গল্পঃ পাশের বাড়ির বড় আপু সিজন ২ পার্ট: ০৯ | Pasher Barir Boro Apu Season 2 Part 09

 
গল্পঃ পাশের বাড়ির বড় আপু সিজন ২ পার্ট: ০৯ | Pasher Barir Boro Apu Season 2 Part 09

#নাম: পাশের বাড়ির বড় আপু__২
#অথবা: পাশের বাড়ির বড় আপু যখন বউ
#লেখক: Osman
#পার্ট: ৯

সুবর্ণা: প্লিজ সাকিব আমাকে বের করে দিস‌ না। তুই আমাকে মার বক যেটা মনে চায় কর প্লিজ আমাকে বের করে দিস না। তর পায়ে পড়ি। তর পায়ে পড়ি।তরে ছাড়া আমি বাঁচবো না।😭😭😭

আমি: হয় তুমি থাকবা নাহয়‌ আমি থাকবো। 

সুবর্ণা: এমন কথা বলিস না। যদি আমার কোনো ভুল থাকে তাহলে আমাকে মাফ করে দে। আমাকে তাড়িয়ে দিস না। 

সুবর্ণা কাঁদতে কাঁদতে কাঁসতে লাগলো বললো।

সুবর্ণা: তুই যেভাবে বলবি সে ভাবে চলবো। তুই বললে আমি চাকরি ছেড়ে দিবো। 

আমি; এখন এতো দরদ ‌দেখানো লাগবে না। এখন আমার চোখের সামনে থেকে যাও। 

__সুবর্ণা আমার চোখের সামনে থেকে চলে গেলো। অন্য এক রুমে গিয়ে কাঁদতে লাগলো। আমি বাইরে যাবো বললাম।

আমি: আমি বাইরে যাচ্ছি । এসে যেনো তোমাকে না দেখতে পাই‌ । 

এই বলে আমি বাইরে চলে আসলাম। আমার এক মনে বলতাছে । সুবর্ণা সত্যি বলছে । আরেক মনে বলছে মিথ্যা বলছে। কারণ আমি আগেও দেখেছি বসের সাথে সুবর্ণাকে। তারপরে ঐ মেয়েটা বললো। তারপর আবার ফেসবুকে ছবি পোস্ট। যদি কিছুই না থেকে থাকে তাহলে তার বস শুধু শুধু কেনো? ছবি পোস্ট করবে। আর সে কেনো ? তার বসের সাথে ছবি তুলবে। বস বললেই হলো। নাহ আমার মাথা কাজ করছেনা। আমি কিভাবে যাচাই করবো । সুবর্ণা সত্যি বলছে। ধুর দেখি কি হয়। এখন আপাতত সুবর্ণাকে একটু চাপ দেই। দেখি সে সত্যিই 
কথা বলেনি। আমি একটু পর বাসায় গেলাম। দেখি সুবর্ণা এখনো কেঁদেই চলেছে আমি বললাম।

আমি: না কেঁদে এক্ষুনি বাসা থেকে বের হও। 

সুবর্ণা: আমি কোনো ভুল করিনি সাকিব।‌ প্লিজ একটা বার বোঝার চেষ্টা কর। আচ্ছা আমার মুখ মিথ্যা বলছে। কিন্তু আমার ঠোঁটতো মিথ্যা বলছে না।‌
এই ঠোঁট দিয়ে কতো তকে কিস করছি। সেসব কথা‌ তর একটুও মনে পড়ে না।‌ 

__আমি ভাবলাম সেতো ঠিকই বলছে। তাকে কতো কিস করেছি। একটি বার তো আমাকে ফিরিয়ে দিলো না। ওলটা সে আমাকে কতো কিস করছে । এগুলো করার সময় আর দ্বিধা কাজ করেনি। সে হয়তো সত্যি বলছে। কিন্তু আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। না আমাকে শিউর হতে হবে। পরে আবার কোনো বিপদ হবে। আমি বললাম

আমি: এখন কতো উসিলা দিবা। আরেক পুরুষের সাথে রাত কাটিয়ে এখন এখানে এসে যুক্তি দেও। 

সুবর্ণা: সাকিব!! তুই নিজের চোখে দেখছত? 

আমি: না। 

সুবর্ণা: তাহলে শুধু শুধু কেনো? তুই আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছোস। 

আমি: দেখো আমি একেবারে বোকা না। একটুও হলেও বুঝি। 

সুবর্ণা: আচ্ছা আমাকে কি ? মাফ করে দেওয়া যায় না। 

আমি: তুমি যে অপরাধ করছো? তার একমাত্র উপায় হচ্ছে তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে দেওয়া।

সুবর্ণা: সাকিব এমন কথা মুখে আনিস না। তরে ছাড়া আমি কিছুই ভাবতে পারিনা। 

আমি: যখন অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে যাও। তখন আমার কথা মনে থাকে না।  

সুবর্ণা: এবার কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। 

আমি: উচিত কথা বলছিনা। বাড়াবাড়িতো হবেই। তুমি কেমনে পারলা এমন কাজ করতে। 

সুবর্ণা: সাকিব!!

সুবর্ণা এসে আমাকে চড় মেরে বসলো। দেখি তার চোখ লাল হয়ে গেছে। চড় মেরে আমাকে জড়িয়ে ধরলো আমার বুকের উপর মাথা দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে লাগলো বললো

সুবর্ণা: এমন কথা বলিস না। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আমি মরে যাবো। আমি মরে যাবো। 

আমি: যাও তোমাকে আর‌ কিছু বলবো না। তবুও তুমি আমাকে ছেড়ে দেও।‌

__এই বলে সেখান থেকে চলে আসলাম।‌ ভাবলাম সুবর্ণা হয়তো সত্যি বলছে । কিন্তু আমার মন মেনে নিচ্ছে না। এভাবে দুইদিন চলে গেলো। এই দুই দিনে সে পানি ছাড়া কিছুই খাইনাই। তার লম্বা লম্বা চুল গুলো এলোমেলো হয়ে গেছে। কাঁদতে কাঁদতে চোখের নিচে কালো হয়ে গেছে। সে বাড়ির এক কোনায় এভাবে পাগলের মতো বসে রয়েছে। সে খাইনায় দেখে আমিও খাইনি। তবে বাইরে থেকে হালকা নাস্তা করছি‌🤭। আমি ভাবলাম এভাবে আর চলে না। কিছু একটা করতেই হবে। তাই ঠিক করলাম সুবর্ণার বসের সাথে দেখা করবো। দেখি গিয়ে বস কি বলে। বাইরে বের হওয়ার সময় দেখি সুবর্ণা এখনো সেখানে বসে আছে।তার এমন অবস্থা দেখে নিজেরই তার থেকে বেশি খারাপ লাগছে  ।আমি কাছে গিয়ে সুবর্ণার হাত ধরলাম।

সুবর্ণা: আমার হাত ধরবি না। আমি তর কেও না। যা যেখানে মনে চায় যা। 

__আমি সুবর্ণাকে দাঁড় করিয়ে বুকে টেনে নিলাম। সুবর্ণা বললো

সুবর্ণা: ছাড় আমাকে ছাড়। আমার তকে একটুও ভালো লাগে না। আমাকে ছেড়ে চলে যা। 

আমি: ওকে চলে যাচ্ছি।

__এই বলে আমি বাইরে চলে আসলাম। ভাবলাম সে হয়তো একটু অভিমান করছে। আমি প্রথমে ব্যাংকে গেলাম। ভাগ্যের জুড়ে বসকে পেয়ে গেলাম। কিন্তু তার একটা মিটিং এ আছে। মিটিং শেষ করতে অনেকক্ষন লাগলো। মিটিং শেষে তার অফিসে গিয়ে বসলো। আমি গেলাম তার অফিসে। অফিসের ভিতরে গিয়ে সালাম দিলাম। 

আমি: কেমন আছেন?

বস: ভালো আপনি কে? আপনাকেতো চিনলাম না। 

আমি: আমি সাকিব। আপনার ব্যাংকের কর্মচারী সুবর্ণার হাসবেন্ড। 

বস: ওহ মিষ্টার সাকিব। বসেন বসেন। 

আমি: ধন্যবাদ।

বস: তো আপনাদের কেমন চলছে?

আমি: জী‌ ভাই ভালো। ভাই আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করার জন্য আসছি। 

বস: বলেন। 

আমি: আমি ঐদিন ফেসবুকে দেখলাম। আপনি আর সুবর্ণা ছবি তুলে ফেসবুকে একটা পোস্ট করছেন আপনি। কারনটা জানতে পারি।‌

বস: আসলে ঐটা আমার ভুল ছিলো। এর একদিন পর আমি ছবি ডিলিট করে দিয়েছি। আসলে‌ ভাই আপনার ওয়াইফ কে আমার ভালো লাগতো। তাই তার কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলাম কিন্তু সে আমাকে না করে দিয়েছে। 

আমি: কি কি বলছে ভাই। একটু বলতে পারবেন। 

__সুবর্ণা যা যা বলছিলো ঠিক তাই বললো। আর শেষমেষ বললো

বস: ভাই আপনি অনেক লাকি। সুবর্ণার মতো একটা বউ পাইছেন। তাঁকে কষ্ট দেওয়া আপনার মোটেও ঠিক নয়। 

আমি: জী ভাই। তাহলে আমি যাই। 

বস: প্লিজ এক কাপ কফি খেয়ে যান।

আমি: আরেক দিন ভাই। 

__এই বলে আমি বাসায় চলে আসলাম। এসে পুরো ঘর সুবর্না কে খুঁজলাম কোথায় নেই ‌‌। আমার ভিতর ভয় ঢুকে গেছে কোথায় গেলো। ঘরে ঢুকে দেখি মোবাইল কাপড় চোপড় সব আছে। তাহলে গেলো কোথায়। পাশের বাড়ির ছাদে দেখি সুবর্ণার বোন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম সুবর্ণা তাদের বাসায় গিয়েছে কিনা। সে বললো  না। তাহলে কি আমাদের বাসার ছাদে। যাই ছাদে যাই। এমন সময় সুবর্ণা ঘরে ঢুকলো। আমার যেমন আত্না ফিরে আসলো। সুবর্ণাকে দেখে বললাম।

আমি: কোথায় গিয়েছিলা? 

সুবর্ণা: তরে বলতে যাবো কেনো?

আমি: বলো না। 

সুবর্ণা: না বলবো না। 

__সুবর্ণা আবার আগের জায়গায় গিয়ে চুপচাপ বসে রইলো। তখন একেবারে পাগলির মতো লাগছিলো । চুল গুলো এলোমেলো ফোলা ফোলা গাল। নাকে দুল নেই কানে নেই হাতেও নাই। যেমন একেবারে বিধবা হয়ে গিয়েছে। কোনায় বসে মাথা নিচে দিয়ে বসে রয়েছে। আমি দরজা লাগালাম। তার কাছে গেলাম 
গিয়ে তার হাত ধরলাম । সুবর্ণা আমার হাত থেকে তার হাত ছুটিয়ে নিলো। আমি তার দুই পা ধরে আর পিঠে ধরে পাঁজাকোলা করে কোলে তুলে নিলাম । সুবর্ণা আমাকে মারতে লাগলো আর বলতে লাগলো।

সুবর্ণা: ছাড় আমাকে কুত্তা ছাড় আমাকে কুত্তা। তুই বেরিয়ে যা এই বাসা ছেড়ে। 

আমি: যাবো। 

সুবর্ণা: না এখন যা। তর আর এই বাসায় যায়গা নেই। 

__আমি সুবর্ণাকে আমার বিছানায় এনে ফেললাম। তখনো সে আমাকে মারতে লাগলো। আমি তার হাত দুইটা ধরে তার ঠোঁটে আমার ঠোঁট লাগিয়ে দিলাম। 
কিন্তু সে কোনো রেসপন্স করছেনা। কিন্তু আমি করেই যাচ্ছি একটুও পর সে রেসপন্স করতে লাগলো । সুবর্ণা আমাকে একটুও ছাড় দিচ্ছে না প্রতিটা মুহূর্ত কাজে লাগাচ্ছে। সুবর্ণা এক সময় আমার গেঞ্জি খুলে ফেললো । আমি আগেই তার কামিজ খুলে ফেলেছিলাম। আমি কিস করতে করতে এক সময় তার ঘাড়ে কানে কিস করতে লাগলাম। আমি আস্তে আস্তে নিচে নামলাম যখন তার নাভিতে চুমু দিলাম তখন সুবর্ণা চিৎকার দিয়ে উঠলো.......🤭🤭..... এভাবে দীর্ঘ এক ঘন্টা পর আমরা দুজন শান্ত হলাম। তখন সুবর্ণা আমার বুকের উপর শুয়ে রইছে। কারো শরীরে একটুও কাপড় নেই। সুখে সুবর্ণার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে পড়লো। সেই সুখে সুবর্ণা এখনো আমাকে কিস করে চলছে।

চলবে....(আগামী পার্ট শেষ পার্ট)

পাঠক-পাঠিকারা আমরা তোমাদের জন্য গল্প লেখি।
গল্পের এক পার্ট লেখতে আমাদের ২-৩ ঘন্টা চলে যায় । আর তোমাদের একটা রিয়েক্ট দিতে এক সেকেন্ড লাগবে। তাই কেউ রিয়েক্ট না দিয়ে যাবেন না। আর ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।
ভুল ক্রটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post