বাসর রাতের অত্যাচার❤️romantic Love story
পর্ব ঃ ১৪ +১৫ এবং(শেষ পর্ব)
লেখক ঃ আবির🍂লিজা
আবির ঃবিরিজ এর উপারে উঠে পরি তার পড়ে দাড়িয়ে পড়লাম চোখটা বুঝে নিলাম তার পরে যে সময় ঝাপ দিবো এমন সময়। ফোনটা বেঝে উঠলো কী মনে করে যেনো ফোনটা বেড় করলাম তাকিয়ে দেখি আমার ছোট বেলার একটা বন্দু কল দিয়েছে একবার ভাবছি রিসিভ করবো আর একবার ভাবছিকরবো না এগুলো ভাবতে ভাবতে এক পযয়ে রিসিপই করে করলাম।
রকি ঃআবির কেমন আসিস তোর তো কোনো খোজ খবরই নেই।আমাকে কী ভুলে গিয়েছো।
আবির ঃ ( চুপ )
রকি ঃকী হলো কথা বলসিস না কেনো আমার সাথে কথা বলবি না।
আবির ঃআমি কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলাম দোস্ত আমার সব শেষ। তাই আমিও নিজে শেষ হতে যাচ্চি।
রকি ঃমানে কী আমি তো কিছুই বুঝতেছি না আমাকে ভালো করে বুঝিয়ে বলতো।
আবির ঃতার পরে শুরু থেকে সব ঘটনা ওকে বলতে লাগলাম।
রকি ঃএতো সব হয়ে গেছে আর আমি কিছুই যানলাম না। এখন বল তুই কী করতে যাইতেসিস।
আবির ঃআমি নিজেকে নিজে শেষ করে দিতে যাচ্চি।
রকি ঃআবির পাগলামো করবি না তুই আমাদের এই রংপুরে চলে যায়।
আবির ঃ না দোস্ত এসে কী হবে।
রকি ঃআসতে বলেছি কিন্তু তোর কাছা টাকা আছে নী আমি পাঠাবো।
আবির ঃতোর কিছু করা লাগবে না।
রকি ঃআবির রাগ তুলিস না আমি টাকা পাঠাতেছি।
আবির ঃএটা বলে ও ফোনটা কেটে দিলো আমি ওখানে বসে ভাবতেছি যে আমি এখন কী করবো। ওদের ওখানে যাবো না কী নিজের জীবন কে শেষ করে দিবো হঠাৎ message এরা টোনটা বেজে উঠলো তাকিয়ে দেখি রকি টাকা পাঠিয়েছে। তার পরে ও আবার ও কল দিলো।
রকি ঃতুই এখনি বাসে উঠে পর আমি bus stand এর কাছে চলে আসতেছি।
আবির ঃ( কান্ন)রকির ফোনটা কেটে দিলো আমিও ভাবতে লাগলাম আমাকে আবারও বাছতে হবে।এটা বলে আমি সামনের দিকে এগনো শুরু করলাম কিছুখন পরে busএয় উঠে পরি। বাসে উঠে কাঁদতেছি আর আমার পরিবার এর কথা ভাবতেছি আজ তারও আমাকে একটুও Biswas করতে পারলো না আমাকে তাড়িয়ে দিলো। কাঁদতে কাঁদতে আমি বাসের সিটে সুয়ে পড়লাম।অনেক ঘন্টা পরে রংপুর এসে পৌছালাম আমাকে দেখে রকি এসে আমাকে জড়িয়ে দড়লো।
রকি ঃতোর আসতে কোনো কষ্ট হয়নীতো।
আবির ঃনা আমি ঠিক আছি।
রকি ঃচল বাড়ির দিকে যাওয়া যাক।
আবির ঃদেখ আমাকে এখানে না নিয়ে আসলেই মনে হয় ভালো হতো।
রকি ঃচুপ কালকে থেকে তুই আমার কম্পানিতে চাকরি করি।
আবির ঃএসব এর করার দরকার নেই।
রকি ঃচুপ করে হার্ট
আবির ঃঅনেক খন হাটা হাটির পরে আমি ওদের বাড়িতে এসে পৌছালাম আনটি আংকেল আমাকে দেখে অনেক খুশি হলো।পরের দিন রকির সাথে ওর কম্পানিতে চলে আসি তার আগে আমার সিম টা ভেংগে ফেললাম। রকি আমাকে সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। রকি এসব না করলেও পারতি।
রকি ঃতুই আর একটা কথা বললেই তোকে যে কী করবো তা আমি নিজেও যানি না।
আবির ঃ আমি ওর সাথে বাড়িতে চলে আসি। পরের দিন ওর অফিসে চলে আসি এভাবে দিন গুলো চলছিলো তিন বছর এর মতো এর ভিতরে প্রতি রাতে লিজার কথা আমার মনে পড়তো আর ওর কথা আমার মনে পড়লেই আমার চোখ থেকে পানি ঝগতো। আমি ওকে কিছুতেই ভুলতে পারছিলাম না তবুও নিজেকে সামলিয়ে রেখেছি।ও হয়তো এখন সুখেই আছে হয়তো এখন নতুন সংসার নিয়ে অনেক ব্যাস্ত।তবে আমি ওকে আজও ভুলতে পারি নী।আর আব্বু আম্মু কথাও মনে হতে তবে তাদের উপারে অনেক রাগ হতো এটা ভেবে রাগ হতো কারন সে তার নিজের ছেলেকে চিনতে পারলো না।দেখতে দেখতে আরো ১ বছর কেটে গেলো এখন আমি একটা বিশাল কম্পানির মালিক এটা সব হয়েছে আমার বন্দুর জন্য ও যদি আমার পাশে না থাকতো তা হলে হয়তো আমি এতদিনে অনে দূরে হারিয়ে যেতাম আমাকে এখন কম বেশি সবাই চিনে।একদিন আমাদের কম্পানির সাথে একটা কম্পানি ডিল করতে এসেছে।আমি তার জন্য চেহার বসে আছি। । আমি ফাইলে সাইন করতেছি এর ভিতর কারো ডাক।
বস ঃস্যার আসবো।
আবির ঃহুম কিছুখন পরে সে আসলো আমি তো তাকে দেখে অভাক এই হলো নীলা ওর কারনে আমার সুখের সংসারটা শেষ হয়ে গেলো।
বস ঃআবির কেমন আছো তোমাকে আমি অনেক জায়গায় কিন্তু কোথায় ও পাই নী।
আবির ঃকে তুই তোকে আমি চিনি না তুই এখানে এসেসি কেনো তুই এখান থেকে চলে যা।
বস ঃআবির আমি সরি আমি আমার নিজের ভুল বুঝতে পরেছি।
আবির ঃতোর ওই নোংরা মুখে আর আবির ডাকবি না তোর জন্য আমার পরিবারে সকলে আমার ভুল বুঝেছে।তাদের কাছে আমি খারাপ একটা ছেলে।
বস ঃআবির আমি সরি প্লিজ আমাকে খমা করে দাও
আবির ঃতোর মতো মতো মেয়েকে খমা করার কোনো প্রস্নই উঠে না তুই এখন থেকে বেড় হয় না হয় তোকে কিন্তু গলা ধাক্কা দিয়ে বেড় করে দিবো।
বস ঃআবির এমন করো না তোমাকে আমি অনেক খানে খুঁজেছি বাট কোথাও পাই নী।তুমি যখন তোমার বাসা থেকে চলে এসেছো তখন আমার নিজের প্রতিই আমার অনেক খারাপ লাগছে।
আবির ঃbasঅনেক হয়েছে তোর নাটক করা তুই এখান থেকে যাবি কী না।
বস ঃআমি এখানে এসেছি তোমার কম্পানির সাথে আমার কম্পানির সাথে ডিল করতে।
আবির ঃআমি তোর কম্পানির সাথে আমি কোনো ডিল করবো না।
বস ঃপ্লিজ আবির এমন করো না তোমার কম্পানির সাথে আমার কম্পানির ডিল করা অনেক জড়ুলি।
আবির ঃঅনেক হয়েছে কিছুক্ষণ পরে আমি একজন দাড়োয়ান কে ডাক দিলাম তার পরে বললাম যে ওকে বেড় করে দেন।
বস ঃআবির তুমি আমাকে এভাবে বেড় করে দিও না
আবির ঃআপনি ওকে তাড়াতাড়ি বেড় করে দেন।সে নীলা কে বেড় করে দিলো আমি বসে বসে ভাবতেছি তোর জন্য আজ আমি আমার পরিবার থেকে অনেক দূরে তোর মতো বাজে মেয়েকে আমার কম্পানির সাথে কোনো ডিল করতে দিবো না।এগুলো আমি ভাবতেছি আমি আমার বাসায় চলে আসি এসে রাতে ছাদে বসে একা একা পুরানো দিনের কথা ভাবতেছি এর ভিতরে রকি আসলো আমার কাছে।
রকি ঃআবির আর কতো সিগারেট খাবি তোর নিজের জন্যও তো তোকে চিন্তা করা লাগবে।
আবির ঃকী হবে আর বেছে।
রকি ঃচুপ কর তুই চাইলে কিন্তু জীবন টাকে আরো একটা সুযোগ দিতে পারিস।
আবির ঃজীবন তো একটাই তাই না ২য় বার এর মতো আমি আর কাউকে আমার জীবনে জড়াতে চাই না।
রকি ঃসেটা তুই ভালো বলতে পারিস।
আবির ঃরকির সাথে আরো কিছুখন কথা বলে আমি আমার রুমে চলে আসি।এভাবে আরো কয় একটা মাস চলে গেলো কিছুতেই আমি আমার মন থেকে লিজাকে সড়াতে পারতেছি না বার বার ও আমার মনের সামনে চলে আসে।যাইহোক আমাকে আরো অনেক দূরে যেতে হবে। এভাবে আরো কয়একদিন চলে গেলো আজ আমাকে একটু অন্য একটা জায়গায় যেতে হবে আমার নিজের এলাকায় একজনের সাথে আমার কম্পানি নিয়ে কথা বলতে হবে।একবার আমাদের এলায় যেতে চাইছিলাম না তবুও সে অনেক বার বলার পরে আমি রাজি হয়ে যাই ওখানে গেলে হয়ো আমার পুরানো দিনের কথা মনে পড়ে যাবে।তাই আমি আমার গাড়ি নিয়ে আমাদের এলাকার দিকে রহনা দিলাম।পথ গুলে এলোমেল হয়ে গেছে এই চার বছর এয় অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে।কত সম্পানো ছিলো আমার কিন্তু কিছু সম্পতো মনেই থেকে যায়।অনেক খন পরে আমি আমার এলায় চলে আসি আমি মাঠের কাছে দেখতে পেলাম অনেক কাস ফুল নাই আমি ওখামে নেমে পড়ি লিজার এই কাস ফুল অনেক পছন্দের ছিলো। আমি ওখানে বসে আছি আর আগের দিনের কথা মনে করতেছি এখানে কতে যে আগে বসে থাকতাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম একটা পিচ্চি মেয়ের সাথে তার আম্মু দৌড়াতে আছে।
লিজা ঃএই ফারিয়া রাস্তা উঠবে না অনেক গাড়ি চলতেছে কিন্তু বলছি কিন্তু দাড়াতে।
আবির লিজার মেয়ে ঃআম্মু আমি থামবো না তুমি আমাকে দড়তে পারবে না।
লিজা ঃআসকে বাসায় নিয়ে কিন্তু পিটাবো।
আবির লিজার মেয়ে ঃতুমি আমার সোনা আম্মু যানি তুমি আমাকে পিটাবে না। তুৃমি আমার গায়ে কোনোদিন ও হাত তুলো নী।
লিজা ঃআম্মু দাড়াতে বলেছি কিন্তু অনেক গাড়ি চলতেছে কিন্তু।
আবির লিজার মেয়ে ঃআম্মু তুমি আমাকে আরো একটু দাওয়া করো।
আবির ঃআমি দূর থেকে এগুলো দেখতেছি বাচ্চাটা কতো কিউট। আমি ওখানে বসে বসে ওদের দিকে তাকিয়ে আছি কিছুখন পরে পিচ্চি মেয়েটা আমার কাছে এসে থেমে গেলো আমি কিছু বলতে যাবো এমন সময়।
আবির লিজার মেয়ে ঃআরে আব্বু তুমি।
আবির ঃএটা বলে পিচ্চি মেয়েটা আমাকে জড়িয়ে দড়লো আমি তো কিছুই বুঝতেছি না। এই আম্মু তুমি কে বলোতো।
আবির লিজার মেয়ে ঃআসলে তোমাকে দেখতে আমার আব্বুর মতো।
আবির ঃতাই কী ভাবে তোমার আব্বু কোথায় থাকে।
আবির লিজার মেয়ে ঃবলতে পারবো না তবে আমি আম্মুর মোবাইলে আমার আব্বুর ছবি দেখেছি।
আবির ঃতোমার নাম কী মামনি।
আবির লিজার মেয়ে ঃআমার নাম ফারিয়া।
আবির ঃঅনেক মিষ্টি একটা নাম এর ভিতরে মেয়েটির আম্মু আমাকে না দেখেই বলা শুরু করে দিলো।
লিজা ঃThanksyou আমার মেয়েকে দড়ে রাখার জন্য।
আবির ঃআমি কিছু করি নী আপনার মেয়েই আমার কাছে চলে এসেছে মেয়েটির আম্মুর গলাটা কেমন যানো চিনা চিনা লাগে মনে হয় আমি অন্য কোথাও শুনেছি।তাই আমি তার দিকে তাকালাম দুজনে দিকে তাকাতে না তাকাতে যেটা হবে আমি সেটা কোনো দিনও ভাবি নী এটা হলো লিজা। দুজনে দুজনের চোখের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
লিজা ঃকান্না) আমি নিজের চোখ ভাবতে পারছি না যে আবির আমার সামনে দাড়িয়ে আছে আমি গিয়ে আবির জড়িয়ে দড়লাম। দূজনে কিছুখন নীরবতা পালন এর পরে কেমন আছো তুমি তোমাকে আমি অমেক জায়গায় খুজেছি কোথাও পাই নী।
আবির ঃ হঠাৎ আমার পুরানো দিনের কথা মনে পড়ে গেলো এই যে কী করতে আছেন ছাড়ুন।
লিজা ঃআবির নীলা আমাকে সব কিছু বলছে সেদিকার তোমাার কোনো দোষ ছিলো না।
আবির ঃআপনি কী বলতে আছেন আমি কিছুই বুঝতেছি না আমাকে ছেড়ে দিন আর আমি আবির না আমি অন্য কেউ।
লিজা ঃ প্লিজ এভাবে অভিমান করো না আমার সাথে।
আবির ঃআমি লিজাকে ছাড়িয়ে নিলাম তার পরে আমি আমার গাড়িতে উঠতে যাবো এমন সময় লিজা তার মেয়েকে বললো।
লিজা ঃফারিয়া এই তোমার আব্বু।
আবির ঃএটা বলার পরে ফারিয়া এসে আমাকে জড়িয়ে দড়লো।
আবির লিজার মেয়ে ঃআববু তুমি আমাকে রেখে কোথায় যাইতেছো।
আবির ঃমামনি আমার অনেক জায়গায় যেতে হবে।
আবির লিজার মেয়ে ঃআব্বু তুমি আমাকে রেখে কোথাও যেতে পারবে না।
লিজা ঃ আমি আবির এর কাছাকাছি চলে আসি আবির আমাকে তুমি মাফ করে দাও।
আবির ঃআপনি কোনো অপরাধ করেন নী যার জন্য আমার কাছে মাফ চাওয়া লাগবে।আম্মু আব্বু কেমন আছে।
লিজা ঃআম্মু অনেক অসুস্থ তোমার চিন্তা করতে করতে তার আজ এই অবস্তা।
আবির ঃআম্মু অসুস্থ সেটা শুনে আমার মনটা খারাপ হয়ে গেলে। আম্মুতো আমাকে ছোট বেলা থেকে বড় করেছে তাই তার সাথে তো রাগ করে থাকা যায়।
লিজা ঃআবির ফিরে চলো আম্মুকে একটু দেখে এসো।
আবির ঃমনটা আর মানলো না আম্মুকে দেখার জন্য আমার মনটা আনছান আনছান করতে লাগলো এই আপনি গাড়িতে উঠে পরেন।সবাই গাড়িতে উঠে পরলো লিজা পিছন আর আমি আর আমার মেয়েটা সামনে।
আবির লিজার মেয়ে ঃআব্বু আব্বু ও আব্বু তুমি এতো দিন আমাকে ছেড়ে কোথায় গিয়েছিলে।
আবির ঃপড়ে বলবো মামনি।কিছুখন পরে লুকিন ক্লাস এর দিকে চোখ পড়লো দেখতে পেলাম লিজার চোখ দিয়ে অঝড়ে পানি পড়তে আছে।ও কাদুক না অন্য কিছু করুক তাতে আমার কী।
আবির লিজার মেয়ে ঃআব্বু আম্মু কাঁদতেছে কেনো
আবির ঃসেটা তো আমি বলতে পারবো না সেটা তোমার আম্মুই ভালো বলতে পারে। আমার মেয়েটা আমাকে জড়িয়ে দড়ে বসে আছে।এতো ছোট একটা কী সুন্দার পাকনা পাকনা কথা বলে। অনেক খন পরে বাড়িতে এসে পৌছালাম বাড়িটা আগে মতোই আছে এই চার বছর এয় কিছুই প্ররিবতন হয় নী।আমি আম্মুর কাছে চলে আসি আশার সাথে সাথে আম্মু আমাকে জড়িয়ে দড়লো আমাকে জড়িয়ে দড়ে সে কী কান্না আমি আম্মুর চোখের পানি মুছিয়ে দিলাম। কিছুখন পরে আববুও আমার কাছে চলে আসলো এসেও আমাকে জড়িয়ে দড়লো। আম্মু আমি এখন যাই।
মা ঃকোথায় যাবি তুই।
আবির ঃআমার যে খানে আসল ঠিকানা সেখানেইতো যেতে হবে।
মা ঃ প্লিজ বাবা তুই আমাদের ছেড়ে আর যাইস না তা হলে মনে হয় আমরা আর বাছবো না।আমি কোনো দিনও ভাবতে পারি নী যে তোর বস এরকম।সারা দিনই তোর বউটা তোর জন্য কান্না করে।আর তোর মেয়েটে আব্বু আব্বু করে।
আবির ঃআমার তো ওখানে যেতেই হবে আমার কম্পামি আছে তার দেখা শুনা করতে হবেতো এই চার বছরে অনেক উন্নাতি করতে পেরেছি।
মা ঃ কিছুদিন আমাদের এখানে থেকে যা না প্লিজ।
আবির ঃআম্মু অনেক বাড় বলার পরে আমি রাজি হয়ে যাই।আমার এখন বাহিরে যেতে হবে একটু কাজ আছে।আমি বাহিরে দিকে রহনা দিলাম এমন সময় লিজা বললো।
লিজা ঃকিছুতো খেলে না কিছু খেয়ে যাও না।
আবির ঃআমি আপনাকে চিনি না কোন অধিকারে আপনি আমাকে খেতে ডাকেন। আমি হাটা শুরু করে দিলাম এমন সময়।
আবির লিজার মেয়ে ঃআব্বু আমি তোমার সাথে যাবো।
আবির ঃআমি ফারিয়াকে কোলে তুলে নিলাম তার পরে এখান কার একটা অফিসে কাজ ছিলো সেটা করে আমি আর আমার মেয়ে বাড়িতে চলে আসি।আশার সময় অনেক বক বক করেছিলো।আমি শুদু চুপ চাপ শুনেছি আর মিটি মিটি হেসেছি। আমি বাড়িতে এসে শুয়ে পড়ি। দুপুরে কারো ডাক তাকিয়ে দেখি লিজা আমি এখন ওর দিকে ভালো ভাবে তাকালাম তাকিয়ে আমি দেখতে পেলাম চেহারা টা আগের মতই আছে চোখের পাশে কালো দাগ পরে আছে মনে হয় অনেক রাত দড়ে কেঁদেছে।আমি শুদু ওর দিকে তাকিয়ে রয়েছে কিছুখন পরে ও বললো।
লিজা ঃচলো খেতে যাবে না।
আবির ঃআমি ওর কোনো কথা শুনলাম না আমি হাটা শুরু করে দিলাম।এমন সময় লিজা আমাকে টান দিয়ে ওর বুকে নিলো।
লিজা ঃ কান্না) দয়া করে আমাকে মাফ করে দাও এতো দিন তোমার জন্য আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি এমন কোনো দিন নাই যে আমি কাদি নী।
আবির ঃআপনি কাদলে আমার কী আপনি আমাকে ছাড়েন। না হলে খারাপ কিছু হয়ে যাবে কিন্তু
লিজা ঃআরো কষ্ট দিবা দাও মারার হলে মেরে ফেলো তবুও এমন ভাবে আমার সাথে রাগ করে থেকো না।
আবির ঃআমি ওকে ছাড়িয়ে খেতে চলে আসি খেয়ে দেয়ে আমি আর আমার পিচ্চি মেয়েটাকে নিয়ে ঘুড়তে বের হলাম মেয়েটা দেখতে ওরা আম্মু মতোই হয়েছে। অনেক খন ঘুড়ে বাড়িতে চলে আসি রাতের বেলা। আমি এসে ছোপায় শুয়ে পড়ি আর লিজা আর ওর মেয়ে খাটে চলে গেলো।
লিজা ঃআবির খাটে চলে এসো প্লিজ।
আবির ঃআপনি আর আমার সাথে একটু ও কথা বলবেন না আপনার আর আমার সম্পক অনেক আগেই শেষ হয়ে গেলো।
লিজা ঃ এভাবে বলো শুনে আমার বুকের ভিতরে ব্যাথা করে।
আবির ঃওর কোনো কথায় আর আমি কান দিলাম না আমি শুয়ে পড়লাম কিছুখন পরে আনার মেয়েটা বললো।
আবির লিজার মেয়ে ঃআব্বু আব্বু ও আব্বু শুনো না
আবির ঃজী মামনি বলো।
আবির লিজার মেয়ে ঃতুমি আমার সাথে এখানে আসো না আমি তোমার কোলে ঘুমাবো।
আবির ঃমামনি আমি ওখানে যাবো না তুমি আমার এখানে চলে এসো।কিছুখন পরে ফারিয়া আমার কাছে চলে আসলো আশার সাথে সাথে আমি ওকে আমার বুকের উপারে শুয়ে দিলাম। তার পরে ওর গালে একটা চুমো দিলাম।
আবির লিজার মেয়ে ঃআব্বু তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না তো।
আবির ঃনা মামনি কোথাও যাবো না।
আবির লিজার মেয়ে ঃযদি যাও তা হলে তোমার সাথে কিন্তু আরি করে দিবো।
আবির ঃঠিক আছে।
আবির লিজার মেয়ে ঃযানো আব্বু তোমার ছবি দেখে আম্মু প্রতিদিন কান্না করে।
আবির ঃতুমি এখন ঘুমাও।কিছুখন পরে ও ঘুমিয়ে পড়লো কিছুখন পরে চোখ পড়লো সামনের দিকে দেখতে পেলাম লিজা আমার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে কাঁদতেছে।ও কাদলে আমার কী এটা ভাবতে ভাবতে আমি ঘুমিয়ে পড়ালম মাঝরাতে বুঝতে পেলাম আমার বুকের উপারে কে যানো পানি ডেলে দিয়েছি মনে। আমি মনে করেছি এটা হয়তে আমার মেয়েই যা করার করেছে কিন্তু চোখ খুলে দেখি লিজার আমার বুকের উপার মাথায় দিয়ে কাদতেছে।
লিজা ঃ (কান্না)কেনো এমন করতে আছো আমার সাথে আজ তোমাকে ফিরে পেলাম আর আজই তুমি আমার সাথে এমন করতে আছো কেনো।এতো দিন আমি যে কত কষ্ট ছিলাম সেটা হয়তো তোমাকে ভলে বুঝাতে পারবে না। এমন কোনো দিন বাধ যায় নী যে তোমার জন্য আমি কান্না করি নী।তবুও তুমি আমাকে বুঝলে না আজ যখন তোমাকে একটা নজর দেখেছি তোমাকে দেখে আমার মনের সব কষ্ট মুছে গিয়েছিলো তার পরে তোমার ব্যাবহার টা দেখে আমার অনেক খারাপ লাগতেছে।শারা জীবন কী আমি কষ্টই পেয়ে যাবো কেনো আমার সাথে এমন হলোতো।
আবির ঃ আমি একটু নড়ে উঠলাম সেটা দেখে লিজা আবার ও ওর খাটে চলে গেলো। কষ্টতো আমার ও হয়েছে যখন তুমি বলেছো এখান থেকে চলে যেতে।এভাবে আরো কিছুদিন কেটে গেলো এতো দিন লিজার সাথে অনেক দূর ব্যবহার করেছি।মনে মনে ভাবলাম কালকেই চলে যাবো আর এখানে থাকবো না। সেই দিন রাতে বেলা ঘুমিয়ে আছি এর ভিতরে লিজাকে ওর বিছানে দেখতে পেলাম বিছান শুদু মেয়েটা পড়ে আছে। না ভাবলাম ও গেলো কোথায় আমি ছোপা থেকে উঠে ওকে শারা জায়গায় খুঁজতে লাগলাম কিন্তু কোথাও পেলাম না তাই ছাদে চলে আসি এসে দেখি।ও ছাদে একা একা চাদের দিকে তাকিয়ে আছে তাই আমি ওর কাছে চলে আসি।আমি গিয়ে ওর পাশে বসে পরলাম। আমাকে দেখে অন্য পাশে গিয়ে বসলো আমিও ওর আবার সেই পাশে চলে গেলাম।আবার উঠতে যাবে এমন সময় আমি ওর হাতটা টেনে দরলাম।এতো রাতে তুমি ছাদে কী করতে আছো।
লিজা ঃকান্না)এমনিতে বাড়ির ভিতরে অবস্তা দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারছি না মন চায় ছাদ থেকে ঝাপ মারি।
আবির ঃও ঝাপ দিলেই কী সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
লিজা ঃহবে না বাট কিছু মানুষতো খুশি হবে।
আবির ঃআমি ওর চোখে পানি মুছে দিতে লাগলাম।
তার পরে ওকে ঝড়িয়ে দরলাম আমি আবার কারো কষ্ট সজ্জ করতে পারি না তাই ওকে মনে নিলাম।দুজনে ঝড়িয়ে দড়ে আছি এর ভিতরে লিজা বললো।
লিজা ঃআবির তোমাকে আমি ফিরে পেয়ে আজ অনেক খুশি লাগতেছে।
আবির ঃআমারও আমার সাথে তুমি এমন করেছিলে কেনো।
লিজা ঃসেই সময় আমার মাথা ঠিক ছিলো না আমি বুঝতে পারি নী তোমার বস এতো নিচু।
আবির ঃহয়েছে এখন রুমে চলো।
লিজা ঃদেখো না হালকা পাতাশ আসতেছে আমাদের দূজনের এভাবে থাকতো তো ভালোই লাগতেছে।
আবির ঃমেয়েটা একা একা রুমে শুয়ে আছে।
লিজা ঃতুমি শুদু মেয়েটাকেই ভালোবাসো আমাকে একটু ভালোবাসো না।
আবির ঃতাই তোমার ভালোবাসা লাগবে দাড়াও দিতে আছি আমি ওকে টেন আমার আরো কাছে নিয়ে আসি।তার পরে আমার মুখে টা ওর কাছে নিয়ে আসি।
লিজা ঃএই কী করছো এসব এখানে বসে কেউ করে না।
আবির ঃতো কোথায় বসে করতে হয় শুনি।
লিজা ঃচলো আমার সাথে দেখাতে আছি।
আবির ঃলিজা আর আমি আমাদের খাটের কাছে চলে আসি।বউ আমি কী আবার ও ছোপায় যাবো।
লিজা ঃএকদম মার দিবো ও কথা বললে আমি আজ তোমার বুকের উপারে শুবো।
আবির ঃএতো দিনতো আমার কথা একটু মনে পড়ছিলো ।
লিজা ঃমনে পড়ছিলো কী না সেটা আমি যানি।
আবির ঃতাই আমি আর ও খাটে শুয়ে পড়ি। দুজনে অনেক খন দুজনের দিকে তাকানো পড়ে লিজা বললো।
লিজা ঃএখন কী ঘুমাবে।
আবির ঃকে বললো ঘুমাবো আজ আমি আবার ও ইতিহাস গড়বো।
লিজা ঃমানে কী।
আবির ঃআমি ওকে টান দিয়ে আমার বুকের উপারে শুয়ে দিলাম।
লিজা ঃএই আসকে কোনো দুষ্টামি করবে না আমাকে আর এই দুষ্ট ছেলে কিছু বলতে দিলো না তার আগে চার ঠোঁট এক করে দিলাম।
আবির ঃঅনেক দিন পরে লিজার ঠোঁট ছোয়া পেয়ে আমার শরিল কেমন যানে শিউরিত হয়ে উঠে অনেক খন পরে ছেড়ে দিলাম।
লিজা ঃআমি ওকে ঝড়িয়ে দড়লাম।আবির কেনো আমাদের এই সম্পাক এর ভিতর বাড় বার ভাঙন লাগে।
আবির ঃ তুমি আনাকে Biswa করো না তাইতো লাগে।
লিজা ঃআসকে থেকে তোমাকে আর কোনো দিনও Obiswas করবো না। যত কিছু হয়ে যাক না কেনো।তোমাকে আমি অনেক ঝায়গায় খুজেছি আর তোমার ফোন বার বার টেরাই করেছি।
আবির ঃতাই। বউ চলো না তোমাকে আবারও আর একটা ফারিয়ার আম্মু বানিয়ে দেই।
লিজা ঃকী বলো এসব তোমার ওই পাকনা মেয়েটা আমাকে ঝালিয়ে খায়।আবারও যদি আর টা না না বাবা আমি পাড়বো না।
আবির ঃআরে ২য়টা না হয় আমিই সামলাবো।
লিজা ঃতুমি বাচ্চা সামলাতে পারো না কী তুমি তো এখনো আমার কাছে পিচ্চি আবির সোনা।
আবির ঃতাই কিছুখন পরে আমি লিজার উপারে পড়ে যাই।
লিজা ঃএই শয়তান এগুলো তুমি কী করতে আছো।
আবির ঃআসকে না অনেক বোজা পড়া বাকি আছে
লিজা ঃকিসের বোজা পড়া আমি তো কিছুই বুঝতেছি না।🤔
আবির ঃএই দেখো কী করি।কিছুখন পরে যেটা হবার সেটাই হয়ে গেলো কী হবে তা তো বুজতেই পাড়ছেন অনেক টা বছর পড়ে বউটাকে আবার ও কাছে পাইছি।আমাদের জন্য দোয়া করবে শারা জীবন যানো আমাদের ভালোবাসা এমন ভাবে থাকে। আর যানো আমাদের এই ভালোবাসার ভিতরে আর কোনো বাধা সৃষ্টি না হয় তার জন্যও দোয়া করবে। অবশেষে পুরনোতা পেলো আরো একটা ভালোবাসার গল্প❤️
💜 ঠিক করছি আর গল্প লিখবো না আপনারা গল্প পড়ে চলে যান কমেন্ট করেন না তাতে খুব কষ্ট হয় আমার🥀😰 একটা পর্ব গল্প লিখতে ১টা দিন কেটে যায়.......l
❤️(সমাপ্ত)❤️