গল্পঃ ভয়ংকর সিনিয়র রংবাজ চাচাতো বোন পার্ট :৬ | Valobashar Golpo Bangla

 

*** ভয়ংকর রাগি রংবাজ সিনিয়র চাচাতো বোন****

পার্ট: ৬ 

**তারপর যাওয়ার জন্য নিধি গাড়িতে ওঠে।আর যাওয়ার সময় নিধি বৃষ্টিকে বলে,,,,

নিধি: শুধু একবার আমার কথা না শুনে সিমান্তের কাছে গেছিস তার জন্য তোর এক হাত ভেঙ্গে দিয়েছি আর যদি ভুলেও সিমান্তের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করিস তাহলে তোর কী অবস্থা করব তা আমি নিজেও জানি না।

""এ কথা বলে নিধি গাড়ি নিয়ে চলে যায়। বৃষ্টিকে যখন নিধি মারছিল তখন কিছু ছেলে তা দাড়িয়ে দেখছিল কিন্তু নিধির ভয়ে তারা কেউ বাদা দেয় নাই। কারণ সবাই জানে নিধিকে কিছু বললে তার ভাই নিসাদ কাউকে ছাড়বে না।তাই সবাই চুপ ছিল।নিধি যাওয়ার পর ঐ ছেলে গুলো বৃষ্টিকে দরে তার বাসায় দিয়ে আসে""

**আর এদিকে নিধি আমার রুম থেকে যাওয়ার পর আমি ফ্রেস হতে ওয়াস রুমে যাই। আয়নার সামনে দাড়িয়ে দেখি নিধি আপু যে আমাকে চড় মেরেছিল তার দাগ পরে গেছে আমার গালে।এখন চিন্তা হচ্ছে যে আম্মু যদি গালে দাগ দেখে কিছু বলে তাহলে আম্মুকে কী বলব।আর এসব ভাবতে ভাবতে ফ্রেস নিচে যাই খাবার খেতে।আর এখন আমার ছোট বোন আমাকে বলে,,,

সারা: ভাইয়া তোর গালে এটা কিসের দাগ। মনে হয় কেউ চড় মারছে

আমি: কিছু না গালে মসা বসছিল। আর এটাকে মারতেই গালে দাগ পড়ে যায়

**তখন পাশে থেকে আম্মু বলে ওঠে,,,,

আম্মু : সব কিছুতে এত কেয়ারলেস কেন তুই। এত জুরে কেউ থাপ্পর দেয় গালে।কী অবস্থা করছিস দেখছিস( কিছুটা রেগে গিয়ে বলল)

আমি: আমি বুঝতে পারি নি।আর এমন হবে না সরি আম্মু।

** আসলে এত বড় হইছি কিন্তু আম্মু আব্বু আজ পর্যন্ত কখনো আমার গায়ে হাত তুলেনি।আমরা দুই ভাই বোনকে তারা অনেক ভালবাসে। যার জন্য আমাদের ছোট একটা আঘাতও তারা মানতে পারে না**

""পাসে তাকিয়ে দেখি আমার বোনটা মিটমিট করে হাসছে।কারণ এখননো অজানা।তখন আম্মু বলল

আম্মু : নিধি কেন আসছিল রে?

আমি: কেন আবার আসবে এমনি আসছে। আর নিধি আপুত প্রতিদিন আসে এটা আবার নতুন কী ( খুব শান্ত ভাবে বললাম জাতে কিছু বুঝতে না পারে)

আম্মু: আসলে ঠিক তা নয়, মেয়েটা যখন আসল দেখলাম চেহারাটা কেমন গম্ভীর ছিল। তাই তোকে বললাম তুই কিছু করছিস নাকি।অন্য সময় মেয়েটা কত হাসি খুশি থাকে

আমি : না মা আমি কিছু করি নাই।হয়ত এমনি মন খারাপ ছিল।(কথা ঘুরাতে পারলে বাচি আমি)

আম্মু : যাই বলিস মেয়েটা খুব ভাল তোর অনেক খেলায় রাখে। তোর জন্য এমন একটা মেয়ে বউ করে আনব

**আমি আর কিছু না বলে চুপচাপ খেয়ে রুমে চলে আসলাম। কারণ ওখানে কথা বললেই আম্মু আরো নানান কথা জুড়ে দিবে তাই চলে আসলাম।এর পর বিকালে কিছু সময় বাহিরে গিয়ে বন্ধুের সাথে আড্ডা দিয়ে সন্ধ্যায় বাসায় এসে যেই পড়তে বসলাম তখন নিধি আপু কল দেয়,,,,

নিধি: কিরে কী করিস?  

আমি : এইতো আপু পড়তে বসলাম মাত্র

নিধি: এখন বই নিয়ে আমাদের বাসায় আয়। আমার সাথে পড়বি

আমি: না আপু আজ না কাল আসবো।( গেলেই আপুর নানা রকম অত্যাচার তাই যেতে মন চায় না)

নিধি: কী বললি তুই আসবি না। তাহলে কিন্তু আমি এখন চাচিকে কল দিব (দমক দিয়ে বলল)

আমি: না না আমি আসছি।কেউকে কল দেওয়া লাগবে না(এই মেয়েকে মোটেও বিশ্বাস নাই কল দিয়ে আবার কী বলবে আম্মুকে)

""তাই আমি আমার কিছু বই নিয়ে আপুদের বাসায় চলে আসলাম। আসার সময় আম্মু জানতে চাইছিল কোথায় যাই নিধি আপুর কথা বলার পর আর কিছু বলে নাই। আপু বাসায় এসেই চাচির সাথে দেখা তখন চাচি বলে,,,

চাচি: কিরে সিমান্ত তুইত আমাদের বাসায় এখন আর আসিস না।খুব বড় হয়ে গেছিস,,,

আমি: না চাচি আসিত।আসলে সারাদিন কলেজ করে বেশি সময় পাই না তাই আর কী কম আসি।আপু কোথায়?

চাচি: এখন থেকে প্রতিদিন আসবি।নিধি ওর রুমে আছে যা ওপরে

""আমি ওপরে চলে আসলাম, এসে দেখি আপু তার মোবাইলে কী যেন দেখছে আর মুসকি মুসকি হাসছে।আপুই এই মুসকি হাসিটা অনেক সুন্দর যা বলে বুঝাতে পারব না। আর তার সাথে ঠোটের নিচের তিলটা যেন সেই হাসির মহিমা আরো হাজার গুন বারিয়ে দেয়।আপুর এই হালকা ঠোট বাকানো মুসকি হাসিটা বরাবরই আমার মনে ভাল লাগা সৃষ্টি করে।কিন্তু তা কখনো আপুকে বলা হয় নি।

**আর এমন সময় আপু দেখে ফেলে যে আমি দাড়িয়ে আছি দরজার সামনে।আপু সাথে সাথে তার ফোনটা রেখে দিয়ে আমাকে বলে,,,,

নিধি: কিরে কখন আসলি, আয় ভিতরে আয়(একটা হাসি দিয়ে বলল)

আমি: এইমাত্র আসলাম।

** এই বলে আমি গিয়ে একটা চেয়ার টেনে পড়ার টেবিলে বসলাম।আর তখন আপুও  তার চেয়ারটা আমারটার সাথে লাগিয়ে বসল।তখন আপু বলল,,

নিধি: কী খাবি বল,,,,,

আমি: কিছু খাব না এখন। কিছুক্ষণ পড়ে চলে যাব (আমি জানি নিজেও পড়বে না আমাকে পড়তে দিবে শুধু এটা ঐটা বলবে) 

নিধি: কিছুতো তোকে খেতেই হবে। আজ তোর জন্য আমি নিজ হাতে সিঙ্গারা বানিয়েছি

আমি: আপনি আমার জন্য সিঙ্গারা বানিয়েন। তাহলেত খাবই। আগে একটু পড়েই পরে খাব( আসলে সিঙ্গারা আমার খুব প্রিয় তাই নাম শুনলেই জিবে জল এসে যায়)

নিধি: আচ্ছা, সিমান্ত একটা কথা বলি তোকে শুনতো

আমি : না এখন কথা শুনার ইচ্ছা নেই পরে বইলেন

নিধি: না তোকে এখনি শুনতে হবে(বাচ্চাদের মত গাল ফুলিয়ে) 

আমি: আচ্ছা বলেন( জানি বলবেই শুধু শুধু ভাব দরে পারমিশন চায়)

নিধি : তুই কাউকে পছন্দ করিস।মানে কাউকে ভালবাসিস

আমি : না। কাউকে পছন্দ করি না ভালও বাসি না

নিধি : আচ্ছা, যদি তোকে কেউ ভালবাসে আর সে যদি তোর বয়সে একটু বড় হয় কী করবি তুই।

আমি: কী আর করব না করে দিব। একতো আমি প্রেম করতে চাইনা। তারওপর যদি সে আমার বড় হয় তাহলেতো অসম্ভব। বড়দের সাথে আবার প্রেম হয় নাকি।আমার জুনিয়র হলে ভেবে দেখতাম,,

**এ কথা বলার সাথে নিধি আমার সার্টের কলার টেনে মুখের এনে বলে,,,,,

নিধি: কেন সিনিয়র মেয়ের সাথে প্রেম করা যাবে না। কোন আইনে কী মানা আছে নাকি। আর মানা থাকলেও তোকে করতে হবে (রেগে গিয়ে বলল) 

আমি: আমাকে করতে হবে মানে( অভাক হয়ে বললাম)

নিধি: না মানে কিছু না। তুই বস আমি তোর জন্য সিঙ্গারা নিয়ে আসছি

**এ কথা বলে নিধি আপু চলে গেল। আপু কিছু কথা মাঝে মাঝে আমার মাথার ওপর দিয়ে যায়।নিজেই বলে মেয়েদের সাথে না মিশতে আবার নিজেই বলে সিনিয়র মেয়ের সাথে প্রেম করতে বুঝিনা কিছুই***

অন্যদিকে
**নিধি ভাবছে আমাকেতো তুমায় ভালবাসতেই হবে মিঃ সিমান্ত। কারণ তুমি যে আমার ছোট্ট রিদয়টায় ঘর বানিয়ে বসে আছ তার কী হবে। তুমি শুধু দেখ তুমার মনে এই সিনিয়র মেয়ে কীভাবে জায়গা করে নেয়।

""এসব ভাবতে ভাবতে নিধি সিমান্তের জন্য সিঙ্গারা নিয়ে আসে। আর বলে,,,,,

নিধি : এই নে তোর প্রিয় সিঙ্গারা

আমি: হুম দাও আগে খাই পরে সব (এই বলে একটা নিলাম খাওয়ার জন্য)

নিধি: হুম, খা এখন ( মনে মনে খাও সোনা খাও একটু পরে খেলা জমবে)

**যেই মাত্র একটা সিঙ্গারার অর্ধেকটা খেলাম আমার কাছে মনে হল জ্বালে আমার মুখ পুরে যাচ্ছে।আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে,আমি এখন পানি খুজতেছি কিন্তু পানি নাই।যখন আমি পানির জন্য জুড়ে চিৎকার করতে যাব তখনি নিধি যা করল,,,,,,

        চলবে

***কেমন হল জানাবেন প্লিজ,তাহলে লেখার উৎসাহ পাব
 আর ভুল হলে মাফ করবেন ****
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post