-----------> ৩য় পর্ব <-----------
লেখক:- Neel Fardin
রোজা দরজায় দারিয়ে আছে,
আমি:- টুনটুনি তোমার কিচ্ছু হবে না আমি আছি না,আমি একটু আসছি(ইশারা করে)
তারা:- নিল একটু তারাতারি আসবে কেমন আর তো এভাবে পাবো না তোমায়।
আমি:- জরিয়ে দরে ওকে একটা চুমু দিলাম,
"রুম থেকে বের হবার সময় রোজা আমার হাত দরে বলে"
রোজা:- সরি নিল আমি যেটা করেছি ঠিক করিনি,আমাকে মাপ করে দাও,,তোমাকে ১ মাস ধরে খুজছিলাম,তোমার আইডিতে ও মেসেজ দিসিলাম কিন্তু পাইনি,
(আমি আগের আইডি টা অফ করে দিসিলাম)
রোজা:- আমি তোমাকে ভালবাসি নিল,প্লীজ ফিরে আসো(কেদে কেদে)
রোজা:- কি হলো কিছু বলছো না যে,
আমি:- হাত তালি দিতে থাকলাম আর হাসতে থাকলাম,আর বললাম তারা আমার জান,আমার কলিজা (হাত দিয়ে ইশারা করে)
আমি:- আমার জীবনের বিনিময়ে হলেও ওকে বাচতে হবে,সরি মাপ চাই(দুই হাত তুলে মাপ চাওয়ার ইশারা করলাম,আশা করি বুজে গেছে)
৩ দিন পর,
আমি আর টুনটুনি(তারা)পাশা পাশি এক বেডে শুয়ে আছি,
আমার টুনটুনি পুরোপুরি সুস্থ আছে,
কি হলো বুজলেন নাতো ডাক্তার কে বলে আমার একটা কিডনি তারা কে দিলাম,যাতে আমরা দুইজনই বাচি,আমার তারাই যদি এই পৃথিবীতে না থাকে তাহলে আমি কিভাবে বাচবো বলুন।
তারা:-
প্রায় ২০ মিনিট দরে আমাকে জরিয়ে ধরে আছে,ছাড়তে চেষ্টা করতে করতে আমি বর্থ্য
আমি ছাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে আরও জোরে চেপে দরে,কি করি মেয়েটাকে নিয়ে বলুন,
তারা:- নিল তুমি খুব খারাপ কাজ করছো,
আমি:- কি খারাপ কাজ(ইশারাতে)
তারা:- তোমার একটা কিডনি দিয়ে দিলে আমাকে,এখন যদি তোমার কোনো প্রবলেম হয় বলো,আমি তো মরেই যাবো,
"মরার কথা বলাতে সাথে সাথে হাত দিয়ে মুখে চেপে দরলাম"
এর পাকে দেখলাম রুমের দরজার কাছে রোজা দাড়িয়ে দাড়িয়ে কাদছে,
ভাল লাগছে না একদম,আমি তারা কে ভালবাসি খুব,
১ মাস পর আমরা দুইজনই সুস্থ,
আমরা দুইজন গুরতে আসলাম নদীর ধারে
দুইজন দুই দিকে পিঠ লাগিয়ে বসে ফেসবুক মেসেন্জারে একজন আরেকজনের সাথে কথা বলছি,
তারা:- নিল জানো আমার ছোট বাচ্ছা খুব পছন্দ!(মেসেজে)
আমি:-ও তাই,এখন আমার তো সেই সামর্থ্য নাই যে তোমাকে একটা বাচ্চা গিপ্ট করার!(মেসেজে)
তারা:- তুমি একটু বেশি বুজো পাগল!
আমি:- চলো আমরা বিয়ে করে ফেলি??
তারা:- আজই বিয়ে?
আমি:- কেন তুমি ভয় পাচ্ছো নাকি?ভিতু নাকি তুমি?
তারা:- আরে না আমি কেন ভয় পাবো!তোমার মতো এতো বড় একটা গাধা পালতেছি এতো দিন ধরে,তখন ভয় হয়নাই তো বিয়ের কথা শুনে কেন ভয় পাবো বলো!
"আমি তো রেগে মেগে শেষ"
আমি:-দিলাম কান মলে আমি গাধা তাই না,আমি গাধা হলে তুমি একটা গাধী(ইশারাতে)
writer 👉 (Neel Fardin)
এভাবে চলছিলো আমাদের দিন,
রোজা প্রায় আমাকে দেখতে আসতো বাসায়,
আম্মু বলতো যে রোজা নামে একটা মেয়ে আসতো,প্রায় সময় আমার পিছু নিতো আমি কি করি কোথায় যায়,রোজা কি করতে চাইতেছে আমি বুজতাছি না,
প্রায় আমার পথ আটকে দাড়িয়ে আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করতো,
তারা কিন্তু জানতো না যে রোজা আমাকে ভালবাসে,
না রোজাকে আর এগোতে দেওয়া যাবে না
এর একটা শেষ দেখতে চাই,
কয়েকদিন পর
হঠাত তারা দেখা করতে বলে,তাই পার্কে গেলাম দেখা করতে,
তারা:- নিল তুমি আমার আপুকে আগে ভালবাসতে??
আমি:- (নিচের দিকে তাকিয়ে চুপ করে আছি)
তারা:-কি হলো জবাব দিচ্ছো না কেন?
আমি:-(মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললাম)
তারা:-তাহলে কিভাবে পারলে তুমি আমার সাথে ছলনা করতে!
আমি:- কিছু বলতে যাবো(তখনই রোজা দেখি দুর থেকে হাসতেছে,
তারা:-আমার আপুর কি দোষ ছিলো যে ওকে তুমি এতো কষ্ট দিলা,আবার আমার সাথে ও প্রেমের অভিনয় করেছো আপুকে কষ্ট দেয়ার জন্য ছি নিল ছি(কেদে কেদে)
আমি:- তারা তুমি প্লীজ শান্ত হও?(হাত দিয়ে ইশারা করে)
তারা:-না শান্ত হবো না চুপ একদম চুপ,রোজা আপু এই দিকে আসো,
আমি:-(আমি তারার হাত ধরে ইশারা করতে লাগলাম) তুমি ভুল ভাবছো।
তারা:- (হাত ঝকরা দিয়ে)আমার সব কিছু বোঝা হয়ে গেছে,(কাদতেছে)
"রোজা আমার নামে বাজে কথা বলছে আমার মনে হয়,
রোজা:- জানিস তারা নিল আমাকে ইউজ করে অনেক টাকা পয়সা নিসিলো,
যখন আমি টাকা দিতে মানা করলাম তখন আমার সাথে ব্রেকআপ করে।
( What কি বলছে রোজা এসব,আমি খুব অবাক হয়েছি,চোখের কোণে পানি এসে গেলো)
রোজা:-আর আমার এক পরিচিত একজনের সাথে ও এমন টা করছে,এই যে আপনি এদিকে আসেন নিল এর সম্পর্কে যা জানেন বলেন,
একটা মেয়ে আসলো আমি তো এই মেয়েকে চিনি না!
মেয়েটা:- নিল তুমি কিভাবে পারলা বলো আমাদের মতো সহজ সরল মেয়েদের ঠকালে,ছি নিল আমার মনটা নিয়ে খেললা(হুদাই কাদতে লাগলো)
"আমি তো রোবট এর মতো দাড়িয়ে আছি"
আমার দুনিয়াটা উল্টা পাল্টা হয়ে গেছে,
আর তারা শুধু কেদেই যাচ্ছে,
রোজা:-জানিস তারা নিল যে বলছে তোকে নাকি কিডনি দিয়ে তোর প্রান বাছাইছে,এটা ও সব ওর সাজানো নাটক,ডাক্তার সাহেব কে ও এনেছি দারা।
রোজা:- ডাক্তার সাহেব এদিকে আসেন, বলেন এর বেপারে কি জানেন?
ডাক্তার:- যখন তোমার কিডনি দুটো ডেমেজ হয়ে যায়,তখন আমরা একটা কিডনী পেয়ে যায়,তখন ছেলেটা আমাকে ৫হাজার টাকা দিয়ে বলতে বলে এটা তার কিডনি এই কথা বলতে,তাই আমি মিথ্যা বলছিলাম,
তারা:- নিল আর কি বলতে চাও,
আমি:- তারা শুনো সব মিথ্যা বিশ্বাস করো।
(হঠাত তারা এসে আমাকে একটা থাপ্পড় দিলো,সবার সামনে)
রোজা:- (একটু হাসি দিলো)
তারা :- শুধু কেদেই যাচ্ছে,
আমি:- প্লীজ তারা কেদো না।এরা সবাই মিথ্যাবাদী(হাত দিয়ে ইশারা করে)
তারা:- চুপ কর শয়তান,তুই আর কখনও আমার চোখের সামনে আসবি না বলেদিলাম,
রোজা:- নিল তুমি যেহেতু আমার হবে না তাই তোমাকে কারও হতে দেবো না,(মনে মনে)
২ দিন পর
বাবা তুই না খেয়ে আজ ২ দিন একটু কিছু মুখে দে নাহলে তো তুই মরে যাবি বাবা,
দুনিয়াতে কারও জন্য কিছু করতে নেই বাবা,
তোকে তো বাচতে হবে(আম্মা)
আমার একটায় কষ্ট আমার টুনটুনি আমাকে একটু বুজার চেষ্টা করলো না,
থাপ্পড় ও দিসে
আমি:- আম্মা এই শহরে আমি আর থাকতে চাইনা,(হাত দিয়ে ইশারা)
আম্মা:- কোথায় যাবি বাবা?
আমি:- আম্মা আমি তো Hsc পাশ আমি BSC করবো(ইশারা)
আম্মা:- ঢাকাতে তোর মামা আছে সেখানে যাবি?
আমি:- আম্মা তুমি ব্যবস্থা করো?
এইদিকে তারা ও কিছু খাওয়া দাওয়া করছে না,
শুধু নিল এর কথা ভাবছে,
নিল কেন তার সাথে এমনটা করলো?
নিল আমাকে ছাড়া চলবে কি করে ওতো আরও কথা ও বলতে পারে না,
ওর কথা গুলা একমাত্র আমিই বুজি।
না নিল তো একটা বেইমান আমি কেন ওর কথা ভাব্বো,(তারা শুধু নিজেকে ধিক্কার দিতে লাগলো কেন একটা বেইমান কে ভালবাসলো,কথা বলতে পারে না দেখে ওকে খুব ভাল ভাবছিলাম,কিন্তু আসল রুপ দেখাই দিসে নিল,
রোজা :-নিল তুমি একমাত্র আমার,তোমাকে খুব ভালবাসি,বিশ্বাস করো এই নাটক টা না করা ছাড়া আমার আর কিছু করার ছিলো না,(মনে মনে বলতে লাগলো)
এই শহর টা শুধু কষ্টই দিলো আমাকে,আমার ভালবাসা কেড়ে নিলো,নিয়তির কি পরিহাস যার জন্য আমি এতো কিছু করলাম সে কিনা আমাকে ভুল বুজলো,একবুক কষ্ট নিয়ে গন্তব্যহীন শহরের প্রতিটা রাস্তায় কেন গুরে বেড়ায় সেটা আমার অজানা 😩😩😩
[-Hello guys এই গল্পটা শেষ হওয়ার পর আসছে নতুন একটা গল্প নাম
"""******* Unlucky Girl *******"""
এক পর্বের গল্পটা পড়ার আমন্ত্রণ রইলো-]
১ মাস হয়ে গেলো
রেস্টুরেন্টে Job টা করছিলাম,তারা কে ভুলতে পারছিনা,তাই মনোযোগ কাজে দিলাম,
খুব কষ্ট হয়,
তারা আমার একটু খবর ও নিলো না,
তারার সাথে দেখা করতে খুব মন চাচ্ছে,
তাই একটা মেসেজ দিলাম-
আমি- আজ কি একটু শেষ বারের মতো দেখা করতে পারবা?
তারা:-(২ ঘন্টা পর)পার্কের আসো বিকাল ৫ টায়,
আমি:- ওকে(মেসেজে)
আমি দাড়িয়ে আছি তারার অপেক্ষায়,
আমি:- তারা কেমন আছও(হাত দিয়ে ইশারা করে)
তারা:- (একটু হাসছে)আমি ভালই আছি,
[কেমন যেনো লাগলো তারাকে]
আমি:-পাশে ভাইটা কে তারা?(ইশারা করে)
তারা:-এই সে ছেলে যে আমাকে একটা কিডনি দান করেছিলো!এবং ও আমাকে ভালবাসে আমিও ওকে ভালবাসি বুজছো নিল!আমি চাই আমাকে আর ডিস্টাব করো না,
(খুব অবাক লাগলো সাথে সাথে চোখটা ভিজে গেলো তাই অন্য দিকে তাকিয়ে চোখ মুছে নিলাম,তারা দেখলে ভাববে আমি ছলনা করছি,কিডনি আমি দিলাম কিন্তু কেডিড অন্য জনের নিলো,রোজা তুমি আমার জীবন নিয়ে ভালই খেলছো)
আমি:- দুইজনকে বেশ মানিয়েছে(হাত দিয়ে ইশারা করে)
তারা:-(প্রতিশোধের হাসি দিলো)
(রাস্তায় আনমনে হাটছি আর ভাবছি তারা তুমি একদিন বুজতে পারবে যে তুমি কতোটা ভুল করেছো তখন হয়তো খুব দেরি হয়ে যাবে শত খোজা খুজির পর ও পাবে না,পরিস্থিতির শিকার আমি তাই এমন টা হচ্ছে আমার সাথে,আল্লাহর উপর আস্থা রাখলাম একদিন না একদিন সব ঠিক হবে)
রেস্টুরেন্ট এ কাজ করছিলাম
এই ওয়েটার(কেউ ডাকদিলো)
দেখি তারা!
আমি:- (যাবো নাকি না যাবো ভাবছি,সব স্টাপরা যেহেতু ব্যস্ত তাই আমি গেলাম)
তারা:-তুই দেখি এই রেস্টুরেন্টে কাজ করোস(হাহাহা)
[তুই কথা টা কলিজায় লাগলো]
আমি:- মেডাম কি কি লাগবে বলুন?(হাত দিয়ে ইশারা করে)(বুকে চাপা কষ্ট নিয়ে)
তারা:- তারপর অর্ডার দিলো,
(সব খাওয়ার টেবিলে রাখছিলাম হঠাত তারা গায়ে একটু পানি পরে গেলো)
ঠাসসসসস এই জানোয়ার বোবা বাচ্চা বোবা কি করলি এটা,দিলিতো আমার কাপড় নষ্ট করে!(রেস্টুরেন্ট এ সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে)(দৌড়ে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে)
আমি:- সরি মেম,সরি (হাত জোর করে ক্ষমা চাইলাম)
(তারাতারি রেস্টুরেন্টের ওয়াশ রুমে গেলাম নাহলে আমার কান্না সবাই দেখে যেতো)
আমি:- (চোখের জল পড়তে লাগলো শুধু)আমি কি দোষ করছিলাম তারা, যার কারণে প্রতিটা পদে পদে আমি অপমানিতো হচ্ছি,
প্রায় ১ ঘন্টা কাঁদতে কাঁদতে আমি ওয়াশ রুমের ফ্লোড়ে ঘুমিয়ে গেলাম,একজন স্টাপ আমাকে উঠাই,
রেস্টুরেন্টে ডিউটি শেষ আমার
রাস্তায় হাটতেছি হঠাত রোজা সামনে এসে জয়ের হাসি দিলো,
রোজা:- এখন তুমি আমার হয়ে যাও,তোমার কাছে আর কোনো পথ খোলা নেই।
আমি:-২ দিন সময় চাই (একটু হাসি দিয়ে কারণ আমি তো এ শহর ছেড়ে চলেই যাবো)
[ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে ফুল ফেমেলীকে নিয়ে চললাম অজানা শহরে,তারার সব কথা মনে পড়তে লাগলো,
ট্রেন ছুটে চলছে আর তারার থেকে ও দুরে চলে যাচ্ছি,তারার ফটো টা দেখছিলাম]
আম্মা:- একদম কাদবি না বাবা!আমি তোকে একটা পরি এনে দিবো দেখিস,যে তোর বিপদ আপদে যে পাশে থাকবে,
আমি:-আমি একদিন খুব বড় হবো,বড় গাড়ি সব হবে আমার(মনে মনে বললাম)
**ট্রেন থেকে নেমে নতুন গন্তব্যে দিকে ছুটলাম**