#ছোট_ভাইয়ের_মেডাম_যখন_বউ🌷🥀
#লেখকঃ𝕆𝕞𝕒𝕣_𝔽𝕒𝕣𝕦𝕜_𝔽𝕒𝕙𝕚𝕞_𝕊𝕙𝕖𝕚𝕜𝕙
#পর্ব-৯
সকালে,,,,
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম,,নাস্তা করে ল্যাবরেটরিতে চলে গেলাম।।
যাওয়ার পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভিডিও কনফারেন্স এ আমাদের অভিনন্দন জানালেন।।আর বললেন-
প্রেসিডেন্ট- মি. ফাহিম।।আপনার টিম মিলে যে নতুন আবিষ্কারটা করেছে সেটা সফল হোক।।সেটার আপনাদের আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি।।
আর কালকে আমি একটা চুক্তিপত্র পাঠাব যেটাতে লেখা আছে যে আপনি এই প্রোজেক্টটা আমাদের দেশের পাশাপাশি নিজের দেশেও ব্যবহার করতে পারবেন।।(বাংলাতেই বললাম)
আমি- ধন্যবাদ স্যার,,আপনার থেকে কথাটা শুনে খুবই খুশি হলাম।।আপনি আমাদের দেশের জন্য ভাবেছেন সে জন্য আমরা আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।।
তারপর ওনার সাথে কথা শেষ করে প্রোজেক্টের ফাইনাল টেস্ট করলাম এবং সফল হলাম।।তারপর সেটা নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।।
গিয়ে দেখি তিনি প্রেস মিটিং এর আয়োজন করেছেন।।তাই আমি সেখানে না গিয়ে সিয়ামকে আর আমাদের ওখান থেকে আমেরিকান এক ফ্রেন্ডকে পাঠাই।।
তারা গিয়ে প্রেসিডেন্ট এর সাথে প্রেস মিটিং এ এটেন্ড করে।।সেখানে কনফারেন্স কলে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন।।
তখন প্রেসিডেন্ট এরসামনে প্রোজেক্টের প্রেজেন্টেশন করে।।দেখাল সিয়াম তখনই বাদল একবিপদ।।
প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী আমাকে খোজা শুরু করে দিল।।
তখন সিয়াম আমাকে বলতে এলো আমি তাকে বলে দিলাম।যে প্রেসিডেন্টকে বুঝিয়ে বলতে যে আমি প্রেসমিট শেষে ওনার সাথে দেখা করব।।
কারণ- আমার এতো পাবলিসিটির দরকার নাই।।
আমি সবসময় সাধারণভাবে চলাফেরা করতে চাই।।
তারপর প্রেসমিট শেষে আমরা সবাই গিয়ে ওনার সাথে দেখা করলাম।।
ওনি খুবই রাগ করলেন যে আমি কেনো মিটিং এ ওনার সাথে আসি নি কেনো??আমি অনেক বুঝিয়ে বললাম তাও ইনি কিছুতেই কিছু মানতে রাজি না।।
শেষ পর্যন্ত রাজী হলো তাও ওনার বাসায় আজকে রাতে ডিনার করলে।।তখন আমি বললাম-
আমি- আসলে স্যার আমি চাইছিলাম আজকেই দেশে ফিরে যেতে।।তাই আপনার সাথে ডিনারে এটেন্ড করতে পারব না।।
প্রেসিডেন্ট- সমস্যা নাই তাহলে আজকে লাঞ্চ করবে আমার সাথে,এরপরে আর কোনো কথা বলব না।।আর ফ্লাইট নিয়ে তোমাদের চিন্তা করতে করতে হবে না।।আমাদের দেশের এয়ারফোর্স গিয়ে তোমাকে দিয়ে আসবে।।
কি আর কারার বাধ্য হয়ে রাজি হয়ে গেলাম।।
তারপর ওনার থেকে বিদায় নিয়ে +সবাইকে বিদায় দিয়ে বাসায় চলে এলাম।।বাসায় এসে পার্লারে চলে গেলাম চুল,দাড়ি ছোট করার জন্য নাহলে মানুষ দেখলে পাগল বলবে।।পার্লার থেকে এসে গোসল সেড়ে রেডি হয়ে নিলাম।।তারপর ফোন অন করলাম।।
অন করে দেখি বাসা থেকে যতগুলা কল আসে নি,,ওই মেয়ে তার থেকে বেশি কল দিয়েছে +মেসেজ দিয়েছে।।আসল লেখকের লেখা সবার আগে পড়তে #অসমাপ্ত_কাব্য_লেখক পেজে লাইক বা ফলো করুন।।দেখতে দেখতে বাবা কল দিল।।আমিও কল রিসিভ করলাম,,
আমি- আসসালামু আলাইকুম বাবা,,কেমন আছো??আর বাসার সবাই কেমন আছে??
বাবা- ওয়ালাইকুম সালাম,,আলহামদুলিল্লাহ্ আমি ভালো আছি আর বাসার সবাইও ভালো আছে।।এইমাত্র নিউজে দেখলাম Congress আমি জানতাম তোরা পারবি।।
আমি- ধন্যবাদ।। কিন্তু এখন কয়টা বাজে,,(কিছুটা রাগীস্বরে)
বাবা- এইতো রাত ১টা বাজে।।
আমি- এতো রাত পর্যন্ত জেগে আছো কেন??মনে তো হচ্ছে প্রতিদিনই অনেক রাত পর্যন্ত জাগনা থাকো???
বাবা- এই না না,,প্রতিদিন না।।এই সপ্তাহখানেক ধরে।।কারণ- তুই ত বলেছলি যে ৬মাস পর তো এক্সপেরিমেন্ট শেষ হবে।।
তাই প্রতিদিন রাতে খবর দেখার জন্য জেগে থাকতাম।। যে কবে নিউজে বলবে আমার ছেলেটার কাজ শেষ হবে,, আর কবে আমার ছেলেটা দেশে ফিরবে।।তা বাবা দেশে কবে ফিরবি??
আমি- এটা সারপ্রাইজ যে দেশে কবে ফিরব।।এখন গিয়ে চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়।।
বয়সতো কম হলো না বুঝ না কেন যে রাত জাগলে শরীর খারাপ হবে।।
আর ঔষধ ঠিকমতো খাচ্ছো তো??
বাবা- আচ্ছা ঠিক আছে মনে থাকবে।।ঔষধ না খেলে কি আমার রহ্মা আছে নাকি।।
আমি- তোমার সাথে এমনই হওয়া উচিত।।ওকে বায় পরে কথা বলব,, তুমি ঘুমাও।।
এখন আবার প্রেসিডেন্ট এর সাথে লাঞ্চ করতে যেতে হবে।।
বাবা- আচ্ছা বাবা যা,, আর শুন সাবধানে থাকবি।।
আমি আচ্ছা বলে কল কেটে দিলাম।।হঠাৎ গাড়ির হর্নের শব্দ শুনতে পেলাম।।
বের হয়ে দেখি আমাদের নিতে গাড়ী পাঠিয়ে দিয়েছে।।তারপর আমরা গিয়ে গাড়িতে উঠে বসলাম।।
গাড়ী চলল তার আপন গতিতে,, কিছুহ্মণ পর আমরা প্রেসিডেন্ট এর বাংলোয় পৌঁছে গেলান।।সেখানে আমাদের ফুলের তোড়া দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হলো।।
তারপর সবাই একসাথে লাঞ্চ করে নিলাম।।
(অহহ আপনাদের তো বলাই হয় নি আমরা ১০জন মিলে টিম করে করে কাজ করেছিলাম প্রোজেক্টটাতে।।)
তারপর প্রেসিডেন্ট জানতে চাইলেন -
প্রেসিডেন্ট- তা ফাহিম,,সবাই তো বিয়ে করে ফেললো এখনের।।
শুধু তুমি ছাড়া,,তা বিয়ে করার কি কোনো প্ল্যান নাই নাকি।।
আমি- সবে মাত্র তো নিজের কাজে জয়েন করলাম।।তা ভাবছি এইবার দেশে গিয়েই বিয়ে করে নিব।।আর আপনাকে কিন্তু আসতেই হবে।।
প্রেসিডেন্ট- তুমি ত জানই যে আমি একটা দেশের প্রেসিডেন্ট।।আমার একটুও সময় নাই।।আজকে অনেক কষ্ট করে সময় বের করে নিলাম তোমাদের সাথে লাঞ্চ করার জন্য।।
তবুও আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব।।
আমি- আরেকটা কথা একা গেলে হবে না কিন্তু পরিবারের সবাইকে নিয়ে যেতে হবে।।
প্রেসিডেন্ট- আচ্ছা ঠিক আছে,, এখন আমাকে উঠতে হবে বিকেলে আবার হোয়াইট হাউজে মিটিং আছে।। তা তোমরা কখন যাবে??
আমি- এখান থেকে গিয়ে কিছু শপিং করব।।রাতে দেখি ৮টার কোনো ফ্লাইটে যাব।।
প্রেসিডেন্ট -তা হচ্ছে না আমি যেটা বলেছি সেটাই হবে এয়ারপোর্ট এ তোমাদের জন্য হেলিকপ্টার রাখা থাকবে।।তা তোমরা কয়জন যাবে??
আমি - আমরা তিনজন যাব স্যার।।
প্রেসিডেন্ট- আচ্ছা তাহলে দুইটা হেলিকপ্টার পাঠিয়ে দিব।।তাহলে আমি এখন উঠি কেমন??
অহহ তোমাদের তো প্রোজেক্টের টাকাটা দেওয়া হয় নি।।এই নাও,,এখানে ১লাখ করে ডলার আছে,,এটা তোমাদের বেতন।।
আমি- ওকে স্যার তাহলে আমরাও উঠি এখন।।
তারপর ওনার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম।। গাড়ী এসে আমাদের নামিয়ে দিয়ে গেলো।।
গিয়ে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে ছিলাম,, তখনই আবির আসল।।এসে বলল-
আবির- শুন তুই ত বললি যে তিনজন যাব।।কিন্তু আমি তো তোকে দেখতেছি আর বাকী দুইজন কই??(আজ থেকে সিয়ামের চরিত্রে আবির থাকবে)
আমি- কেন তুই আর অরিন।।
আবির-সত্যিই আমরা যাব নাকি তুই মজা করতেছিস।।
আমি- তুই না গেলে বিয়ের সবদিক কে দেখাশুনা করবে??
আবির- এইজন্য আমাদের নিয়ে যাচ্ছিস??(কাঁদো কাঁদো ভাব নিয়ে)
আমি- দূর শালা এতো সিরিয়াস হচ্ছিস কেন??
যা গিয়ে রেডি হয়ে নে শপিং এ যেতে হবে।।হাতে সময় কম।।রাত ৮টায় আবার ফ্লাইট।।
আবির- আচ্ছা যাচ্ছি।।
আমি- আর শুন অরিনকেও সাথে নিয়ে নিস।। আমি তো আবার মেয়েদের কাপড় কিনতে পারব না।।
আবির- আচ্ছা ঠিক আছে।।
কিছুহ্মণ পর আমরা তিনজনে বেড়িয়ে পড়লাম শপিং এর উদ্দেশ্যে।।
শপিং করতে প্রায় ঘন্টা সময় লেগেছে।।এখন সাড়ে ৬টা বাজে তাই সুটকেস ঘুছিয়ে নিচ্ছি।।যা কেনাকাটা করলাম সেগুলো একটাতে নিলাম।।আর আমার কাপড়চোপড় একটাতে নিলাম।।৭টায় বের হলাম এয়ারপোর্ট এর উদ্দেশ্যে।। কারণ- এখন রাস্তায় জ্যাম থাকতে পারে।।
৭ঃ৩০ এ আমরা এয়ারপোর্ট এ পৌঁছে গেলাম।।
তারপর এয়ারপোর্ট এর ঝামেলা মিটিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম।।আমাদের লাকেজগুলা কুরিয়ার এ দিয়ে দিলাম।।
তারপর এয়ারপোর্ট এর ভিতর একটা গাড়ী করে আমাদেরকে হেলিকপ্টার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হলো।।
তারপর আমাদের জন্য রাখা হেলিকপ্টার গুলোতে আমরা উঠলাম।।আমি একটাতে উঠলাম আরেকটাতে আবির আর অরিন উঠেছিল।।
তারপর হেলিকপ্টার উড়াল দিল আমাদের নিয়ে।।দীর্ঘ ১৮ ঘন্টা পর আমরা বাংলাদেশের মাটিতে নামলাম।।তারপর প্লাইলটদের বিদায় দিয়ে এয়ারপোর্ট এ প্রবেশ করলাম।।
আমাদের লাকেজগুলা আগেই এসে গিয়েছিল।। তারপর সেগুলো কালেক্ট করে নিলাম।।
এয়ারপোর্ট এর কাজ সারতে আরও একঘন্টা লেগে গেলো।।দুপুর হয়ে এসেছে এখানে।।
এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে একটা গাড়ী নিলাম।।গাড়ী নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।।বাসায় যেতে ৩ঘন্টা লাগল।।ঢাকা শহরে এই জ্যাম একবার শুরু হলে শেষ হওয়ার নাম নেয় না।।তাই যেতে এতো সময় লাগল।।গাড়ির ভাড়া মিটিয়ে নিলাম,,পরে কলিংবেল বাজালাম মা এসে দরজা খুলে দিলো।।দরজা খুলার পর আমাকে দেখে এসে জড়িয়ে ধরলো।।আমিও জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলাম।।এই ৬মাসে একদিনও কথা বলতে পারি নি।।তারপর মাকে আবির আর অরিনের সাথে আলাপ করিয়ে দিলাম।।তারপর আমরা ভিতরে গেলাম।।
গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম রুমে গিয়ে আর আবিরদের গেস্টরুমে দিয়ে আসলাম,আর বললাম ফ্রেশ হয়ে নিতে।।
নিচে এসে মাকে জিজ্ঞাসা করলাম-
আমি- মা আকিব কই??ও কে দেখছি না যে??
মা-ও ওর মেডামের বাসায় বাসায় গেছে পড়তে।।এখনও আসে নাই,,আর তার উপরে ওর মেডামও নাকি অসুস্থ।।
আমি- ওহহ আচ্ছা,, তা বাবা কি ও কে নিয়ে ফিরবে নাকি আমি গিয়ে নিয়ে আসব??
মা- যাবি বলতেছিস যখন যা।। ভাইকেও নিয়ে আয় আর নিজের বউকেও দেখে আয়।।হাজার হোক কিছুদিন অসুস্থ ছিল বলে কথা।।
আমি- মা তুমি আবার শুরু করলে!!
তারপর অরিন আর আবিরকেও বললাম চলতে।।তাদের নিয়ে চললাম আকিবকে আনার উদ্দেশ্যে।। গাড়ীতে উঠার পর আবির জিজ্ঞাসা করল,,,,,
আবির,,,,
পরবর্তী পর্ব পেতে হলে লাইক,কমেন্ট + শেয়ার করতে হবে।।
সবাই নিয়মিত নামাজ আদায় করবেন+আমার জন্যও দোয়া করবেন যেন আমিও নিয়মিত নামাজ আদায় করতে পারি??