পার্ট : ৯
***আমি কথা গুলো নিচের দিকে তাকিয়ে বললাম। কথা গুলো বলে আমি আপুর দিকে তাকিয়ে নিজেই ভয় পেছে যাই।রাগে আপুর চেহারা আগুনের মত লাল হয়ে গেছে।তখন আপু বলল,,,
নিধি : বৃষ্টি তোর কাছে আবার আসছিল, ওর সাহস হল কী করে তোর কাছে আসার,,( রাগটা যেন তার দ্বিগুণ হয়ে গেল)
আমি : তাতে আপনার সমস্যা কোথায়।আমার কাছে বৃষ্টি আপু আসুক আর যেই আসুক আপনি বাধা দেওয়ার কে। আর বৃষ্টি আপু যদি আমাকে ভালবাসে তাহলে আপনি কেন এমন করছেন,,
**এ কথাটা বলার সাথে সাথে নিধি আমার মুখ চেপে ধরে, আর বলে,,,,
নিধি: আমি ছাড়া তোকে যদি কেউ ভালবাসার কথা চিন্তাও করে তাকে আমি কী করব তা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। তোকে আজ ভেবে ছিলাম সবার সামনে সুন্দর করে প্রপোজ করব। কিন্তু তুই আর তা হতে দিলি না। আমি না করার পরেও বৃষ্টির সাথে কথা বলছিস। আবার বলিস যে কেউ তোকে ভালবাসতে পারবে,আর আমি বলার কে। এখন কান খুলে শুনে রাখ আমি তোকে ভালবাসি। শুধু ভালবাসি বললে ভুলে হবে আমার জীবনের চাইতে বেশি ভালবাসি। তুই শুধু আমার আর আমার মানে শুধুই আমার,,,
***এ কথা বলেই নিধি আমাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। আর এত শক্ত করে জড়িয়ে যে আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল শরীরে এত শক্তি কোথায় থেকে পায় এ মেয়ে আল্লাহ জানে। তখনি আমি খুব কষ্ট করে নিধির কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে বলি,,,,
আমি : আপু আপনি কী বলছেন একবার ভেবে দেখছেন। আপনি আমার আপু হোন আর আমি আপনাকে সেই হিসাবে সম্মান করি। আমি আপনার কথা মানতে পারব না।
নিধি: আমি যা বলছি ঠিক বলছি। আমি তোকে ভালবাসি,এটা আমার শেষ কথা। আমি জানি আমি তোর একটু বড় কিন্তু তাতে আমার কোন সমস্যা নাই। আর আমাকে কে কী বলল তাতে আমার কিছু আশে যায় না। আর তোর যদি কোন সমস্যা থাকেও তাহলে কিছু করার নেই নিজেকে সামলে নে। আমি বুড়ি হলেও তোকেই আমাকে বিয়ে করতে হবে।
**আমি নিধির কথা শুনে বেহুস হবার অবস্থা। কোন মানুষ যে এভাবেও একজনকে প্রেম নিবেদন করতে পারে তা নিধি কে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। আর প্রপোজ করা বললে ভুল হবে ওতো আমাকে রিতি মত থ্রেট করল।তখন আমি বললাম,,,,
আমি : আপু আপনি বুঝার চেষ্টা করেন এটা কখনো হয় না। আপনি আমার চাচাতো বোন আর এটা পরিবারের কেউ মানবে না। আর পরিবার মানলেও আমার পক্ষে এটা কোন ভাবেই সম্ভব না।
নিধি: সিমান্ত তুই ভাল করেই জানিস, এ নিধি একবার যা চায় তা না পাওয়া পর্যন্ত দুচোখের পাতা এক করতে পারে না। আর আমিতো তোকে আমার জীবনের চাইতেও বেশি চাই, তুই কীভাবে ভাবলি আমি তোকে এত সহজে ছেড়ে দিব। তোকেতো আমার মনে ঘরের রাজা করেই ছাড়ব।হয় আপশে করব, না হলে জোড় করে করব, কিন্তু তুই শুধু আমার
***আর এ কথা বলেই নিধি কেনটিনের সবার সামনে আমার ঠোটের ভিতর তার ঠোট বসিয়ে দেয়। আর আমার মাথার চুল এমন ভাবে খামচে দরে যে আমি কোন ভাবেই ছাড়াতে পারি না। তারপর সে তার ইচ্ছে মত কিস করে প্রায় ৬মিনিট পরে আমাকে ছেড়ে দিয়ে হাপাতে হাপাতে বলে,,,
নিধি : এটাতো কেবল শুরু সোনা।নিধি খুব ভাল করেই জানে নিজের পছন্দের জিনিস কিভাবে নিজের করে নিতে হয়,,,,
**আমি হাত দিয়ে ঠোটটা মুছে তাকে বললাম,,,,
আমি : এত গুলা মানুষের সামনে কিস করতে আপনার লজ্জা করে নাই। আর আপনি আমার চাচাতো বোন ছাড়া আর কিছুই না। আমি কখনো আপনাকে ভালবাসব না।আপনি যা করার করেন ( রেগে গিয়ে বললাম। কারণ সবার সামনে কিস করছে এটা ভাবতে কেমন যেন লাগছে)
**তখন নিধি আমার সামনে এসে বলে,,,,
নিধি : তুমি কী আমাকে চ্যালেঞ্জ করছ মিঃ সিমান্ত
**ও মাগো এ মেয়ে দেখি আবার সিনেমেটিক স্টাইলে অভিনয়ও করতে পারে। তখন আমি বললাম,,,,
আমি : হ্যা,আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি
নিধি: ওকে ঠিক আছে তাহলে তুমিও দেখ এ নিধি কী করতে পারে,,,,,
**আমি আর কিছু না বলে সেখান থেকে চলে আসলাম । এসে ক্লাসে বসে বাকি ক্লাস গুলো করে বাসায় চলে আসি।
অন্যদিকে
**নিধি বাসায় গিয়ে শুরু করছে আরেক কাহিনী। নিধি বাসার ভিতর গিয়েই শুরু করছে চিৎকার চেচামেচি।তার চিৎকার শুনে নিধির বাবা,মা,ভাইসহ সবাই একে একে হাজির, তখন নিধির বাবা বলে,,
নিধির বাবা : কিরে মা,কী হয়েছে তোর এভাবে চিৎকার কেন করছিস। কেউ কী তোকে কিছু বলেছে নাকি
নিধি : না আমাকে কেউ কিছু বলেনি (গাল ফুলিয়ে বলল)
তখন নিধির ভাই নিসাদ বলে,,,
নিসাদ: তাহলে কী আমার বোনটা কোন কিছু চাই নাকি। বল আমাকে আমি আজকে তোকে এনে দিব,,,
নিধি: আমার সবাই উদ্দেশ্য করে কিছু বলার আছে।আর আমি যা বলব তুমাদের তাই মানতে হবে আর যদি না মান তাহলে আমি কিছু একটা করে বসব,,
নিধির বাবা : আচ্ছা বল, তুই যা বলবি আমরা তাই করব। তাও তোর কিছু করতে হবে না।এখন বল কী বলবি
নিধি: আমি বিয়ে করব।
**নিধি সাত পাচ না ভেবে এ কথা সরাসরি বলে দেয় সে বিয়ে করবে। আর নিধির মুখে এমন কথা শুনে পরিবারের সবাই প্রথমে কিছুটা অভাক হয়ে যায়। পরে নিজেদের সামলে নিয়ে বলে,,,,
নিধি বাবা : বিয়ে করবি মানে কী?
নিধি: বিয়ে করব মানে বিয়ে করব। আর কোন মানে নাই। এখন তোমরা বল বিয়ে দিবে কী না
নিধির বাবা: ঠিক আছে দিব। বিয়ে করবি এটাতো খুশির খবর আমি কাল থেকেই পাত্র দেখা শুরু করব।(তিনি খুব ভাল করেই জানে মেয়ে যা বলে তাই করে তাই রাজি হয়ে যায়)
নিধি: আমি কী তোমাকে বলছি পাত্র দেখতে( কিছুটা রেগে গিয়ে বলল)
নিধির বাবা: বিয়ে করলে পাত্র দেখা লাগবে না (অভাক হয়ে বলল)
নিধি: না লাগবে না,পাত্র আমি পছন্দ করছি।আর তাকেই আমি বিয়ে করব,,,,,,
**মেয়ের কথা শুনে সবাই একদম বুকা হয়ে গেল। পাত্র নাকি মেয়ে নিজেই ঠিক করছে তখন নিধির বাবা বলে,,,
নিধির বাবা : আচ্ছা পাত্র নিজে ঠিক করসিছ ভাল কথা, এখন বলল পাত্র কী করে। পাত্রের বাবার নাম কী,পাত্রের নাম কী। আমরা বিয়ের প্রস্তাব পাঠাই
নিধি : পাত্রকে তুমরা সবাই খুব ভাল করে চিন?
***নিধির কথা শুনে নিধির ভাই বলে,,,
নিসাদ: আমরা পাত্রকে চিনি মানে । কে সে নাম বল,,,,
**তার নিধি যা বলল তা শুনে সবার মাথা গুরে যাওয়ার অবস্থা। কারণ নিধি তখন বলে,,,,
চলবে
কেমন হল জানাবেন কিন্ত,,,,,,,