পার্ট :৩
কলেজ ছুটি পর আমি আপুর গাড়ির কাছে দাড়িয়ে ছিলাম।এমন সময় দেখি আপু আসতেছে,,কিন্তু আপুর মুখটা কেমন জানি গম্ভির দেখাচ্ছে।মনে হয় কোন বিষয় খুব চিন্তায় আছে।আর আপু আমার কাছে এসেই আমাকে বলল,,,,
নিধি আপু: সিমান্ত তুই আর কোন সময় বৃষ্টির সাথে কথা বলবি না।এমন কী ওর সামনে কখনো যাবি না,ওর থেকে দুরে থাকবি ( রাগী কন্ঠে বললো)
আমি: কেন আপু? বৃষ্টি আপু আবার কী করলো, ওনিত খুব ভাল(এ কথা বলে মনে হয় খুব বড় ভুল করছি,আপু দেখি রেগে গেছে)
নিধি: ওই কী বললি তুই, বৃষ্টি খুব ভাল।আর আমি কী তোর কাছে জানতে চাইছি নাকি যে কে ভাল আর কে খারাপ।তুই শুধু ওর সাথে মিশবি না ( রেগে বললো)
আমি : কিন্তু কেন তা বলবেত,,,
নিধি : কেন মিশবি না তা তোর জানা লাগবে না। আমি যা বলবো তাই শুনবি। এখন গাড়িতে বস
**আমি আর কিছু বললাম না, কারণ আপু একবার যা বলবে তাই শুনতে হবে। নাহলে আবার হিতে বীপরিত হতে পারে।আপু দেখছি গাড়ি চালাচ্ছ আর কী যেন ভাবছে আমি ভয়ে কিছু জানতে চাই নি।আর কিছুক্ষন পরই আমরা বাসায় চলে আসি। যখন আমি গাড়ি থেকে নামছি তখন আপু বলল,,,
নিধি : শুন এখন বাসায় গিয়ে রেস্ট দিবি আর কোথায় যাবি না।আর রাতে আমি কল দিলে রিসিভ করবি।না ধরলে বাসায় এসে তোর ক্লাস আমি নিবো,,,
আমি: আচ্ছা আপু ঠিক আছে আমি কল ধরবো,,
নিধি : ওকে ভিতরে যা
**আমি চলে আসলাম। আর আমি যতখন না ভিতরে যাই ততখন পর্যন্ত আপু বাহিরে গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে থাকে। আমি ভিতরে গেলে পরে চলে যায়। আমি বুঝিনা আপু আমার প্রতি কেন এত নজর দারি করে,,,,
**বাসায় আসার পর ফ্রেস হয়ে আসলাম। আম্মু খাবার দিল, আমি খেয়ে রুমে চলে আসলাম। আর এভাবেই দিন পেরিয়ে রাত হয়ে গেল। রাতে কিছুখন পড়ার পর আম্মু খাবার খেতে ডাকে।নিচে গিয়ে দেখি সবাই বসে আছে টেবিলে।আমি গিয়ে সবার সাথে খাওয়া শুরু করলাম তখন আব্বু বলল,,,,
আব্বু : সিমান্ত আজ ক্লাস ঠিক মত করছস। কোন
সমস্যা হয়েছে?
আমি : না আব্বু কোন সমস্যা হয়নি
আব্বু : ওকে ভাল।কোন সমস্যা হলে আমাকে সাথে সাথে জানাবে
আমি : ঠিক আছে আব্বু
এভাবে সবার সাথে টুকটাক কথা বলে খাবার খেয়ে রুমে চলে আসলাম। এসে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে আমার চোখ চরগ গাছে ওঠছে। কারণ আপু আমাকে ১০ বার কল দিছিলো। তাই আমি সাথে সাথে আপুকে কল ব্যাক করি।আর কল রিসিভ করিই দমক দিয়ে আপু বলল,,,
নিধি: ওই কোথায় ছিলি এতখন? আমি তোকে কয় বার কল দিছি শুনতে পাস নাই
আমি : আপু আমিত খাবার খাইতেছিলাম, আর ফোন রুমে ছিল তাই কল ধরতে পারি নাই
নিধি : তো মোবাইলটা সাথে নেওয়া যায় না। যানিস কত চিন্তা করতে ছিলাম ।
আমি: আরে এতে চিন্তার কী আছে আপু।আর তুমি আমাকে নিয়ে এত চিন্তা করো কেন আপু?
নিধি: কেন চিন্তা করি তুই বুঝিস না।
আমি : কে বলল বুঝি না। আমি সব বুঝি
নিধি : সত্যি তুই বুঝিস। বলতো কেন এত তোকে নিয়ে চিন্তা করি( আপু কিছুটা খুশি হয়ে বলল)
আমি : কারণ আমি তুমার ছোট ভাই। তাই তুমি এত টেনশন করো আমাকে নিয়ে।
নিধি: কুত্তা তুই ঘুড়ার ডিম বুঝস।আর শুন কালকে আমি ভারসিটি যাব না। আর তুই কিন্তু বৃষ্টির সাথে কথা বলবি না। যদি বলিস তাহলে কিন্তু খারাপ কিছু হবে বলে দিলাম
আমি: আচ্ছা ঠিক আছে বলব না।
**এভাবে কিছুখন আপুর সাথে কথা বলে ফোন রেখে দিলাম। আর কিছুখন পড়া শুনা করে ঘুমিয়ে পরলাম। সকালে আমার ছোট বোন সারা আমাকে ঘুম থেকে ডেকে দিলো।তারপর আমি ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে বাইকে নিয়ে চলে গেলাম কলেজে।আপু না গেলে আমি বাইক নিয়েই কলেজে যাই।আর আপু গেলে আপু সাথে গাড়িতে যেতে হয়।
**কলেজে গিয়ে দুটি ক্লাস করে আমি আর আতিক মাঠের এক কোনায় বসে ছিলাম। এমন সময় কোথা থেকে যেন বৃষ্টি আপু আমার কাছে আসলো। তার সাথে আর দুইজন মেয়ে ছিল। বৃষ্টি আপু আমাকে বলল,,,,
বৃষ্টি : সিমান্ত এখানে কী করো,,?
আমি : কিছু করি না আপু বসে আছি।কিছু বলবেন?
বৃষ্টি : হুম। তুমার সাথে আমার কিছু কথা আছে একটু চলতো আমার সাথে
আমি: আপু একা আসবো,,.,,,?
বৃষ্টি : হুম, একা আসলে ভাল হয়,,,
আমি : ঠিক আছে চলেন ( আপুর সাথে আসলাম কারন আমি যদি এখন না করি তাহলে আপু কষ্ট পাবে কারণ আপুর সাথে আরো দুইজন মেয়ে ছিলো)
**বৃষ্টি আপু আমাকে নিয়ে আমাদের কলেজের পাশে বাগানের কাছে নিয়ে গেল।আর আমাকে বলল,,,,
বৃষ্টি : সিমান্ত তুমাকে আমি কিছু বলতে চাই
আমি : বলেন কী বলবেন
বৃষ্টি : তুমার নিধি আপু তুমাকে কিছু বলে নাই
আমি: না আমাকে কিছু বলে নাই আপু
বৃষ্টি : আসলে আমি তুমাকে এখন যা বলবো জানি না তুমি কী মনে করবে তবুও বলতে হবে নাহলে আমি আর থাকতে পারবো না,,,,
আমি : বলেন আমি কিছু মনে করবো না
আমার এ কথা বলার পর বৃষ্টি আপু যা বললো তা শুনার জন্য আমি মোটেওপ্রস্তুত ছিলাম না।
বৃষ্টি বললো,,,,,,,,,,চলবে
কেমন হল জানাবেন তাহলে লেখার উৎসাহ পাব। আর ভুলে হলে মাফ করবেন