গল্পঃ বাসর রাতের অত্যাচার পর্ব 6 + 7

 বাসর রাতের অত্যাচার❤️romantic Love story 
পর্ব ঃ ৬+৭

লেখক ঃ আবির🍂লিজা

লিজা ঃ আবির এগুলো তুমি কী বলতে আছো আমি তোমাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি যদিও তুমি আমার কাছে ছিলে না তবুও তোমাকে আমার মনে জায়গা দিয়ে ফেলেছি।তা হলে শুনো তুমি যখন কলেজ থেকে ঢাকা চলে গিয়েছো তখন আমি পাগল এর মতো হয়ে গিয়েছিলাম। তোমার অভাব টা তুমি চলে যাবার পরে বুঝতে পেরেছি। প্রতিদিন তোমার কথা আমি আদিবার কাছে জিজ্ঞাস করতাম। আদিবা আবির সাথে কী তোমার কোনো যোগাযোগ হয়েছে।

আদিবা ঃ কেনো আপু ওতো ঢাকা চলে গিয়েছে।আর আপনি এখন আবির কে খুঁজতেছে কেনো।

লিজা ঃ (কান্না কান্না) ওকে খুব মিস করতেছি।আমি ওর সাথে বড় একটা অন্যয় করে ফেলেছি।

আদিবা ঃ হুম আপু আসলে আপু আবির আপনাকে অনেক ভালোবাসেছিলো। কলেজে এসেই শুদু আপনার পিছনেই পড়ে থাকতো তবে আপনি ওর ভালোবাসাটা ভুজলেন না।

লিজা ঃ (কান্না কান্না) প্লিস আর বলো না শুনে আমার অনেক কষ্ট হইতেছে।ওর সাথে আরো কিছুখন কথা বলে বাড়িতে চলে আসি এসে বালিশে শুয়ে শুয়ে কান্না করতেছি। আমি কেনো ওর সাথে এয়রকম করলাম।আমি সত্যি সারথো পর একটা মানুষ। এগুলো ভাবতে ভাবতে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম এভাবে আমি প্রতিদিন তোমাকে মিস করলাম একদিন তোমার আম্মু আসলো আমাদের বাড়িতে। তখন আমি যানতাম না যে তুমি আম্মুর বান্দুবির ছেলে।

মা ঃ কী রে লিজা অনেক তো বড় হয়ে গিয়েছিস।

লিজা ঃ কেনো আনটি সব সময় কী ছোট থাকবো না কী।

মা ঃ হুম সেটাই চল আসকে আমাদের বাড়ি থেকে ঘুরে আসবি। 

লিজা ঃ আনটি আমার না কোথাও যেতে ভালো লাগে না।এমনিতেই কিছুদিন দড়ে মনটা অনেক খারাপ। 

মা ঃ আমাদের বাড়িতে গেলে মনটা হালকা হবে।

লিজা ঃ কী করবো তার কথা মতো আমি রাজি হয়ে গেলাম এই প্রথম বার তাদের বাসায় এসেছি।কিছুখন পরে আমি শারা রুমে ঘুরতে লাগলাম এমন সময় একটা ফ্রেমে আবির এর ছবি দেখতে পেলাম দূর এখানে আবির আসবে কোথা থেকে তাই আমি ছবিটা নামিয়ে আনটির কাছে চলে আসি।আনটি আনটি ও আনটি এই ছেলেটার ছবি তোমার বাড়িতে কেনো।

মা ঃ ছেলেটির ছবি আমাদের বাড়ি থাকবে নাতো কোথায় থাকবে হুম।

লিজা ঃ কী এটা কী তোমার ছেলে।

মা ঃ কেনো চিনিষ না কী।

লিজা ঃ আমি তাকে মিথ্যা বললাম।চিনি না বাট তোমার ছেলেকে না আমার মনে লেগে গেছে।

মা ঃ কী বলিস এই সব তোদের পরিবার কী কেউ এটা মানবে।

লিজা ঃ সেটা আমার উপারে ছেড়ে দাও। তোমার ছেলে এখন কোথায় আছে বলোতো।

মা ঃ ওতো ঢাকাতে আছে।

লিজা ঃ আনটির সাথে আরো কিছুখন গল্প করে বিকাল বেলা আমি বাড়িতে চলে আসি আজ মনটা অনেকটা হালকে হয়েছে।এবার মনে হয় আমার মনের আশাটা পুরান হবে।এভাবে অনেকটা বছর কেটে যায় এর ভিতর আমার পরিবার কেও রাজি করে ফেলেছি।আবির আসলেই ওর সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দিবে।তারপর তুমি যখন আসো তখন তোমার আম্মু আমাদের বাড়িতে নিয়ে যায় তার পরে তো তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়ে যায়।

আবির ঃসরি আপু আমি আপনাকে হয়তো কোনো দিনও ভালোবাসতে পারবো না। আমি আমার রুমে চলে আসি এসে শুয়ে শুয়ে ভাবতেছি তোমাকে আমি এতো তাড়াতাড়ি ছাড়তেছি না আরো অনেক কিছু করবো তোমার সাথে তার পরে মনে নিবো।রাতের বেলা শুয়ে আছি এমন সময় লিজা বললো।

লিজা ঃ আবির একটা কথা বলবো রাখবে।

আবির ঃ কী কথা বলেন।

লিজা ঃ চলো না রাতের বেলা আমার কোথাও থেকে একটু ঘুড়ে আসি।

আবির ঃ আমি এতো রাতে কোথাও ঘুড়তে যাই না।

লিজা ঃ (অভিমান করে) আচ্চা বলার জন্য সরি দয়া করে মাফ করে দিবে।

আবির ঃ দেখতে পেলাম লিজা অভিমান করে শুয়ে আছে।আর চোখে বেয়ে পানি পড়তেছে কেনো যানো ওর চোখের পানিটা কষ্ট লাগা শুরু করে দিলো। এই যে উঠনে কোথায় ঘুরতে যাবেন বলেন।

লিজা ঃ সরি আমি কোথাও ঘুরতে যাবো না।

আবির ঃ উঠতে বলছি না।

লিজা ঃ আমি উঠে পরী তার ওকে বললাম আমি একটু ফ্রেস হয়ে আসতেছি।

আবির ঃ লিজা ফ্রেস হতে চলে গেলো আর আমি খাটের উপারে বসে আছি কিছুখন পরে লিজা আসলো ওয়াও ওকে আসকে অনেক সুন্দার লাগতেছে। বাসর ঘড়ে ওকে যেমন দেখছিলাম তার চেয়েও অনেক।ওকে যত সুন্দার লাগুক না কেনো তাতে আমার কী তা দিয়ে আমার কোনো কাজ আছে।

লিজা ঃ চলো। কিছুখন পরে দুজনে বাহিরে নেমে পড়লাম তার পরে হাটা শুরু করে দিলাম।আকাশ টা কেমন যানো মেঘলা চার দিকে বাতাস এয় যানো অন্য রকম একটা দিষ্য। যে কোনো সময় বৃষ্টি নেমে যেতে পারে মনে মনে ভাবলাম আসকে যদি একটু বৃষ্টি হতো তা হলে মনের মতো করে দুজনে বিজতে পারতাম।

আবির ঃ এই যে আমার তো সেই কখন থেকে হারতেছি কোথায় যাইতেছি বলেনতো।

লিজা ঃ দুজেন হারিয়ে যেতে চাই অনেক দূরে সেখানে থাকবে শুদু তুমি আর আমি আর কেউ না।

আবির ঃ এতো সব না বকে বাড়িতে চলুন

আমার এমনিতেই কালকে অফিস খুলা।

লিজা ঃআসকে অনেক জায়গায় ঘুরবো দুজনে হঠাৎ মনে হলো আবির এর হাতটা দড়ে যদি একটু হারতে পারতাম।তাই আমি ওর হাতের আজ্ঞুল এর ভিতর আমার আজ্ঞুল ভড়ে দিলাম।

আবির ঃ এই হাত দইরেন নাতো হাত দড়াটা আমার কিন্তু একদম পছন্দের না।

লিজা ঃ বেশি বকলে লাফ দিয়ে কিন্তু কোলেও উঠে যাবো বুজেছো।আমার হাটতেছি হাটতে হাঁটতে হঠাৎ দেখতে পেলাম একটা ঝালমুড়ি দোকান।এই শুনো আমার না ঝালমুড়ি খেতে ইচ্চে করতেছে।

আবির ঃ আপনি তো আমাকে ঝালিয়ে মারবেন কেনো যে আপনাকে ঘুড়াতে নিয়ে আসলাম তা আমি নিজেও কিছু যানি না।

লিজা ঃ হুম যানিতো আমার বরটা একটা কিপটের হাড্ডি। আমি না হয় ১০ টাকার ঝালমুড়িই খেতে চেয়েছি তার জন্যও কিপ্টাটামটি করা লাগবে।

আবির ঃ আমি কারো বর না ওকে তাই খাওয়াতেও পারবো না।

লিজা ঃ আমিও খাবো না। 

আবির ঃ আমি ওর জন্য ঝালমুড়ি কিনে নিয়ে আসলাম সেটা দেখে ও অনেক খুশি হলো ও ঝালমুড়ি খাচ্চে আর আমার হাত দড়ে হাঁটতেছে।ওকে বুঝায় যায় না যে ও আমার সিনিয়র শুদু মনে হয় আমার সাথে একটা পিচ্চি মেয়ে আমার সাথে হারতেছে।হঠাৎ যে টা শুরু হবে যেটা আমি কোনো দিনও ভাবি নী। চার দিকে বাতাস বয়ে গেলো।মনে হয় আজ কে ঘূর্ণিঝড় হবে। চলেন বাড়িতে যাবো।  

লিজা ঃযে না এখন আর বাড়িতে যাবো না বৃষ্টি হবে তাই ভিজবো।

আবির ঃ আপনার মন চাইলে আপনি ভিজেন আমি ভিজবো আমি এখনি বাড়িতে চলে যাইতেছি।

লিজা ঃ পারলে বাড়িতে যাও তা হলে আমি এখানে লোক জড় করবো তার পরে।বলবো যে তুৃমি আমাকে এতো রাতে ডিস্টার্ব করতেছো।

আবির ঃ কথাটা শুনে মন চায় গালে উপারে লাগিয়ে দী।মাথাটা একদম খারাপ করে দিলো।

লিজা ঃ এর ভিতরে বৃষ্টি শুরু হলে গেলো তা দেখে আমি তো মহা খুশি আজ মনের মতো ভিজবো আর আমার জামাইকেও ভিজামু।

আবির ঃ আপনি ভিজেন আর আমি পাশের টোং দোকানে আছি।

লিজা ঃ তুমিও আমার সাথে ভিজবে ওকে এটাই আমার শেষ কথা।

আবির ঃ দেখেন আমার গায়ে বৃষ্টির পানি একদম সজ্জ হয় না ভিজলেই ঝড় উঠে যায়।

লিজা ঃবাড়িতে এতো সুন্দার একটা বউ থাকতে সেটা নিয়ে তোমাকে আর চিন্তা করা লাগবে না।

আবির ঃ আপনি বউ আমি তো ভাবছিলাম অন্য কিছু।

লিজা ঃ কী ভাবছিলা হ্যায়।

আবির ঃ কাজের ভুয়া।

লিজা ঃ কী বললা আমি আবির কে টেনে রাস্তায় নিয়ে আসলাম।বৃষ্টির পানি পড়তে না পড়তে আবির কেমন যানো করতে লাগলো।

আবির ঃ এটা কিন্তু ঠিক না আপনি ভিজবেন এর ভিতরে আবার আমাকে নিয়া আসলেন কেনো।

লিজা ঃ বউ এর সাথে জামাইকেও ভিজতে হবে ভুজেছো।

আবির ঃ যদি আমার কিছু হয়ে যায় তা হলে আপনার খবর আছে।

লিজা ঃ আচ্চা চলো ওই খানে গিয়ে ভিজবো। আমি আর আবির পাশের একটা টুল ছিলো ওখানে বসে পড়লাম। আবির আরো কাছে এগিয়ে বসো। 

আবির ঃ একটু দূরে দূরে থাকুন তা হলেই ভালো হবে।

লিজা ঃ আমি ওকে টান দিয়ে আমার কাছে নিয়ে আসলাম তার পড়ে জড়িয়ে দড়লাম।দুজন দুজনের চোখের দিকে তাকিয়ে রয়েছি

আবির ঃ দেখেন ছাড়ুন আমাকে। লিজা আর আমাকে ছাড়লো না।তার ঠোঁট আর আমার ঠোঁটে কাছা কাছি নিয়ে আসলো।কিছু করার আগেই আমি ওর ঠোঁট হাত দিয়ে চেপে দড়লাম।

লিজা ঃ ঠোঁট থেকে হাত সড়াও।

আবির ঃ দেখেন আমি এটা করতে দিবো না

লিজা ঃ তুমি আমার বর তাই আমার বর কে যেটা খুশি সেটা করতে পারি।

আবির ঃ লিজা আমার হাতটা টান দিয়ে সরিয়ে দিলো।তার পরে চার ঠোঁটে এক করে দিলো।আমার যানো কী হলো আমি আর ওকে বাদা দিলাম না। তার ঠোঁটর সাথে আমার ঠোট মিলিয়ে নিলাম।হঠাৎ ঠোট পেচিয়ে জোড়ে কামর দিলো।আহহ।

লিজা ঃআমি ওকে ছোড়ে দিয়ে বললাম এই এই কী হয়েছে।

আবির ঃ এটা আপনি কী করলেন।

লিজা ঃ সরি সরি আসলে ভুজতে পারি নী যে এটা তোমার ঠোট।

আবির ঃ আমি কী আপনাকে কিস করতে বলেছিলাম হ্যায়।

বাসর রাতের অত্যাচার❤️romantic Love story 
পর্ব ঃ ৪থ+৫ম

লেখক ঃ আবির🍂লিজা

লিজা ঃ সালায় কী বলে। সালা তুই তো বাদা দিলি না এখন ভালো সাজতেছে। তা হলে আমিতো কামর দিয়ে ভালোই করেছি।ঠিকই আছে এগুলো আমি মনে মনে বলতেছি।

আবির ঃ মনে মনে কিছু না ভেবে চলুন বাড়িতে যাওয়া যাক।

লিজা ঃ আর কতখন ভিজি।

আবির ঃ আমি গেলাম ওকে বায়।

লিজা ঃ এই এই দাড়াও আমিও তো যাবো এটা বলে দুজনে হাটা শুরু করে দিলাম। আবির চুপ হয়ে হাতছে তাই মনে মনে ভাবলাম একটা কিছু আমাকে করতেই হবে। তাই আমি রাস্তায় বসে পড়লাম।

আবির ঃ এই এই আবার ও কী হলো।

লিজা ঃ (মিথ্যা কান্না করে) দেখো আমার পা টা মসকে গিয়েছে আমি তো আর হারতে পারছি না।

আবির ঃ হা রে কিভাবে হলো এটা।

লিজা ঃ যানি না।

আবির ঃ এখন কী হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে না কী।

লিজা ঃ না না আমি হসপিটালে যাবো না আমি বাড়িতে যাবো আমাকে কোলে করে বাড়িতে নিয়ে যাও।

আবির ঃ এটা বলবেন না আমি আজ পযন্ত আমি কাউকে কোলে করে কোথাও নিয়ে যাই নী।আর আমি কাউকে কোলে করে টানটে পারি না।

লিজা ঃ তুমি কী চাও আমি এখানে বসে বসে মারা যাই।

আবির ঃ আমি ওকে কোলে তুলে নিলাম।ওর বাড়েতো আমি শেষ শালি ওর পাপের টাকা পয়সা মনে হয় একাই খেয়েছে।এত ওজন থাকে কী ভাবে মেয়েদের গায়ে আমিতো কিছুই ভুজতেছি না।

লিজা ঃ কী হলো সোনা হাটো না কেনো।

আবির ঃ আমি হাটা শুরু করে দিলাম আর ও আমার গলা জড়িয়ে দড়ে আছে।মন চায় রাস্তাতেই ফেলে দী। অনেক খন হাটা হাটির পরে বাড়িতে এসে পৌছালাম।কলিং বেল দেবার পরে আম্মুএসে দরজা খুলে দিলো।আমাদের এই ভাবে দেখে আম্মু মিটি মিটি হাসতেছে আমিতো কিছুই ভুজতেছি না।

মা ঃ কোথায় গিয়েছিলি হ্যায়। আর ওর কী হয়েছে।

আবির ঃবাহিরে গিয়েছিলাম। তারপরে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়।

মা ঃ এখন গিয়ে তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়।

আবির ঃ আমি ওকে কোলে করে নিয়ে খাটের উপারে ফেলে দিলাম। কিছুখন পরে দেখতে পেলাম ও হেটে ওয়াশ রুমে যেতে আছে তাই আমি ওকে ডাক দিলাম।এই যে আপনার পা বলে মসকে গিয়েছে।

লিজা ঃ গিয়েছিলো তবে বাড়িতে আশার পড়ে ঠিক হয় গিয়েছে।

আবির ঃ এটা বলে ও ফ্রেস হতে চলে গেলো এখন বুঝতে পেলাম ও এতখন আমার সাথে নাটক করেছে। আমিও ফ্রেস হতে লাগলাম ফ্রেস হয়ে খাটে শুয়ে পড়েলাম। আর আমার মাঝখানে একটা কোলবালিশ দিলাম যাতে ও আমাকে জড়িয়ে দড়ে না ঘুমাতে পারে হঠাৎ করো ডাক।

লিজা ঃ আবির ও আবির সোনা একটু ওয়াশ রুমে আসো তো।

আবির ঃ কেনো আবার কী হয়েছে।

লিজা ঃ শাড়িটা কেমন যানো হয়ে গিয়েছে পড়তে পারছি না তো। তাই আমাকে একটু পড়িয়ে দাও

আবির ঃআমি শাড়িটারি আবার পড়তে পারি না ছো আমাকে এখন ডাক দিবেন না চোখে অনেক ঘুম এসে পড়েছে।

লিজা ঃ না আসলে আমি কিন্তু আম্মুকে ডাক দিবো।

আবির ঃ আপনি যাকে খুশি তাকে ডাক দিন তাতে আমার কী আমার কিছু না।

লিজা ঃ যাও আম্মু ডাক দিবো না। আমি কিছু না পড়েই পিছানায় আসতেছি।

আবির ঃ এই না না দাড়ান আমি আসতেছি। আমি এসে ওয়াশ রুমের দরজার কাছে দাড়লাম।এর ভিতর লিজা আমাকে টান দিয়ে ওর কাছে নিয়ে আসলো।

লিজা ঃদেখতে পেলাম আবির নিচের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এই যে আমার দিকে তাকাও তার পরে পড়িয়ে দাও।

আবির ঃ আমি নিচের দিকে তাকিয়ে ওর শাড়িটা ঠিক করে পড়িয়ে দিতে লাগলাম।শাড়ি পড়ানোর সময় ওর পেটে আমার হাত লাগতেছে।ওর পেটে যানো হাত না লাগে সে বাভেই পড়ানোর চেষ্টা করতেছি।

লিজা ঃকোনো খানে হাত লাগলে সমস্যা নেই বুঝেছো।আমি তো তোমার বউ তাই আমার উপারে তোমার সব ধরনের অধিকার আছে বুঝেছো।

আবির ঃ দেখেন আমি এসব বিষয় কোনো কথা শুনতে চাই না।

লিজা ঃ আমি চাইলে এখন কিন্তু অনেক কিছু করতে পারি বুঝেছো।

আবির ঃ আমি ওকে শাড়ি পড়িয়ে দিয়ে আমার খাটে চলে আসি।এসে মনে মনে বাভতেছি ওকে টাছ করলে আমার এমন লাগে কেনো।তা হলে আমি কী ওকে মেনে নিতে যাচ্চি।দূর এগুলো আবার কী বাভতেছি আমি তো এত তাড়াতাড়ি ওকে মেনে নিবো না। কিছু খন পর লিজা আসলো।

লিজা ঃ কিছু খাবে না। 

আবির ঃ খাবো না আপনি চাইলে খেয়ে আসতে পারেন।

লিজা ঃতুমি না খেলে আমিও খাবো না।আর শোনো তোমাকে বলেছি না আমাকে আপনি না ডাকে তুমি করে বলো।

আবির ঃআপনাকে আমি আগেও বলে দিয়েছি আমি এটা পারবো না। যাকে এখন পযন্ত মেনেই নিতে পারলাম না তাকে কেনো আবার তুমি করে বলবো ।

লিজা ঃ (কান্না) তুমি আমাকে কবে মেনে নিতে পারবা বলোতো 

আবির ঃ এয় জীবনে হয়তো আর মানতে পারবো না।

লিজা ঃ(কান্না)আমি রাগে কছ কছ করতে করতে শুয়ে পড়লাম।শুয়ে শুয়ে ভাবতেছি ও কী আমাকে আর মেনে নিবে না।যদি মেনে না নিতে পারে তা হলে আমি আর বাছবো না।হঠাৎ দেখতে পেলাম পাশে কোল বালিশ তাই বালিশটা ছোড়ে ছুড়ে মাড়লাম ।

আবির ঃ এটা কী করলেন হ্যায়।

লিজা ঃ তুই চুপ কর তো চুপ যদি না করিস তা হলে তোকে জায়গায় মেরে ফেলবো।

আবির ঃ লিজা রাগ হয়ে গেছে কিন্তু কেনো সেটা আমি ভুজতেছি না।ও রাগ করলে তাতে আমার কী হঠাৎ আমি দেখতে পেলাম লিজা আমার পা জড়িয়ে দড়েছে।

লিজা ঃ (কান্না) প্লিস আবির আমাকে তুমি মেনে নাও আমি না হয় ছোট্ট একটা ভুল করেছি তার জন্য তুমি আমাকে কেনো মেনে নিতে পারবে না বলো।সবার জীবনেই তো কিছু কিছু ভুল হয়ে থাকে তার জন্য তুমি আমাকে এভাবে শাস্তি দিবা। আমি বলেছিতো তোমাকে আমি একন অনেক ভালোবাসি 

আবির ঃ লিজা আমার পা দড়ে কাঁদতেছে আমার ও অনেক খারাপ লাগতেছে ওকে এই রকম কোনো দিনও কাদতে দেখি নী।তাই আমি ভাবলাম আমি তো তোমাকে আরো কিছুদিন পড়ে মেনে নিবো এতো তাড়াতাড়ি মেনে নিতে পারবো না।এই যে ছাড়ুন আমাকে ঘুমাতে হবে কালকে এমনিতেই অফিস যেতে হবে।

লিজা ঃ তা হলে আমাকে মেনে নিয়ে তোমার বুকে জায়গা করে দাও।

আবির ঃ সরি আমি সেটা পারবো না। এটা বলার পরে লিজা কাদতে কাঁদতে একা একা শুয়ে পড়লো। তাই আমিও ঘুমিয়ে পড়লাম মাঝ রাতে হঠাৎ দেখতে পেলাম লিজা।

Next 💋
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post