলতে চাই,,

যখনই শিখা কিছু বলতে যাবে তখনি দরজার পাশ থেকে শিখার বাবা বলে ওঠে,

শিখার বাবা:-কি খবর বন্ধু কেমন আছিস,
আমাদের কথা একে বারেই ভুলে গেছিস তাইনা,

আব্বু:-আমরা ভালো আছি,
তোরা ভালো আছিস তো,আর তোদের কি ভোলা যায় বল,

শিখার আম্মু:- আমরা ও ভালো আছি বিয়াই সাহেব,
ভুলে না গেলে আমাদের বাসাই অবশ্যই আসতেন,

শিখা ওর বাবা মাকে দেখেই দৌড়ে তাদের গিয়ে জড়িয়ে ধরে,আর বলতে থাকে

শিখা:-আম্মু আব্বু তোমরা কেমন আছো,
আর এতোদিন পরে আমার কথা মনে পরলো,

মনটা একটু ছোট করে বলল,

শিখার বাবা:-মামুনি তোকে তো সব সময় মনে করি, কিন্তু আসার সময় হয় না,
জানিসি কতো কাজে বিজি থাকতে হয়,

শিখা:-হুম সেইটা জানি তাই বলে মেয়ে কে দেখতে আসবেনা,এটা কি হয়,

তখনি শিখার বাবার চোখ যায় দাঁড়িয়ে থাকা জুঁই এর দিকে,

শিখার বাবা:- আচ্ছা বন্ধু এই মেয়ে কে তো চিনতে পারলাম না,

আসলে শিখার বাবা রাসেলের বোনকে কখনো দেখেনি শুধু শুনেছে,
আর জুঁই এখোনো দাঁড়িয়ে আছে,

আব্বু:-ও এটা আমার মেয়ে জুঁই আজকে পাকিস্তান থেকে এসেছে,

জুঁই:- আসসালামুয়ালাইকুম আংকেল আন্টি আপনেরা কেমন আছেন,

শিখার বাবা:- ওয়ালাইকুমাসালাম,
আমরা ভালো আছি,তুমি কেমন আছো মামুনি,

জুঁই :- আলহামদুলিল্লাহ,
আংকেল আমি ও ভালো আছি,

এইভাবে অনেক কথা বলে তারা সবাই খাবার পর্ব শেষ করে,
আর তখনি আব্বু বলে ওঠে,

আব্বু:-আচ্ছা শিখা মামুনি তুই কি যেনো বলতে চাইছিলি,

এই কথা শুনে শিখা একটু চোমকে যায়,
কেননা তার বাবা মা ও এখানে আছে,
এখন কি করবে,
অনেক ভেবে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেই সব ঘটনা খুলে বলবে তারপর যা হবার হবে,

শিখা:-আব্বু,
আসলে আমি এমন কিছু বলবো যা তোমাদের সকলের অজানা, আমি অনেক বলতে চেয়েছি কিন্তু ভয়ে বলতে পারিনা,

আম্মু:-কি এমন কথা যা বলতে এতো ভয় পেয়েছিস,
অনেক টাই অবাক হয়ে,

শিখা:-আগে বলো কথাটা শোনার পরে আমাকে ভুল বুঝবে না,

শিখার আব্বু:-মামুনি আগে তো বল কি কথা,

আম্মু:-হুম মামুনি আগে বল,

শিখা:-তাহলে মন দিয়ে পুরোটা শোনো,

তারপর শিখা শুরু থেকে সব কিছু খুলে বলে,
আপনেরা তো আগেই সবটা জানেন তাই আর নতুন করে বলে গল্পটাকে বড় করলাম না,
সব কিছু শুনে ঐখানে উপস্থিত সবাই অবাক হয়ে যায়,
আর শিখার বাবা উঠে গিয়ে ঠাসসস ঠাসসস করে কয়েকটা থাপ্পড় লাগিয়ে দেয় শিখার গালে আর বলে,

শিখার বাবা:-এই সব দেখার জন্য তোকে বড় করেছি, সামান্য প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য একটা নিরাপরাধ ছেলের জীবন টা নষ্ট করলি,

শিখা:-বাবা আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি যা করেছি সব টাই ভুল করেছি,

শিখার বাবার পায়ে ধরে বলল,
রাসেলের বাবা মায়ের মুখে কোনো কথা নেই, দুজনেই যেনো পাথর হয়ে গেছে,
চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরতেছে,
রাসেলের বোন তো হাউমাও করে কান্না শুরু করে দিলো,

জুঁই:-ভাবি তুমি আমার ভাইয়ের সাথে এমনটা কেনো করলে,
ভাইয়া তো তোমারই হবু বড় ছিলো,

শিখা:-আমি তো প্রতিশোধের নেশায় এমন জঘণ্য কাজ করেছি,
যখন জানলাম তোমার ভাই আমার হবু বর তখন অনেক দেরি হয়ে গেছিলো,
তখন থেকেই আমাকে কষ্টের আগুন পুরে খাচ্ছে,
কেদেঁ কেদেঁ 

শিখার আম্মু:-ছি শিখা ছি তোকে আমার মেয়ে বলতেও ঘৃণা লাগছে,
কি করে পারলি একটা নিষ্পাপ ছেলের জীবন নিয়ে এই ভাবে ছিনিমিনি খেলতে,
আমরা তো তোকে এই শিক্ষাই বড় করিনি,

শিখা:-আম্মু আমাকে ক্ষমা দাও,
আমি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি,

শিখার আম্মু:-আমরা তোকে ক্ষমা করার কে,
তোর শশুর শাশুড়ির কাছে ক্ষমা চা,

তখনি শিখা দৌড়ে গিয়ে রাসেলের আম্মু আব্বু পা জড়িয়ে ধরে কান্না করে বলে,

শিখা:-তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ,
আমি অনেক বড় ভুল করেছি,
জানি সেই ভুলের কোনো ক্ষমা হয় না তবুও ক্ষমা করে দাও,

শিখার কান্নার শব্দে তাদের ধ্যান ভাঙ্গে 
আর রাসেলের আম্মু বলে,

আম্মু:-মারে তোকে দোষারোপ করে কি করব বল,
যেইখানে তোর থেকে বড় দোষী আমরা,
নিজের জন্ম দেওয়া ছেলে একি চিনতে পারলাম,
তার কোনো কথায় বিশ্বাস করলাম না,
এই হাত দিয়ে আমার কলিজার টুকরাকে শাস্তি দিয়েছি,

বলেই নিজের হাত কে ওয়ালের সাথে বারি মারতে থাকে,
তখন রাসেলের আব্বু গিয়ে থামিয়ে,

আব্বু:-রাসেলের আম্মু এভাবে ভেঙে পরলে তো আর হবেনা,
আগে রাসেলের খবর নিতে হবে,

শিখার বাবা:-হ্যা আগে রাসেলের খবর নিতে হবে,
কেমন আছে কি ভাবে আছে,

আম্মু:-আজকে রাসেলের এক বছর হলো,
একটিবারের জন্য ও দেখতে যায় নি কেমন বাবা মা আমরা,
সন্তান যতই অন্যায় করুক না কেনো,
তবুতো ও আমাদের সন্তান,
সেইটা কেনো ভাবলাম না,

কেদেঁ কেদেঁ,

জুঁই:-আম্মু চলো ভাইয়া যেই জেলে আছে সেখানে  আমরা যায়,

আব্বু:-হুম চলো সবাই,
পরে এসে সব কিছু শোনা বা করা যাবে আগে রাসেল কে নিয়ে আসি,

তারপরে সবাই যেভাবে আছে সেই ভাবে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পরে,জেলখানার উদ্দেশ্যে,

চলেন এখন আবার রাসেলের কাছে ফিরে যায়,
রাসেল আদনান স্যারের রুমে দাঁড়িয়ে আছে,

আদনান:-রাসেল তুমি এখন কি বাসাই যাবে,

রাসেল:-কি করে যাবো স্যার বলেন,
একটি বছরে একবারের জন্য ও খোঁজ নিতে আসেনি,
আমি কেমন আছি কি অবস্থায় আছি,

আদনান:-তা অবশ্যই ঠিকই বলেছো,
যাদের কাছে তোমার কোনো মুল্য নেই,
তাদের কাছে গিয়ে ও কিবা করবে,
নাও এইখানে একটা সই করে তোমার সব কিছু বুঝিয়ে নাও,

রাসেল:-ঠিক আছে স্যার,

তারপরে রাসেল সই করে সব কিছু বুঝে নিয়ে বেরিয়ে আসতে যাবে তখন,

আদনান:-রাসেল এইখানে কিছু টাকা আছে রেখে দাও কাজে লাগবে,
ভেবোনা আমি দিচ্ছি, এগুলো তোমারি টাকা যা তুমি কাজ করে পেয়েছো,

রাসেল:- ধন্যবাদ স্যার,
ভালো থাকবেন আসি,আর বেঁচে থাকলে দেখা হবে তবে এইখানে না হয়ে বাইরে যেনো হয়,

আদনান:-তুমিও ভালো থেকো আর কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলবে,
এই বান্দার তোমার জন্য সব সময় হাজির,

আজকে কোঠার হৃদয়ের মানুষটার চোখেও একটা  কয়েদির জন্য পানি,
আর তার বাবা মা বোঝেনি তাকে,
আফসোস এই সমাজ ব্যবস্থা বড়ই নিষ্ঠুর,
মিথ্যা কে সত্য আর সত্য কে মিথ্যা বানাই,
রাসেল জেলের গেট থেকে বেড় হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে,
আবার নিচের দিকে তাকিয়ে ধিরে ধিরে হাটতে শুরু করে,
এইদিকে
একটু পরে রাসেলের পরিবারের সবাই জেল গেটে
এসে নেমে সোজা ভিতরে যায়,
সব পুলিশ সালাম দিচ্ছে আর পিছে পিছে আসতেছে,

আম্মু:-জেলার সাহেব আমার ছেলে কোথায়,

জেলার সাহেব একটা কাগজে কি যেনো লিখছিলো, কথা শুনে সামনে তাকি দেখতে পাই জজ ম্যাডাম,
তখন একটু রাগ নিয়েই বলে,

আদনান:-কে আপনার ছেলে,

আম্মু:-কয়েদি নাম্বার ৪২০ রাসেল আমার ছেলে,
বলেন কোথায় আছে,

আব্বু:-হ্যা তারাতাড়ি বলেন রাসেন কত নাম্বার জেলে আছে,

আদনান:-সে এখানে নেই,
আর কেনো খুজতে এসেছেন,দেখতে এসেছেন নাকি ও বেঁচে আছে কিনা মরে গেছে,

আম্মু:-দেখেন আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি,
সত্যতা জানতেও পারিনি আর জানার চেষ্টা ও করিনি,
প্লিজ বলেন কোথায় আছে,

আদনান:-একটা মেয়ে এমনটা কি করে করতে পারে,
আর আপনে একজন বিচারক হয়েও এমন কাজ কি করে করলেন ভাবতেই পারিনা,

আব্বু:-আমরা ভুল বুঝতে পেরেছি,
দয়াকরে বলেন না প্লিজ,
কোথায় আছে আমার ছেলে,

শিখা:-স্যার বলেন না আমার স্বামী কোথায় আছে,

স্বামী কথা শুনেই আদনান সাহেবের রাগ উঠে যায়,

আদনান:-ওহহহহ 
তুমিই তাহলে সেই মেয়ে যার জন্য আজ রাসেল নিরপরাধ হয়ে ও শাস্তি ভোগ করছে,
কি করে পারলে এমনটা করতে,
তারতো কোনো দোষ ছিলনা,
আর স্বামী বলছ কোন অধিকারে, তুমি তো মেয়ে জাতের কলঙ্ক,

শিখা:-স্যার আমি অনেক অনুতপ্ত,
আমি অনেক বড় ভুল করেছি যার কোনো ক্ষমা নেই, প্লিজ বলেন না কোথায়,

আদনান:-দেখুন সত্যি এখানে রাসেল নেই,

আম্মু:-এখানে নেই মানে,
ও তো এই জেলেই থাকার কথা দুইবছরের জন্য,

আদনান:-হুম ছিলো,
কিন্তু সরকার ওর আচারণে মুগ্ধ হয়ে একবছর আগেই ওর শাস্তি মাফ করে দিছে,
একটু আগেই চলে গেছে,

আব্বু:-কিহহহ কোথায় গেছে আমার ছেলে তাহলে,

আদনান:-কোথায় গেছে সেইটা তো জানিনা তবে,

আম্মু:-তবে কি জেলার সাহেব,
অনেকটা আতঙ্কিত হয়ে,

আদনান:-মনে হয় বাসাই যাবে,
আপনেরা তারাতাড়ি চলে যান,

তারপরে সবাই তারাতাড়ি করে জেল থেকে বেরিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয়,

এইদিকে,
রাসেল বাড়ির সামনে এসে নামে,
আজকে তাকে দেখে কেউ চিনতেই পারবেনা,
দাড়ি গুলো বড় হয়ে গেছে চুলগুলো ও অনেক বড় এক কথায় পাগল মনে হচ্ছে,
ধিরে ধিরে গেটের দিকে যায়,
যখনি গেট দিয়ে ডুকতে যাবে তখনই গেটের দারোয়ান শফি আটকেদেয় তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বলে,

শফি:-এই কে আপনে আর এই ভাবে এইবাসাই ডুকতেছেন কেনো,

রাসেল:-চাচা আমি রাসেল,
তোমার ছোট সাহেব,

রাসেলের কণ্ঠ শুনে চিনতে আর দেরি হলোনা,

শফি:-কি বাবা তুমি,
অনেক দিন পরে তোমাকে দেখতে পারলাম,
কেমন আছো,

রাসেল:-কেমন থাকতে পারি সেইটা তো তুমি জানোই,
আচ্ছা বাবা মা কি আমার কথা বলে,
আর তারা সবাই কি বাড়িতে আছে,

শফি:-না তারা সবাই তারাহুরা করে কোথায় জেনো গেলো,আমাকে কিছুই বলেনি,
আর
কি বলবো বাবা,
তোমার কথা এই বাসার কেউ বলেনা,
মাঝে মাঝে শিখা মামুনি তোমার কথা বললেই তোমার বাবা মা সেখান থেকে চলে যায়,

কথাটা শুনে রাসেলের অনেক টাই কষ্ট হয়,

রাসেল:-এতগুলি দিন পরেও তারা আমার কথা ভাবলো না,
আমাকে দোষী মনে করেই গেলো,মনে মনে,
আচ্ছা চাচা ঐ মেয়ে এই বাড়িতে কেনো আছে,

শফি:-তা তো জানিনা তবে শিখা ম্যাডাম খুব ভালো আপনার বাবা মাকে অনেক ভালোবাসে,
আর বাড়ির সকল কেই,

রাসেল:-ওহ,
আমাকে তাদের কাছে দোষী বানিয়ে নিজে ভালো সাজছে,
আমি কখনোই ক্ষমা করবোনা মিস শিখা চৌধুরী,
আমাকে যেই কষ্ট দিয়েছিস তার থেকে হাজার গুণ কষ্ট তোকে ফেরত দিবো রেডি থাক,
মনে মনে,

তখন রাসেল কিছু বলছেনা বলে শফি বলে ওঠে,
শফি:-কি  কথা বলছো না কেনো,

রাসেল:-হুম বলেন,
আচ্ছা আমাকে তাহলে এই বাড়ির কেউ দেখতে পারেনা তাইনা,
চোখে জল এনে,

শফি:-সেইটা সঠিক জানিনা,
তুমি রুমে গিয়ে ফ্রেস হও

রাসেল:-না চাচা আমি একটা ধর্ষক,
আমার জায়গা এই বাড়িতে নেই,
ভালো থেকো আর চাচা এই খামটা আম্মুর হাতে দিও,(একটা চিঠি লিখেছিলো আসার সময়)
কেদেঁ কেদেঁ,

শফি:-কোথায় যাও বাবা,

রাসেল:-জানিনা চাচা,
আল্লাহর এই পৃথিবীতে কোথাও না কোথাও আমার জায়গা ঠিকই হবে,

বলেই রাসেল চোখ মুছতে মুছতে সেখান থেকে চলে যায়, তার আর থাকার ইচ্ছা হচ্ছে না,

রাসেল:-আল্লাহ সব কষ্ট টুকু কি আমার জন্যই লিখে রেখেছো,
কোনো দোষ না করেও আজ আমি সবার কাছে দোষী,
মাঝে মাঝে মনে হয় এই পৃথিবীর সকল মায়া ছেড়ে আল্লাহ তোমার কাছে চলে আসি,

এইসব কথা ভাবতেছে আর ধিরে ধিরে হেটে চলেছে স্টেশনের দিকে,
থাকবেনা আর এই শহরে,

এইদিকে
রাসেলের পরিবারের সবাই বাড়িতে আসে,
সবার মুখটা মলিন,
বাসাই ও রাসেল কে দেখতে পেলোনা,

জুঁই:-আব্বু তার মানে ভাইয়া কে আমি কোনদিন পাবোনা,
কেদেঁ কেদেঁ,

আব্বু:-মামুনি অবশ্যই তোমার ভাই তোমার কাছে ফিরে আসবে,দেইখো,

তখনি পিছন থেকে শফি হাপাতে হাপাতে বলে,

শফি:-স্যার ছোট সাহেব এসেছিল একটু আগে,

আম্মু:-কি রাসেল কোথায়,
খুশি হয়ে,

আব্বু:-হ্যা বলো রাসেল কোথায়,

শফি:-এসেছিলো কথা বলে আবার কোথায় যেনো চলে গেলো,
আপনাদের কথা জিগ্গেস করলো,

আম্মু:-কি বলছে,

শফি:-কিছু বলেনি,
শুধু বলেছিলো আপনেরা বাসাই আছেন নাকি,
কিন্তু আপনেরা তো নেই,
আর ম্যাডাম আপনের জন্য এই খামটা দিয়ে গেছে,

তারপর রাসেলের আম্মু তারাতাড়ি করে খামটা হাতে নিয়ে কাপা কাপা হাতে খুলে,
পড়তে নিয়েই চেয়ারে বসে পরে, 
তখন রাসেলের আব্বু ধরে ফেলে,

আব্বু:-এই তোমার কি হলো,
জুঁই পানি দাও,

জুঁই:-দিচ্ছি আব্বু

জুঁই গ্লাসে পানি নিয়ে ওর আম্মু কেখায়ে দিয়ে,
চিঠিটা হাতে নিয়ে,
পড়ে, কান্না করে ওর বাবার হাতে দেয়,

আব্বু:-কি আছে দেখি,

তারপর চিঠিটা পড়তে শুরু করে,

চলেন আমরাও একটু শুনে আসি,

রাসেল:-প্রথমেই সালাম নিও,
আম্মু আব্বু,
সরি আম্মু আব্বু ডাকার অধিকার টুকু এখন আর নেই তবুও ডেকে ফেলেছি,
আমার কলিজার বোনটা আমাকে খুব বকা দিচ্ছে তাইনা,
আমি ও খুব মিস করি,
তোমাদের দেখতে খুব ইচ্ছে করছিলো,
কিন্তু আফসোস আমার ভাগ্যে আল্লাহ সেটা রাখেনি,
যানো আম্মু যেইদিন তুমি বলেছিলে আমি তোমাদের সন্তান না সেইদিন আমি বেঁচে থেকেও মরে গেছি,
খুব কষ্ট হয় আমার আজ কোনো অপরাধ না করেও অপরাধী,
আমার কোনো অভিযোগ নেই কারো প্রতি,
যায় হোক
বেশি কিছু বলে তোমাদের সময় নষ্ট করতে চাইনা,
আমার বোনটাকে দেখে রেখো,
আর যদি কখনো জানতে পারো রাসেল নামের ধর্ষকটার মৃত্যু হয়েছে সেইদিন,
এই অভাগার কবরে তিন মুট মাটি দিতে বলিও আব্বুকে,
ভালো থেকো তোমরা আর পারলে ক্ষমা করে দিয়ো
ইতি 
একজন ধর্ষক,

চিঠিটা পরেই রাসেলের আব্বুর চোখ থেকে পানি পরতে থাকে, আজকে যেনো এই বাড়িতে সোকের ছায়া নেমে এসেছে,
কারো মুখেই হাসি নেই আছে শুধু কান্না,

শিখার আম্মু:-এইভাবে ভেঙে পরলে চলবেনা,
নিজেদের শক্ত করেন সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে,

আব্বু:-কি করে ঠিক হবে,
বলো, রাসেল কোথায় আছে কেমন আছে,
কি করছে কে যানে,

এইদিকে রাসেল বাস স্টেশনে এসে একটা চট্টগ্রামের টিকে কেটে বাসে উঠে বসে পড়ে,
একটা চাদর মুরিয়ে আছে।
দেখেই মনে হচ্ছে একটা পাগল,
দুইচোখে পানি,
নিদিষ্ট সময়ে বাস তার গন্তব্যের দিকে চলতে শুরু করে,
পিছে পরে যাচ্ছে এই সহরের সব কিছু,
থেকে যাচ্ছে শুধু মায়া গুলো,
বাস চলতে চলতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এসে থামে কিছু সময়ের জন্য,

হেলপার:-সবাই নেমে যার যার ব্যক্তিগত কাজ থাকলে শেরে নেন,বাস এইখানে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করবে,

তারপর যে যার মতো নেমে গেলো,
বাসে শুধু আনমোনা হয়ে বসে আছে রাসেল,
তার কোনো ভাবনাই নেই,
শুধু অঝোরে চোখের পানি পরতেছে,
চাদর মুরিয়ে আছে তাই কেউ বুঝতে ও পাছে না,
দেখতে দেখতে আধা ঘন্টা শেষ হলে বাস আবার তার নির্দিষ্ট গতে চলতে শুরু করে,
রাসেল ঘুমিয়ে পরেছে শেষ রাতের আগ মুহূর্তে,
সকালে বাস এসে থামে চট্টগ্রামের একটা স্টেশনে,
সবাই নেমে যায়,
কিন্তু রাসেল ঘুমিয়ে আছে,

হেলপার:-মামা এই মামা আমরা চট্টগ্রাম এসে গেছি, নামেন সবাই নেমে গেছে,

তখন ডাক শুনে রাসেলের ঘুম ভেঙে যায়,

রাসেল:-মামাা আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাকে ডেকে দেওয়ার জন্য,

হেলপার:- ধন্যবাদ দিতে হবেনা,
এটা আমার নৈতিক দিনের দায়িত্ব,

রাসেল:-আচ্ছা মামা তাহলে ভালো থাকেন আসি,

বলেই রাসেল গাড়ি থেকে নেমে পরে,
 কোথায় যাবে কি করবে কিছুই জানে না সে,
আনমনে হেঁটেই চলেছে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে,
হাটতে হাটতে সামনে একটা,,,,,,,,,
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣

আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে  সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
💝..........চলবে........
💝
🌺আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,
আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো প্রকার ভুল ক্রটি হয় তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে🌺
🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺
🌺Wait for next part coming tomorrow 6am to 7am🌺
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post