#Maishara_Jahan
#part................. 12
,,,,,,,,,,,,,,একটা রাস্তায় খোলা আছে (শয়তানি হাসি দিয়ে)
,,,,,,,,,আলো না,, এটা না।
,,,,,,,, আর কোনো রাস্তা নেয়। রেডি তুই
,,,,,হুমম (মুখ গোমরা করে)
আলো,,,,,,,,,, তাহলে চল পালা আমাকে নিয়ে।
আয়ান,,,,,,,,,, কিন্তু কিভাবে, বাড়ি বড়া মানুষ।
,,,,,,,,,, আরে ভাব ভাব কিছু একটা ভাব।
,,,,,, তুই ভাব শয়তানী কাছে তোর মাথা বেশি চলে।
,,,,,,,,,, কথাটা তো ঠিকি,,, এসে গেছে এইডিয়া।
,,,,,,,,,,,,, বলছিলাম না, তোর শয়তানের মাথা থেকে একটা না একটা বুদ্ধি ঠিক বের হবে।
,,,,,,,,,,,, দেখ আমি তোকে মারতে চাইতাছি না, চুপচাপ শুন।
,,,,,,, হুমমম বল।
,,,,,আরেকটু পর জামাই আসবে, তখন সবাই সেখানে থাকবে, মানে আমি একা। তখন তুই বেলকনিতে সিরি লাগিয়ে দিবি আর,,
,,,,,,,, সিরি মানে,, এতো তাড়াতাড়ি সিরি কিভাবে লাগাবো।
,,,,, গাধা মই মই (ঘুষি মারতে মারতে) এই তুই সর আমি আবিরের সাথেই বিয়ে করবো।
,,,,,,, এই না না,,আসলে প্রথম বার পালিয়ে বিয়ে করবো তো, তাই টেনশনে মাথা কাজ করছে না।
,,,,,,,,, হহ আমি তো দশ বার পালিয়ে বিয়ে করছি।
,,,,,,,,, কিহহহ
,,,,,,,দেখ আয়ান আমাকে রাগাবি না, চুপচাপ শুন,,,,তুই বেলকনিতে সিরি মানে মই রাখবি আমি নিচে নেমে আসবো, আর পিছনের দরজা দিয়ে তোর বাইকে পালিয়ে যাবো।
,,,,,,,,,,,,, ঠিক আছে,,, এখন এমন ভাবে থাক জেনো কিছু হয়নি।
মিসেস্ রোজা,,,,,,,, কিরে তোরা দরজা বন্ধ করে কি করিস।
আলো,,,,,,,, মা কিছু না, দরজা খুলছি।
আলো দরজা খুলে।
মিসেস রোজা,,,,,,,,,, কি এতো কথা হচ্ছে দুই বন্ধুর মাঝে।
আয়ান,,,,,,,, হাই আন্টি,, বাই আন্টি (বলে চলে যায়)
মিসেস রোজা,,,,,,,,,, এর আবার কি হলো।
আলো,,,,,,,,, (কুত্তা) কিছু না মা, আসলে কষ্টে এমন করছে আমি চলে যাবো তো তাই।
মা,,,,,,,,, অদ্ভুত,,,,, আচ্ছা তুই বস,, আরেকটু পর জামাই আসবে।
আলো মনে মনে আল্লাহ আল্লাহ করছে,সব মেয়েরা আলোকে ঘিরে বসেছে, না ধরনের কথা বলছে, আলোর কানে এই সব কিছু যাচ্ছেই না।
অপরদিকে আয়ান সব ব্যাবস্থা করে, টেনশনে আর খুশিতে, এক বার এদিক যাচ্ছে আরেক বার ওদিক যাচ্ছে।
তারপর সবাই চিল্লা চিল্লি লাগিয়ে দিয়েছে, জামাই এসেছে জামাই এসেছে। আমি গেটের সামনেই দাঁড়িয়ে আছি। গাড়িটা ঠিক আমার সামনেই দাঁড়ায়। আবির বেরিয়ে আসে।
আবির,,,,,,,,, কি আয়ান কেমন লাগছে, আজ তোমার না না সরি আমার বউকে এখান থেকে নিয়ে যাবো।
আয়ান,,,,,,,,(শালা আজ তোর, না না আমার বউকে আমি নিয়ে যাবো আর তুই আঙুল চুষবি)
আবির,,,,,,, কি আয়ান কষ্টে মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না।
আয়ান,,,,,,,,,,, আমার খুশিতে ডান্স করতে ইচ্ছে করছে তাই কথা বলছি না।
আবির,,,,,,,, হঠাৎ এতো খুশি কেনো)
আয়ান,,,,,,,,,, (একটু পর জানবি কেনো) কেনোকে জিজ্ঞেস করো।( বলে চলে যায় )
আবির,,,,,,,,,, আহারে বিচারা কষ্টে পাগল হয়ে গেছে।
সবাই চলে আসে জামাই দেখতে।
,,,,,,
আলো,,,,,,,, হারামি কই গেলো, সবাই চলে গেছে এখনো আসছে না, নিজের মত পাল্টিয়ে নিলো নাকি। এমন হলে ওরে আমি ঝাড়ু দিয়া পিটাইয়া সোজা করমু পরে বিয়া করমু।
তখনি আয়ান ডাক দেয়, আলো দৌড়ে বেলকনিতে যায়৷
আলো,,,,,,,, কুত্তা এতো দেড়ি করলি কেন।
আয়ান,,,,,,,, পরে গালিদে, আগে নিচে নাম (মই দিয়ে)
আলো লেহেঙ্গা কোনো মতে পেঁচিয়ে টেচিয়ে মই দিয়ে নিচে নামছে, কিন্তু পা পিছলে যায় আলোর, আর নিচে পড়তে নেয় আর আয়ান ধরে ফেলে।
আয়ান,,,,,,,,, আমাদের বাসায়, আমার রুমে উঠার সময়তো পরছ না। (কোলে নিয়ে)
,,,,,,, তখন এতো ভাড়ি লেহেঙ্গাও পড়ি না। চল এবার।
,,,,,,হুমম চল (আলোকে কোলে নিয়ে যাওয়া শুরু করে)
,,,,,,, ও হিরো আগে আমাকে কোল থেকে নামা।
,,,,,,, ওও সরি,, তাই তো বলি আমার হাত এতো ভাড়ি কেনো লাগছে।
,,,,,,,,,, কুত্তা আমি ভারি,, তোর ঐ রিনা থেকে আমার ওজন কম হুহহ।
,,,,,, এই কথা নিয়ে আমরা পরে কথা বলবো, এখন চল (কোল থেকে নামিয়ে)
দুজনে দৌড়ে পালায়, তারপর লুকিয়ে বাইকে উঠে, এখান থেকে চলে যায়। মেইন রাস্তায় যাওয়ার পর।
আলো,,,,,,,,, কিরে আয়ান।
,,,,,হুমম
,,,,,,,,,রাস্তার সবাই আমাদের দিকে এমন অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে কেনো, আমরা বাইকে যাচ্ছি তাও সবাই ঘুরে ঘুরে দেখছে।
,,,,,,,, এমন ভাড়ি লাল লেহেঙ্গা পড়ে ভারি গহনা পড়ে বউ সেজে বাইকে গেলেতো মানুষ দেখবেই।
,,,,,,,, ওও এজন্য দেখছে,,, যাই হোক আমার কিন্তু মজা লাগতাছে, আমার স্বপ্ন ছিলো পালিয়ে বিয়ে করবো।
,,,,,,,কিহহ। এই সব ফালতু স্বপ্ন কে দেখে।
,,,,,,,,,,,,আমি দেখি।
,,,,,,যেমন তুই তেমন তোর স্বপ্ন।
,,,,,,,,,চুপ থাক।
,,,,,,,, আচ্ছা আমরা কোথায় যাবো এখন।
,,,,,,এটাও আবার তকে বলে দিতে হবে।
,,,,,,,,, আচ্ছা আমার খালাতো ভাইয়ের বাসায় যাবি।
,,,,,,,,,, এই তুই আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যা, আমি আবিরকেই বিয়ে করবো।
,,,,,,,,, মানে কেনো।
,,,,,,,,,,,, কুত্তা, আমরা পালিয়ে তোর খালার বাসায় যাবো যে কিনা আমার বিয়েতে এসেছে, হারামজাদা কাজি অফিস চল।
,,,,,,,,, কাজি অফিস গিয়ে কি করবো।
,,,,,,,, চা খাবো।
,,,,,,এ্যাঁ
,,,,,,, আরে বিয়ে করবো আর কি।
,,,,,,, সত্যি তুই আমাকে বিয়ে করবি।
,,,,,,,, না আমিতো শক মিটাতে তোর সাথে পালিয়ে এসেছি৷ আর এই রকম পাগল মার্কা কথা সাধারণত আমি বলি, তুই কবে থেকে এমন বলদ মার্কা কথা কস।
,,,,,,,,কি করবো, খুশি, কষ্ট, ভয় সব এক সাথে কাজ করছে তাই মাথা চলছে না।
,,,,,,,, আচ্ছা চল এখন কজি অফিস।
আলো আর আয়ান কাজি আফিসে পৌঁছায়, যে বিয়ে করায় সে অফিস বন্ধ করছে। আর আয়ান জোরে চিৎকার করে,,
আয়ান,,,,,,,,,,, দাঁড়ান একটু (জোরে)
কাজি ভয়ে লাফ দেয়।
,,,,,,,,,, কে কে কে (ভয়ে)
আলো,,,,,,,,, আস্তে বল দাদু হার্ট অ্যাটাক করবো।
আয়ান আর আলো কাছে যায় কাজির।
কাজি,,,,,,,, এভাবে কেও বলে,, কি হয়েছে।
আয়ান,,,,,,, সরি সরি,,,, আসলে আমরা বিয়ে করবো তাই আপনাকে বন্ধ করতে না করেছি।
কাজি,,,,,,,,,,,, ওও দেখে মনে হচ্ছে পালিয়ে এসেছো, এখন বিয়ে করাতে পারবো না, তুমি কাল এসো।
আলো,,,,,,,, কেনো এখন কি সমস্যা।
কাজি,,,,,,,,,, রাত ১১ টা বাঝে, কি সমস্যা মানে।
আয়ান,,,,,,,,,, আমাদের বিয়ে করা জরুরি, কে জানে ওর মত কখন পাল্টে যায়, আপনাকে অনেক টাকা দিবো।
কাজি,,,,,,,,,, না বাবা, তোমরা কাল এসো, বেশি দেড়ি হয়ে গেলে আমার বউ ঘরে ডুকতে দিবে না আমাকে৷
আয়ান,,,,,,,,,,, আরে দাদু আসো তো (বলে কাজিকে কোলে উঠিয়ে অফিসের ভিতরে নিয়ে যায়)
কাজি,,,,,,,,,,, আরে কি করছে কি, লেগে যাবে আমার।
আয়ান কাজিকে টেবিলের সামনে এনে নামায়।
আলো,,,,,,,,,, দাদু আমাদের বিয়ে করা জরুরি, পিল্জ বিয়েটা করিয়ে দাও। পিল্জ পিল্জ একটা বিয়েইতো, আজকের পর আর কখনো বলবো না।
আয়ান,,,,,,,,, দাদু তুমি বিয়ে করাও না হলে।
কাজি,,,,,,,,, না হলে কি হুমম।
আয়ান,,,,,,,,, কি আর আমরা এখানেই বসে থাকবো, একটুও নড়বো না।
কাজি,,,,,,,,,, কও জ্বালা, ঠিক আছে বসো।
কাজি সব কিছু রেডি করে, বিয়ে পড়ানোর জন্য প্রস্তুত।
কাজি,,,,,,,,, তোমাদের সাক্ষী কোথায়, সাক্ষী ছাড়া তো বিয়ে হবে না।
আয়ান,,,,,,,,, সাক্ষী তো নাই।
কাজি,,,,,,, সাক্ষী ছাড়া তো বিয়ে হবে না।
আয়ান,,,,,,,,, আরে আপনি আছেন না।
কাজি,,,,,,,, শুধু আমি দিলে তো হবে না, আরেক জন লাগবে।
আলো,,,,,,,,,,, শয়তান তুই একা একা বিয়ে করতে এসে গেছিস,,, এখন তো আমি আবিরকেই বিয়ে করবো, সর তুই (উঠে যেতে নিয়ে)
আয়ান,,,,,,,, এক হুমকি আর ভালো লাগছে না, দাড়া দেখি রাস্তা থেকে কাওকে পাওয়া যায় কি না।
আলো,,,,,,,,,,,, রাত ১১ টা বাজে।
তখনি একটি ছেলে আর মেয়ে আসে তাড়াহুড়ো করে।
ছেলে,,,,,,,,,, কাজি সাব আমরা বিয়ে করবো।
আয়ান,,,,,,,,,,, পালিয়ে এসেছো।
ছেলে,,,,,,,, হুমম
আলো,,,,,,,,,, আমরাও
মেয়ে,,,,,,,, দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনাদের।
আয়ান,,,,,,,,,,, বিয়ে করতে হলে সাক্ষী লাগে, আপনাদের সাক্ষী কোথায়।
ছেলে,,,,,,,,,,, সাক্ষী তো নাই।
আয়ান,,,,,,,,,, আমরা আছি কি করতে, আমরা হবো সাক্ষী।
ছেলে,,,,,,,,,, ধন্যবাদ ভাই, আপনার মতো মানুষ হয় না।
আয়ান,,,,,,,, শুধু একটা কাজ করতে হবে, আপনাদের ও আমাদের সাক্ষী হতে হবে।
ছেলে,,,,,,,,,,, ও এই কথা, আপনারাও সাক্ষী ছাড়া এসেছেন।
ওদের বিয়ে হয়ে যায়। কাজি অফিস থেকে বের হয়।
আলো,,,,,,,,,, লাস্ট মাস্ট বিয়েটা হয়ে গেলো, এখন কোথায়, যাবো।
আয়ান,,,,,,,,, কোথায় আবার বাসায় যাবো, বিয়ে তে হয়েই গেছে।
আলো,,,,,,,,, পাগল এখন বাসায় গেলে জুতার বারি দিবো৷
আয়ান,,,,,,,,,, সেটা যখন যাবো তখনি দিবো। চল এখন বাসায়।
,,,,,,,,, আরে এতো তাড়াতাড়ি না, একটা বাচ্চা হোক, তারপর বাচ্চা নিয়ে মা বাবার সামনে গেলে কিছু বলতে পারবে না।
,,,,,,,,,, ওই তুই মুভি কম দেখ। চল এখন।
,,,,,,,,, না এখন যাবো না, আরে পালিয়ে এসেছি একটু এর মজাটা নেয়, কাল সকালে যাবো।
,,,,,,,,,,,, আচ্ছা এতো রাতে কি আমরা চুরি করবো বসে বসে।
,,,,,,,,,,, বসে বসে চুরি করা যায় না,আয় কোথাও ঘুরতে যায়।
,,,,,,, রাতের বেলায়,,,, চুপচাপ চল
,,,,,,,,,, না না আমি আজকে যাবো না (বাচ্চাদের মতো করে)
,,,,,,,,,, অফফ ঠিক আছে, চল কোনো হোটেলে।
আয়ান আর আলো একটা হোটেলে যায় রুম বুক করতে।
আলো,,,,,,,,,, দুটো রুম হবে।
আয়ান,,,,,,,,,,, ও হ্যালো আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে সো আমরা এক রুমেই থাকবো।
আলো,,,,,,,,,, ও হ্যাঁ,,, আচ্ছা বিয়ে করলে কি এক রুমে থাকা জরুরি।
,,,,,,,,,, যা ভাই তুই যা ঐ আবিরকে গিয়ে বিয়ে কর।
,,,,,,,, দুরর এমন করছ কেন,,,,,, আচ্ছা সবাই আমাদের দিকে কেনো তাকিয়ে আছে।
,,,,,,, কারন আমরা পালিয়ে এসেছি।
,,,,,,, জ্বী না, কারন আজকে আমাকে অনেক সুন্দর লাগছে তাই।
,,,,,,,,,, হ্যাঁ তাই, এখন চল।
দুজনে হোটেল রুমে যায়, আলো রুমে ডুকে বিছানায় সোজা হয়ে শুয়ে পড়ে।
আলো,,,,,,,,,, অনেক হয়রান লাগছে।
আয়ান পাশে গিয়ে বসে। আর মুশকি মুশকি হাসতে থাকে।
,,,,,,এমন একা একা হাসছেন যে। (উঠে বসে)
,,,,,,,,, এখন আমার কি যে ভালো লাগছে বলে বুঝাতে পারবো না৷ এখন তোকে আমার কাজ থেকে কেও নিতে পারবে না। এখন মনে হচ্ছে তুই শুধু আমার আর সারা জীবন আমারি থাকবি।
,,,,,,,,,,, তুই আমাকে ভালোবাসিস।
,,,,,,,,,,, হেহহ এই মুহুর্তে এমন প্রশ্ন, তোকে ভালো না বাসলে কি তোকে বিয়ে করতাম তাও আবার পালিয়ে।
,,,,,,,,,, আমি মনে করেছি, সব সময় যেমন তুই আমার সব জেদ পূরণ করিস, এখনো তাই করছিস। কবে থেকে ভালোবাসিস আমাকে।
,,,,,,,,,, যে দিন থেকে ভালোবাসা মানে বুঝেছি তখন থেকে তোকে ভালোবাসি, তোর সাথে করা সব হাসি ঠাট্টা সব আমার ভালোবাসা ছিলো।
তোর এই পাগলামো, তোর এই মায়াবি চোখ সব কিছু আমাকে একটা মায়ায় বেঁধে রেখেছিলো, যেটা আমি চাইলেও ছাড়াতে পারবো না। তোকে ছাড়া বেঁচে থাকার মানেই হয় না।
,,,,,,,,,,,, তাহলে আমার বিয়ে তুই আবিরের সাথে কেনো হতে দিচ্ছিলি।
,,,,,,,,,,,, কারন তুই আবিরের সাথে থাকতে চেয়েছিলি, তোর মনে কি করে কষ্ট দিয় বল। অন্য কারো কারনে তোর চোখে পানি দেখতে পারি না আর আমার কারনে তোর চোখে পানি আসোক এটা আমি কিভাবে হতে দিয় ।
,,,,,,,,,, সরি, আমি এখন বুঝতে পারছি আমি তোকে কতো কষ্ট দিয়েছি।
,,,,,,,,,,, কিভাবে বুঝলি।
,,,,,,,,, কারন এমন কষ্ট আমিও কিছু দিন ধরে অনুভব করছি।
,,,,,,,,,কেনো।
,,,,,,,,,,,, তোকে ঐ রিনার সাথে দেখতে আমার একদম ভালো লাগে না। তুই শুধু আমার কথা শুনবি, তোকে শুধু আমি বোকা দিবো আর আমিই তোর উপর হুকুম চালাবো আর অন্য কেও না (কান্না করে)
আয়ান জোরে জোরে হেসে দেয়।
আয়ান,,,,,,,, জানিস, আমারো শুধু তোর কথা শুনতে ভালো লাগে, তোর হুকুম মানতে ভালো লাগে আর তোর বোকার মধ্যেও ভালোবাসা খুঁজে পাই। আর অন্য কাওকে ভালো লাগে না৷
,,,,,,,,,, ভালো তো আমি তোকে অনেক আগে থেকেই বাসি শুধু বুঝতে পারিনি।
,,,,,,,,,, হুমম অনেক তাড়াতাড়ি বুঝে আমার উপকার করেছিস, আল্লাহ বাঁচায়ছে যে তুই আরো লেইট হয়নি।
আলো,,,,,,,,,, শুন না, আমি গোসল করবো, এই ড্রেস পড়ে ঘুমাতে পারবো না।
আয়ান,,,,,,,, আমিও না, তুই এক কাজ কর, গোসল করতে ডুক আমি নিচে থেকে কিছু কিনে নিয়ে আসি।
,,,,,,, তাড়াতাড়ি নিয়ে আসবি ঠিক আছে।
আলো গোসল করতে ডুকে আর আয়ান নিচে ড্রেস কিনতে যায়।
বেশ কিছু ক্ষন পর আয়ান আলোর জন্য একটা থ্রি-পিজ নিয়ে আসে, আর ওর জন্য টি-শার্ট আর প্যান্ট।
আয়ান,,,,,,,,,, আলো দরজা একটু ফাঁকা কর আমি কাপড় দিচ্ছি।
,,,,,,,ঠিক আছে।
আলো দরজার ফাঁকা দিয়ে হাত বের করে আয়ান অন্য দিকে তাকিয়ে কাপড় দেয়।
আয়ান বিছানায় বসে আছে, তখন আলো বের হয়, চুল মুছতে মুছতে।
সাদা থ্রি পিজ আর ভিজা চুলে আলোকে অনেক সুন্দর লাগছে৷ ফর্সা গায়ে সাদা ড্রেস অনেক সুন্দর মানায়।
আয়ান বসা থেকে উঠে যায়, নেশা ভরা চোখে আলোর দিকে তাকিয়ে আছে। আলো আয়ানের দিকে তাকিয়ে তার চাওনি দেখে লজ্জা পেয়ে যায়।
আয়ান ধীরে ধীরে আলোর কাছে আসতে থাকে, আর আলো শ্বাস ভাড়ি হতে থাকে, হার্টবির্ড বেড়ে যায়। আয়ান আলোর কাছে এসে আলোর চোখের দিকে তাকায়।
আলোর চেহেরা লাল বর্ণ ধারন করে। আয়ান আলোর আরো কাছে গিয়ে তার হাত থেকে তোয়ালটা নেয় আর,,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,
ভালো লাগলে like, comment করে সাথে থাকুন ধন্যবাদ ❤।