#অথবা: পাশের বাড়ির বড় আপু যখন বউ
#পার্ট: ৭
#লেখক: ওসমান
সুবর্ণা: দেখ তরে ছাড়া ট্যুর আমার পানি। তার চেয়ে ভালো না যাওয়া।
আমি: ওকে দেখি । সামির সাথে কথা বলে । এখন হাসি দেও । আর লাইট বন্ধ করে আসো।
সুবর্ণা: ওকে।
__সুবর্ণা গিয়ে লাইট বন্ধ করে এসে আমার পাশে শুয়ে পড়লো। এবং আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো।
সুবর্ণা: সামনে সপ্তাহ মনে হয় । তর আব্বা আম্মা নতুন ফ্ল্যাটে চলে যাবে।
আমি: কেনো আমরা যাবো না?
সুবর্ণা; না আমরা এই ফ্ল্যাটে থাকবো দুজনে। ভাড়া আমি দিবো। পরে কোনো এক সময় না হয় চলে যাবো।
আমি: তোমার শুধু অপচয়।
সুবর্ণা: এখন ঘুমা আমাকে একটা চুমু দিয়ে।
__আমি সুবর্ণাকে চুমু দিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। এভাবে আস্তে আস্তে সুবর্ণা ভ্রমণের দিন চলে আসলো। আমি যেতে পারবো না কারণ ফাইনাল খেলা সামি বলছে কোনো ভাবেই মিস করা যাবে না।
তাই সুবর্ণার সাথে মরিয়মকে পাঠাবো ঠিক করলাম কিন্তু সুবর্ণা বললো তার ছোট বোনকে সাথে নিবে । আবার ভাবলাম এতো দুরে একা দেওয়া ঠিক হবে কিনা। কিন্তু সে বললো খুব জরুরি। তাই ভাবলাম যাক। যেদিন রাতে ওরা যাবে পরদিন আমাদের ফাইনাল খেলা আমার জন্য কি আর ফাইনাল খেলার ডেট পিছনে দিবে। আর এদিকে মরিয়ম আব্বা আম্মা নতুন ফ্ল্যাটে চলে গেলো। ও চলে গেলে আমি একা হয়ে যাবো ধুর একদিন কি হবে? এই কয়দিন তাকেও বেশি পাশে পাইনাই কারণ তার ব্যাংকে খুব কাজ গেছে । সুবর্ণা যেদিন যাবে সেদিন দুপুরে আমার জন্য রান্না করছে দুইদিন খাওয়ার জন্য আমি না করছি বলছি বাইরে থেকে খেয়ে নিবো ও বলে শুধু শুধু বাইরে খেয়ে পেটের বারোটা বাজাতে চাস । যাইহোক আমি রান্না ঘরে গেলাম গিয়ে বললাম।
আমি: কেনো শুধু শুধু রান্না করছো । আর তোমার সুন্দরী মুখটা লাল হয়ে যাচ্ছে।
সুবর্ণা: যাতো এখন। আমাকে রান্না করতে দে।
আমি: ওকে রান্না করে আসো।
__আমি ঘরে গিয়ে গোসল করলাম। গোসল করে শুয়ে রইলাম। একটু সুবর্ণা আসলো। সে এসে গোসল খানায় ঢুকলো। গোসল করে বের হলো। একটা প্লাজো পড়লো আর একটা কামিজ । আমি অবাক হয়ে তার রুপ দেখতে লাগলাম।
আমি: একটু পর মাঠে যাবো। প্রেকটিস করতে ।
সুবর্ণা: না গেলে হয় না।
আমি: বুঝইতো আগামীকাল ফাইনাল খেলা। ভাবছিলাম তুমি থাকবা। কিন্তু তা আর হলো না।
সুবর্ণা: দেখ এখানে আমার কিছু করার আছে?আমার জন্য কি ? তারা কি ডেট পিছনে দিবে। তুই বললে না যাই।
আমি: না থাক যাও। গিয়ে কিন্তু পানিতে নামবে না।
আর বেশি দুরে যাবে না।
সুবর্ণা: হুম। এখন বল শুধু আমি আর তুই কবে ট্যুরে যাবো।
আমি: তুমিই বলো।
সুবর্ণা: দেখি ব্যাংক থেকে কবে ছুটি পাওয়া যায়।
আমি: তোমার বুকে ওড়না দেও না কেনো?
সুবর্ণা: না ওড়না দিবো না।
আমি: দেও আমার চোখ শুধু তোমার ঐ দুটোর দিকে যাচ্ছে। প্লিজ ওড়না দেও।
সুবর্ণা: দেখ ভালো করে দেখ । এসবতো শুধু তর ।
আমি: না ওড়না দেও । আমার লজ্জা করছে।
সুবর্ণা: কি আজব আমি তর বউ । তুই যেটা করতে মন চায় কর।
আমি: ধুর এখন না। কয়টায় বের হবা।
সুবর্ণা: ১১টা সময় বাস ছাড়বে । ১০টা সময় ব্যাংকে থাকতে হবে। তুই আমাকে বাসে দিয়ে আসবি ।
আমি: ওকে । কোনো মেকাপ করতে পারবে না। আর বোরকা ছাড়া বের হবা না।
সুবর্ণা: ওকে।
___সুবর্ণা ওঠে আমার কাছে আসলো। এসে আমার পাশে শুয়ে পড়লো বললো।
সুবর্ণা: যাওয়ার আগে তকে একটু মন মতো জড়িয়ে ধরে নেই।
___এই বলে সুবর্ণা আমাকে জড়িয়ে ধরলো । আর একটা পা আমার ওপর তুলে দিলো। তার প্লাজো হাঁটু অবধি ওঠে গেলো । আস্তে আস্তে সে আমার ওপর উঠে গেলো আর আমাকে ওরাধুরা কিস করতে লাগলো আমিও কিসের রেসপন্স দিতে লাগলাম। আমি একটা হাত তার কামিজের ভিতর ঢুকিয়ে দিলাম । সে আমার মাথা ধরে ইচ্ছে মতো কিস করতে লাগলো যাতে আমি ছুটতে না পারি। অনেকক্ষন এভাবে চললো । এমন সময় আসরের আজান দিলো আমাদের হুস ফিরলো। সুবর্ণা কিস ছেড়ে আমার উপর শুয়ে পড়লো আমার ছোট ছোট চাপ দাঁড়িতে নিজের গাল ঘষাতে লাগলো।
আমি: কি হলো এবার ছাড়ো।
সুবর্ণা: না মন চাচ্ছে আজকে সারা দিন রাত তর সাথে এভাবে শুয়ে থাকতে ।
__এই বলে সে আবার কিস শুরু করলো । এবার ঠোঁটে মুখে নাকে কপালে গলায় সারামুখ চুমুতে ভরিয়ে দিলো। আমি দেখতেছি সুবর্ণা ছাড়বেনা। তাই আমি তাকে কোলে তুলে নিলাম সে আমার গলায় ধরে তখনো আমাকে কিস করে চলছে। আমি কোলে করে দরজার সামনে নিয়ে আসলাম । এসে তাকে কোল থেকে নামিয়ে দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসলাম ।
সুবর্ণা: কিরে পালাচ্ছিস কেনো?
আমি: আসতাছি।
__আমি মাঠে এসে প্রেকটিস করে সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে আসলাম। এসে দেখি মরিয়ম আর সুবর্ণার বোন রেডি হয়ে বসে আছে। আমি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। সুবর্ণাও রেডি হলো । সুবর্ণা বললো
সুবর্ণা: দেখতো কেমন লাগছে?
আমি: খুব সুন্দরী।
সুবর্ণা: আমার একটুও ভালো লাগছেনা। কেমন জানি ভয় করছে।
আমি: ভয়ের কি আছে ? আমিতো আছি।
সুবর্ণা: তুই কি আমার সাথে যাবি?
আমি: না তবে ফোনে কথা বলবে।
সুবর্ণা: ওকে। শুন এখন বের হয়ে যেতে হবে । অফিসে মিটিং আছে একটা। মিটিং শেষ করে পরে বাসে উঠতে হবে।
আমি: ওকে। চলো বের হই।
সুবর্ণা: আর রান্না করা আছে। ফ্রিজে রাখা আছে। বের করে গরম করে খেয়ে নিস।
আমি: ওকে।
সুবর্ণা: তর জন্য কি আনবো?
আমি: আমার জন্য কিছু আনা লাগবে না। আমি শুধু চাই তুমি আবার আমার কাছে ফিরে আসো।
সুবর্ণা: হুম। এই শুন না শেষমেষ একটা কিস দিয়ে দে।
আমি: ওকে ।
_&আমি সুবর্নাকে কাছে এনে । তার ঠোঁটে কিস বসালাম। কিছুক্ষণ পর ছাড়লাম। সুবর্ণা বললো
সুবর্ণা: মন চাচ্ছে না। তকে ছেড়ে চলে যেতে। তকে ছাড়া কি করে থাকবো?
আমি: আরে একদিন ওই তো। দেখবে চলে যাবে।
সুবর্ণা: চল রেডি হয়ে নে।
আমি: আমি রেডি।
সুবর্ণা: চল তাহলে বের হই।
__আমরা রিকশা দিয়ে প্রথমে ব্যাংকে আসলাম। রিকশায় আমি আর সুবর্ণা এক সাথে বসলাম । সুবর্ণা সারাক্ষণ আমার হাত শক্ত করে ধরে রাখলো।
বিদায় দেওয়ার সময় সুবর্ণার চোখের কোনে পানি দেখলাম। ও আমাকে একদিন ছাড়া থাকতে কতো ভয় পাচ্ছে। যদি আমি সারাজীবনের জন্য চলে যাই তখন কি করবে? আসলে বাস্তবতা তার উল্টা আমরা সবাই জানি "কারো জন্য কোনো কিছু থেমে থাকে না" । যাইহোক তাকে বিদায় দিয়ে বাড়িতে আসলাম। ভাবলাম এখন ইচ্ছা মতো সিগারেট খেতে পারবো । তাই বাড়িতে এক পেকেট বেনসন নিয়ে নিলাম। বাড়িতে এসে মনের ইচ্ছা মতো সিগারেট টানতে লাগলাম। এমন সময় সুবর্ণা ভিডিও কল দিলো । আমি ফোন ধরলাম।
সুবর্ণা: কিরে খেয়েছিস?
আমি: না।
সুবর্ণা: এখন কি করস?
__আমি সিগারেট দেখালাম।
সুবর্ণা: আমি জানতাম। আমি গেলে তুই ইচ্ছে মতো সিগারেট খাবি।
আমি: হুম।
সুবর্ণা: এই তুই শেষ বারের মতো সিগারেট খেয়েনে।
আর কোনো দিন যদি দেখি তর খবর আছে।
আমি: ওকে। শেষ বারের মতো খেয়ে নেই। ওরা কোথায়?(বললাম হেসে)
সুবর্ণা: ওরা দুজনকে এক সিটে দিয়েছি। আর আমি বসছি আরেক জনের সাথে ।
আমি: দেখি কে সে?
__সুবর্ণা ক্যামারা ঘুরিয়ে দেখালো। পাশে আরেকজন মেয়ে আমি বললাম।
আমি: তার কাছে মোবাইলটা দেওতো।
সুবর্ণা: কি বলবি ?
আমি: তুমি দেও।
__সুবর্ণা মোবাইল দিলো। আমি বললাম
আমি: আপু আপনিতো সুবর্ণাকে চিনেন। আমি ওর হাসবেন্ড । প্লিজ আপু তাকে একটু দেখে রাখবেন ।
সে যেনো একা একা কোথাও না যায়। .
মেয়ে: আরে আমি ওকে কি দেখবো? ওর খেয়াল রাখার জন্যতো বসই আছে।
আমি: কি বললেন আপু?
সুবর্ণা: ওকে। আমি কোথাও যাবো না। আর ভালো করে খাওয়া দাওয়া করিস। এখন রাখি।
আমি: আরে আমার কথা শুনো।
__এই বলে সুবর্ণা ফোন কেটে দিলো। আমি ঐ মেয়েটার কথা স্পষ্ট শুনতে পেয়েছি। আমি ভাবছিলাম সুবর্ণা আগের মতো কি এখনো বসের সাথে কথা বলে। আগে ভাবছিলাম আমি তাকে ইগনোর করাতে সে বসের সাথে টাইম পাস করে। কিন্তু তারপর থেকেতো আমি তাকে আর ইগনোর করিনি। সুবর্ণা কি ইচ্ছে করে বসের সাথে আলাপ করে আমার যেদিন ফাইনাল খেলা সেদিন তাদের ট্যুর দিলো । যাতে আমি না যেতে পারি আর তারা মনের মতো আনন্দ করতে পারে । কিন্তু সুবর্ণার আচার আচরণে তো সেরকম কিছু বুঝার উপায় নেই। তাহলে কি সুবর্ণা আমাকে ধোঁকা দিলো । আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। ভাবলাম এখন তাকে এসব বলে রাগারাগী করে লাভ নেই। পরে ঐখানে গিয়ে কোনো অঘটন ঘটাতে পারে। তার চেয়ে ভালো সে বাড়িতে আসুক তারপর তাকে ঠান্ডা মাথায় জিজ্ঞেস করবো। আমি আরেকটা সিগারেট খেলে মাথাটা একটু টেনশন মুক্ত হলো। পরে ঘুমিয়ে গেলাম। পরদিন সকালে সুবর্ণার সাথে একটু আকটু কথা বললাম। বিকালের দিকে ফাইনাল খেলা হলো। যেখানে আমাদের পারফোম্যান্স অনেক ভালো হলো। যার কারণে আমরা মেচটা জিতে যাই ২-১ গোলে। সন্ধ্যার পরে শুয়ে মোবাইল টিপতাছিলাম আমাদের জিতার কয়েকটি ছবি সুবর্ণা ওয়াটসাপে দিলাম। সুবর্ণাকে বুঝতে দিলাম না । আমার মনের কথা । ভাবলাম ফেসবুকে কয়েকটি ছবি আপলোড দেই। ফেসবুকে ঢুকে টাইমলাইন চেক করছিলাম ।
একটা পোস্টের উপর আমার চোখ আটকে যায় ।
দেখি সুবর্ণা আর তার বস একসাথে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেছে । আইডি চেক করে দেখি তার বসের আইডি।
চলবে......
পাঠক-পাঠিকারা আমরা তোমাদের জন্য গল্প লেখি।
গল্পের এক পার্ট লেখতে আমাদের ২-৩ ঘন্টা চলে যায় । আর তোমাদের একটা রিয়েক্ট দিতে এক সেকেন্ড লাগবে। তাই কেউ রিয়েক্ট না দিয়ে যাবেন না। আর ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।
ভুল ক্রটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।