গল্পঃ পাশের বাড়ির বড় আপু সিজন ২ পার্ট: ০৬ | Pasher Barir Boro Apu Season 2 Part 06



#নাম: পাশের বাড়ির বড় আপু__২
#অথবা: পাশের বাড়ির বড় আপু যখন বউ
#লেখক: Osman
#পার্ট: ৬

__সুবর্ণা সবাইকে খাবার খেতে ডাকে। এর কিছুদিন পর জানি সাকিবের কি হলো? ব্যাংক থেকে আসার পর সুবর্ণাকে খুব কেয়ার করতে শুরু করে। সুবর্ণা ভাবলো সাকিব মনে হয় সুবর্ণাকে বুঝতে পারছে। এটাই সুবর্ণা চায়। এর কিছুদিন পর সুবর্ণা অফিসে কাজ করতে ছিলো। পি এস এসে বলে গেলো। অফিসে কিসের মিটিং আছে সবার । সুবর্ণা অফিসের মিটিং এ গেলো। গিয়ে সবার সাথে বসলো। মিটিং এ স্যারের কথা শুনে সবাই খুশি ‌। কারণ স্যার বলেছে সামনে দুই সপ্তাহ পর ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটা ভ্রমণ আছে। দুজন থেকে তিনজন সাথে নিতে পারবে। এটা শুনে সবাই হাততালি দিলো। কারণ সবাই চেয়েছিলো একটা ভ্রুমন হোক। আর সেটা হলো কক্সবাজার তিন রাত দুইদিন। মানে একরাতে সেখানে যাওয়া আরেক রাত সেখানে থাকা আরেক রাতে সেখানে থেকে আসা  । আর যারা যারা সেখানে যাবে তাদের আলাদা একটা স্যালারি দেওয়া হবে। কারণ ব্যাংকের মেইন শাখার বস যিনি বাংলাদেশে এই ব্যাংকটা পরিচালনা করেন তিনি সেখানে থাকবেন এবং তিনি সেখানে বক্তব্য রাখবেন। সে জন্য সেখানে সবাইকে থাকতে হবে। 
মিটিং শেষ হলে সুবর্ণার আর খুশি ধরে না। কারণ সাকিব আর সুবর্ণার একটা ফ্রিতে ট্যুর হয়ে গেলো। 
আর মন চাইলে মরিয়মকে সাথে নিয়ে যাবে। ওর এখন স্কুল বন্ধই। সুবর্ণার ভাবতেই কি যে ভালো লাগছে‌ । ভাবলো এই খুশির সংবাদরা আগে সাকিব কে দিয়ে দেই। আবার ভাবলো না। এই খুশির সংবাদরা সুবর্ণা অন্যা ভাবে দিতে চায়। ঘড়ির তাকিয়ে দেখে আরো এক ঘন্টা আছে তিনটা বাজতে। এক ঘন্টা কাজ করে বাসায় আসে। এসে রুমে ঢুকে। 

__আমি পরদিন ঘুম থেকে উঠে কলেজে গেলাম। কলেজ থেকে এসে বাসায় শুয়ে রইলাম ঘুমিয়ে গেলাম। কতক্ষন ঘুমালাম জানিনা। ঘুম থেকে উঠে দেখি সন্ধ্যা ছুই ছুই। দেখি সুবর্ণা নামাজ পড়তাছে। 
মনে হয় মাগরিবের নামাজ ‌। নামাজ শেষ করলে আমি বললাম। 

আমি: আজান দিয়ে দিয়েছে। 

সুবর্ণা: হুম। ফ্রেস হয়ে নামাজ পড়েনে। 

আমি: ওকে। 

__আমি ফ্রেস হয়ে নামাজ পড়ে। পড়াত টেবিলে বসলাম। কিছুক্ষণ পড়লাম। সুবর্ণা মাথার চুল আঁচড়ারতাছে। মাথার চুল আচড়াইয়ে ঠোঁটে লিপস্টিক দিলো। আমি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম। 

আমি: এরকম সাজতাছো কেনো?

সুবর্ণা: তকে একটা খুশির সংবাদ দিবো । 

আমি: সে জন্য সাজতে হবে?

সুবর্ণা: হুম। 

__সুবর্ণা আমার পিছনে এসে আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো। আর গালে একটা চুমু দিলো। 

আমি: বলো কি সুসংবাদ?

সুবর্ণা: তার আগে আমাকে একটা চুমু দে।

__আমি সুবর্ণার গালে চুমু দিলাম। 

আমি: এবার বলো। 

সুবর্ণা: না ঠোঁটে কিস কর। 

আমি: ধুর তুমি না দিন দিন.....

সুবর্ণা: বল দিন দিন....

আমি সুবর্ণাকে হাত ধরে সামনে আনলাম। এনে টেবিলের উপরে বসালাম। আমি দাঁড়িয়ে সুবর্ণার দুই ঠোঁটে আমার ঠোঁট লাগিয়ে দিলাম। সুবর্ণাও রেসপন্স দিতে লাগলো। আমি এক সময় সুবর্ণার কাপড়ের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে ফেলি আর পিছন থেকে তাকে আদর‌ করতে থাকি। কতক্ষন গেলো মনে নাই। কারো দরজায় টোকায় হুস ফিরলো মরিয়ম ডাকতাছে । সুবর্ণা কাপড় ঠিক করে দরজা খুললো আমি পড়াত মন দিলাম। মরিয়ম ভিতরে আসলো‌ বললো।

মরিয়ম: ভাবি আমার মোবাইল কোথায়?

সুবর্ণা: ওহ আমার একটুও মনে নাই। 

মরিয়ম: মনে তো থাকবেই না আমি বলছিনা।‌ (বললো মনটা খারাপ করে)

সুবর্ণা: আরে মন খারাপ করতাছত কেনো? আমার মনে ছিলো । ভাবলাম তুমি কেমন মোবাইল পছন্দ করো। তাই তোমাকে নিয়েই মোবাইল কিনবো। 

মরিয়ম: এখন কিনে দিন। 

আমি: এখন যা। আগামী কাল কিনে দিবো। 

মরিয়ম: না এখন । (বললো কাঁদা কাঁদা ভাব ধরে)

সুবর্ণা: আরে কাঁদতাছো কেনো? ওকে তুমি গিয়ে রেডি হও । আমরা আসতাছি। 

মরিয়ম: ভাবি সত্যি বলতাছেন তো । নাকি মজা করতাছেন। 

সুবর্ণা: তুমি কি আমার কথা বিশ্বাস করো না?

মরিয়ম: করি । 

সুবর্ণা: তাহলে গিয়ে রেডি হও। 

মরিয়ম: ওকে। 

মরিয়ম চলে গেলো। আমি বললাম। 

আমি: আগামীকাল গেলেও তো পারতা। 

সুবর্ণা: শুধু শুধু মেয়েটাকে কষ্ট দিয়ে লাভ আছে। 

আমি: এখন কি আব্বা আম্মা বাইরে যেতে দিবে?

সুবর্ণা: চল গিয়ে বলি। সাথে তাদের কে নিয়ে নে। রাতে ডিনার করে আসি। 

আমি: ধুর না। তাহলে তোমার মা বাবাকেও বলো।  

সুবর্ণা: এখন হঠাৎ করে । ওরা বললেই কি আর যাবে?

আমি: বলতেতো প্রোবলেম নাই। 

সুবর্ণা: আগে চল আব্বা আম্মাকে রাজি‌ করাই পরে নাহয় আমার মা বাবাকে বলিস। 

আমি: ওকে চলো। 

__আমি আর সুবর্ণা গিয়ে মা বাবারে বললে রাজি‌ হয় নাই । পরে সুবর্ণার আব্বা আম্মার কথা বললে রাজি হয়েছে। সুবর্ণাও তার আব্বা আম্মার সাথে কথা বলে রাজি করাই। পরে দুই ফ্যামিলি এক সাথে এক রেস্টুরেন্টে গিয়ে ডিনার করি। এই ফাকে মরিয়মের জন্য একটা মোবাইল কিনে সুবর্ণা । সব শেষে সবাই এক সাথে বাড়ি আসি। রাতে ঘুমানোর সময় আমি বললাম। 

আমি: সুবর্ণা মোট কতো টাকা খরচ হয়েছে। 

সুবর্ণা: সেসব যেনে লাভ নাই।

আমি: না বলো।

সুবর্ণা: মরিয়মের জন্য মোবাইল কিনেছি ৩৮,০০০ টাকা দিয়ে। আর রেস্টুরেন্টে খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা । 

আমি: একটু বেশি হয়ে গেলো না। মরিয়মের জন্য এতো দামি মোবাইল কিনার প্রয়োজন ছিলো। 
(বললাম মনটা খারাপ করে)

সুবর্ণা: মন খারাপ করতাছত কেনো? শুন তকে কিছু কথা বলি। শুন আমার যা কিছু আছে সব তর জন্য আমার টাকা পয়সা সব তর। তুই যেভাবে খরচ করতে মন চায় সেভাবে কর। আমার আর তর মাধ্যমে যদি তর বাবা মা আর আমার বাবা মা যদি খুশি হয়। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কি আছে? শুন তুই আমার আমার থেকে যা চাস আমি তকে তাই দিবো তার বিনিময়ে শুধু তুই আমাকে তর মনে একটু যায়গা দে একটু ভালোবাসা দে। যেটা নিয়ে আমি সারাজীবন চলে যেতে পারি। 

__আমি সুবর্ণাকে কাছে টেনে এনে নিজের বুকে শুইয়ে দিয়ে বললাম। 

আমি: আমিও তোমার থেকে কিছু চাইনা। আমি চাই সুখে দুঃখে কষ্টের সময় তোমাকে যেনো  আমার পাশে চাই। এর মনের ভিতর তুমি আছো তুমি থাকবা। 

সুবর্ণা: আমরা কবে বেবি নেবো। 

আমি: আগে আমি উপার্জনের পথ বের করি । পরে তুমি চাকরি ছেড়ে দিবা। পরে তোমার কাজ হচ্ছে 
বেবির দেখা শুনা করা আর আমাকে ভালোবাসা। 

সুবর্ণা: এখন কি তকে ভালোবাসি না। 

আমি: সুবর্ণা কি যেনো বলবা বলছিলা?

সুবর্ণা: দুই সপ্তাহ পর আমাদের ব্যাংক থেকে একটা ট্যুর হচ্ছে। সেখানে দুই থেকে তিনজন যাওয়া যাচ্ছে। 

আমি: সঠিক তারিখ বলো। 

__ সুবর্ণা তারিখ বললে আমি বললাম।

আমি: আমার যাওয়া হবেনা। 

সুবর্ণা: কেনো?

আমি: কারণ ঐ দিন আমাদের টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা। আর আমাদের টিম ফাইনালে উঠেছে। খেলা রেখে ঘুরতে যাওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। আর এটা ফাইনাল খেলা কোনো ভাবেই মিস করা যাবে না। 

__সুবর্ণা মনটা খারাপ হয়ে গেলো। 

সুবর্ণা: সেখানে গেলে আলাদা একটা স্যালারি দিবে।
 
আমি: আচ্ছা দেখি সামির সাথে কথা বলে । সামি
কি বলে?

সুবর্ণা: দেখ তরে ছাড়া ট্যুর আমার পানি। তার চেয়ে ভালো না যাওয়া।

আমি: ওকে দেখি । সামির সাথে কথা বলে । এখন হাসি দেও । আর লাইট বন্ধ করে আসো। 

চলবে....

পাঠক-পাঠিকারা আমরা তোমাদের জন্য গল্প লেখি।
গল্পের এক পার্ট লেখতে আমাদের ২-৩ ঘন্টা চলে যায় । আর তোমাদের একটা রিয়েক্ট দিতে এক সেকেন্ড লাগবে। তাই কেউ রিয়েক্ট না দিয়ে যাবেন না। আর ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।
ভুল ক্রটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post