বড় ভাইয়ের শালী যখন ক্রাশ লেখক :- Sojib Sen (শেষ পর্ব)

 

বড় ভাইয়ের শালী যখন ক্রাশ
লেখক :- Sojib Sen (শেষ পর্ব)

S..এটা বলেই প্রিয়াংকা আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আমি ও জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছি।
বেশ কিছু সময় এভাবে থাকার পর কখন যে ঘুমিয়ে গেছি কেউই জানিনা।
হঠাৎ চোখ মেলে দেখি মা দারিয়ে আছে রুমের সামনে এসে দেখে প্রিয়াংকা আমার বুকের ওপর জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে। মা তো অবাক হয়ে গেছে এমন কিছু দেখে। আজ মনে হয় আমার রক্ষা নেই। আস্তে করে আমার রুমে ঢুকে প্রিয়াংকা আর আমাকে ডাকতেই হুশ ফিরলো। মার সামনে এখন কি বলব কি করব কিছুই বুঝতে পারছিনা।
M..এসব কি হচ্ছে সম্রাট
S..মা বিশ্বাস করো আমরা এমন কিছু করিনি যার জন্য মানসম্মান নষ্ট হবে। আমি প্রিয়াংকাকে খুব ভালোবাসি ও রাতে এসেছিল কথা বলবে বলে তার পর ঘুমায় গেছি দুজনে।
মা আর কোন কথা না বলে প্রিয়াংকাকে নিয়ে গেলো,, আমি তো টেনশনে শেষ।
সকালে খাবার টেবিলে যেতেই বৌদি যেন কেমন কেমন করে তাকাচ্ছে। মাও মুখটা গোমড়া করে আছে। কিছুই ভালো লাগছে না। প্রিয়াংকাও চুপ করে আছে আমার দিকে তাকাচ্ছে না। মা কি যেন বলেছে হয়তো বকা দিছে। কোনরকম কিছু খেয়ে মা কে গিয়ে বললাম
S..মা তুমি রাগ করে থেকো না প্লিজ
হটাৎ প্রিয়াংকাও এলো মার রুমে মা কে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করলাম সাথে প্রিয়াংকাও শুরু করলো
M..আর কান্না করতে হবে,এবার দুজনে ওপরে ওঠে বস,কতদিন ধরে চলছে এইসব শুনি
S..না মা এইতো মা 
M..আচ্ছা বুঝতে পেরেছি,,আসলে আমি আগে থেকেই প্রিয়াংকাকে পছন্দ করতাম তাই তোর সাথে আগেই প্রিয়াংকার বাবার সাথে কথা বলে রেখে দিয়েছি,,কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছি তার আগেই বিয়েটা দিতে হবে।
S..মার কথা শুনেতো আমরা দুজনেই শর্ক খেলাম এখন অনেক হালকা লাগছে,,কী ভয়টাই না পেয়েছিলাম।
M..বুঝতে পেরেছি তোর ভাব সাব ভালো না কালকেই তোদের বিয়ে দিতে হবে।
S..দেও না করছে কে।
M..একটা থাপ্পর দিবো,,
শুন আজকে তুই প্রিয়াংকার দারের কাছে দেখতে পায় না তাহলে তোর বিয়ে ভেঙ্গে দিবো,,বুঝা গেছে।
S..এটা কি বললে মা।
P..মা ঠিক বলেছে তুমি এবার এখান থেকে যাও বলছি।
S..তখন আমার অবস্থা দেখে মা আর প্রিয়াংকা হাসাহাসি করতেছে,,আমিও দেখে নিবো এই বলে দিলাম। কিছুক্ষণ পর চুপিচুপি প্রিয়াংকার রুমে গেলাম..দেখি প্রিয়াংকা লিপস্টিক দিতেছে
P..এই তুমি এখানে কী কর যাও তোমার রুমে।
S.কিছু বললাম না সোজা প্রিয়াংকার ঠোট জোড়াতে হালকা করে লিপস্টিক দিয়ে দিলাম। এখন সুন্দর লাগছে। প্রিয়াংকাকে নিয়ে গেলাম আয়নার সামনে।
P..কি করছো এগুলো এখনি মাকে ডাকদিবো কিন্তু
S..ও মা তাই বুঝি
P..হুমম
S..মার ভয়ে চলে আসলাম প্রিয়াংকার রুম থেকে।
আজকে আমাদের বিয়ে…..
সকাল থেকে কিছু আত্মীয় স্বজন আসতে শুরু করলো। দুপুর হয়ে গেলো কিন্ত সকাল থেকে একবার ও প্রিয়াংকাকে দেখলাম না মনটা কেমন কেমন করছে। একটু দেখব বলে প্রিয়াংকার রুমের সামনে এলাম। জানালা দরজা সব আটকানো,, দেখব কি করে এখন। দরজায় টোকা দিচ্ছি সাড়াশব্দ নেই। হটাৎ বৌদি বললো
V..কে দরজায় টোকা দেয়
S..আমি আর কে
V..কি চাই তোমার
S..দরজাটা খুলো কাজ আছে
V..এখন খোলা যাবে না, একবারে রাতে
S..প্রিয়াংকাকে একটু দেখব তো
V..বললাম তো হবে না এখন। বাসর ঘরে রেখে আসব তখন মন ভরে দেখো।
S..করব না বিয়ে তোমার বোনকে গেলাম আমি।
V..আচ্ছা যাও যাও
S..প্রিয়াংকার মিষ্টি হাসিটা কানে ভেসে এলো,, তাতেই মনটা শান্তি পেলো একটু।
মা আর ভাইয়া আমার রুমে এসে আমাকে পাঞ্জাবি দিয়ে বললো পরতে। তারপর ভাইয়াই আমাকে রেডি করলো। সন্ধ্যার পর সবকিছু ঠিকঠাক। বিয়েটাও পড়ানো হয়ে গেলো। সবাই আমাদের আর্শিবাদ করলো মন ভরে। সারাদিন বিয়ের টেনশনে কিছু খেতে পারিনি। বেশ ক্ষুধা লেগেছে। মাকে বললাম কিছু খাবার দিতে। মুখের ওপর সোজা বলে দিলো বউকে বলতে। কেমন ডা লাগে?? নতুন বউকে কি করে বলি এখন?? সব চিন্তা বাদ দিয়ে নিজেই খাবার নিয়ে বসে পড়লাম। এ ঘটনা দেখে সবাই হাসতে শুরু করলো। যাগ গে তাতে আমার কি??
সবাই কেমন জানি ইয়ার্কি শুরু করলো। বাসর ঘরে যাবার জন্য মনটা কেমন আকুপাকু করছে। বউটা একা একা আছে মনে হয়। সবার আর্শিবাদ আর ভাই বৌদির শয়তানি হাসিটা দেখে অবশেষে গেলাম বাসর ঘরে। আহা বউটা ঘোমটা দিয়ে বসে থাকবে এমনটাই আশা ছিল। কিন্তু একি? কোথায় ঘোমটা? বউ আমার শাড়ি খুলে প্লাজু আর টিশার্ট পরে বিছানায় পায়ের ওপর পা তুলে মোবাইলে গেমস খেলছে। আজিব আমি কি স্বপ্ন দেখছি নাকি অন্য কোন গ্রহে এলাম কিছুই মাথায় ঢুকছে না। কনফিউশান টা ভিতরে নিয়ে বিছানায় গিয়ে বসে প্রিয়াংকার দিকে তাকিয়ে আছি।
P..ওহ এসেছো তাহলে
S..হুমম কিন্তু
P..কিসের কিন্তু আবার
S..তোমার শাড়ি কই আর এসব কি পরছো বাসর রাতে
P..কেন শাড়ি পরেই বাসর করতে হবে এমন কোন কথা আছে নাকি,, গরম লাগে,, শরীরে চুলকায় ওই শাড়ি পরলে তাই ওসব খুলে এটা পরেছি। কোন সমস্যা তোমার বর মশাই
S..এমনটা কোথাও শুনিনিতো আগে তাই আরকি। তবু ভালো তোমার যেটা মন চাইলো।
P..হুমম ওই শাড়িটা বাদে বাসর রাতের বাকি সবই একই আছে।
S..আচ্ছা বুঝলাম,,, এই কথা ভুলেও আর কাউকে কখনো কাওকে বলবা না। শুনে সবাই হাসবে কিন্তু
P..হুমম বলবো না বর মশাই
S..এখন তো আর লুকিয়ে লুকিয়ে তোমাকে দেখতে আসতে হবে না কি বলো
P..আমার মনে হয় ওটাই ভালো ছিল। অন্য রকম একটা ভালোবাসা কাজ করতো তবুও এখন আমি তোমার একমাত্র বউ তাই আমি এখন থেকে যেভাবে বলব ওভাবেই হবে।
S..তা কি করতে হবে শুনি
P..তেমন কিছু না শুধু কোন মেয়ের দিকে নজর দিবা না তোমার বুকে শুধু আমাকে রাখবে আর প্রচুর ভালোবাসা দিবে।
S..ওহ ওকে সেটা তো দিব আর আদরটা 
P..মন চাইলে দিও 
S..ও এই কথাটা বলতেই আমি প্রিয়াংকাকে বিছানার ওপরে ফেলে আমি ওর ঠোটে গলাই কিস করতে লাগলাম প্রিয়াংকাও আমার সাথে সাই দিতে লাগলো তারপরে প্রিয়াংকার নাভিতে চুমা দেওয়ার সাথে সাথে প্রিয়াংকা পাগলের মতো আমাকে জরিয়ে ধরলো ,, তারপর প্রিয়াংকা আমার ট্রিশার্ট খুলে আমার বুকে ঠোটে গলাই সব জাইগায় পাগলের মতো চুমা দিতে লাগলো আমিও................ প্রিয়াংকার সাথে মিশে গেলাম অজানা এক সুখের উদ্দেশে .. অনেক শুনেছেন আর না ..

কেমন হলো জানাতে ভুলবেন না আর পরবর্তী গল্পের জন্য অপেক্ষা করুন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন?
খোদা হাফেজ .............>>>
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post