গল্পঃ সিনিয়র বস পার্ট ০৫ | Senior Boss Part 05

 
গল্পঃ সিনিয়র বস পার্ট ০৫ | Senior Boss Part 05

#নাম: সিনিয়র বস
#পার্ট: ৫
#লেখক: Osman


__কিছুক্ষণ পর দেখি সারা কল দিলো । সারা বললো তার অফিসে যেতে । তার অফিসে গিয়ে দেখি পরির মতো সুন্দরী একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সারা বললো।

সারা: রাফিদ উনি আমাদের কোম্পানিতে আসছে । একটা চুক্তি করতে । কিন্তু উনার লেপটপটা কি জানি সমস্যা হয়েছে দেখতো.

আমি: ওকে।

__আমি ঐ মেয়েটার লেপটপটা নিলাম। নিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠিক করলাম। মেয়েটা বললো

মেয়ে: এতো তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে গেলো। 

আমি: ওপেন করে দেখুন। 

__মেয়েটা লেপটপ ওপেন করলো। সারা ইশারায় বললো চলে যেতে । আমি চলে আসলাম। আমি পিসিতে মুভি দেখতে লাগলাম। কিছুক্ষন সারা আবার কল করলো বললো।

সারা: নিচ তলায় ৫৬ নম্বর অফিসে। দেখতো কি সমস্যা?

__আমি ঐখানে গেলাম। গিয়ে তার কম্পিউটারের ডেক্সটপে একটু সমস্যা। সেটা সলভ করে আসলাম। এসে আবার মুভি দেখতে লাগলাম। দেখি মা ফোন দিয়েছে। 

মা: কিরে তুই না বলে বাড়িতে আসছ । এখনো তো আসলি না।

আমি: মা ঐখানে টাকা চায় ৬ লক্ষ্য। তাই আমি আর আসিনি এখন মনি আপুর কোম্পানিতেই আছি। 

মা: আচ্ছা মন দিয়ে কাজ কর। 

আমি: ওকে। 

__আবার মুভি দেখতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর দেখি। 
মনি আপু কল দিলো। আমি তরিঘড়ি করে ফোন ধরলাম। 

আমি : জী ম্যাডাম কোনো প্রয়োজন?

মনি আপু: তর কি এটা মুভি দেখার যায়গা। 

আমি: না । 

মনি আপু: তো মুভি দেখতাছত কেনো? 

আমি: অবসর টাইম পাস করছি। আর আপনিইতো বলছেন। কারো সাথে কথা না বলতে। 

মনি আপু: আমার মুখের উপর কথা। 

আমি: সরি ম্যাডাম। 

মনি আপু: তকে একটা ফাইল দিচ্ছি। এটা কমপ্লিট কর। 

আমি: ওকে। 

__দেখি আমার ই-মেইল এ একটা ফাইল আসলো। আমি কমপ্লিট করলাম। কিছুক্ষণ বসে রইলাম । আমার এখানে কল আসলো। বললো‌ ৮০ নম্বর রুমে বলে কি প্রোবলেম হয়েছে। আমি সেখানে গেলাম গিয়ে দেখি আমার সম বয়সি এক‌ ছেলে কাজ করতাছে । সে বললো তার কম্পিউটারে কি জানি সমস্যা। আমি তার কম্পিউটার চেক করে সমস্যাটা বের করলাম। আমি কাজ করতাছি সে বললো।

সিহাব: ভাই আপনাকেতো আগে দেখেনাই।‌ ভাই আপনি কি নতুন আসছেন। (তার টেবিলের উপর নাম লেখা ছিলো)

আমি: জী ভাই। 

সিহাব: ভাই আপনার নাম কি?

আমি: রাফিদ। 

সিহাব: আমি সিহাব দেখা হয়ে ভালো লাগলো। 

__আমি উনার সাথে হ্যান্ডশেক করলাম। 

আমি: me to. 

সিহাব: ভাই এটা ঠিক করতে কতক্ষন লাগবে। 

আমি: ১০ মিনিটের মতো। 

সিহাব: ওকে। 

আমি: ভাই একটা প্রশ্ন ছিলো । 

সিহাব: জী ভাই বলেন। 

আমি: ভাই এখানে দেখি সবাই । সবাই সবার কাজ মন দিয়ে করছে। কারো সাথে কেউ কথা বলে না। কারণটা কি?

সিহাব: ভাই এটা এই কোম্পানির নিয়ম। কেউ ভঙো করলে । তার চাকরি নট। 

__আমি ভাবলাম যাক তাহলে শুধু আমার জন্য নিয়ম না সবার জন্যই। যাক বাঁচা গেলো। কিন্তু এটা কি করে সম্ভব? একটানা ৬ ঘন্টা কাজ করতে হয়। এর মধ্যে কেউ কারো সাথে কথা বলে না। এমন নিয়ম আমি জীবনেও শুনিনি। এখনতো দেখি তারা কাজ করতে আসে না জেল খানায় আসে। দুর এতো কিছু চিন্তা করে লাভ কি ? আমি আমার চিন্তা করি। 

আমি: ভাই শেষ এখন আসি।

সিহাব: ওকে। 

__আমি আমার অফিসে চলে আসলাম। কিছুক্ষণ পর সারা আমাকে বললো। তার অফিসে যেতে। 
আমি সারার অফিসে গেলাম।  সারা বললো

সারা: তরতো কোনো কাজ নেই। আমার এই ফাইলটি কম্প্লিট করে দে। 

আমি: ওকে। এখানে বসে করি ।‌ 

সারা: ওকে। 

আমি: এই কোম্পানির একটা অদ্ভুত নিয়মের কথা শুনলাম। 

সারা: কি কথা?

আমি: এখানে বলে প্রয়োজন ব্যাতিতো । কারো সাথে কেউ কথা বলতে পারে না। 

সারা: হুম। 

আমি: কেনো?

সারা: জানি না। 

আমি: আপনি জানেন না। এটা কি করে সম্ভব?

সারা: এটা এই অফিসের নিয়ম। 

আমি: ওহ। কিন্তু নিয়মটা একটু অন্যারকম হয়ে গেলো না। 

সারা: আমাকে জিজ্ঞেস করতাছত কেনো? ম্যাডামকে গিয়ে জিজ্ঞেস কর।

আমি: ওকে। 

__আমি আর কিছু বললাম না। সোজা বাসায় চলে আসলাম অফিস শেষ করে। এসে খাওয়া দাওয়া করে গোসল করলাম। কাপড় গুলো পরিষ্কার করলাম। আমি পরিস্কার থাকতে পছন্দ করি। আমি একটা কাপড় দুই দিনের বেশি পড়ি‌না। পড়ে সেটা ধৌত করে আবার পড়ি। আমি যতই অলস হই। কিন্তু পরিস্কার থাকতে আমি পছন্দ করি। এভাবে কিছুদিন চলে গেলো‌ আমার অফিসে অধিকাংশ সময় কাজ থাকে না। বসে বসে সময় কাটাই। মনি আপুর মতিগতি ভালো লাগতাছে না। আমার সামনে পড়লেই কেমন জানি রাগি চোখে তাকিয়ে থাকে। কারনটা বুঝে পাচ্ছি না। আমি শুধু অফিসে বসে থাকি সে জন্য। একদিন রাতে দেখি সারা কল দিলো রাত তখন ৯ টা । আমি ফোন ধরলাম

সারা: কিরে কই তুই?

আমি: বাসায়। 

সারা: একটা জরুরী কাজে তকে এখন আসতে হবে। 

আমি: কেনো? এখন আমি ঘুমাবো। 

সারা: আমি আর বস একটা মিটিং এ আছি। এখানে একটু সমস্যা হয়েছে। তর এখানে আসতে হবে। 

আমি: ওকে । কোথায় আসতে হবে?

সারা: আমি তরে লোকেশন দিচ্ছি। যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে আয়। 

আমি: ওকে। 

__আমি রেডি হয়ে সারার দেওয়া লোকেশনে চলে আসলাম। এসে দেখি এখানে একটা বিশাল হোটেল। 
আমি হোটেলের দেওয়া রুমে চলে আসলাম। এসে দরজায় টোকা দিলাম । দেখি দরজা খুলা। ভিতরে ঢুকে দেখি কেও নাই।  আমি ভাবলাম সারাকে কল দেই। কল দিতে যাবো। দেখি রুমে আরো দুজন ছেলে ঢুকলো। ঢুকেই আমাকে ওরা দুরা মারতে লাগলো। আমি কিছু বলবো সে সুযোগ দিচ্ছে না ‌। 
আমিও প্রতিহত করতে লাগলাম। আমি দু'জনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলাম। পরে একজনের তল পেটে কিক চালালাম। আরেক জনকে ইচ্ছা মতো কিক দিতে লাগলাম। পরে একজন আমাকে লাথি দিয়ে নিচে  ফেলে দেয়। পরে দুজন আমার উপরে ওঠে । তরিঘড়ি করে আমার হাত পা বেঁধে ফেলে । একটা চেয়ারে বসিয়ে । চেয়ারের সাথে বেঁধে তারা দুজন চলে যায়। আমি খেয়াল করলাম আমার নাক থেকে রক্ত পড়ছে। ঠোঁট ফেটে গেছে। আমি বুঝতে পারছি না । তারা দুজন আমাকে মারবে কেনো? দুজনের কাওকে আমি চিনিনা। নাকি তারা অন্য কারো কথায় এরকম করছে। কিন্তু কার কথায় আমি বুঝতে পারছি না। আমি কারো সাথেতো কোনো ঝামেলা করিনি। পরক্ষনেই আমার খেয়াল আসলো। আরে এটা আবার ভাবার কি আছে। আমাকে এখানে আনছে কে ? সারা! নিশ্চয় সে আমার সাথে এরকম করছে। কিন্তু কেনো? আর এভাবেই মারবে কেনো? 
আমার মাথা কাজ করছে না। আমি মাথা নিচু করে বসে রইলাম। রক্তে আমার শার্ট প্যান্ট লাল হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর খেয়াল করলাম কে জানি আসছে রুমের ভিতর। আমার শরীরটা দুর্বল লাগছে। আমি মাথা উঁচু করলাম না। সে এসে আমার আমার মাথা উঠালো। আমি তাকিয়ে দেখি সারা। আমি অবাক হয়নি। কারণ সে যেহেতু আমাকে এখানে ফোন করে আনছে। তাহলে নিশ্চয়ই এটা তার কাজ। সে টিস্যু দিয়ে আমার মুখ মুছে দিচ্ছে। 
আমি বললাম

আমি: হাত সরা বেশ্যা মাগী। 

সারা: দেখ বকা দিস না । আমি তরে কিছু করছি?

আমি: হাত সরা। আমি মনি আপুর কাছে বলবো তুই যে আমার সাথে কি করছস?

সারা: ওহহো তুইতো দেখি ম্যাডামের নামো জানস। এই জন্যই তো বলি ম্যাডামের সাথে তর কিসের এতো কথা। 

আমি: চুপ কর শয়তান। এর বিচার  খুব ভয়ংকর হবে। 

সারা: কার বিচার হবে । সেটা একটু পর বুঝবি‌ । 

আমি: তুই শুধু একটা বার ম্যাডামের সাথে কথা বলার সুযোগ দে‌ । 

__আমার চোখে মুখে দিয়ে আগুন 🔥 বের হচ্ছে রাগে। হাত দুটো যদি খুলা থাকতো তাহলে এতোক্ষণে তাকে আধা মরা করে ফেলতাম।

সারা: দুঃখিত দিতে পারলাম না। 

আমি: আচ্ছা তুই আমার সাথে এরকম করছিস কেনো? আমি তরে কিছু করছি?

সারা: তর সাথে আমার কোনো ? ঝামেলা নাই। 
ঝামেলা আছে আরেকজনের। 

আমি: কে সে? 

সারা: একটু পর দেখতি পারবি। 

আমি: তাকে বল আমার সামনে না আসতে। তাকে পেলে আমি মেরেই ফেলবো। 

সারা: সেই সাধ্য তর নেই। 

আমি: দেখা যাবে। তুই সাহস থাকলে আমার হাত খুলে দে। দেখ তুই এইখান থেকে বেঁচে ফিরতে পারস কিনা। 

সারা: ভাবনায় ফেলে দিলি। আচ্ছা যাইহোক আমি চলে যাই। একটু তর সাথে একজন দেখা করবে । তার কাছেই তুই তর রাগ মিটাস। 

__এই বলে সারা চলে গেলো। কিছুক্ষণ পর আরেকজন কে জানি আসলো। তার দিকে তাকাতেই আমার উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। 

চলবে....

পাঠক-পাঠিকারা আমরা তোমাদের জন্য গল্প লেখি।
গল্পের এক পার্ট লেখতে আমাদের ২-৩ ঘন্টা চলে যায় । আর তোমাদের একটা রিয়েক্ট দিতে এক সেকেন্ড লাগবে। তাই কেউ রিয়েক্ট না দিয়ে যাবেন না। আর ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।
ভুল ক্রটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post