✍লেখক✍কালো ভূত
🌺৬ষ্ঠ পর্ব
❣
❣
আব্বু:-আচ্ছা বলোতো আমাদের রাসেলের কি বিচার করবে তুমি,খুবতো সবার সামনে বললে ও আমাদের ছেলে ছিলো কিন্তু এখন নাই মরে গেছে,
আসলে আমরা কি আমাদের কলিজা ছাড়া থাকতে পারবো,
এই কথাটা শুনে রাসেলের আম্মু বলে,
আম্মু:-শুধু কি আমি একাই বলেছি তুমি বলোনি,
আমি আইনের হাতে বাধা ওর অন্যায় অনুযায়ী ও যেই শাস্তি পাবে সেটা ওকে পেতেই হবে হোক না সে আমার ছেলে,
আইন সবার জন্য সমান,
আব্বু:-তাই বলে আমাদের ছেলে সেই কথা একটুও ভাববে না,
আম্মু:-ও যদি এই জিনিস টা ভাবতো তাহলে এমন জঘন্য কাজ করার আগে আমাদের কথা একবার হলেও ভাবতো,
যায় হোক এই বিষয়ে আর কথা বলবেনা,
মনে রেখো,
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে দুজনেই সমান অপরাধী,
তারপর রাসেলের আব্বু কোনো কথা না বলে তার রুমে চলে যায়,কারণ কিছু বলেও কোনো লাভ হবেনা,
কেননা রাসেল এমন একটা কাজ করেছে যেটা কারো কাছে বলে মুখ পাওয়া যাবেনা,
এইদিকে নীলা আর শিখা অনামিকা একসাথে বসে বসে ভাবতেছে,
কিছু একটা তখন নীলা বলে ওঠে,
নীলা:-শিখা তুই আজ একটা নিরাপরাধ ছেলের সাথে যা করলে তার ক্ষমা তুই কখনো পাবিনা,
দেখেছিস ছেলেটা কতো ভালো,
তোর নাম ধরে একবারো বলেনি তুই ওর সাতে কি কি করেছিস,
তারপরও রাসেল তোর হবু বর ছিলো,যা আমাদের ও অজানা,
অনামিকা:-আচ্ছা শিখা রাসেল এতো বড়োলোক হয়েও এই ক্ষেত সেজে কলেজে আসতো কেনো,
আর সব অপমান সহ্য করতো,
যেখানে তার মায়ের নামশুনেই সবার হাত পা কাপে, বাবার টা বাদই দিলাম,
শিখা:-আমি কিছুই জানিনা,
আর ওর সাথে যে বিয়ে সেইটা আমি কালকেই প্রথম শুনেছি,যদি জানতাম ঐ হাদারাম আমার হবু বর তাহলে তো ভ্যানেটি ব্যাগে ভরে রাখতাম,
এমন জঘন্য কাজ তো দূরকি বাত,
নীলা:-আচ্ছা আমরা যদি কালকে আদালতে সত্যি কথা বলি তাহলে কিন্তু রাসেল বেঁচে যেতে পারে,
শিখা:-হ নীলা তুই মনে হয় সত্যি কথাই বলেছিস,
আমরা যদি কালকে সত্য কথা বলি তাহলে ও বেঁচে যাবে,
অনামিকা:-হ যাও সত্য বলো আর পুলিশ আমাদের সবাইকে রাসেলের পরিবর্তে আটক করুক,
শিখা:-এটাও তো ঠিক,
আচ্ছা আমরা তাহলে পরে সব খুলে বলবো যখন এই ঘটনাটা একটু শান্ত হবে,
নীলা:-হুম এটা মনে হয় ঠিক হবে,
চল এখন বাসাই যায় আকাম তো অনেক করেছি,
টাকা আছে বলে,
গরিবদের মূল্যায়ন টুকুও করতে শিখিই,
আমরাতো মানুষ নামে কলঙ্করে,
তারপর আর কেউ কোনো কথা বলেনা,
সবাই যার যার বাসাই চলে যায়,
এদের কথাতো অনেক হলো এবার চলেন আমাদের নায়কের কথা ও একটু শুনে আসি,
রাসেলকে থানাই আটকে রেখেছে,
আতিক:-দেখ তুই যেই ঘরের সন্তান,
একবার মুখ খুললে একটা কেন হাজার টা মেয়ে তোর কাছে চলে আসবে,
তাহলে তুই এমন কেন করলি ঐ মেয়েটার সাথে,
তারথেকেও বড় কথা তোর সাথে তো ঐ মেয়ের বিয়ে ঠিক করেই রেখেছে,
রাসেল:-অফিসার আমি কতোবার বলবো আমি কিছু করিনি,
কিছু করিনি, আমাকে মেরে ফেললেও বলবো এই একি কথা
আতিক:-শোন আমাদের জজের ছেলে বলে এখোনো কিছু বলছিনা,
বলে ভাবিসনা যে আমরা চুপ করে বসে থাকবো,
জটপট বলে ফেল কেনো করেছিস তোর মতলোব কি ছিলো,
এমন কথা শুনে রাসেলের প্রচণ্ড রাগ উঠে যায়,
রাসেল:-বললাম না আমি কিছু করিনি,
কোনো মতলব তো দূরকি বাত
পুলিশ আর রাগটা ধরে রাখতে পারলোনা,
উরাধুরা মাইর শুরু করে দেই,
এমনিতেই মাইর খেতে খেতে শরিরের কোনো অংশ বাকি নেই,
তার উপরে আবার এখন চলছে আন লিমিটেড মাইর,
আতিক:-এখোনো সময় আছে সব খুলে বল,
রাসেল:-মরে গেলেও বলবো আমি কিছু করিনি,
তখন মাইরের গতি আরো বৃদ্ধি করে দেই যার জন্য রাসেলের শরির বেয়ে বেয়ে রক্ত পরছে,
এক পর্যায়ে রাসেল অজ্ঞান হয়ে ফ্লোরে পরে যায়,
তখন পুলিশ অফিসার আতিক মারা বন্ধ করে,
এইভাবে দেখতে দেখতে দিনটি পেরিয়ে রাত শেষ হয়ে সকালে রাসেল কে আদালতে নেওয়ার জন্য গাড়িতে তোলা হয়,
ঐদিকে
আব্বু:- রাসেলের আম্মু আজকে এখানো আদালতে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছনা কেনো,
আম্মু:-কিছুই ভালো লাগছে না,
আমার হাত দিয়েই আমার কলিজার টুকরা কে কি করে শাস্তি দিবো বলো,
আব্বু:-এইভাবে ভেঙে পরলে হবেনা কারণ তুমি আইনের লোক,
মনে রেখো তুমি একজন বিচারক,
তোমার থেকেই সবাই ন্যাই বিচার পাবার জন্য আসে,
আম্মু:-হুম,
আচ্ছা তুমি থাকো আমি রেডি হয়ে সবকিছু নিয়ে আসি,
আতিক:-এই তোরা সবাই ওকে দেখে রাখিস যেনো পালিয়ে না যায়,
পুলিশ:- ওকে স্যার,
তারপর ধিরে ধিরে গাড়ি চলতে থাকে,
আদালতের দিকে,
রাসেলর চোখে আর অশ্রু নেই,যেনো সব পানি শুকিয়ে গেছে, পাথর হয়ে গাড়ি সিটে বসে আছে,
হাতে বেরি পায়ে বেরি,
দেখতে দেখতে আদালতে উপস্থিত হয়ে যায়,
একে একে সব মানুষ এসে বসে পরে,
জজ এখনো আসেনি,
তাই সবাই অপেক্ষা করতেছে,
রাসেল নিচের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,
ফর্সা মুখটা মলিন হয়ে গেছে,
নীলা:-দেখেছিস শিখা রাসেলের অবস্থা,
মেরে মেরে রক্ত বের করে দিয়েছে,ওর অবস্থা দেখে আমারই কান্না পাচ্ছে,
শিখা:-তুই এতো ইমোশনাল হয়ে পরলে তো জজ কে সব বলে দিবি,
অনামিকা:-দেখ নীলা এখানে কিন্তু সত্যি কিছুই বলা যাবেনা,
এমন ভাবে বলতে হবে যাতে রাসেল সত্যি অপরাধী প্রমাণিত হয়,
নীলা:-তোর আল্লাহ আল্লাহ কর আমাকে যেনো কাঠগড়ায় না ডাকে,
তখনি কেউ বলে ওঠে,
পিয়ন:-সবাই চুপ করেন জজ সাহেবা উপস্থিত হচ্ছেন,
চারিদিকে নিরবতা,
কারো মুখে কোনো কথা নেই,
জজ সাহেবা আসলেন সবাই দাঁড়িয়ে সালাম দিলেন,
আম্মু:-আপনেরা সবাই বসেন,
আর আজকের কার্য শুরু করেন,
জজ সাহেবা একবার রাসেলের দিকে তাকিয়ে নিজের চোখের জলটা মুছে নেই সবার চোখকে ফাকি দিয়ে,
বাদি পক্ষের উকিল মোঃ রফিক,
আসামি পক্ষের উকিল মোঃ শফিক,
রফিক:-ম্যাডাম,
আমি মনে করি এই কেসটা নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে হবেনা, কারণ সবাই জানে কাঠগড়ায় দাঁড়ানো লম্পট টাই ধর্ষক,
তবুও আমি আসামির মুখে কিছু শুনতে চাই যদি আপনে অনু মতি দেনতো,
আম্মু:-(এখানে জজ বললাম না কারণ সব জায়গায় তো আম্মু কথাটাই তুলে ধরেছি) হুম মিস্টার রফিক পারমিশন গ্রান্টেড,
রফিক:- ধন্যবাদ ম্যাডাম,
এই ছেলে বল ঐ বাচ্চা মেয়ের সাথে এমন জঘন্য কাজ কেন করেছিস,
রাসেল তখন আর চোখে ওর আম্মুর দিকে তাকিয়ে আবার চোখ নিচের দিকে দিয়ে বলে,
রাসেল:- আমি আগেও বলেছি কিছু করিনি এখোনো বলছি কিছু করিনি,
রফিক:- আচ্ছা মানলাম তুই কিছু করিস নাই তাহলে সবাই ঘটনাস্থলে তোকে হাতে নাতে ধরলো কিভাবে,
রাসেল কিছু বলছেনা একবার নীলা শিখা অনামিকা সহ আরো কিছু মানুষের দিকে তাকিয়ে সেই আগের মতো হয়ে বলল,
রাসেল:-জানিনা,
রফিক:-ম্যাডাম আমার আর কিছু জানার নাই মিস্টার শফিক যদি কিছু জিগ্গেস করতে চাই তাহলে করতে পারে,
আম্মু:- মিস্টার শফিক আপনার কি কোনো কথা জানার আছে,
শফিক:-হুম আপনে অনুমতি দিলে আমি ঐ মেয়ে গুলোকে একে কিছু কথা জিগ্গেস করতে চাই,
আম্মু:-ওকে করতে পারেন,
শফিক:- ধন্যবাদ ম্যাডাম,
আমি প্রথমেই শিখার থেকে কিছু জানতে চাই,
পিয়ন:- মিস শিখা কাঠগড়ায় হাজির হন,
তখন শিখা সবার মুখের দিকে তাকিয়ে ধিরে ধিরে কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়ায়,
নিচের দিকে তাকিয়ে আছে,
আর বলল
শিখা:- যাহা বলিবো সত্য বলিবো সত্য ছাড়া মিথ্যা বলিবো না,
শফিক:-আচ্ছা মামুনি কাঠগড়ায় দাঁড়ায়না ছেলেকে তুমি কি চেনো,
তখন শিখা একবার রাসেলের দিকে তাকিয়ে,
বলল,
শিখা:-হুম চিনি আমার সাথেই পড়ে,
একই ডিপার্টমেন্টে,
শফিক:-তোমার সাথে এমনটা কেন করলো,
রফিক:-ম্যাডাম এটা কোন ধরনের প্রশ্ন,
আম্মু:-থামুন তার কাজ করতে দিন,
শফিক:-মামুনি বলো,
শিখা:-আমি ক্লাস রুমে ছিলাম,
তখন ঐছেলে এসে আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে,
বাকি সব বলতে পারবনা,
এইভাবে অনামিকা, স্যার আরো কিছু মানুষের বক্তব্য নেওয়া হয়,
তাতে সবাই একই কথা বলেছে,
দোষী রাসেল,
রাসেল একবার শিখার দিকে তাকিয়ে,
মনে মনে বলে,
রাসেল:-হাইরে মানুষ প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এতো জঘন্য অপবাদ কারো উপরে দিতে পারে,
শফিক:-হুম আর বলতে হবেনা,
যা বোঝার তা বুঝে গেছি,
ম্যাডাম আমার আর কিছু জানার নেই
আপনে এই কেসের রাই ঘোষণা করতে পারেন,
রাসেলের আম্মু নার্ভাস হয়ে গেছে আজ নিজের হাতে ছেলের শাস্তি লিখতে হবে,
আর ওর আব্বুও বার বার চোখের জল মুছতেছে,
আম্মু:-শান্ত হোন সবাই,
সমস্ত সাক্ষী প্রমাণের বৃত্তিতে এটাই প্রমাণ হয় যে আসামি সোহান আফরিন রাসেল একজন ধর্ষক,
আর যেহেতু রাসেল একজন ছাত্র তাই নানানদিক বিবেচনা করে আমি এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয়,
আসামি রাসেল কে দুই বছরের সস্তম কারাডন্ড প্রধান করা হইলো,
আর সাথে,
শিখার বাবা:-ম্যাডাম আমার মেয়ের কি হবে ওর জিবন টা তো নষ্ট হয়ে গেলো,,
আম্মু:-এই আপনে কথা বলেন কেনো,
আমার রাই তো পুরো পুরি শেষ হয়নি না,
এখনি রাসেলের সাথে শিখার বিয়ে হবে,
তার পর রাসেল কে জেলে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো,
রাসেলের আম্মুর চোখে পানি,
তবুও বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে যেনো কিছুই হয়নি,
বিয়ের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলো,
আম্মু:-শিখা মামুনি,
আজ থেকে তুমি আমার বাড়ির বউ,আমি চাইনা তুমি তোমার বাড়িতে থাকো,
আব্বু:-হুম মামুনি চলো আমাদের সাথে,
আমরা মনে করবো আমাদের কোনো ছেলে নেই শুধু একটা মেয়ে আছে,
সেইটা তুমি,
রাসেল তখন দৌড়ে ওর আম্মুর পায়ে পরে যায়,
রাসেল:-আম্মু এমনটা বলোনা,
আম্মু:-তুই আমার ছেলে না,
আমাদের ছেলে মারা গেছে,
সবাই চলেন, আর অফিসার একে নিয়ে যান,
অনেক টাই রেগে,
আর সেইটা শুনে রাসেল যেই কথাটা বলে ওঠে,,,।
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣
আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
💝..........চলবে........
💝
🌺আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,
আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো প্রকার ভুল ক্রটি হয় তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে🌺
🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺
🌺Wait for next part coming tomorrow 6am to 7am🌺