বড় ভাইয়ের শালী যখন ক্রাশ লেখক :- Sojib Sen (পর্ব 6)

 

বড় ভাইয়ের শালী যখন ক্রাশ
লেখক :- Sojib Sen (পর্ব 6)

ভালোবাসি ।
আমাকে এমনভাবে
ফিরিয়ে দিও না প্লিজ
P..অই আপনার সাহস তো কম নয় । শুনেন এখন এখান থেকে চলে যান তা নাহলে কিন্তু আমি
লোক ডাকতে বাধ্য হবো..
S.আর কিছু না বলে চুপচাপ সেখান থেকে চলে আসলাম।
আমি পরপর ১৩ দিন প্রিয়াংকার কলেজে গিয়েছি..
আর প্রিয়াংকাকে প্রপোজ করেছি..কিন্তু প্রতিবার
আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে.
তাই আজ আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি.আজ প্রিয়াংকার মুখোমুখি হবোই..
আর যদি রাজি না হয় তবে জড়িয়ে ধরবো যা হবার তাই
হবে আমি এতো কিছু জানিনা শুধু এটুকু জানি প্রিয়াংকাকে
রাজি করাতেই হবে...
আমি আজ কলেজের সামনে একটু আগে থেকে এসেই
দাঁড়িয়ে আছি..
প্রিয়াংকা আসছে..কিন্তু প্রতিদিনের মতো আজকেও আমাকে দেখে সেখান থেকে চলে যেতে লাগলো...
তাই আমি দৌড়ে সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম..
P.কি ব্যাপার আপনি আমাদের পথ আটকালেন কেনো??
S.প্লিজ বুঝার চেষ্টা করো আমি সত্যি তোমাকে ভালোবাসি..
P.উফফ আপনার এই এক কথা শুনতে শুনতে আমার কান
পচে গেছে..আর আমার উত্তর দিতে দিতেও মুখ ব্যাথা
হয়ে গেছে..শুরুন আমাদের যেতে দিন...
S.আর যদি আমি না সরে দাড়াই তাহলে কি হবে??
P.ধাক্কা মেরে সরিয়ে নিবো..তাই বলছি পথ ছাড়ুন...
S.নাহ আমি ছড়বো না..
তারপর যেটা করলো সেটার জন্য আমি মোটেও
প্রস্তুত ছিলাম না প্রিয়াংকা ওর গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে
আমাকে ধাক্কা মারলো..আর আমিও ঝোক সামলাতে না
পেরে রাস্তায় পরে গেলাম..
পড়লাম তো পড়লাম এমন ভাবে পড়লাম হাতের জামা
ছিড়ে হাতের অনেকটা কেটে গেলো..আর পা একটু
বেকায়দায় পড়াতে মনে হয় মচকে গেছে...
আমি পড়ে গেছি হাত থেকে রক্ত পড়ছে..
তখন প্রিয়াংকার দুই বান্ধবী এসে আমাকে ধরলো..
একজন হাত চেপে ধরে আছে যেখান থেকে রক্ত বের
হচ্ছিলো..আর একজন আমাকে উঠিয়ে বসিয়েছে..
প্রথম বান্ধবীঃআরে তুই কি মানুষ একটা মানুষকে কেউ
এমন ভাবে ধাক্কা মারে..
দ্বিতীয় বান্ধবীঃআরে ওকে বলে লাভ নেই.ওর মন বলে
কিছু আসে নাকি।
একটা ছেলে এতোদিন ধরে
ভালোবাসার কথা বলছে আর ও
প্রথম বান্ধবীঃতবে প্রিয়াংকা শুন তুই আজকে যেটা করলি না সেটার পর তোকে আমার বান্ধবী ভাবতেও লজ্জা
লাগছে..
S. প্রিয়াংকা আমাদের দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো..
একদম নিরব হয়ে গেছে..
P.বিশ্বাস কর আমি ইচ্ছা করে এইসব করি নাই
দ্বিতীয় বান্ধবীঃইচ্ছা করে করেছিস নাকি অন্য কিছু
সেটা তো আমরা ভালো করেই বুঝতে পেরেছি...
প্রথম বান্ধবীঃআরে এখন এইসব না বলে আগে চল ওকে
ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই...
দ্বিতীয় বান্ধবীঃহ্যা ঠিক বলেছিস গাড়ি ডাক...
S.গাড়ি ডাকা হলো আমার হাত আর পা খুব ব্যাথা করছে..
আমরা গাড়িতে উঠলাম প্রিয়াংকা বাহিরে দাঁড়িয়ে ছিলো..
P.এই আমিও তোদের সাথে যাবো
প্রথমঃআরে শুন আমরা এখন সিনেমা দেখতে যাচ্ছি না
যে তোকে সাথে নিয়ে যাবো..
P.অমনভাবে কেনো বলছিস আমার জন্যই তো এতো
কিছু হলো 
S.ব্যাথায় ততক্ষনে আমি কান্না করে দিয়েছি...
দ্বিতীয়ঃআরে এখন আর কথা বলে লাভ নাই..দেখতে
পাচ্ছিস না ভাইয়া ব্যাথায় কেমন করছে..
S.আমি প্রিয়াংকার দিকে তাকিয়ে দেখি ওর চোখ ছল ছল করছিলো..
প্রথমঃহ্যা সেটাই চল আগে ওকে ডাক্তারের কাছে
নিয়ে যাই..
P.এই প্লিজ আমাকে তোরা সাথে নিয়ে চল না..
আমি তো তোদের বান্ধবী..
দ্বিতীয়ঃশুন এখানে আমাদের ফ্রেন্ডশিপের কোনো
কথা উঠাবি না..এখানে কথা হচ্ছে মানবতার যদি তোর
মনে নুন্যতম মানবতা থাকতো তাহলে তখন অমনভাবে
ধাক্কা মারতে পারতি না...
S.তারপর ওরা আর প্রিয়াংকাকে সাথে নিলো না...
ব্যাথায় আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি ডাক্তার দেখানোর পর
আমি তখনো ভালো করে হাটতে পারি না।।
ডাক্তারের কাছ থেকে আমরা বের হলাম...
বের হবার পর
তাদের সাথে কিছু কথা হলো।
রিমা:শুনুন ও আপনাকে ভালোবাসে না..তাই আপনার
উচিত ওকে ভুলে যাওয়া..
S.হুম...
রিমাঃআচ্ছা একা বাসায় যেতে পারবেন তো??ডাক্তার
তো বললো পা নাকি মচকে গেছে...
S.হ্যা পাড়বো..
তখন তাদের সাথে মাত্র একটু হেটেছি... পায়ের ব্যাথায়
আমি বসে পড়লাম
রিমাঃকি হলো আপনার বসে পড়লেন কেনো??
S.না মানে পায়ে খুব ব্যাথা করছে..
মেঘাঃরিমা তুই একটু ওকে বাসায় দিয়ে আয়..আমার না
এখন বাসায় ফিরতেই হবে..না হলে মা চিন্তা করবে.
রিমাঃআচ্ছা ঠিক আছে...
S.মেঘা চলে গেলো.আর রিমা আমাকে ধরে আছে।।।
আমার কেমন জানি লজ্জা লাগছে একটা মেয়ের কাছ
থেকে সাহায্য নিচ্ছি তার জন্য,,
বাসায় আসার পর কাওকে কিছু বললাম না শোজা রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম কিছুক্ষণ পর বৌদি এসে ডাকতে শুরু করলো...
V.সম্রাট তোমার ফোন বাজছে,ফোনটা ধর..
S.হুম ধরতেছি..হ্যালো
P.কিসের হ্যালো তাড়াতাড়ি ফেসবুকের ইনবক্স চেক কর..
S.কি মেয়ে রে বাবা প্রপোজ করলাম রাজি হলো না আর এখন চেদ দেখাচ্ছে।.(মনে মনে)
P.কি হলো কথা কানে যায় না।
S.কি আছে ফেসবুকে??
P.সেটা তুই ফেসবুকে গেলেই বুঝতে পাড়বি..
S.আমি কল কেটে দিলাম,,তারপর ফেসবুকে ধুকে ইনবক্স চেক করলাম..আরে প্রিয়াংকা আমাকে এই ছবি গুলো কেনো দিয়েছে..আর ছবি গুলো প্রিয়াংকা কখন তুললো?..
আমি আর রিমা রিক্সাতে যাচ্ছি তখন তোলা হয়েছে ছবি গুলো।। আমি আবার প্রিয়াংকাকে ফোন দিলাম...
S.অই আপনি আমাকে অই ছবি গুলো কেনো দিয়েছেন??
P.সেটা পরে বলছি আগে বল তুই হৃদয়কে চিনিস??
S.কোন হৃদয়ের কথা বলছো তুমি??
P.আরে আমাদের এলাকায় একটা গুন্ডা টাইপের ছেলে...
S.নাহ আমি চিনি না,
P.শুন, অই হৃদয় রিমাকে পছন্দ করে..আর যদি দেখে
তোরা এমনভাবে রিক্সাতে করে ঘুরে বেড়াচ্ছিস তাহলে
তো তোর ১২টা বাজিয়ে দিবো...
S.প্রিয়াংকার কথা শুনে কিছুটা ভয় পেলাম..কারন আমি হলাম
বাবা মার পিচ্চি ভদ্র ছেলে.....অই সব ঝামেলায় আমি জড়াতে চাই না...
আমি তখন নরম গলায় প্রিয়াংকাকে বললাম এই আপনি কি করতে চাচ্ছেন ছবি গুলো দিয়ে??
P.তেমন কিছুই না ছবি গুলো হৃদয়কে দিয়ে
দিবো..আর তোর ফ্যামিলিকে দেখিয়ে দিবো...
S.প্লিজ এমন করবেন না তাহলে অনেক বড় ঝামেলা
হয়ে যাবে..
P.আচ্ছা করবো না তবে একটা শর্ত আছে...
S.কি শর্ত বলুন আমি সব শর্ত মানতে রাজি আছি...
P.তাহলে আমাকে তুমি করে বলতে হবে.।
S..আমি মনে মনে ভাবছি আরে আমি তো এটাই
চাই,,প্রিয়াংকাকে সব সময় তুমি করে বলবো..
S.কিন্তু আপনি তো না করেছিলেন।।
P.আগে না করেছি এখন তোকে বলতে বলেছি..যদি
নিজের ভালো চাস তাহলে বলবি আর যদি চাস তুই নিজের ক্ষতি তাহলে তো আর কোনো কথাই থাকলো না..
.
.
চলবে
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post