#অথবা: পাশের বাড়ির বড় আপু যখন বউ
#পার্ট: ৩
#লেখক:Osman
সুবর্ণা আমার দিকে ফিরলো। ফিরে একটা মুচকি হাসি দিলো। আর আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। আর একটা পা আমার শরীরের উপর উঠিয়ে দিলো কিছুক্ষণ পর বললো।
সুবর্ণা: জানিস আমি কি চাই? আমি চাই শুধু তুই আমাকে এভাবে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকবি। আমি আর কিছু চাই না
আমি: না শুধু আজকে।
সুবর্ণা: ওকে।
সুবর্ণা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। মায়াভরা দৃষ্টিতে। সুবর্ণা একটা লেহেঙ্গা পড়ছে। আর উপরে কি জানি পড়ছে? নাম জানিনা । আর আমি বরাবরের মতো একটা শর্ট পেন্ট আর একটা পাতলা গেঞ্জি। সুবর্ণা আমার বুকে তার মাথা রাখলো। দেখি তার ঠোঁট দুটো হালকা লিপস্টিক আছে। আমার কেনো জানি ইচ্ছা করছে তার ঠোঁটে কিস করতে।
আমি কিস করতে যাবো । ভাবলাম একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছে না। এতটুকুই থাক। আমিও তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি সুবর্ণা পাশে নাই। আমি কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলাম। একটু পর সুবর্ণা চা নিয়ে আসলো। আমি ফ্রেস হয়ে চাটা খেয়ে গেলাম আব্বার কাছে গেলাম ঐ টাকার চেকটা নিয়ে। আমি আব্বার কাছে গিয়ে বললাম।
আমি: এই নিন সুবর্ণা আমাকে এই চেকটা দিয়েছে।
আব্বা: যেহেতু চেকটা নিয়েছত । টাকা গুলো তুলে এনে দে। আমার আবার ফ্ল্যাটের জন্য জমা দিতে হবে।
আমি: ওকে।
__আমি রুমে এসে দেখি। সুবর্ণা ব্যাংকে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে আমি বললাম।
আমি: আমিও তোমার সাথে যাবো।
সুবর্ণা: কোথায়?
আমি: ব্যাংক থেকে টাকাগুলো তুলার জন্য।
সুবর্ণা: ওকে।
__দেখি সুবর্ণা বোরকা পড়ছে । কিন্তু মুখে নেকাব নাই। আমি কিছু বললাম না। ভাবলাম ও যেভাবে মনে চায় চলুক। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। দুজন এক রিকশায় গিয়ে উঠলাম। রিকশার মধ্যে সুবর্ণা আমার হাত ধরে রাখলো। ব্যাংকের সামনে এসে দুজন নেমে ব্যাংকের ভিতর প্রবেশ করলাম। সুবর্ণা গিয়ে সুবর্ণার চেয়ারে বসলো। আমাকে বললো চেকটা দিতে । আমি চেকটা দিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ পর টাকা নিয়ে আসলো। সুবর্ণা বললো।
সুবর্ণা: তিনটার দিকে আইসা আমাকে নিয়ে যাস।
আমি: পারবো না।
সুবর্ণা: কেনো পারবি না?
আমি: এমনি।
সুবর্ণা: ওকে তর যা ইচ্ছা কর।
__আমি ব্যাংক থেকে চলে আসলাম। এসে আব্বার হাতে টাকা গুলো দিলাম। রুমে এসে শুয়ে শুয়ে বই পড়তাছি ।
__সুবর্ণা এখন হারে হারে বুঝতে পারছে । সাকিবের মত না নিয়ে বিয়ে করে নিজের পায়ে কুড়াল মারছে।
ভাবছিলো বিয়ের পর সাকিব সুবর্ণার কথা মতো চলবে । কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সুবর্ণা মাফ চেয়ে কুল পাচ্ছে না। কি করলে সাকিব সুবর্ণার কথা মতো চলবে। সুবর্ণার মনের কথা বুঝবে সুবর্ণার কষ্ট বুঝবে। সেটাই সুবর্ণা খুঁজে পাচ্ছে না। তার সাথে কথা বললে । খালি বলে চলে যেতে । এই কথা বললে সুবর্ণার অনেক কষ্ট লাগে। সাকিব কি বুঝে না সুবর্ণার কষ্ট । মনে হয় বুঝে না বুঝার ভান করে । সুবর্ণা নিয়ত করলো সাকিব যতই কষ্ট দিক। সাকিব কে ছেড়ে কোথাও যাবে না। কারণ সুবর্ণা সাকিবকে অনেক বেশি ভালোবাসে। সাকিব ভালোবাসে কিনা জানিনা। সুবর্ণা এখন কাজে মন দিয়েছে। কিছুক্ষণ পর এক পি এস এসে বলে গেলো। স্যারের রুমে যেতে মিটিং আছে। সুবর্ণা স্যারের রুমে গিয়ে দেখি কেউ নেই। সুবর্ণা ভাবলো আমার একা আবার কিসের মিটিং। অফিসে ঢুকে সালাম দিলো। অফিসের স্যারটা খুব হ্যান্ডসাম । শুনছে বিয়ে হয়ে বলে ডিভোর্স হয়ে গেছে। সেসব দেখে লাভ নাই। কি জন্য ডাকছে সেটা শুনি। স্যার বললো
স্যার: সুবর্ণা কেমন আছেন?
সুবর্ণা: জী স্যার ভালো।
স্যার: তুমি বলে বিয়ে করছো?
সুবর্ণা: জী স্যার।
স্যার: ছেলে কি করে?
সুবর্ণা: পড়াশোনা করে।
স্যার: ভালো।
সুবর্ণা: জী স্যার।
স্যার: কিছু দিন তো ছুটি কাটালেন। এখন কাজে মন দিন।
সুবর্ণা: জী স্যার।
স্যার: যাও কাজে যাও।
সুবর্ণা: জী স্যার।
__সুবর্ণা স্যারের কাজ কারবার কিছুই বুঝলো না। কোনো দিনতো আমার ফ্যামিলি নিয়ে। আর পার্সোনাল বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসা করছে না। আজ এসব প্রশ্ন! কিছুই বুঝলো না সুবর্ণা। যাইহোক সুবর্ণা কাজে মন দিলো। কাজ শেষ হলে ভবছিলো সাকিবকে ফোন দিলো। অনেক ক্ষনপর ফোন ধরলো.
সুবর্ণা: কোথায় তুই?
সাকিব: বাসায় কেনো?
সুবর্ণা: চল না কোথায় ঘুরতে যাই।
সাকিব: আপনি এখন কোথায়?
সুবর্ণা: ব্যাংক থেকে বের হচ্ছি।
সাকিব: ব্যাংক থেকে বের হয়ে দেখেন আশেপাশে কোনো রিকশা আছেনি। থাকলে সোজা বাসায় চলে আসেন। এক মিনিট দেরি না করে।
সুবর্ণা: ওকে আসতাছি।
সাকিব: হুম। আপনি আসলে আমি বাইরে যাবো।
সুবর্ণা: কোথায় যাবি?
সাকিব: খেলা আছে।
সুবর্ণা: কেনো ঐখানে না গেলে হয় না । কবে জানি তর পা ভাঙ্গে।
সাকিব: আরে ভাঙ্গবে না। তাড়াতাড়ি আসেন।
সুবর্ণা: ওকে।
__সুবর্ণা ভাবলো সাকিবের । এতটুকুই কথাতে কেনো জানি ভালো লাগছে। সাকিব বলছে তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে। এটাই সুবর্ণার জন্য অনেক কিছু। সুবর্ণা রিকশা নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।
__আমি শুয়ে শুয়ে বই পড়তাছি গল্পের বই।
(আপনারা অনেকেই ভাববেন মোবাইলের যুগে আবার বই পড়া। আমি ছোট বেলা থেকেই গল্পের বই পড়তে ভালোবাসি। যারা বই পড়ে তাদের জিজ্ঞেস করে দেইখেন) । বই পড়তে পড়তে আমার চোখে ঘুম চলে আসলো। দরজায় টোকা ঘুম ভাঙল। দেখি সুবর্ণা। সুবর্ণা এসে দরজা লাগিয়ে দিলো । এসেই আমার সামনে কাপড় পাল্টাতে শুরু করলো। আমি বললাম।
আমি: আরে আরে কি করছেন? আমি আছি দেখছেন না।
সুবর্ণা: তুই আছত তো কি হয়েছে? তুই দেখলে সমস্যা কি? তর জন্যাই তো সব।
আমি: আরে পাগল নাকি। আমি একজন ছেলে ।
সুবর্ণা: জানি তুই ছেলে। তুই আমার জামাই । তো এসব জামাই দেখবেনা তো অন্য কেউ দেখবে।
আমি: ধুর আপনি কাপড় পাল্টান । আমি বেলকনিতে গেলাম।
সুবর্ণা: ওকে যা।
আমি বেলকনিতে চলে আসলাম। কতক্ষন বসে রইলাম । সুবর্ণা ডাক দিলো বললো।
সুবর্ণা: কিরে একটু এদিকে আয়তো।
আমি: কাপড় পাল্টানো হয়েছে।
সুবর্ণা: তুই এদিকে আসবি তো।
আমি ভিতরে গেলাম। গিয়ে যা দেখলাম তা দেখার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। দেখি সুবর্ণা শুধু ব্রা পড়ে দাঁড়িয়ে আছে। সুবর্ণা বললো
সুবর্ণা: পিছনের দিকটা খুলে দেতো। আমি ধরতে পারছি না।
আমি: আমি নাই ।
__এই বলে আমি দৌড় দিয়ে বেলকনিতে চলে আসলাম সুবর্ণা বললো।
সুবর্ণা: কিরে খুলে দিয়ে যা। আমি আবার ফ্রেস হবো।
আমি: আমি পারবো না।
সুবর্ণা: তকে পারতেই হবে। তাড়াতাড়ি আস।
আমি: পারবো না বলছি না।
সুবর্ণা: না খুললে কিন্তু আজকে এভাবেই বসে থাকবো।
আমি ভাবলাম কি ঝামেলায় পড়লাম । আমি ঘরের ভিতরে ঢুকে সামনে গেলাম । আমার তার দিকে তাকাতেই লজ্জা করছে। হঠাৎ এমন কিছুর মুখোমুখি হবো কল্পনাও করিনি। হোক না আমার বউ। সুবর্ণা বললো।
সুবর্ণা: তাড়াতাড়ি কর।
আমি কাঁপা কাঁপা হাতে তার সাদা পিঠে হাত দিলাম। সুবর্ণা চোখ বন্ধ করে ফেললো। কোনো মতে ব্রার পিছনের দিকটা খুলে। এক দৌড়ে বেলকনিতে। আমি ভাবলাম মনে হয় বাঁচলাম। সুবর্ণা কিছুক্ষণ পর ডাক দিলো। বললো
সুবর্ণা: কিরে খেয়েছিস?
আমি: হুম ।
সুবর্ণা: দেতো তর মানিব্যাগটা।
আমি: মানিব্যাগ দিয়ে কি করবো?
সুবর্ণা: দেতো । আমি বালিশের নিচ থেকে মানিব্যাগটা দিলাম।
__সুবর্ণা মানিব্যাগ চেক করলো। নিজের ব্যাগ থেকে কিছু টাকা দিয়ে বললো
সুবর্ণা: নে এই গুলো খরচ করিস।
আমি: না লাগবে না।
সুবর্ণা: লাগবে ।
আমি: টাকা গুলো আপনার কাছেই রাখেন । আমি চেয়ে নিবো। মানিব্যাগে থাকলে আমি খরচ করে ফেলবো।
সুবর্ণা: ওকে।
__আমি ভাবলাম যাই খেলেধুলা করে আসি। ট্রাউজার পড়ে রেডি হয়ে বাইরে বের হওয়ার জন্য রেডি হলাম। সুবর্ণা বললো।
সুবর্ণা: কোথায় যাস?
আমি: জানেন না।
সুবর্ণা: না জানিনা। (হেসে বললো)
আমি: আমি গেলাম।
__এই বলে আমি বের হয়ে চলে আসলাম। এভাবে কিছুদিন চলে গেলো আমি পরে আর সুবর্ণার সাথে রাতে শুই নাই। সে অনেক রিকোয়েস্ট করছিলো।
চলবে...
পাঠক-পাঠিকারা আমরা তোমাদের জন্য গল্প লেখি।
গল্পের এক পার্ট লেখতে আমাদের ২-৩ ঘন্টা চলে যায় । আর তোমাদের একটা রিয়েক্ট দিতে এক সেকেন্ড লাগবে। তাই কেউ রিয়েক্ট না দিয়ে যাবেন না। আর ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।
ভুল ক্রটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।