গল্পঃ বেস্টফ্রেন্ড নাকি বয়ফ্রেন্ড পর্ব ১৭ (শেষ পর্ব) | Romantic Love Story


 #বেস্টফ্রেন্ড_নাকি_বয়ফ্রেন্ড 
#Maishara_Jahan
#part............17 (শেষ পর্ব) 

,,,,,, ঠিক আছে, তুমিও যাও রুমে। 

,,,,,,হুমম( জানি তো কি কাজ,, আজ বেঁচে গেলে কিন্তু কাল পারবে না মিঃ আয়ান খান) 

সকালে,,,,,,,,,

আলো আর আয়ান হাসতে হাসতে নিচে নামছে। নিচে নেমে দেখে রিনা সুন্দর করে সেজেগুজে বসে আছে। 

আলো,,,,,,,,, রিনা আজও কি তুমি পার্টিতে যাবে। 

রিনা,,,,,,,,, না অফিসে যাবো। 

আলো,,,,,,,,,, অফিসে যাওয়ার জন্য এতো সুন্দর করে রেডি হয়েছো। 

রিনা,,,,,,, না,, এমনি মনে চাচ্ছিলো একটু সাজতে তাই। 

আলো,,,,,,,,ওকে (এর মনে কিছু না কিছু তো চলছে, জানতে হবে কি) 

সবাই নাস্তা করে ফেলে, এবার যাওয়ার পালা, রিনা আগে আগে গিয়ে গাড়িতে বসে। 

আলো,,,,,,,,(এটা কি হলো রিনা আমাদের ডিস্টার্ব না করে চলে গেলো) তুমি দাঁড়িয়ে আছো কেনো যাও। 

আয়ান,,,,,,,,,, আমার গুড বাই কিস। 

আলো,,,,,,,,, ফুট এখান থেকে। (বলে চলে যায়) 

আয়ান,,,,,,,, আরে আমার তো কোনো সম্মানিই নেয়। তোর হাসবেন্ড হয় আমি, ভুলে গেলি না (জোরে)

আলো,,,,,,,, দেখ আয়ান চুপচাপ অফিসে যা, না হলে খবর আছে। 

আয়ান গাড়ি ড্রাইভ করছে। 

রিনা,,,,,,,,,, আয়ান চলো না আমরা কোথাও ঘুরতে যায়। 

আয়ান,,,,,,,,, সরি অফিসে অনেক কাজ আছে। অন্য দিন আমরা সবাই এক সাথে যাবো। 

আয়ান অফিসে যায়, গিয়ে বসে। রিনা বার বার এসে চান্স মারছে, আয়ানের সে দিকে কোনো খেয়াল নেয়। 

রিনা,,,,,,,,,,,, আয়ান আমি এখানে বসে কাজ করি, আমার কম্পিউটারে কি যেনো সমস্যা হয়েছে তো আমি তোমার লেপটপে কাজ করি। 

,,,,,,,,,, ওকে। 

আয়ান ফাইল দেখছে, রিনা লেপটপের থেকে বেশি আয়ানের দিকে নজর দিচ্ছে। আয়ানের সামনে বসে, বার বার চুল ঠিক করছে, ড্রেস ঠিক করছে।  

তখনি আলো আসে,, 

আলো,,,,,,,, হায় জানেমান। 

আয়ান,,,,,,,, তুই,, না মানে তুমি এখানে। 

আলো,,,,,,,,, তোমাকে অনেক বেশি মিস করছিলাম (জরিয়ে ধরে) 

আয়ান,,,,,,,, আজ কাল তোমার কি হচ্ছে, কখনো রোমান্টিক কখনো,,,, 

 আলো,,,,,,,, ছাড়ো না এইসব। 

রিনা,,,,,,,, তুমি এখানে এই সময় কেনো। 

আলো,,,,,,,, এটা আমার অফিস আমি যখন খুশি আসতে পারি। আয়ান আমি এখন এসে তোমাকে কি ডিস্টার্ব করেছি। 

আয়ান,,,,,,,,,,,, তোমার জন্য আমি কখনো ডিস্টার্ব হয়েছি। আমার আরো অনেক ভালো লেগেছে। 

আলো,,,,,,,,, আমি তোমার জন্য খাবার এনেছি,দুপুরের খাবার। রিনা তুমি একটু আসো, আয়ানের সাথে আমার কিছু কথা আছে। 

রিনা,,,,,,,,,  ওকে (সব ইচ্ছে করে করছে)

রিনা চলে যায়। 

আয়ান,,,,,,,,, কি বলবি। 

,,,,,,,,, আরে বস,, খাবি, এমনি রিনাকে যেতে বললাম। তুই ওর থেকে দূরে থাকবি ওর তোর দিকে নজর আছে৷ 

,,,,,,, আরে দূরর এসব তোর মনের ভুল। 

,,,,,,,, দূরে থাকতে বলছি দূরে থাকবি বেস। 

আচ্ছা তুই এসে বস, আমার সাথে খাবি। (আলোকে টান দিয়ে নিজের কোলে বসায়)

,,,,,,,,, আরে আরে কি করছিস। 

,,,,,,,, আমাকে খিয়িয়ে দে। 

,,,,,,,, তুই বাচ্চা নাকি তোর হাত নেয়।

,,,,,,, আরে একটু রোমান্টিক হওয়ার চেষ্টা করলে তুই সেখানে পানি ঢেলে দিস। 

,,,,,,,,,,, ওকে জানু আমি তোমাকে নিজের হাতে খায়িয়ে দিচ্ছি। 

,,,,,,, নেকামি কম কর। 

আলো আয়ানকে খায়িয়ে দেয়, আয়ান ও আলোকে খায়িয়ে দেয়। খাওয়া দাওয়া শেষে, রিনা আসে। 

রিনা,,,,,,,আয়ান এই ফাইল গুলো তোমাকে এখনি দেখে দিতে হবে। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

আয়ান,,,,,,,,,  ঠিক আছে, আলো তুমি একটু বসো আমি আসছি। 

আয়ান চলে যায়। 

আলো,,,,,,,,, রিনা তোমাকে কতো বার না বলেছি আয়ানকে ভাইয়া বলে ডাকতে। 

রিনা,,,,,,,,, ও প্লিজ আয়ানকে আমি কি বলে ডাকবো না ডাকবো সেটা আমাকে ঠিক করতে, দাও। বার বার এক কথা। (রাগে)

আলো,,,,,,,, ওয়াও তোমার সাহস দিন দিন উপরে চলে যাচ্ছে। ভুলে যেওয়া না আমি কে। 

,,,,,,,, তোমাকে ভুলবে কিভাবে, এই সব কিছু আমার হতো শুধু তোর জন্য। 

,,,,,,,,,, তুমি থেকে তুই,,, তাহলে শুন আমি যদি এগুলো আয়ানকে বলি তাহলে না তকে এক মিনিটে বের করে দিবে। 

,,,,,,,,,,, ও আমি তো ভয় পেয়ে গেছি। 

,,,,,,,,,, অনেক তাড়াতাড়ি ভয় পাবে,চিন্তা করো না। আর কি মনে করেছো এই সব ড্রেস পড়লে আয়ান তোকে পছন্দ করে নিবে। 

রিনা আয়ানে আসতে দেখে। 

রিনা,,,,,,,, তোকে তো আজ আমি ছাড়বো না। 

রিনা আলোর হাত ধরে জোরা জোরি করতে থাকে, মারার জন্য। তখন আলো রিনাকে ধাক্কা দেয়। আর এটা এসে আয়ান দেখে। রিনা গড়িয়ে মাটিতে পড়ে যায়। আর এমন ভাব করে যেনো অনেক ব্যাথা পেয়েছে। 

আয়ান গিয়ে রিনাকে উঠায়। 

আয়ান,,,,,,,,, আলো কি হচ্ছে এসব। 

রিনা,,,,,,,,, আলো বিশ্বাস করো আমি আয়ানকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছি না। আমি তো শুধু আমার কাজ করছি, তুমি চাইলে আমি তোমাদের বাসা ছেড়ে চলে যাবো। 

আলো,,,,,,,,, কি বলছে এসব। 

আয়ান,,,,,,,,,,  আলো এসব কি, তুই রিনার সাথে 

আলো,,,,,,,,, আমি কিছু করেনি, ও আমাকে মারতে এসেছিলো। 

রিনা,,,,,,, আলো আমি তোমাকে কেনো মারতে যাবো। বিশ্বাস করো আমি আয়ানের কথা ভুলে গেছি। আয়ান আলো ভাবছে আমি তোমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছি, তাই আমাকে এখান থেকে চলে যেতে বলছে। 

আলো,,,,,,, আয়ান আমি বেশি কিছু বলবো না, শুধু বলবো, তুই কাকে বিশ্বাস করিস। 

আয়ান,,,,,,,,,, নিজের চোখকে কি করে অবিশ্বাস করবো। 

আলো,,,,,,,,, ঠিক আছে, তুই থাক তাহলে রিনাকে নিয়ে আমি গেলাম। 

আয়ান,,,,,, আলো, আলো। 

আলো চলে যায়, রিনা কান্না শুরু করে দেয়। 

রিনা,,,,,,,, আম সরি আয়ান, সব দোষ আমার। 

আয়ান,,,,,,,,, নো আম সরি, তুমি যাও, আমি  পড়ে আলোকে মানিয়ে নিবো। 

রিনা চলে যায়, কিছু খন পড়ে কফি নিয়ে আসে। 

রিনা,,,,,,,,, আয়ান তোমার কফি। 

আয়ান,,,,,,,,,, আমি খাচ্ছি, তুমি গিয়ে মিঃ গোষ এর ফাইলটা নিয়ে আসো। 

রিনা,,,,,,,,ওকে। কফিটা কিন্তু খেয়ে নিবে। 

রিনা ফাইল আনতে চলতে যায়, কিছু খন পর ফাইল নিয়ে আসে, এসে দেখে আয়ান কেমন করছে, মনে হচ্ছে নেশা করেছে। 

রিনা কফির কাপের দিকে তাকিয়ে হাসি দেয়। 

রিনা,,,,,,,,,, যা চেয়েছিলাম তা তো হয়ে গেছে। ডার্লিং আজ তোমাকে আমার হতেই হবে। তার আগে আমি আমার কাজটা করি। তোমার সব টাকা আমার ব্যাংকে যাবে, 

আর এমন ভাবে যাবে যে কেও বুঝতেই পারবে না যে টাকা গেলো তো গেলো কোথায়, কম্পিউটার আমার ইশারায় চলে মিঃ আয়ান খান। আমার মতো হ্যাকার খুঁজে পাওয়া মুশকিল৷ 

রিনা আয়ানের লেপটপ হ্যাক করে সব টাকা নিজের নামে করে নেয়। 

রিনা,,,,,,,,,, এখন তোমার পালা ডার্লিং। 

আয়ান অচেতনের মতো সোফায় শুয়ে আছে, চোখ মিটমিট করছে। রিনা সোফায় আয়ানের উপরে উঠে বসে। 

আয়ান,,,,,,,,,, রি রি রিনা কি করছো, আমি,,,, 

রিনা,,,,,,, সুসসস (ঠোঁটে আঙুল দিয়ে) আজ শুধু ভালোবাসা হবে নো কথা। 

তখনি আলো এসে পড়ে, আলো এসে আয়ানকে এ অবস্থা দেখে তার মাথা ঠিক নেয়। 

আলো,,,,,,,, আয়াননন

রিনা আর আয়ান উঠে দাঁড়ায়, আয়ান দুলছে। 

আলো,,,,,,,কি হচ্ছে এসব। 

রিনা,,,,,,,,, যা দেখছো, তাই হচ্ছে। তোমাকে বিয়ে করে আয়ান বুঝতে পেড়েছে সে কতো বড় ভুল করেছে৷ এখন আয়ান সেই ভুলটা ঠিক করে নিচ্ছে। 

আলো,,,,,,,, আয়ান তুমি কিছু বলছো না কেনো, আর কিই বা বলবে আমি তো সব দেখেয় নিয়েছি। আমার ফোন আর ব্যাগ এখানে রেখে না গেলে তো আমি জানতেই পারতাম না৷ 

রিনা,,,,,,,,, পিল্জ আমাদের ডিস্টার্ব করো না, যাও এখান থেকে। 

আলো,,,,,,,,, তুই কিছু বলবি না আয়ান,,,ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি চিরকালের মতো। 

আয়ান,,,,,,,, আ আ আলো শুন। 

আলো কান্না করতে করতে দৌড়ে যাচ্ছে। আয়ান রিনার হাত ছেড়ে দৌড়ে আলোকে ধরে। 

আলো,,,,,,,, ছাড় আমাকে ছাড়, আমি চলে যাবো ছাড়। 

সবাই দাড়িয়ে দেখছে, রিনাও আসে। 

আয়ান,,,,,,,  আমার জানের টুকরা একটু শান্ত হ, মিঃ রোহিদ পুলিশ ডাকেন। 

রিনা,,,,,,,, তুমি এতো সুস্থ ভাবে কিভাবে কথা বলছো, আর পুলিশ কেনো। 

আয়ান,,,,,,,,, তোমাকে এরেস্ট করানোর জন্য। 

রিনা,,,,,,,,, মা মা মানে। 

আলো,,,,,,, কি হচ্ছে। 

আয়ান,,,,,,,, তুই কি মনে করিস, তোর কথা বিশ্বাস না করে ওর কতা করবো। আমার অফিসে অনেক টাকার গন্ডগোল দেখা দিচ্ছে, তোর চক্করে এতো খেয়াল করিনি, এই সুযোগ কেও কাজে লাগিয়েছে। 

আমার সন্দেহ রিনার উপরে ছিলো কারন এমন হ্যাকার আমাদের অফিসে নেয়। তাই শুধু প্রমানের দরকার ছিলো৷ 

রিনা হয়তো এটা ভুলে গেছে যে, আমার অফিসে কোথায় কি হচ্ছে সেটা আমার লেপটপে খুব সুন্দর করে দেখতে পারি। তাই কফিতে যাই মিশিয়েছিলে তা আমি খায়নি, ফেলে দিয়েছি। আর তুমি যা যা বলেছো, করেছো সব রেকট হয়ে গেছে। 

রিনা,,,,, কিন্তু কিভাবে কেবিনে তো কোনো সিসি ক্যামেরা নেয়। 

আয়ান,,,,,,,,, কিন্তু লুকানো ক্যামেরা তো আছে, আমি লাগিয়েছি। 

রিনা,,,,,,,,, ঠিক আছে পুলিশে দিলে দাও। দুদিনে ছুটে যাবো কিন্তু তোমার টাকা পাবে না।

আয়ান,,,,,,, কম্পিউটার তোমার ইশারায় চললে ও আমার লেপটপ আমার হুকুমে চলে। এমন সিস্টেম করা আছে যে আমার টাকা আমার ব্যাংকেই ঘুরে ফিরে আসবে৷ আর এবার এতো তাড়াতাড়ি ছাড়া পাবে না৷ 

রিনাকে পুলিশে ধরে নিয়ে যেতে চায়, আলো থামিয়ে রিনাকে জোরে দুটো থাপ্পড় মারে। 

আলো,,,,,,,,,, শাঁকচুন্নি, এটা হলো আমার আয়ানের উপর কু নজর দেওয়ার জন্য হুহহ। 

রিনাকে পুলিশে নিয়ে যায়। আয়ান আলোকে নিয়ে লং ড্রাইভে যায়, গিয়ে ওদের ফেবারিট জায়গায় বসে। 

আলো,,,,,,,,, আজ রাতটা খুব সুন্দর, তাই না। 

,,,,,,,,, হুমম, কিন্তু তোর থেকে কম। 

,,,,,,,,, আচ্ছা। 

,,,,,,,, হুমম, আচ্ছা চোখ বন্ধ কর। 

,,,,,,,,কেনো 

,,,,কর না 

,,,,,,,,, ঠিক আছে 

আলো চোখ বন্ধ করে, আর আয়ান আলোর ঠোঁটে ছোট্ট করে একটা কিস করে। 

,,,,,,,, আমি জানতাম তুই দুষ্টি করবি। 

,,,,,,,,, তোর হাতে দেখ। 

,,,,,,,, হাতে কি। 

আলো তাকিয়ে দেখে হাতে দুটো টিকেট। 

আয়ান,,,, এটা পৃথিবীর সব চেয়ে রোমান্টিক জায়গার টিকেট, আমরা কাল যাবো ১০ দিনের জন্য হানিমুনে। যাবো দুজন আসবো তিনজন। 

,,,,,,,, মানে,এতো তাড়াতাড়ি বাচ্চা। 

,,,,,,, ঠিক আছে তুই যখন বলবি। (আলোকে জরিয়ে ধরে) 

,,,,,,,, এভাবেই ভালোবাসবি তো সারাজীবন। 

,,,,,,,, না এর থেকেও বেশি ভাসবো। আই লাভ ইউ আমার টুনির মা। 

,,,,,,,, টুনি। 

,,,,,,,, আমাদের ভবিষ্যত বাচ্চা 

,,,,,,,,,, আই লাভ ইউ টু টুনির বাবা৷ 

     সমাপ্তি,,,,,,,,,,,,, 

ভালো লাগলে like, comment করে সাথে থাকুন,   আর কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন গল্পটা আপনাদের কেমন লাগলো। 

Thanks for reading.........

1 Comments

  1. সেরা ছিলো স্টোরি টা

    ReplyDelete
Post a Comment
Previous Post Next Post