গল্পঃ ছোট ভাইয়ের মেডাম যখন বউ পর্ব ১৪ শেষ পর্ব

 #ছোট_ভাইয়ের_মেডাম_যখন_বউ🌷🥀
#লেখকঃ𝕆𝕞𝕒𝕣_𝔽𝕒𝕣𝕦𝕜_𝔽𝕒𝕙𝕚𝕞_𝕊𝕙𝕖𝕚𝕜𝕙
#পর্ব-১৪

তারপর নিচে গেলাম নাস্তা করতে,,সবাই আমার দিকে তাকিয়ে শুধু হাসছে।।তাই আমি জিজ্ঞাসা করলাম- 

আমি- তোমরা এভাবে হাসছো কেন??

ছোট ফুপি- এমনি,,তা তুই তো দেখছি বিয়ের আগেই বউয়ের সাথে থাকা শুরু করে দিয়েছিস।।আর কত কি যে দেখতে হবে??

আমি- ১মিনিট তোমরা জানলে কেমন করে??আর আমি  তো বলিও নি যে অধরা রাতে আমার সাথেই ঘুমিয়েছে।।।

মিম- আসলে ভাই হয়েছে কি,,কালকে তুই নাকি ভাবিকে অনেক বকাঝকা করেছিস।।আবার ভাবির উপর নাকী রেগেও ছিলিস।।তাই খালামনিরা মিলে ভাবিকে তোর রুমে পাঠিয়েছিল।।তোর রাগ ভাঙাতে কিন্তু সেখানে গিয়ে ভাবিও ঘুমিয়ে গেলো।।তাই খালামনিও এটা জিজ্ঞাসা করল।।

আমি- অহহ,, এই বেপার।।কিন্তু ফুপি তুমি তো জানই না।।

ফুপি- কি জানি না।।

আমি- ওই ডিম তুই ভিতরে যা তো।।আর গিয়ে দেখ বড়ফুপি আর সেজো ফুপি এখনও আসছে না কেন??

ফুপি- তুই ওর কথা বাদ দে তো।।বল কি হয়েছে??

আমি- এদিকে আসো কানে মুখে বলছি।।তখ ফুপিকে ডপ দিয়ে বললাম-কাল রাতেই বাসর হয়ে গেছে।।এখন আর ওনাকে বিয়ে করে কি করব??

ফুপি- ছি ছি তোর এসব করতে লজ্জা করলো না তাও বিয়ের আগে.??

আমি- আমার রুমে পাঠানোর সময় এটা কি মনে ছিলো না।।আর তেমন কিছুই হয় নি।।আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি ওনি আমার বুকের শুয়ে আছে।।
তাই আমিও তোমাদের একটু বানিয়ে বানিয়ে বললাম।।

ফুপি- কি বললি কোথায় শুয়ে ছিলো??

আমি- এই রে কি বলতে কি বলে  ফেললাম।।(মনে মনে বললাম)

ফুপি- কি হলো বলিস না কেন??

আমি- কই কি বললাম।।মা ও মা খাবার দিবা নাকি??

তখনই বাবা বললেন- শুন তোর জন্য আমাদের এখানে আগেই আসতে হয়েছে।।তাই তোদের বিয়ের কোনো শপিং করতে পারি নি।।তাই এখন খেয়ে তারপর অধরা আর তোর ভাইদের নিয়ে ঢাকায় গিয়ে শপিং করে আয়।।সাথে আবিরদেরও নিয়ে যাস।।আর আসার সময় অধরার মামা মামিকেও নিয়ে আসবি।।

আমি- আচ্ছা।।


পরে মা খাবার এনে দিলো।।আমিও খেয়ে নিলাম।।তখনই আকিব এসে জানতে চাইলো যে তার মেডাম কোথায় মানে অধরা।।আমি বলে দিলাম কোথায় আছে।।
তারপর আকিব চলে গেলো।।আমি সবাইকে ডেকে বললাম রেডি হয়ে নিতে।।
তারপর খেয়ে নিলাম।।খাওয়া শেষ করে রুমে গেলাম।।গিয়ে দেখি অধরা এখনও ঘুমিয়ে আছে তাই তাকে আর জাগালাম না।।আমি গিয়ে রেডি হয়ে নিলাম।।নিচে গিয়া মা কে গিয়ে বললাম যে অধরা এখনও ঘুমাচ্ছে তাই আমরাই যাচ্ছি।।আর ও মনে হয় অনেক ক্লান্ত তাই আর ও কে ডাক দিও।।উঠলে খাবার দিয়ে দিও,,আমরা গেলাম।।
তারপর আমরা বের হয়ে গেলাম।।
কিছুহ্মণ পরেই আমরা বসুন্ধরা শপিং মলে চলে গেলাম।।তারপর সবাই যার যার মতো শপিং করতে চলে গেলো,,আমি,আবির আর অরিন একদিকে গেলাম শপিং করার জন্য।।কিছুহ্মণ পর অধরার মামা-মামিও চলে এলো।।
 তারপর তারা বিয়ের শপিং করতে লাগল।।আমার জন্য একটা নীল পাঞ্জাবি নিলাম বিয়ের দিন পড়ার জন্য।।আর অধরার জন্য একটা লেহেঙ্গা নিলাম নিল রং এর।। সাথে মেচিং করে নীল পাথর বসানো চুড়ি আর একটা নেকলেস নিলাম।।বাকীগুলা স্বর্ণের নিলাম।।তারপর সবাই মিলে রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।।
তারপর সবাইকে দিয়ে কিনা জিনিসগুলো গাড়ীতে উঠালাম।।আর তাদের বললাম গাড়ীতে বসতে।। পরে আমি আর আবীর জুয়েলারি শপে এলাম।।সেখান থেকে অধরার জন্য একটা ডায়মন্ড এর আংটি কিনলাম।।বিয়ের দিন রাতে এটা তাকে পড়িয়ে দিব🙆‍♂️
তারপর সেটা আমার পকেটে নিয়ে বিল পে করে চলে এলাম।।তারপর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো।।বাসায়।আসার সময় আবার বাড়ীর সব মেয়েদের জন্য ফোসকা নিয়ে এলাম।।
সাথে করে অধরার মামা-মামিকেও নিয়ে এলাম।।তারপর সবাই মিলে ফুসকা খেলো।।যে যত তাড়াতাড়ি পাড়ছে তত তাড়াতাড়ি খাচ্ছে।।  বুঝি না মেয়েরা ফুসকাতে কি এমন মধু পায় যে এভাবে ঝাপিয়ে পড়ে ফুসকা দেখলে।।তারপর সবাই মিলে বিয়ের পোশাক দেখতে লাগল।।
সব শেষে মা জিজ্ঞাসা করল যে কিছু বাকী আছে কি না।।আমি বললাম ২লাখ টাকার শপিং করেছি এর পরেও যদি বলো কিছু বাকী থাকে  তাহলে পুরা শপিং মলটাই নিয়ে আসতে হবে।।
তারপর সবাই একসাথে রাতের খাবার খেয়ে যে যার যার মতো ঘুমাতে চলে গেলো।।এভাবেই কোনদিক দিয়ে যে ৭ দিন  কেটে গেলো বুঝতেই পারি নি।।আজকে আমাদের গায়ে হলুদ।।
আর গায়ে হলুদ বাড়ীতেই হবে দুজনের একসাথে।।আর বিয়ে টা হবে কমিওনিটি সেন্টারে।। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো।।আমাকে গায়ে হলুদ দেওয়ার জন্য রেডি করল।।একটা হলুদ পাঞ্জা আর সাদা পায়জামা পড়িয়ে স্টেজে নিয়ে যাওয়া হলো।।আমাকে আর অধরাকে পাশাপাশি বসানো হয়েছে।।অধরাকে যে পরিমানে সুন্দর লাগছে তা বলে বুঝানো যাবে না।।
হলুদ শাড়ী সাথে হালকা মেকাপ,,চোখে কালো কাজল।।আপনারা দেখলে আপনারাও প্রেম পড়ে যাবেন তাই আর বেশি বলুম না।। কারণ- যদি আপনারা আমার বউয়ের দিকে নজর লাগান।।তারপর একে একে সবাই এসে হলুদ লাগিয়ে গেলো।।হলুদের অনুষ্ঠান শেষ করে ঘরে গিয়ে দিলাম এক ঘুম।। সকালে মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙে।। তারপর ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে গেলা।।।বিয়ে বাড়ীর স্পেশাল খিচুড়ি।। খেয়ে আবার রুমে চলে এলাম।।১২টার সময় মা বলল গোসল করে রেডি হয়ে নিতে।।
তাই আমিও গিয়ে গোসল করে নিলাম।।ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখি হারামির দলের সবকটা আমার রুমে বসে আছে।।সবার সাথে কুশল বিনিময় করে নিলাম।।তারপর বন্ধুরা আমাকে রেডি করে দিলো।।তারপর ১টার দিকে দই,চিরা খেয়ে কমিওনিটি সেন্টারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।।
১০ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম।।আমাকে নিয়ে  স্টেজে বসানো হলো।।সাথে বন্ধুরাও গেলো।।সাথে সাথেই ক্যামেরাম্যান এলো ছবি তুলতে।।ভাইরে ভাই ছবি উঠাতে উঠাতে
 ক্যামেরাম্যান মনে হয় ক্লান্ত হয় নাই।।কিন্তু আমি ক্লান্ত হয়ে গেলাম।।কিছুহ্মণ পর কাজী এসে বিয়ের সব কাজ সম্পন্ন করে দিলেন।।সন্ধ্যার দিকে বউ নিয়ে বাসায় নিয়ে এলাম।।বাসায় এসেও অনেক নিয়ম পালন করে ভিতরে গেলাম।।সবাই নতু  বউ নিয়ে ব্যস্ত।।
আমিও রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।।তারপর বন্ধুরা আসল তাদের সাথে ছাদে চলে গেলাম।।১২টার সময় আপু  আর মা গিয়ে আমাকে নিয়ে এলো সাথে দুলাভাইও ছিলো।।রুমের সামনে গিয়েও ঝামেলায় পড়লাম।। ওদের  নাকি ১হাজার টাকা না দিলে ভিতরে যেতে দিবে না।।
তখন আবির বলল যে তাদের টাকা দিয়ে দিবে।।তারপর আবির চাবি নিয়ে দরজা খুলে দিলো।। আমি ভিতরে যাওয়ার সাথে সাথেই বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিলো।।আমি রুমে ডুকার সাথে সাথেই অধরা এসে আমাকে সালাম করলো।।তখন আমি অধরাকে সেই আংটি টা পড়িয়ে দিয়ে প্রপোজ করলাম।।বেচারি লজ্জায় আমার বুকে মুখ লোকালো।।তারপর রুমের লাইট অফ করে দিলা।।বাকীটা ইতিহাস বইয়ের ২২২০ পৃষ্টা থেকে পড়ে নিবেন।।

শেষ পর্বটা দিতে দেড়ি হওয়ার জন্য দুঃখিত।আসলে আমি একজন স্টুডেন্ট,, আর সাথে গেম খেলি+ অলস প্রকৃতির তাই আলসামি করে না লেখার ফলে গল্প দিতে দেড়ি  হয়ে।।
আর ভুলগুলো হ্মমার দৃষ্টিতে দেখবেন।।কারণ- পর্বটা খুব তাড়াতাড়ি টাইপ করে লেখেছি তাই ভুল হতেই পারে।।

আমিও আবারও  হ্মমা চেয়ে নিচ্ছি লেট করে পর্ব দেওয়ার জন্য।।

    #সমাপ্ত
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post