#অথবা: পাশের বাড়ির বড় আপু যখন বউ
#পার্ট: ১০ (লাস্ট)
#লেখক: Osman
__আমি আস্তে আস্তে নিচে নামলাম যখন তার নাভিতে চুমু দিলাম তখন সুবর্ণা চিৎকার দিয়ে উঠলো.......🤭🤭..... এভাবে দীর্ঘ এক ঘন্টা পর আমরা দুজন শান্ত হলাম। তখন সুবর্ণা আমার বুকের উপর শুয়ে রইছে। সুখে সুবর্ণার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে পড়লো। সেই সুখে সুবর্ণা এখনো আমাকে কিস করে চলছে। আমি ওঠে বাথরুমে যাবো সুবর্ণা বললো।
সুবর্ণা: কোথায় যাস আমাকে নিয়ে যা।
__আমি সুবর্ণাকে কোলে করে বাথরুমে নিয়ে গেলাম।
দুজন একসাথে গোসল করে বের হলাম। আমি বেলকনিতে বসে গল্পের বই পড়তাছি। একটু পর সুবর্ণা বললো
সুবর্ণা: খেয়ে যা।
__আমি সুবর্ণার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। দেখি সুবর্ণা শাড়ি পড়েছে । শাড়ি পড়লে তাকে যে এতো সুন্দরী দেখাবে আগে জানতাম না। যদি আগে জানতাম তাহলে সারাক্ষণ শাড়ি পড়িয়ে বসিয়ে রাখতাম। দুজনে একসাথে খাওয়া দাওয়া করলাম। সন্ধ্যা সময় বসে পড়তাছি। সুবর্ণা এসে বললো
সুবর্ণা: আগামীকাল ব্যাংক খোলা।
আমি: ব্যাংক খোলা যাবা। কিন্তু...
সুবর্ণা: কিন্তু কী?
আমি: বোরকা পড়ে মুখে নেকাব দিয়ে সাধারণ মহিলার মতো যাইবা। আর যদি তোমার বস অকারণে তোমাকে ব্যাংকে বসিয়ে আজেবাজে কথা বলে । তাহলে আমাকে বলবা।
__সুবর্ণা আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললো
সুবর্ণা: তুই যেভাবে বলবি সেভাবে যাবো।
আমি: লক্ষী সোনা।
সুবর্ণা: রাতের খাবার খেয়ে যা। আজকে একটু আগে শুবো।
আমি: ওকে।
__আমি আর সুবর্না এক সাথে খাওয়া দাওয়া করলাম। খেয়ে সুবর্ণা বিছানায় শুয়ে পড়লো। আমি বই নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতেছি। একটু পর সুবর্ণা বললো।
সুবর্ণা: হয়েছে তো এখন ঘুমা।
আমি লাইট বন্ধ করে সুবর্ণার পাশে শুয়ে পড়লাম।
সুবর্ণা আমাকে জড়িয়ে ধরলো। জড়িয়ে ধরে আমাকে কিস করা শুরু করলো। আমিও করতে থাকলাম । এভাবে অনেকক্ষন চললো। দুজন শান্ত হয়ে। জড়িয়ে ধরে শুয়ে রইলাম। আমি বললাম
আমি: আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। আমার প্রতি তোমার কোনো রাগ আছে? থাকলে বলো।
সুবর্ণা: তর প্রতি আমার কোনো রাগ নেই। প্রতিদিন রাতে এই কিছুক্ষণের জন্য তকে পাইলে চলবে আমার। এতেই আমি খুশি আর কিছু চাইনা আমি।
আমি: আমি তোমার জন্য সারাদিন রাত আছি।
সুবর্ণা: চল না এখন একটা বেবি নেই।
আমি: ওকে সুইট হার্ট।
সুবর্ণা: একটা কষ্ট আমার বুকে এখনো আছে।
আমি: কিসের কষ্ট আমাকে বলো।
সুবর্ণা: আমার জীবন থেকে নিলয় পাঁচটি বছর কেড়ে নিলো। আমি কিছুই করতে পারলাম না। ওলটা সে এখন আনন্দে সংসার করছে।
আমি: করুক তাতে আমাদের কি? তোমার কষ্ট দেখার জন্যাইতো আমি আছি।
সুবর্ণা: তুই চিন্তা ভাবনা করছত পাঁচটি বছর। পাঁচটি বছর সে আমার জীবন থেকে কেড়ে নিলো। এমন যদি তর সাথে হতো।
আমি: এখন তুমি কি করতে চাচ্ছো?
সুবর্ণা: আমি এর প্রতিশোধ নিতে চাই।
আমি: পাগল নাকি। শুধু শুধু ঝামেলার প্রয়োজন আছে?
সুবর্ণা: না আমি এই মনটাকে একটু শান্তি দিতে চাই।
আমি: বলো তুমি কি চাও?তোমার কোথায় শান্তি দরকার আমি দিবো।
সুবর্ণা: না আমি এর প্রতিশোধ নিবই। নিলয়কে দেখলেই আমার শরীরে কাঁটা দিয়ে ওঠে। সাথে তার বউকে দেখলে।
আমি: বাদ দেওনা। ওরা ওদের মতো আমরা আমাদের মতো ।
সুবর্ণা: না তুই বুঝতে পারতাছত না।
আমি: ওকে তুমি কি চাও। আমাকে খুলে বলো।
সুবর্ণা: আমি চাই তুই গিয়ে নিলয়কে বলবি । তার বউ ভালো না। কলেজ লাইফে অনেক ছেলের সাথে ঘুরাঘুরি করছে। হেনতেন আজাইরা যতো কিছু মনে চায় বানিয়ে বলবি। আর আমি তার বউয়ের কাছে গিয়ে নিলয়ের নামে যত্তসব আজাইরা কথা বার্তা বলে তাদের মধ্যে ঝগড়া লাগিয়ে দিবো। এরপর দুজনে এই বাসা ছেড়ে আমাদের সেই বাসায় চলে যাবো।
আমি: এটাকি ঠিক হবে।
সুবর্ণা: হুম ঠিক হবে। নিলয় এটার যোগ্য ।
আমি: ওকে বলবোনে।
সুবর্ণা: কবে এই বাসা ছাড়বি?
আমি: তুমিই বলো।
সুবর্ণা: এই মাস শেষ করে। যেদিন বাসা ছাড়বো । এর আগের দিন নিলয়দের মধ্যে ঝামেলা লাগিয়ে দুজনে ভাগবো।
আমি: ওকে। কিন্তু আজকে রাতে তুমি ঘুমাতে পারবা না।
সুবর্ণা: কেনো? এ না না আমার সত্যি ঘুমে ধরছে ।
আমি: রাখো তোমার ঘুম।
এই বলে আমি সুবর্ণার উপর ওঠে গেলাম। কিস করতে লাগলাম। ওই দিন রাতে সুবর্ণা ঘুমাতে পারে নাই আমার জ্বালায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাকে মারবে নাকি কাঁদবে নাকি হাসবে কিছুই বুঝতে পারছে না। অবশেষে আমাকে মারতে লাগলো। আমি তাকে কোলে তুলে নিলাম। নিয়ে তাকে দেয়ালে ঠেস দিয়ে দাড়ালাম। আবার কিস করতে লাগলাম। সুবর্ণা বললো।
সুবর্ণা: ছাড়বি আমাকে।
আমি: আজকে ব্যাংক থেকে ছুটি নেওনা।
সুবর্ণা: বস ছুটি দিবে না।
আমি: ট্রাই করে দেখো না।
সুবর্ণা: নে তুই ফোন দিয়ে বল। আমার শরীর ভালো না।
__আমি তার বসকে ফোন দিলাম।
আমি: কেমন আছেন ভাই আমি সুবর্ণার হাসবেন্ড।
বস: জী ভালো আপনি কেমন আছেন?
আমি: আমিতো ভালো । কিন্তু সুবর্ণার শরীরটা ভালো না। ওর খুব বমি বমি ভাব আর জড় । তার কি আজকে ছুটি দেওয়া যাইবে।
বস: তাকে মোবাইলটা দেন।
আমি: সে এখন ঘুমাচ্ছে।
বস: ওকে। আগামীকাল যেনো সঠিক টাইমে চলে আসে।
আমি: ওকে ।
__সুবর্ণা ছুটি পেয়ে নাচতে লাগলো। এবং লাফ দিয়ে কোলে ওঠে গেলো। আমি টাল সামলাতে না পেরে বিছানায় পরে গেলাম। সেখানে আমাকে পাগলের মতো কিস করতে শুরু করলো। ওই দিন আমি তার জ্বালায় ঘুমাতে পারিনি। এভাবে মাসের শেষ চলে আসলো । এই কয়েকটি দিন আমরা খুব মজা করেছি। সুবর্ণা শিখিয়ে দিলো । নিলয় ভাইকে গিয়ে কী কী বলতে হবে। আমি নিচে গিয়ে নিলয় ভাই এর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। একটু পর নিলয় ভাই আসলো আমি বললাম।
আমি: ভাই একটু কথা বলা যাবে?
নিলয়: বলো?
আমি: আপনার বউ এর নাম সনিয়া না? আপনার বউ ওইদিন আমার সামনে পড়ছিলো? আপনার বউকে দেখে আমার পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে গেছে।
নিলয়: মানে কি?
আমি: ভাই এই বাসায় আসার আগে আমি এই কলেজে পড়তাম। ওই কলেজে সনিয়া পড়তো।
নিলয়: তো হয়েছেটা কি?
আমি: ভাই ওর নামে কলেজে অনেক সুনাম ছিলো?
নিলয়: সুনাম থাকতেই পারে ও খুব ভালো ছাত্রী ছিলো।
আমি: কে বলছে আপনাকে? একদম বাজে ছাত্রী ছিলো? আর এক নাম্বারের বদমাইশ ছিলো? কতো ছেলেজে তার জন্য কলেজ ছাড়ছে হিসেব নেই। আর কতো ছেলের সাথে যে রুম ডেটে গিয়েছে তারও কোনো হিসাব নেই। পরিক্ষার আগে স্যারদের কে ভয় দেখিয়ে প্রশ্ন নিয়ে ভালো রেজাল্ট করতো। তার আগের কথা গুলো মনে হলে আমার শরীর কাঁটা দিয়ে ওঠে।
নিলয়: যত্তসব ফালতু কথা।
আমি: ভাই বুঝবেন এক সময়।
নিলয়: জানি। তুমি এখন যাওতো।
আমি চলে আসলাম। বাসায় এসে সুবর্ণাকে সব বললাম সুবর্ণা বললো ।
সুবর্ণা: আমাদের কাজ শেষ। আমি নিলয়ের নামে যত্তসব মিথ্যা কথা বানিয়ে তার বউয়ের কানে দিয়ে এসেছি। এখন তাদের ঝগড়া দেখে কে? আমার যে কি খুশি লাগতেছে। যদি তাদের ঝগড়াটা একটু শুনতে পারতাম তাহলে মনটা আরো শান্তি লাগলো।
আমি: মনে হয় না। নিলয় ভাই আমার কথা বিশ্বাস করছে।
সুবর্ণা: না করুক। কিন্তু সন্দেহতো করবে। এখন আমাদের কাজ শুধু কেটে পড়া ।
আমি: সেটাই।
__পরদিন আমরা আমাদের বাসায় চলে আসলাম সব কিছু নিয়ে। এদিকে আমার পরিক্ষা শেষ হলো। এখন চাকরি ইন্টারভিউ দিতাছি। সুবর্ণাদের অফিসে বলে ঢুকানো যাবে না। ৪টা মাস চাকরির জন্য ঘুরলাম এই রেজাল্টে চাকরি হবে না। বাধ্য হয়ে হাল ছেড়ে দিলাম। এদিকে সুবর্ণার পেটে বাচ্চা চলে আসলো। পরে আমি আব্বার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে। সুবর্ণা কিছু টাকা দিয়ে একটা ব্যাবসা দেই মোবাইল এর দোকান। তখন সুবর্ণাকে বললাম চাকরি ছেড়ে দিতে। সুবর্ণা বলছিলো আরো চাকরি করবে আমি বললাম । তুমি এতো দিন কষ্ট করছো। এখন বসে রেষ্ট নেও । আর আমাদের বেবিটার যত্ন নেও। সুবর্ণা আমার কথা শুনলো। কিছুদিন পর আমাদের একটা ছেলে হলো। তখন আমার খুশি দেখে কে? একটা জিনিস আমার কাছে অবাক লাগলো। এই একটা উপহার দেওয়ার জন্য সুবর্ণা কতো কষ্ট করলো। নিলয় ভাইয়ের কাছ থেকে ধোঁকা খেয়ে আমার কাছে আসলো। আমাকে না জানিয়ে বিয়ে করলো । আমার কাছ থেকে কতো কষ্ট পেলো। তারপরেও সুবর্ণা চালিয়ে গেছে মেয়েরা পারেও এটা বলতে হবে। অনেকে বলে তাদের ধৈর্য শক্তি কম। স্বামিকে এই একটা উপহার দেওয়ার জন্য তারা কতো কষ্ট সহ্য করে। আসলে আল্লাহ তাদের এমন ভাবে সৃষ্টি করেছে। হাঁসির বদলে আমার চোখ দিয়ে পানি চলে আসলো। কিছুদিন পর সুবর্ণা বললো।
সুবর্ণা: চল না একটা ট্যুর দেই।
আমি: নাদিম একটু বড় হয়ে নিক পড়ে যাবো । (আমার ছেলের নাম নাদিম)
সুবর্ণা: হুম নাদিম বড় হতে হতে আরেকটা বেবি চলে আসবে। পরে আর যাওয়াই হবে না। চল না যাই।
আমি: ওকে দেখি।
আজ সুবর্ণা দুই সন্তানের জননী । সব কিছু ঠিক কিন্তু সমস্যা একটাই দুই সন্তানের জননী হয়ে সুবর্ণা এখনো আমাকে তুই করে বলে...🥴🥴
#সমাপ্ত
গল্পটি ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট শেয়ার করুন। এতদিন গল্পটা পড়ার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। এরকম আরো রোমান্টিক গল্প পেতে পেজটি ফলো করে পাশে থাকুন । আর যারা সিনিয়র আপুদের গল্প ভালো লাগে তারা এই পেজ থেকে "এলাকার বড় আপু" গল্পটি পড়তে পারেন। ধন্যবাদ। হ্যাপি টাইম ❤️