গল্পঃ অহংকারি মামাতো বোন যখন বউ পর্ব ঃ ৩য়

 অহংকারি মামাতো বোন যখন বউ🍂Heart Touching Love Story
পর্ব ঃ ৩য়

লেখকঃআবির🍂 নুসরাত 

আবির ঃ কান্না কান্না চোখে))) মনে মনে ভাবলাম হার রে আল্লা ভালো result করলে ও কী শাস্তি পেতে হয় ♦ একটু পর দেখতে পেলাম নুসরাত ঘুমিয়ে গেছে আর আমি ও মুখের দিকে তাকিয়ে আছি যে মেয়েটি এত টা মায়াবি তো ও এত অহংকার কেন মনে মনে ভাবলাম ওর চোখের দিকে তাকানো যাবে না তা হলে মায়ায় পড়ে যেতে 💙 হঠাৎ আমার ও চোখ টা লেগে আমি ও ঘুমিয়ে পড়ি ❤ সকাল সকাল উঠে দেখি নুসরাত আমাকে জরিয়ে দড়েছে এমন সময় নুসরাত এর ঘুম ভেংগে গেল তা দেখে নুসরাত আমাকে জোরে দাক্কা মারলো 💙

নুসরাত ঃ রাগি ভাবে😠) তুমি আমার বিছানায় ঘুমিয়ে পড়লি কেনো

আবির ঃ সরি আমি বুঝতে পারি নী আমার চোখ টা লেগে গেছিল হয় তাই ঘুমিয়ে পড়েছি 💜

নুসরাত ঃ কুত্তার বাচ্চা তোর চোখ আছকে তুলবো তোর চোখে ঘুম আরছে কেন 💜 তখন তুই মজা বুঝবি 💟

আবির ঃ সরি আছকে মতো মাফ করে দিন ❤

নুসরাত ঃ তুই পা দড়ে খমা চাবি তা হলে আমি তোরে মাফ করে দিব 💚

আবির ঃ এটা কী বলছেন 😭😭💓

নুসরাত ঃ তুই চাবি কী না তা হলে তোর কথা আম্মুর কাছে বলে দিব 💙 যে তুমি আমাকে জোর করে দরশন করতে চেয়েছিস 💟

আবির ঃ আমি উপড়ে এই ভাবে বাড় বাড় মিথ্যা অপরাধ দিয়েন না 😭💘

নুসরাত ঃ তুই পা দড়বি কী না 💖

আবির ঃ আমি গিয়ে তাড় পা দড়লাম আর ভাবতে আছি মা তুমি কেন আমাকে ছেড়ে চলে গেলে আমি তো আর এই অবহেলা সজ্জ করতে পারি না 💓 একটু পর পা টা ছেড়ে দিলাম ❤

নুসরাত ঃ আর যদি এই ভুল টা করিস তা হলে তোকে এই বাড়ি থেকেই নামিয়ে দিব ❤

আবির ঃ ঠিক আছে এটা বলে আমি আমার রুমে চলে আসি 💙 এসে শুয়ে শুয়ে কাঁদতে ছি 💞 আর মনে মনে ভাবতে ছি হয় তো আমার মরন ছাড়া আর কিছু করার নাই 💜 
___ এভাবে আরো ১ মাস কেটে গেল একদি আমি আর মেহেদি রাস্তা দিয়ে হাড়তে 💜 এতো ভাবতেছি এতো অত্যাচারের চেয়ে একটা জব করবো আর পড়াশোনা ও চালাবো হঠাৎ মেহেদি বললো,,

মেহেদি ঃ আবির তুই আর কতো দিন এই অবহেলা সজ্জ করবি বলতো 💜

আবির ঃ যানি না রে আমার কপালে কি আছে 💜

মেহেদি ঃ তোরে আগেই বলছি যে আমার আব্বু কম্পানীতে ডুকে যা তুই তো আমার কোনো কথাই শুনো না 💙

আবির ঃ দেখি আমাকে একটু ভাবতে দে

মেহেদি ঃ তুই যা ভালো বুজো সেটাই কর,

আবির ঃ হুম? দুজনে কথা বলতে বলতে হাড়তে ছি হঠাৎ চোখ পড়লো সামনে দিকে দেখতে পেলাম একটা মেয়ে রক্তাক্ত আবস্তা রাস্তা পড়ে তাই আমি দুজনে দৌড়িয়ে তার কাছে গেলাম গিয়ে তার মুখ টা ঘুড়ালাম তাকিয়ে দেখি নুসরাত ♥ মেহেদি এয় তো নুসরাত ওরে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে 💚

মেহেদি ঃ তুই কী সব কিছু ভুলে গেছিস ওরে এখানে বসে মরতে দে 💙

আবির ঃ কী বলছো এই সব ও আমার সাথে অনেক খারাপ কিছু করেছে আমি তো করতে পারি না -- তুই ওরে দড়লে দড়বি তা না হলে আমিই ওরে একা হাসপাতালে নিয়ে যাই, 💚

মেহেদি ঃ আমি ও যাবো তোর সাথে 💚

আবির ঃ কিছু খন পর একটা গাড়ি পেলাম তাই তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসলাম 💜 কিছু খন পর ডাক্তার আসলো আর ডাক্তার এয় বললো 💓

ডাক্তার ঃ ও মাই গট এয় তো ছিরিয়াছ আবস্তা __ তাড়াতাড়ি অপারেশন করতে হবে, 💚

আবির ঃ এটা বলে নুসরাত কে রুমে নিয়ে গেল আমি ভাবলাম একটা মামি কে কল দি হ্যালো মামি তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আসো

মামি ঃ কেন 💙

আবির ঃ তোমার মেয়ে accident করেছে

মামি ঃ কান্না কান্না) কি বলছো এইসব আবির ♦ তোরা কোন হাসপাতালে আছো

আবির ঃ আমরা বরিশাল সরকারী হাসপাতালে আছি ৩ তলায় এসে পড়ো 💙

মামি ঃ আমি এখনোই আসতে ছি 💚

আবির ঃ ৩০ মিনিট পর মামি আসলো আর বললো 💚

মামি ঃ আবির ও কিভাবে accident করলো আর ওএখন কেমন আছে 💙

আবির ঃ আমি কিছুই বলতে পারবো না আমি ওরে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেছি তাই নিয়ে আসলো 💚

মামি ঃ আবির ও কি বাছবে 💚

আবির ঃ দেখতে পেলাম ডাক্তার বেড় হয়ে আসলো 💚 

মামি ঃ ডাক্তার আমার মেয়ে কি বাছবে

 ডাক্তার ঃ দেখেন ওর একটা বড় accident হয়েছে এটায় ওর ২ টা কিডনিই nosto হয়ে গেছে ১২ ঘন্টার মধ্য যদি কিডনি না পাওয়া যায় তা হলে তাকে আর বাছানো যাবে না💚

মামি ঃ কান্ন কান্না 😢) আপনাদের খোজে কোনো কিডনি নাই যত টাকা লাগে আমি দিব 💜

ডাক্তার ঃ আমাদের খোঁজে আছে কিন্তু ওর সাথে ম্যাচিং হতে আছে না 💜

মামি ঃ ডাক্তার তা হলে কী আমার মেয়ে বাছবে না 💚

ডাক্তার ঃ বাছা মরা আল্লার হাতে 💜

আবির ঃ আমি বলে উঠলাম ডাক্তার আমি একটা আমার কিডনি দিতে চাই 💚

ডাক্তার ঃ দিলে বললোই তো হবে না ওর সাথে ম্যাচিং করতে হবে 💚

আবির ঃ তা হলে আমাকে পরিখা করে দেখুন __ 💚

ডাক্তার ঃ হুম চলেন 💘

আবির ঃ আশার সময় মেহেদি বললো💚

মেহেদি ঃ আবির তুই কী পাগল হয়ে গেছ যে তোকে এত অপমান অবহেলা করছে তোকে মানুষ বলে কিছু মনে করে নী তাকে তুই বাছানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছিস, 💜
আবির ঃ [কান্না কান্না „😢] কেন আমি এটার উওর দিতে পারবো না চলি রে dost বেছে থাকলে আবার ও দেখা হবে 💚

মেহেদি ঃ আশা করি ভালো কিছুই হবে❤

আবির ঃ হুম __ এটা বলে ডাক্তার আমাকে পরিখা করতে নিয়ে গেল সে দেখতে পেল আমার কিডনি আর নুসরাত কিডনি ম্যাছ হয়েছে ❤ তাই ডাক্তার বললো 🤔

ডাক্তার ঃ আপনি সত্যিই কিডনি ডোনেট করবেন 🌺

আবির ঃ হুম 🌺

ডাক্তার ঃ ঠিক আছে চলেন 🌺

আবির ঃ আমি তার সাথে চলে গেলাম কিছুখন পর আমার অপারেশন 🌺 তাই ডাক্তার আমাকে অজ্ঞান করে অপারেশন করা শুরু করলো 🌺 ভালো ভালোই সব মিটে গেল ♦ আমি অজ্ঞান কিছু খন পর আমার জ্ঞান ফিরলো তাকিয়ে দেখি আমার পাশে মেহেদি আর মামি বসা 🌺 একটু পর মেহেদি বলা শুরু করলো 🌺

মেহেদি ঃ কী রে এখন কেমন লাগছে 🌺

আবির ঃ ভালো আমি মামি কে বললাম মামি নুসরাত এর খবর কী ও কেমন আছে

মামি ঃ ওর এখনো জ্ঞান ফেরে নী 🌺

আবির ঃ তো ডাক্তার বলেছে কী 🌸

মামি ঃ ডাক্তার বলেছে কিছু খন এর ভিতর জ্ঞান ফিরবে 🌺

আবির ঃ ও 🌺

মামি ঃ কান্না কান্না) বাবা আমাকে খমা করে দিস আমি তোর সাথে অনেক খারপ ব্যাবহার করেছি 🌺

আবির ঃ কী বলছেন এইসব __ আপনি তো আমার মায়ের মতো তো ছেলের কাছে মা কোনো দিন মাফ চায় 🌺

মামি ঃ যানি আমি খমা পাওয়ার যোগ্য না তবুও খমা করে দিস 🌺

আবির ঃ মামি ফালতু কথা বলবেনা না আমি কিছু মনে করি নী __ দেখতে পেলাম কিছু খন পর ডাক্তার আসলো 🌺

ডাক্তার ঃ আপনার মেয়ের জ্ঞান ফিরেছে এখন দেখা করতে পারেন 🌺

মামি ঃ ঠিক আছে __ আবির বাবা তা হলে তুই থাক আমি ও সাথে দেখা করে আসি 🌺

আবির ঃ ঠিক আছে এই বলে মামি নুসরাত কে দেখতে গেল 🌺

নুসরাত ঃ আম্মু আমি এখানে কেন 🌺

আম্মু ঃ তুই accident করে ছিলি 🌺 আর তোকে আবির ওর একটা কিডনি দিয়ে তোকে বাছিয়েছে ♥

নুসরাত ঃ আম্মু তুৃমি কি বলছো এইসব আমি মনে মনে ভাবতেছি যাকে আমি এত অবহেলা অপমান করেছি ও আছকে আমাকে বাচিয়েছে __ এটা ভাবতে ভাবতে আম্মু বলে উঠলো 🌺

আম্মু ঃ মা তুই এখন কেমন আসিস 🌸

নুসরাত ঃ ভালো ♥

আম্মু ঃ তো কিভাবে accident করলি 🌺

নুসরাত ঃ আমি রাস্তায় দিয়ে হাড়তে ছিলান এমন সময় একটা মটর সাইকেল আমার গায়ে উঠিয়ে দেয় তার পরে আমি কিছুই বলতে পারবো না 🌺

আম্মু ঃ কান্না কান্না) তো তুই রাস্তায় দেখে শুনে হাটবি না ♥ তোর যদি আজ কিছু হয় যেত তা হলে আমার কি নিয়ে থাকতাম তোর আব্বু বিদেশ থেকে শুনে পুরা পাগল এর মতো হয়ে গেছে 🌺

নুসরাত ঃ তো আব্বু কে যানিয়ে দাও আমি সুস্তা হয়েছি 🌺 

আম্মু ঃ হুম যানিয়েছি 🌺

নুসরাত ঃ আম্মু আবির এখন কেমন আছে 🌺

আম্মু ঃ তোর মতোই মোটা মুটি একটু সুস্ত আছে 🌺

নুসরাত ঃ ওরে সাথে একটু দেখা করা যাবে 🌺

আম্মু ঃ কী বলো এইসব তুই তো নিজেই অসুস্ত ♥ আগে সুস্ত হয় তার পরে দেখবি

নুসরাত ঃ ওরে না আমার অনেক দেখতে ইচ্চা করতে ছে 🌺

আম্মু ঃ সুস্তা হয় তার পরে দেখবি 🌺

নুসরাত ঃ ঠিক আছে 🌺

আম্মু ঃ আর একটা কথা তুই ওর সাথে আর খারাপ কিছু করবি না __ ভুলে যাবি না ওর জন্যই তুই আজ বেচে আছিস 🌺

নুসরাত ঃ আমি আর কিছু বলতে পারলাম না এটা বলে আম্মু আবির এর কাছে চলে গেল __ আর আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম আমি কী এত টাই খারাপ যে ছেলেটিকে আমি কথা কথা গালি দিতাম সেই আছকে আমাকে বাচিয়েছে ♥ আমি সুস্ত হলে ওর কাছ থেকে মাফ চেয়ে নিতে হবে 🌺
এভাবে আমি ২০ দিন কেটে গেল আজ আমি পুরো সুস্ত হয়ে গেছি এই ২০ দিন আবির এর সাথে কোনো কথা হয় নি কারন ও তো অসুস্ত ছিল তাই তাই আজ আমাকে বাড়িতে নিয়ে যাবে __ কিছু খন পর আমরা বাড়িতে এসে পৌছালাম আমি আগে আবির এর রুমে চলে গেলাম তাকিয়ে দেখি আবির সুয়ে আছে মনে হয় এখনো অসুস্ত তাই আমি তার কাছে গেলাম 🌺 আমি গিয়ে তার শরিলে হাত রাখলাম কিছু খন পর আবির চোখ খুললো 🌸

আবির ঃ ও ম্যাডাম আপনি তো কেমন আছেন 🌺

নুসরাত ঃ ভালো তুমি কেমন আছো 🌺

আবির ঃ তুমি শুনে আমি তো অভাক আমি ও ভালো আছি __ আমি দেখতে পেলাম নুসরাত আমার শরিলে হাত দিয়ে রেখেছে তাই আমি বললাম __ ম্যাডাম এগুলো আপনি কী করছে আমার গায়ে হাত দিলে তো আপনার আবার গোছল করতে তাই আমার শরিল থেকে হাত টা নামান _♥

নুসরাত ঃ আবির আমি সরি তোমার সাথে অনেক খারাপ কিছু করেছি 😭😭🌺

আবির ঃ ছি ছি ম্যাডাম আপনি আমার কাছে মাফ চান __ আমার কাছে মাফ চেয়ে আমাকে ছোট করবে না প্লিজ 🌺

নুসরাত ঃ কান্না কান্না ] আবির আমি আমার ভুল বুজতে পেরেছি প্লিজ মাফ করে দাও 🌺

তার পড়ে কী হয়েছিলো যানতে চান তা হলে অপেক্ষা করুন আর হ্যা। ১০০ লাইক ১০০ কমেন্ট পড়লে আজ রাতেই একটা পর্ব দিবো🍂

❤ Next Part Comming Soon ❤
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post