গল্পঃ বাসর রাতের অত্যাচার পর্ব 9 + 10

 বাসর রাতের অত্যাচার❤️romantic Love story 
পর্ব ঃ৯+১০

লেখক ঃ আবির🍂লিজা

তার পরে আর কী হবে আমাদের বাসর হলো আর বাসর রাতে কী হয় তা কে বা না যানে তাই বলে সময় নষ্ট করতে চাই না দেখতে দেখতে অনেক দিন কেটে গেলো একদিন লিজা বললো

লিজা ঃ কালকে তাড়াতাড়ি উঠে সকাল সকালই আববুর বাড়িতে যেতে চাই।

আবির ঃ ঠিক আছে লক্ষি বউটা।

লিজা ঃতুই আমাকে এতো সুন্দার ভাবে বউ বলে ডাকতেও পারো।

আবির ঃ তোমার বরটা সব পারে বুঝছো।

লিজা ঃ তাই।

আবির ঃ হুম আমি লিজাকে জড়িয়ে দড়ে শুয়ে পড়লাম।পরের দিন সকাল সকাল লিজার ডাক।

লিজা ঃএই কলিজাটা উঠো না কেনো।

আবির ঃ এতো তাড়াতাড়ি কেনো উঠবো।

লিজা ঃ আব্বুর বাড়িতে যাবো তাড়াতাড়ি উঠো।

আবির ঃ আমি উঠে ফ্রেস হয়ে নিলাম তার পরে সশুর বাড়িতে যাবার জন্য রেডি হতে লাগলাম।আমি একটা নীল পাঞ্জাবি পরেছি তা দেখে লিজাও একটা নীল শাড়ি পড়েছে।লিজাকে দেখতে হেব্বি লাগতেছে।

লিজা ঃ আসকে দুজনে একি কালারের পোশাক পড়লাম কি ভাবে।

আবির ঃকেনো ভালো লাগতেছে না। চেইন্স করবো না কী।

লিজা ঃ আমি কী তোমাকে চেইন্স করতে বলেছি না কী তোমাকে আজ অনেক কিউট লাগতেছে।

আবির ঃ তোমাকেও। 

লিজা ঃ চলো আম্মুর কাছে যাই। 

আবির ঃ দুজনের হাতে দড়ে আম্মুর কাছে চলে আসি আম্মু আমাদের এইভাবে দেখে হা করে তাকিয়ে আছে।তাই আমি লজ্জা পেয়ে হাতটা ছেড়ে দিলাম।

লিজা ঃ আম্মু আমরা আসি।

আবির ঃ যাও মা আর সাবধানে যাবে আমার ছেলেটাকে দেখে রেখো।

লিজা ঃ সে আর বলতে তোমার ছেলেকে আমার শাড়ির আঁচলে বেধে রাখবো।

আবির ঃ কথাটা শুনে তিন জনেই হেসে উঠলাম।আমরা আম্মুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাহিরে চলে আসি ওখান থেকে bus এয় উঠে পড়ি।আমি গিয়ে জানালার পাশে বসে পড়ি।

লিজা ঃ আমাকে জানালা পাশে দাও।

আবির ঃ আমি আগে বসেছি ছো এখানে আমিই থাকবো। 

লিজা ঃ আবার বলো উঠবে না।

আবির ঃ না না না উঠবো না।

লিজা ঃ আসকে তোমার গায়ে বমিই করে দিবো দেখো।

আবির ঃ এই না না আমি উঠতেছি।

লিজা ঃ হা হা তুমি দেখি আমাকে ভয়ও পাইতেছো।

আবির ঃ তোমাকে ভয় পায় কে ভয় তো পাইতোমার বমি কে।

লিজা ঃ তাই তা হলে উঠো না কেনো।

আবির ঃ আমি এসে ওই পাশের ছিটে বসে পড়ি। কিছুখন পরে গাড়িটি ছেড়ে দিলো দুজনে গল্পকরতেছি আর লিজা আমার কাদে শুয়ে আছে।

লিজা ঃ আবির আমরা কিন্তু অনেক দিন পরে আসবো।কারন অনেক মাস পরে কিন্তু আব্বুর বাড়িতে যাইতেছি আর বিয়ের পরে তুমি আমাকে নিয়ে একবার আব্বুর বাড়িতে নিয়ে যাও নী।

আবির ঃঅফিসে যদি কাজ থাকে তা হলেতো আমার আবার ওখানে থেকে আবার আসতে হবে।

লিজা ঃ আসতে দিলেতো তুমি আসবে।

আবির ঃ কেনো কী করবে।

লিজা ঃ হাত পা বেঁধে ওখানে বসিয়ে রাখবো।

আবির ঃ দেখা যাবে আমি আর লিজা কথা বলতে আছি আর দুষ্টামি করতেছি এমন সময় পিছন থেকে মাথায় পেঁচিয়ে একটা টোকার আওয়াজ পেলাম তাকিয়ে দেখি একটা বোরকা পড়া মেয়ে। মেয়েটিকে আমি কিছুবলতে যাবো এমন সময় লিজা বলে উঠলো।

লিজা ঃ কে আপনি আর আমার সামীকে টোকা মারলেন কেনো।

আদিবা ঃ আপু আমি আদিবা আপনার দুজনে কেমন আছেন।

আবির ঃ তুমি ভালো আছি আমরা তুমি কেমন আছো।

আদিবা ঃ ভালো।এই তোমরা দুজনে বিয়ে করলা কবে।

আবির ঃ কিছুদিন আগে।

আদিবা ঃ কেমন কী আমি তো কিছুই বুঝতেছি না।

আবির ঃ তার পরে আদিবাকে সব কিছু খুলে বললাম।

আদিবা ঃ দেখছো তোমাদের ভালোবাসাটা ছিলো সত্যি তাই দুজনে এক হতে পেরেছো।

আবির ঃ হুম তোমার কোলে এই মেয়েটা কে। 

আদিবা ঃ আমার মেয়ে আমারও বিয়ে হয়ে গেছে এই ১ বছর।

আবির ঃ তুমি দাওয়াত ও করলা না।

আদিবা ঃ তোমার নামবার টা বন্দ পেয়েছিলাম তাই বলতে পারি নী।আর তুমিও তো বলতে পারতে।

আবির ঃ বললাম তো বিয়েটা হঠাৎ করে হয়ে গিয়েছে।

আদিবা ঃ লিজা আপু আপনাদের দুজনকে অনেক সুন্দার লাগতেছে।আর দুজনকে অনেক ভালো মানিয়েছে।

লিজা ঃ তাই তোমরা যাইতেছো কোথায়।

আদিবা ঃ আমিও সশুর বাড়িতে যাইতেছে।

লিজা ঃ ও।

আবির ঃ কিছুখন পরে ওর হাজমেন এর সাথে পরিচয় হলাম।তার সবার সাথে গল্প করা শুদু করে দিলাম।অনেক খন পরে আদিবারা নেমে পড়লো। 

আদিবা ঃ আবির লিজা আপু আসি চাইলে আমাদের বাড়ি থেকে গুরে আসতে পারেন।

লিজা ঃ হুম আসবো কোনো একদিন। তোমার শসুর বাড়িতো দেখে গেলাম।

আদিবা ঃ ঠিক আছে।

আবির ঃ আদিবারা মেনে পড়লো।তার পরে আমি আর লিজা আবার ও গল্পকরা শুরু করে দিলাম।অনেক খন পরে সশুর পাড়িতে এসে পৌছালাম আমাদের দেখে সবাই খুশি হলো। খুশিতো হয়েছে কিন্তু অনেক জনে আমাদের উপার রাগও হয়েছে তার কারন হলো অনেক মাস পরে এসেছিতো তাই।

লিজা ঃ চলো রুমে যাবো।

আবির ঃ এখানে বসে সবার সাথে কথা বলি তার পরে যাবো নী।

লিজা ঃ না এখনি আসবে।

আবির ঃ বউএর কথা মতো আমি আর ও রুমে চলে আসি।

লিজা ঃ এই শুনো এখানে কিন্তু আমার চাচাতো বোন আছে কারো সাথে দেখি না যাবো কথা বলতে।

আবির ঃতা হলে আমি কী চুপ হয়ে থাকবো আমিতো চুপ হয়ে থাকতে পারি না।

লিজা ঃ যা তুই ওদের সাথে কথা বল যাইয়া।

আবির ঃ এতেও রাগ করা হয়ে গেছে আচ্চা যাও কারো সাথে কথা বলবো না।

লিজা ঃকিছু কী খাবে।

আবির ঃ খাবো না মানে খাবোই তবে কিন্তু খাবার খাবো না অন্য কিছু খাবো।

লিজা ঃ কী খাবে।

আবির ঃ তোমার ঠোঁটে যেটা দেয়া আছে সেটা খাবো।

লিজা ঃ আমার ঠোঁটে তো লিবিসটিক দেয়া আছে।শয়তান কী বললা কী খাবে।

আবির ঃ হুম ওইটাই খাবো।

লিজা ঃ চুপ করো।আর এগুলো এখন খায় না রাতে খায় বুঝেছো।

আবির ঃ এখন একটু খাই।

লিজা ঃ এখন না আমি গিয়ে আবির জন্য খাবার নিয়ে আসলাম। নেও খেয়ে নাও।

আবির ঃ আমিতো এসব খাবো না আমিতো অন্য কিছু খাবো।

লিজা ঃফাজিল বর আগে এই সব খাবার শেষ করো তার পরে।

আবির ঃএতো সব খাবো কী ভাবে।

লিজা ঃ সব যদি শেষ করতে পারো তা হলে মিষ্টি দিবো তা না হলে দিবো না।

আবির ঃ বউ এমন কিন্তু কথা ছিলো না।

লিজা ঃ এমন কথা ছিলো না বাট এমই হবে। 

আবির ঃআমি খাবার খাওয়া শুরু করে দিলাম।কিন্তু সব খাবার শেষ করতে পারলাম

লিজা ঃ সব শেষ করো বললাম কিন্তু।

আবির ঃ আমার পেতে আর একটুও জায়গায় নেই তো খাবো কী ভাবে। আর যেটু যায়গায় আছে তোমার ঠোঁটের মিষ্টি খাওয়ার মতো জায়গা আছে।

লিজা ঃ কেনো কিছু হবে না। এটি বলে আমি চলে আসতে যাবো এমন সময় আবির আমাকে টেনে দড়লো। তার পরে আমার পিছানার উপারে ফেলে দিলো।

আবির ঃ যাইতেছো কোথায় আমার টা নিয়ে তুমি কোথায় যাও হ্যায়।

লিজা ঃরাতে দিবো গো এখন ছাড়ো।

আবির ঃআমি এখন খাবো।

লিজা ঃদরজা খুলা আগে দরজাটা গিয়ে আটকিয়ে আসি।

আবির ঃতোমাকে আমি চিনি না দরজা আটকানো কথা বলে তুমি পালিয়ে যাবা।

লিজা ঃ না কোথাও যাবো না।

আবির ঃ আমি যেতে দিবো না আগে আমার ঠোঁটে কিস করো তার পরে।

লিজা ঃআমার যে ফালিজ বর আসকে মনে হয়ে আর ছাড়বে না।তবুও দেখে কী করা যায়। ওই দেখে আব্বু এসেছে।এটি বলার পরে আবির আমার উপার থেকে উঠে পরে আমি উঠে দিলাম দৌড়।

আবির ঃ লিজা এটা কেমন হলো আসকে তোমার সাথে আর কথা বলবো না।

লিজা ঃএকটু পরে আমি আসতেছি।

আবির ঃ আর আসা লাগবে না। কিছুখন পরে লিজা চলে গেলো তাই আমি মোবাইল বের করে চাপা শুদু করে দিলাম।আসকে আর তোমার সাথে কথা বলবো না দেখো।আমি আর কী করবো গেম খেলা শুরু করে দিলাম।অনেখ খন পরে লিজা আসলো এসেই আমার পাশে শুয়ে পড়লো। তাই আমি ওকে দেখোও না দেখার বান করলাম।

লিজা ঃ এই শুনো না।এদিকে একটু তাকাও না আমিতো এসেছি।

আবির ঃ আপনি আসলে আমার কী আমি কারো সাথে কথা বলি না।

লিজা ঃ একটু তাকাও না।

আবির ঃ আমি তাকবো না ওকে আপনি এখন এখান থেকে চলে যান।

লিজা ঃ আমি কিন্তু তাকাতে বলেছি না হয় কিন্তু মোবাইল বেংগে ফেলবো।

আবির ঃহ্যায় বলেন।

লিজা ঃ সরি বাবু সেই সময় একটা কাজ ছিলো তাই চলে গিয়েছি। প্লিজ এভাবে অভিমান করে থেকো না।

আবির ঃচলে গেছেন ভালো হয়েছে। 

লিজা ঃএকটু আমাকে জড়িয়ে দড়ো না।

আবির ঃ না দড়বো না।

লিজা ঃ আবির রাগ উঠে যাবে কিন্তু আর রাগ উঠলে আমি যা করতে পারি সেটা কিন্তু তুমি ভালোই যানো।

আবির ঃ ওর রাগ তুলা যাবে না তা হলে এই মেয়ে যা খুশি সেটাই করতে পারে তাই আমি ওকে জড়িয়ে দড়লাম।

লিজা ঃ আর জোড়ে। 

আবির ঃ এতো জোড়ে জড়িয়ে দড়ার শক্তি নাইতো।

লিজাঃ শক্তি না থাকলে শক্তি বানিয়ে নাও।

আবির ঃ আমি ওকে শক্ত করে জড়িয়ে দড়লাম কিছুখন পরে লিজাও আমাকে জড়িয়ে দড়লো।

লিজা ঃ ভালোবাসি।

আবির ঃ ভালোবাসি_ না।

লিজা ঃ কী বললা আর একবার বলোতো।

আবির ঃ ভালোবাসি। এখান তোমাকে ছেড়ে দেই।

লিজা ঃ না আরো কিছুখন এভাবে থাকতে চাই।

আবির ঃ দুজনে দুজনে চোখের দিকে তাকিয়ে আছি।আর ফ্যানের বাতাসে লিজার চুল গুলো আমার মুখে পড়তেছে। হঠাৎ লিজা আমাকে একটা জিনিষ দিলো সেটা দিয়েছে সেটা আমি কোনো দিনও আশা করি নী।এটা কেমন হলো? 

বাসর রাতের অত্যাচার❤️romantic Love story 
পর্ব ঃ৯+১০

লেখক ঃ আবির🍂লিজা

দুজনে শুয়ে শুয়ে কথা বলতেছি এর ভিতরে লিজা আমাকে একটা পাপ্পি দিলো। রাতের বেলা

লিজা ঃআবির আদিবার কত সুন্দার একটা বাবু হয়েছে আমার এমন একটা বাবু চাই।

আবির ঃ তাই না এদিকে আসো তোমাকে বাবু দেই এটা বলার পরে আমি লিজার উপারে পড়ে যাই।বাকি টা ইতিহাস এভাবে ৪ দিন কেটে গেলো 
হঠাৎ মোবাইলটা বেজে উঠলো তাকিয়ে দেখি বস এর কল তাই তাড়াতাড়ি রিসিভ করলাম।

বস ঃ আবির কেমন আছো।

আবির ঃ হুম ম্যাডাম ভালো আছি আপনি কেমন আছেন।

বস ঃ ভালো শোনো আমাদের ২য় কম্পানিতে যেতে হবে।

আবির ঃ ম্যাডাম আমি মনে হয় আসতে পারবো না কারন আমিতো এখন সশুর বাড়িতে আছি।

বস ঃ প্লিজ আসো তোমাকে ওখানে যাওয়াটা অনেক শড়ুলি।আর ৭ দিনইরই তো ব্যাপার ৭ দিন পরে তো চলে আসবো।

আবির ঃকে কে যাবেন।

বস ঃ আমি আর তুমি যাবো।

আবির ঃ কবে যাবেন ওখানে।

বস ঃ আসকে বিকাকেই রহনা দিবো।

আবির ঃ ঠিক আছো ম্যাডাম আমি আসবো।

বস ঃ ঠিক আছে বায় এখন।

আবির ঃফোনটা কেটে দিলাম কাটার সাথে সাথে লিজা বলে উঠলো।

লিজা ঃ আবির কোথায় যাবে হ্যায়।

আবির ঃচিটাগাং যেতে হবে আমাদের অফিসে ২য় কম্পানিতে।

লিজা ঃ তুমি কোথাও যাবে না আমি তোমাকে কোথাও যেতে দিবো না।

আবির ঃ এয় পাগলি এমন করতে আছো কেনো। ওখানে যাওয়াটা আমার অনেক জড়ুলি প্লিজ একটু বুঝো।

লিজা ঃ তুমি বাড়ি থেকে বলে আরছো যে আমাদের বাড়িতে অনেক দিন থাকবে তো এখন যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছো কেনো।

আবির ঃ কী করবো বলো এখানে থাকার হয়তো আমার কপালে নেই।

লিজা ঃ আমি ওত সব কিছু যানি না তুমি আমাকে রেখে কোথাও যেতে পারবে না।

আবির ঃ আমি গিয়ে লিজার হাত দড়লাম সোনা ৭ দিনই এরই তো ব্যাপার ৭ দিন পরেতো আমি চলেই আসবো তাই না।

লিজা ঃ এই ৭ দিন আমি তোমাকে ছাড়া কী ভাবে থাকবো বলো তোমাকে ছাড়া আমার কোনো কিছুই ভালো লাগে না।

আবির ঃপারবে। লিজা আর আমার কোনো কথা শুনলো না রাগ হয়ে ওখান থেকে চলে গেলো।বিকাল বেলা খাওয়া দাওয়ার পরে।বিকাল বেলা আমি ফ্রেশ হতে লাগলাম এর ভিতরে লিজা আসলো।

লিজা ঃ আসকেই চলে যেতে আছো আমাকে একা একা রেখে।

আবির ঃহুম পাগলি আর তুমি তোমাদের বাড়িতে থাকবে না কী আমাদের বাড়িতে যাবে।

লিজা ঃ (কান্না)মরে যাবো।

আবির ঃ লিজা এটা তুমি কী বলতেছো আমি গিয়ে ওকে আমার বুকে নিলাম। এক জায়গায় যাওয়ার সময় বউটার চোখে যদি পানি দেখতে পাই তা হলে আমার কী ভালো লাগে বলো।

লিজা ঃকী করবো বলো তোমাকে ছাড়া আমি এতো দিন থাকবো কী ভাবে তা আমি নিজেও যানি না।

আবির ঃ চেষ্টা করলেই পারবে।

লিজা ঃ আচ্চা আর শুনো আমি এখানেই আছি তুমি যে বাড়িতে আসবে সেই দিন আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাবে।

আবির ঃ ঠিক আছে পাগলি টা।

লিজা ঃ সাবধানে থাকবে কোথাও যাবে না। কাজ করেই তোমার রুমে চলে আসবে।

আবির ঃ ও বউ তোমার জ্ঞান শুনতে শুনতে আমিতো শেষ হয়ে যাবো।

লিজা ঃ আমি জ্ঞান দিবো নাতো কে জ্ঞান দিবে শুনি।

আবির ঃ আচ্চা আরো জ্ঞান দাও আমি শুনতেছি।

লিজাঃ ওখানে গিয়ে তুমি কার কাছে ঘুমাবে হ্যায়।

আবির ঃ কার কাছে ঘুমাবো মানে একা একা ঘুমাবো।

লিজা ঃ আর তোমার বস এর সাথে বেশি কথা বলবা না ওকে।

আবির ঃ আরে ঠিক আছে। এখন কী আমি যেতে পারি।

লিজা ঃআর একটু পড়ে যাও এভানে দুজনে আর কতখন থাকি।

আবির ঃসময় তো হয়ে গিয়েছে।আমার আবার একটু বাড়িতেও যেতে হবে আম্মু কাছে বলে আসতে হবেতো।

লিজা ঃআচ্চা যাও।আমি গিয়ে আবির এর কপালে একটা চুমো দিলাম আর আবির ও আমাকে দিলো।

আবির ঃযাই কলিজাটা। আমি রহনা দিলাম বাড়ির দিকে। আশার সময় দেখতে পেলাম লিজার চোখে জল টলমল করতেছে আমি আর ওখানে দাড়ালাম না কারন ওর চোখের জল দেখে আমার চোখ থেকেও শুরু হয়ে যাবে।কিছুখন পরে বাড়িতে এসে পৌছালাম কলিং বেল দেবার পরে আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো।

মা ঃ বউ মা কোথায়।

আবির ঃ ও আসে নী। 

মা ঃ তুই আবার মেয়েটির সাথে কী করে এসেছিস হ্যায়।

আবির ঃআমি সব কিছু আম্মুকে খুলে বললাম। তুমি না সব সময় আমাকে ভুল বুঝো

মা ঃ তুই যে বাদর ভুল ভুঝারই কথা।

আবির ঃ এখন আর কিছু বলবো কারন অনেক দূরে যেতে আছিতো তাই।

মা ঃ আচ্চা যা তা হলে আর সাবধানে যাবি কিন্তু।

আবির ঃ মনে মনে ভাবলাম আসকে মনে হয় আমি জ্ঞান শুনতে শুনতে শেষ হয়ে যাবো। আমি আম্মুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রহনা দিলাম bus stand এয় এসে একা একা দাড়িয়ে আছি হঠাৎ বস এর ফোন। 

বস ঃ আবির কই তুমি। 

আবির ঃ ম্যাডাম আমি তো এখানে দাড়িয়ে আছি।

বস ঃ আর একটু সামনে চলে এসো।

আবির ঃ ম্যাডাম এর কথা মতো আমি সেখান চলে আসি তার পরে বাসে উঠে পরি।কিছুখন পরে বাস ছেড়ে দিলো।

বস ঃ আবির কিছু কী খাবে।

আবির ঃ না ম্যাডাম কিছু খাবো না।

বস ঃ কী ম্যাডাম ম্যাডাম করতে আছো তুমি করে বলো না।

আবির ঃ সরি ম্যাডাম আপনি আমার বস তাই তাকে সব সময় সম্মান দিয়ে কথা বলতে হয়।

বস ঃরাখো তোমার সম্মান তুমি আমাকে তুমি করে বলবে এটাই আমার শেষ কথা।

আবির ঃ সরি পারবো না।

বস ঃ আচ্চা যাও বলা লাগবে না।

আবির ঃ দুজনে কথা বলতেছি এর ভিতরে ফোনটা বেজে উঠলো তাকিয়ে দেখি বউয়ের কল।

লিজা ঃ তুমি কেমন মানুষ বলো তো একটা বাড় আমাকে কলও দিলা না।

আবির ঃ সরি আসলে এই মাএ বাসে উঠেছিতো তাই ফোন দিতে পারি নী।

লিজা ঃ আচচা এখন রাখি।

আবির ঃ কলটা কাটার পরে চুপ হয়ে ভাবতেছি পাগলি একটা সারা দিনই আমার সাথে রাগ করতে থাকে।এমন রাগি বউ আমার কপালেই জুটলো।আমি চুপ চাপ কথা গুলো ভাবতেছি আর মিটি মিটি হাসতেছি।এর ভিতরে ম্যাডাম বলে উঠলো।

বস ঃতোমার বউ কী তোমাকে খুব ভালোবাসে।

আবির ঃ হুম ম্যাডাম অনেক। তবে দিনের ভিতরে মনে হয় কথা কথা রাগ দেখাবে।

বস ঃ ও আর তোমাকেও একজন এয় পাগল এর মতো ভালোবাসে।

আবির ঃম্যাডাম সেদিনও পানি এটা বলেছে আর আজও এটা বলতেছে কে আমাকে ভালোবাসে বলেন তো।

বস ঃ সময় হক বলবো।

আবির ঃ এখন বলুন আমিও একটু শুনি কে আমাকে ভালোবাসে।

বস ঃ এখন না ওয়েট করো বলবো।

আবির ঃওকে আমি আর সে চুপ হয়ে বসে আছি আমার চোখে কেমন যানো ঘুম এসে পড়লো তাই আমি বাসের এর ছিটেই ঘুমিয়ে পড়লাম। রাতের বেলা ঘুম ভাংতেই না ভাংতেই দেখতে পেলাম নীলা আমাকে জড়িয়ে দড়ে ঘুমিয়ে আছে। আমি তাকে জড়ানোর জন্য চেষ্টা করতেছি কিন্তু পারতেছি না।

ম্যাডাম ম্যাডাম ছাড়ুন। 

বস ঃ কী হয়েছে।

আবির ঃ দেখে না আপনি কী করতেছে এখন আমাকে ছাড়ুন তো।

বস ঃ ও সরি আবির আসলে বুঝতে পারি নী যে এটা হবে। তুমি কিছু মনে করো না।

আবির ঃ Its ok No problem এটা দুজনে চুপ হয়ে আছি।আমি এটা কিছুতেই মেনে দিতে পারছি না। যে ও আমার জড়িয়ে দড়লো হয়তো ঘুমের গড়েই জড়িয়ে দড়েছে এটা নিয়ে মাথা গামানোর কোনো দরকার নেই।কিছুখন পরে আবার ও দেখতে পেলাম ম্যাডাম ঘুমিয়ে পড়েছে।এভার আবারও তিনি আমার কাদে মাথা রেখেছে। তার মাথাটা আমি বাড় বাড় শরিয়ে দিতেছি আর সে বাড় বাড় আমার কাঁদে মাথা রাখতেছে অসজ্জ হয়ে আর শড়ালাম।সকাল সকাল চিটাগং এসে পৌছালাম। এই যে ম্যাডাম আমরা এসে পড়েছি।

বস ঃ কখন আসলাম।

আবির ঃ এই তো এই মাএ এখন বলুন আমাদের কোথায় যেতে হবে।

বস ঃ আমি এখানে আগেই হোটেল বুকিং করে রেখেছি চলো সেখানে যাবো।

আবির ; সে আর আমি রহনা দিলাম হোটেল এর দিকে কিছুখন পরে সেখানে এসে পৌছালাম। ম্যাডাম অফিসে যাবো কখন

বস ঃআসকে না কালকে যাবো।

আবির ঃ ওকে আমি বাহিরে এসে পড়ি তার পরে লিজাকে কল দেওয়া শুরু করে দিলাম।কিছুখন পরে রিসিভ করলো সোনা আমি এখানে এসেছি 

লিজা ঃও। কালকে রাতে আমারা একটুও ঘুম হয়নি তোমাকে ছাড়া।

আবির ঃ কেনো।

লিজা ঃ তোমাকে ছাড়া আমি কোনো সময় একা একা ঘুমিয়েছি। কালকে রাতে শুদু এপাশ করেছি আর ওপাশ করেছি কিন্তু চোখে একটুও ঘুম আসে নী।

আবির ঃআমার শুদু তোমার কথা মন পড়েছে।

লিজা ঃ কচু পড়েছে আমাকেতো তুমি ভুলেই গিয়েছো।

আবির ঃ বউ কে কী ভুলা যায়।

লিজা ঃ হয়েছে আর বলতে হবে তার আগে বলো তুমি কবে আসবে।

আবির ঃ এইতো আসলাম কিছুদিন পরেই আসবো।

লিজা ঃ আবির আমার একটু ভালো লাগে না কেনো যেটা আমি কিছুই ভুঝতেছি না।

আবির ঃ আমি তো তোমার কাছাকাছি তাই।

লিজা ঃ না কাছাকাছি নেই তুমি আমার থেকে অনেক দূরে আছো।

আবির ঃ ও আরো কিছুখন বক বক শুনে ফোনটা কেটে দিলাম তার পরে রুমে চলে আসি।

বস ঃ কোথায় গিয়েছিলা।

আবির ঃ লিজার সাথে কথা বলতে গিয়েছিলাম।

বস ঃ এই খাবার গুলো খেয়ে নাও।

আবির ঃ আমি একা একা খাবো আপনি খাবেন না।

বস ঃ আমি খেয়েছি। 

আবির ঃ আমি খাবার খেয়ে নিলাম তার পরে ঘুমিয়ে পড়লাম অনেক ক্যালান্ত লাগতেছে।বিকাল বেলা উঠে পড়ি উঠে কিছু খেয়ে নিলাম তার পরে আবার ও শুয়ে পড়লাম।কিছুখন পরে নীলা আসলো।

বস ঃ আবির চলো কোথাও থেকে ঘুড়ে আসি।

আবির ঃ ম্যাডাম আমার কোথাও যেতে ভালো লাগতেছে না। আপনি যান আমি কোথাও যাবো না

বস ঃ আমি একা একা যাবো না কী আমার সাথে তোমারও যেতে হবে।

আবির ঃ নীলা অনেক বাড় বলার পরে আমি রাজি হয়ে যাই।কিছুখন পরে একটা রিসকা নিলাম দুজনে রিকসায় বসে আছি আর কথা বলতেছি।

বস ঃ আবির পড়ে যাবে তো আমার কাছে এগিয়ে বসো।

আবির ঃ ম্যাডাম পড়ে যাবো না। রিকশা চলছে তার আপন গতিতে আমরা দুজনে কথা বলতেছি কিছুখন পরে নীলা আমার হাতের ভিতরে ওর হাত ডুকিয়ে দিলো।আমি বাড় বাড় তার হাত শড়াতেছি আর সে বাড় বাড় আমার হাত দড়তেছি।

বস ঃ এমন করতেছো আমি তো শুদু তোমার হাতটাই দড়েছি।

আবির ঃ ম্যাডাম হাত না দড়াটাই ভালো। 

বস ঃ আমি আর আবির এর কথা শুনালাম ওর হাতটা শক্ত করে দড়ে ফেললাম।আবির ছুটানোর জন্য চেষ্টা করতেছে কিন্তু পারতেছে না। কিছুখন পরে আবির আর আমি একটা জায়গায় চলে আসি। আবির তোমাকে একটা কথা বলার ছিলো।

আবির ঃ হুম বলেন।

বস ঃ কী ভাবে বলবো বুঝতেছি না।

আবির ঃনা বলতে চাইলে থাক বলা লাগবে না।

বস ঃ অভিমানি গলায়) আবির আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি যে দিন আমাদের অফিসে চাকরির জন্য এসেছো সেই দিন থেকে আমি তোমাকে আমার মনে জায়গা দিয়ে ফেলেছি।আর যখন শুনেছি তোমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে সে দিন আমি অনেক কান্না করেছি। আর এখনো তোমার জন্য আমার চোখ থেকে পানি জড়তে থাকে।

Next comming soon💋
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post