গল্পঃ পাশের বাড়ির বড় আপু পার্ট: ০৭ | Pasher Barir Boro Apu Part 07

গল্পঃ পাশের বাড়ির বড় আপু পার্ট: ০৭ | Pasher Barir Boro Apu Part 07

 #নাম: পাশের বাড়ির বড় আপু
#লেখক: Osman
#পার্ট: ৭

__আমি গিয়ে নাদিরার কাছে সরি বললাম। সুবর্ণা কাজটা কি করলো? মেয়েটির সাথে কি বাজে ব্যাবহারটায় না‌‌ করলো। আমি রিকশা দিয়ে আসার সময় দেখি সুবর্ণা তার ব্যাংকের সামনে বসে আছে।
আমি কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। সুবর্ণা বলল

সুবর্ণা:  তুই আসছত বস।

আমি: আপনি নাদিরাকে কি বলছেন?

সুবর্ণা: যা বলার বলছি।

আমি: দেন আমার মোবাইল দেন।

সুবর্ণা: নেতর মোবাইল। আমার মোবাইল দে।

আমি: আপনার বাজে ব্যাবহারের কারনে আমাকে নাদিরার কাছে সরি বলতে হয়েছে।

সুবর্ণা: ভালো হয়েছে। 

আমি: আর আপনার সাথে কোনো কথা নাই। 
আমাদের বাসায় আর যাবেন না।

সুবর্ণা: তর বাসায় যাওয়ার জন্য আমি পরে রয়েছি।

আমি: হুম।

সুবর্ণা: তুই কিন্তু আমার সাথে বাজে ব্যাবহার করতাছত?

আমি: আপনি যেমন আপনার সাথে তেমনই করবো। 

সুবর্ণা: আমি কেমন। 

__আমি কানে কানে গিয়ে বললাম।

আমি: একটা ফালতু মেয়ে। 

__এই বলে আমি হাঁটা ধরলাম। আমি সোজা বাসায় চলে আসলাম। নিলয় ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে পুরো বাড়ি সাজানো হয়েছে। নিলয় ভাই এর বিয়ে উপলক্ষে অনেক অথিতি বাড়িতে আশা যাওয়া করছে। কিন্তু আমার মন একটু ভালো না। কারণ হলো সুবর্ণার জন্য মনটা কেমন একটা টান অনুভব করছে। যদিও আমার থেকে বড়। পরদিন নিলয় ভাই এর গায়ে হলুদ। জানিনা সুবর্ণা কি করছে?  নিশ্চয়ই ঘরে বসে কাঁদতাছে। পরদিন ভাবছিলাম সুবর্ণার সাথে দেখা হবে। কিন্তু না। রাতে বেলকনিতে বসে আছি। একটু পর দেখি সুবর্ণা ছাদে এসে এক কোনায় বসে পড়ছে। ভাবলাম নিশ্চয় সুবর্ণার মনটা খারাপ। আমি ডাক না দিয়ে। ওদের বাসার ছাদে গেলাম । গিয়ে সুবর্ণার কাছে গেলাম। দেখি সুবর্ণা শাড়ি পড়ছে। কিছুটা অন্ধকার কিন্তু বুঝা যাচ্ছে সবকিছু। এতো সুন্দরী লাগছিলো সুবর্ণাকে। আমি বললাম।

আমি: আপু আমি সাকিব। কেমন আছেন?

সুবর্ণা: ভালো নারে।

আমি: কেনো মন খারাপ?

সুবর্ণা: হুম। 

আমি ভালো করে তাকিয়ে দেখি সুবর্ণার চোখে পানি। আমি গিয়ে পাশে বসলাম। 

আমি: নিলয় ভাই এর জন্য মন খারাপ হচ্ছে।

__সুবর্ণা আমার গেঞ্জির কালারে ধরে । বলল

সুবর্ণা: চুপ ওই হারামির নাম । আমার মুখের সামনে আনবি না।

আমি: ওকে। 

সুবর্ণা: তুই আমার থেকে‌ কতো বছরের ছোট।

আমি: জানি না।

সুবর্ণা: আমার মতে তুই আমার থেকে‌ ৩ বছরের ছোট।

আমি: হয়তো।

সুবর্ণা: তুইতো আমার ছোট ভাই।

আমি: জী আপু।

সুবর্ণা: আমি তকে একটা কথা বলতে চাই।

আমি: বলেন।

সুবর্ণা: আমার আব্বু বলছে । আমাকে এক মাসের মধ্যে বিয়ে করতে। না হলে আব্বু যার কাছে মনে চায় তার কাছে বিয়ে দিয়ে দিবে।

আমি: সেতো ভালো কথা। আপনার আব্বু নিশ্চয় কোনো খারাপ ছেলের সাথে আপনাকে বিয়ে দিবে না।

সুবর্ণা: তা তুই ঠিক বলছত।

আমি: হুম। 

সুবর্ণা: কিন্তু আমার কেমন জানি ভয় করছে।

আমি: ভয় এর কি আছে?

সুবর্ণা: জানি না। আমাকে তর কেমন লাগে?

আমি: ভালো লাগে কিন্তু.

সুবর্ণা: কিন্তু কি? আমি দেখতে খারাপ বয়স বেশি বুড়ি হয়ে গেছি। 

আমি: তেমনটা বুঝাতে চাইনি।

সুবর্ণা: তো।

আমি: আমার ভালো লাগা আপনার কি আসবে আর যাইবে?

সুবর্ণা: অনেক কিছু।

আমি: হুম। 

সুবর্ণা: আরেকটু কাছে এসে বস। আমার ভয় করছে।

আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। চলে যাবো নাহ এমনিতেই সুবর্ণার মনটা খারাপ। আমি কাছে গিয়ে সুবর্ণার শরীরের সাথে লেগে বসলাম। সুবর্ণার শরীর থেকে একটা মিষ্টি গন্ধ আসছে। যেটা আমার খুব ভালো লাগছে। সুবর্ণা বলল

সুবর্ণা: এভাবে সবসময় আমার পাশে থাকবি। 

আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না। সুবর্ণা বলে কি?
আমি যদি সুবর্ণার পাল্লায় পড়ি । তাহলে আমাকে জানি কি করে এমনিতেই আমাকে যেই জালান জালায়ছে। আবার যদি আমাকে বিয়ে করার কথা বলে । তাহলে আমি শেষ। আর বললেয় হলো নাকি।
আমার বিয়ে হতে আরো অনেক দেরি। 

আমি: চেষ্টা করবো।

__সুবর্ণা আমার চোখের দিকে তাকালো। মনে হয় ভেবেছিলো আমি হ্যা বলবো। আর হ্যা বলবো আমি। পাগল নাকি। সুবর্ণা আমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আমাকে পটাতে চাইছে। আমি নাই এই মেয়ে যদি আমার কপালে আসে তাহলে আমার আর রক্ষা নাই। তারচেয়ে ভালো কেটে পড়ি। সুবর্ণা আমার হাত ধরে কাঁদতে লাগলো। তার হাতের ছোঁয়া আমার শরীরে একটা শিহরণ খেলে গেলো। মনে হচ্ছে আমি ঘামতেছি। সুবর্ণা আমার হাত শক্ত করে ধরলো। বলল

সুবর্ণা: বল তুই আমার পাশে থাকবি সব সময়?
আমি: হুম। আপু আমি যাই।

সুবর্ণা: যাস না আরেকটু বস। 

আমি: ওকে। 

__সুবর্ণা আমার হাতটা । আরো শক্ত করে ধরলো। কিন্তু আমি হাতটা ছাড়িয়ে নিলাম। বললাম
 
আমি: আপু আমাকে যেতে হবে।

সুবর্ণা: বল তুই নিলয়ের বিয়েতে যাবি না।

আমি: ওকে যাবো না।

সুবর্ণা: আমার মনটা একটু ভালো না। চলনা আগামীকাল কোথায় ঘুরতে যাই। 

আমি: না মোটেও না।

সুবর্ণা: কেনো?

আমি: আপনার সাথে কোথাও না কোথাও গেলে একটা একটা সমস্যা হয়েই।

সুবর্ণা: যা তূই যেখানে বলবি সেখানে যাবো। 

আমি: আমি যেখানে বলবো সেখানে। 

সুবর্ণা: হুম । 

আমি: তারপরেও আমি আপনার সাথে কোথাও যেতে পারবো না।

সুবর্ণা: কেনো?

আমি: যদি কিছু হয়ে যায়।

সুবর্ণা: আরে কিছু হবে না আমি আছি না।।

আমি: কোথায় যাবো?আমার যাওয়ার মতো কোনো  যায়গা নেই। 

সুবর্ণা: তাহলে আমার সাথে চল।

আমি: কোথায়?

সুবর্ণা: যে কোনো যায়গা । তুই শুধু আমার সাথে আসবি। 

আমি: ওকে। তাহলে আমি যাই। 

সুবর্ণা: ওকে যা। চুপচাপ ঘরে বসে শুয়ে থাক। ঘর থেকে বের হবি না। 

আমি: না ঘর থেকে বের হতেই হবে। 

সুবর্ণা: কেনো। 

আমি: একটা সিগারেট খেতে হবে।

সুবর্ণা: এখন চল আমার সাথে। 

আমি: ওকে চলেন। 

আমি আর সুবর্ণা বাড়ি থেকে বের হয়ে। মোড়ের দোকান পর্যন্ত পাশাপাশি হেঁটে গেলাম। গিয়ে একটা সিগারেট নিলাম। ধরিয়ে রাস্তার এক আড়ালে গিয়ে আমি সিগারেট টানতাছি। সুবর্ণা আমার পাশে এসে দাঁড়ালো বলল।

সুবর্ণা: দে সিগারেট আমি খাবো।

আমি: না আপনি না ছেড়ে দিয়েছেন।

সুবর্ণা: এখন মন চাচ্ছে। 

আমি: মন চাইলে খাওয়া লাগবে। 

সুবর্ণা: হুম দে।

__আমি সিগারেট দিলাম। সে দুই টান দিয়ে আমাকে দিয়ে দিলো। আমি সিগারেট শেষ করে বললাম।

আমি: চলেন বাড়ি যাই। 

সুবর্ণা: দাঁড়া। 

__এই বলে সুবর্ণা আমার হাত ধরে টান দিয়ে। একেবারে নিজের কাছে নিয়ে নিজের গোলাপী ঠোট দূইটা আমার ঠোঁটে লাগিয়ে দিলো।

চলবে....

পাঠক-পাঠিকারা আমরা তোমাদের জন্য গল্প লেখি।
গল্পের এক পার্ট লেখতে আমাদের ২-৩ ঘন্টা চলে যায় । আর তোমাদের একটা রিয়েক্ট দিতে এক সেকেন্ড লাগবে। তাই কেউ রিয়েক্ট না দিয়ে যাবেন না। আর ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।
ভুল ক্রটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post