গল্পঃ পাশের বাড়ির বড় আপু সিজন ২ পার্ট: ০৪ | Pasher Barir Boro Apu Season 2 Part 04

 
গল্পঃ পাশের বাড়ির বড় আপু সিজন ২ পার্ট: ০৪ | Pasher Barir Boro Apu Season 2 Part 04

#নাম: পাশের বাড়ির বড় আপু__২
#অথবা: পাশের বাড়ির বড় আপু যখন বউ
#লেখক: Osman
#পার্ট: ৪

__এই বলে আমি বের হয়ে চলে আসলাম। এভাবে কিছুদিন চলে গেলো‌ আমি পরে আর সুবর্ণার সাথে রাতে শুই নাই। সে অনেক রিকোয়েস্ট করছিলো।
আমিও বেশি তাকে পাত্তা দেয়নাই। সুবর্ণা কেনো জানি আগের মতো এতো কথা বলে না। সেও তার মতো থাকে আমি ও আমার মতো থাকি। সেও তার কাজ করে আমি ও আমার কাজ আমি করি। 
একদিন আমি কলেজ থেকে সুবর্নার ব্যাংকের সামনে দিয়ে আসছিলাম। কেনো জানি মনে হলো ব্যাংক থেকে ঘুরে আসি। সুবর্ণাকেও দেখে আসি । 
আর ও বলছিলো ব্যাংক থেকে গিয়ে ক্রেডিট কার্ড আনতে। তাই ভেবে আমি ব্যাংকের ভিতরে ঢুকে । সুবর্ণার ডেস্কে আসলাম। দেখি ও নাই। ব্যাপারটা কিছু বুঝলাম না। মনে হয় মিটিং করে। সেই ভেবে কিছুক্ষণ বসে রইলাম । অনেকক্ষন হয়ে গেলো আসছে না। আমি পাশের একজনকে জিজ্ঞেস করলাম।

আমি: ভাই ওনি কোথায় গিয়েছে?

ভাই: জানি না ভাই। 

আমি: কোথায় যেতে পারে আপনার মনে হয়?

ভাই: ইদানিং দেখতাছি বসের অফিসে বেশি যায়। সেখানেই যেতে পারে। 

আমি: ভাই আপনাদের বসের অফিসটা কোথায়? 

ভাই: তিন তলায় । 

আমি: ধন্যবাদ ভাই‌।

ভাই: ওয়েলকাম। 

__আমি তিনতলায় গিয়ে। বসের রুম বের করলাম। দেখি সুবর্ণা স্যারের সাথে কথা বলতাছে‌ । আর একটু পর পর সুবর্ণা আর স্যার এক সাথে হাসি দিয়ে উঠতাছে। আমি কিছুই বুঝলাম । তারা দুজন একা একা কিসের মিটিং করে। আমি আবার ঐ ভাই এর কাছে গেলাম। দেখি ও খুব ব্যাস্ত। আমি বললাম

আমি: ভাই একটু কথা বলা যাবে।

ভাই: একটু দাঁড়ান ভাই। 

আমি: ওকে। 

__এই ভাই কাজ শেষ করে বললো। 

ভাই: জী ভাই বলেন। 

আমি: ভাই আপনার নাম কি?

ভাই: আমার নাম সাদিকুল। 

আমি: সাদিকুল ভাই ওনি কি সবসময় স্যারের রুমে মিটিং থাকে

সাদিকুল: ভাই অধিকাংশ সময় দেখি ওনি স্যারের রুমে থাকে‌। তখন আমাদের কারোর মিটিং থাকে না। তারপরেও ওনি স্যারের সাথে বসে কিসের কথা বলে জানি। ভাই আপনি কে ? আপনি তার সম্পর্কে এতো কিছু জিজ্ঞেস করছেন কেনো?

আমি: ওনি আমার ওয়াইফ। 

সাদিকুল: ভাই আপনার সাথেই ওর বিয়ে হয়েছে। 
ওনি এসে আমার সাথে হ্যান্ডসেক করলো। 

আমি: ভাই আমি এখন যাই। সুবর্ণা আসলে বইলেন। 
আমি আসছি। 

সাদিকুল: ওকে ভাই। 

__আমি ব্যাংক থেকে বের হয়ে বাসায় চলে আসলাম। আমি ভাবতাছি সুবর্ণার অন্য কোনো মতলব আছে। না হলে কাজ বাদ দিয়ে তার বসের রুমে গিয়ে বসে থাকবে কেনো? আর স্যারেই বা কেমন? সুবর্ণার সাথে এতো কথা কিসের? নিশ্চয় কোনো মতলব আছে। ভাবলাম সুবর্ণা আসলে জিজ্ঞেস করবো ? আবার ভাবলাম না । দেখি সুবর্ণা কি করে। সুবর্ণা এখন আর আগের মতো কেয়ার করে না। এখন কেনো জানি তার থেকে বেশি আমার কষ্ট হয় । তার এমন চুপচাপ থাকা আমার কেনো জানি ভালো লাগে না। কিছুক্ষণ পর সুবর্ণা বাসায় আসলো। ঘরে ঢুকে বললো।

সুবর্ণা: তুই বলে ব্যাংকে গিয়েছত?

আমি: হুম। 

সুবর্ণা: আসলে আমি একটা মিটিং এ ছিলাম। তুই ফোন দিতি‌ ।

আমি: না থাক। ভাবলাম যদি তোমার মিটিং এ সমস্যা হয়। 

সুবর্ণা: কি জন্য গিয়েছিলি?

আমি: এমনি ঐ দিক দিয়ে যাচ্ছিলাম। ভাবলাম তোমাকে দেখে যাই।

সুবর্ণা: হুম। 

আমি: দুপুরে কি খেয়েছো?

সুবর্ণা: তেমন কিছু না। 

আমি: তোমার বসের সাথে লাঞ্চ করছো তাই না।

সুবর্ণা: হুম। (অবাক হয়ে)

আমি: ভালো। 

সুবর্ণা: এই নে তর ভিসা কার্ড । 

আমি: হুম। 

সুবর্ণা আমার সাথে কথা বলছে। আর ড্রেস চেঞ্জ করতে লাগলো। সুবর্ণা বললো

সুবর্ণা: দেখতাছতনা ড্রেস চেঞ্জ করছি বাইরে যা। 

আমি: না যাবো না । 

সুবর্ণা: ধুর আমার লজ্জা করছে। 

আমি: ওকে যাও। আমি চোখ বন্ধ করলাম। অন্য দিন হলে বাইরে চলে যেতাম। 

সুবর্ণা: ধুর। 

সুবর্ণা বাথরুমে ঢুকে গেলো। বাথরুম থেকে ড্রেস চেঞ্জ করে বের হলো। সুবর্ণা বললো‌। 

সুবর্ণা: কিরে খেয়েছিস? 

আমি: না। 

সুবর্ণা: কেনো?

আমি: তুমি আসলে ভাবছিলাম এক সাথে খাবো। কিন্তু তুমি তো তোমার বসের সাথে খেয়ে এসেছো। 

সুবর্ণা: দাঁড়া আমি খাবার নিয়ে আসছি। 

আমি: না খাবো‌ না।  

সুবর্ণা: কেনো? 

আমি: তুমি খেয়ে এসেছো তাই এখন আর রুচি হচ্ছে না। 

সুবর্ণা: না তকে খেতে হবে। তুই না খেলে আজ থেকে তর  সাথে কথা নাই। 

আমি: ওকে কথা বইলো না। 

সুবর্ণা: সাকিব। 

আমি: বলেন। 

সুবর্ণা: এখনো কি আমি তর পর?তর সাথে কতদিন হয়ে গেলো দুজন এক সাথে থাকতাছি। 

আমি: এতদিন পর ছিলেন না। এখন আস্তে আস্তে পর হচ্ছেন। 

সুবর্ণা: পর হতে যাবো কেনো? 

আমি: আপনিই বলেন। 

সুবর্ণা: একটা কথা বলবো? বললো মুচকি হেসে। 

আমি: হুম বলেন। 

সুবর্ণা: তাহলে আমার কাছে আয়। আমাকে জড়িয়ে ধর । পরে বলবো। 

আমি: বললে বলেন । না হলে আমি গেলাম। 

সুবর্ণা: আমার বলতে লজ্জা করছে। এদিকে আয় না।

আমি: ওকে‌ ।

__আমি সুবর্ণার কাছে গিয়ে। সুবর্ণাকে বুকে টেনে নিলাম।  সুবর্ণা ও দুই হাতে জড়িয়ে ধরলো বলল।

সুবর্ণা: চল না একটা বেবি নেই। 

আমি ভাবলাম। সুবর্ণার কথা ঠিকি বলেছ। কিন্তু এখন সুবর্ণার মতিগতি কিছুই বুঝতে পারছি না। দেখি শেষমেশ কি হয়? পরে না হয় চিন্তা করবো। 
আমি বললাম

আমি: দেখো একেতো। আমার কোনো কিছুই হয় নাই মানে চাকরি। পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হবে। 
আর এখন সম্ভব নয়। আর কিছুদিন সময় দেও। 

সুবর্ণা: ওকে তর‌ যতদিন লাগে সময় নে। প্লিজ আমাকে ছেড়ে চলে যাস না।

আমি: ওকে। 

সুবর্ণা: এখন প্লিজ কিছু খেয়ে নে। 

আমি: ওকে খাচ্ছি‌ । 

__এই বলে সুবর্ণার ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দিলাম। আমি কিস করতে লাগলাম। সেও রেসপন্স দিতে লাগলো।  এক মিনিট পর ছেড়ে দিলাম। কিন্তু সে আবার এসে আমার ঠোঁটে কিস করতে লাগলো। কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিলো আমি বললাম।

আমি: ওকে এখনতো খেয়েছি। 

সুবর্ণা: এটাকে খাওয়া বলে । 

আমি: হুম। 

সুবর্ণা: যাহ শয়তান। 

আমি: আমি একটু বাইরে যাবো‌ । টুর্নামেন্ট খেলা চলতাছে। আজকে আমরা খেলবো ‌। 

সুবর্ণা: আমিও যাবো‌ । 

আমি: তুমি গিয়ে কি করবো? তুমি মার সাথে রান্নার কাজে হেল্প করো‌ । 

সুবর্ণা: তর খেলা দেখবো। 

আমি: ওকে মার অনুমতি নিয়ে আসো। আর মরিয়মকেও সাথে নিয়ে নাও। 

সুবর্ণা: ওকে । 

সুবর্ণা আমার সাথে বের হলো সাথে মরিয়ম ও।  মরিয়ম বললো। 

মরিয়ম: ভাই একটা মোবাইল কিনে দেস না। 

আমি: মোবাইল দিয়ে কি করবি এখন?আরো বড় হয়ে নে। 

মরিয়ম: দেনা কিনে কার্টুন দেখবো। 

আমি: তর ভাবিকে বল। 

__মরিয়ম সুবর্ণাকে বললো। 

মরিয়ম: ভাবি একটা মোবাইল কিনে দেন না।

সুবর্ণা: ধুর তোমার ভাইকে বলো‌।

মরিয়ম: ভাইকে তো বললাম। বললো আপনার কথা। 

সুবর্ণা: তোমার ভাই অনুমতি দিলে । আমি কিনে দিবো ।

__মরিয়ম আবার আমার কাছে এসে বললো‌। 

মরিয়ম: অনুমতি দিয়ে দেস না। 

আমি: ওকে দিলাম । তবে সারাদিন দুই ঘণ্টা মোবাইল টিপতে পারবি। আর বাকি সময় তর ভাবির কাছে মোবাইল দিয়ে রাখবি। 

মরিয়ম: দুই ঘণ্টা না।  তিন ঘণ্টা দিবি। 

আমি: না দুই ঘণ্টা । 

সুবর্ণা: মরিয়ম তুমি এদিকে আসো। 

মরিয়ম: ভাই অনুমতি দিয়েছে। এখন কিনে দেও। 

সুবর্ণা: আগামীকাল কিনে দিবো। 

__মরিয়ম খুশিতে নাচতে লাগলো। 

আমি: নাচস কেনো? এটা রাস্তা না।

__আমি মাঠে আসলাম। এসে দেখি সামিও তার গার্লফ্রেন্ড নিয়ে আসলো। আমাদের দেখে সামি কাছে আসলো বললো।

সামি: ভাবি কেমন আছেন?

সুবর্ণা: ভালো। 

জাকিয়া: ভাবি কেমন আছেন? 

সুবর্ণা: ভালো।

আমি: সামি চল যাই মাঠে । তোমরা এখানে বসে খেলা দেখো। 

__আমি আর সামি । মাঠে আসতে আসতে জিজ্ঞেস করলাম। 

আমি: কিরে আর কয়দিন।

সামি: দোস্ত সর্বোচ্চ দুইটা মাস। 

আমি: আর কয়টা ম্যাচ খেলতে হবে। 

সামি: আরো চারটা ম্যাচ খেলতে হবে। দুইটা জিতলে সেমিফাইনাল। 

আমি: তর কি মনে হয়? আর কয়দিন টুর্নামেন্ট চলবে ।

সামি: আরো এক মাস তো লাগবেই। 

আমি: ওরেব বাবা। 

আমি ছোট থেকেই ফুটবল খেলা পছন্দ করতাম। কলেজে ফুটবল টুর্নামেন্ট হলে ঐখানে আমি ছিলাম। সামি খুব ভালো খেলে। আমি মিডফিল্ডার সামি স্ট্রাইকে থাকে। খেলার মাঝখানে বিপক্ষে দলের একজন আমাকে পায়ে বারি দেয়  আমি পড়ে যাই। মোটামুটি ভালই ব্যাথা পাই। খেলার শেষের দিক দিয়ে ঐ বিপক্ষে দলের ছেলেটাকে সামি গিয়ে বারি দেয় এর এক মিনিট পরই খেলা শেষ। আমরা ম্যাচ জিতি এক শূন্য। খেলা শেষ হলে । দেখি সুবর্ণারা এখনো দাঁড়িয়ে আছে । আমি কাছে গেলে  সুবর্ণা বললো।

সুবর্ণা: খেলার মাঝখানে দেখলাম তুই পড়ে গেছত। ব্যাথা পাইছত ? দেখি। 

আমি: আরে তেমন কিছু না। বাড়ি চলো । 

__আমি হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি আসলাম। এসে সুবর্ণা বললো। জানি সুবর্ণা দেখলে বকা ঝকা করবে সেজন্য দেখাতে চাচ্ছিলাম না। 
সুবর্ণা: দেখি তর পাটা‌। 

চলবে....

পাঠক-পাঠিকারা আমরা তোমাদের জন্য গল্প লেখি।
গল্পের এক পার্ট লেখতে আমাদের ২-৩ ঘন্টা চলে যায় । আর তোমাদের একটা রিয়েক্ট দিতে এক সেকেন্ড লাগবে। তাই কেউ রিয়েক্ট না দিয়ে যাবেন না। আর ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।
ভুল ক্রটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। তেল

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post