গল্পঃ_চরিত্রহীন_ছেলের_ভালোবাসা_পর্ব_০৩

 #গল্পঃ_চরিত্রহীন_ছেলের_ভালোবাসা_পর্ব_০৩

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল। 

তারপর নিশিকে নিয়ে রনির বাসায় চলে গেলাম। গাড়ি থেকে নেমে নিশিকে রুমে নিয়ে গেলাম। রুমের ভিতরে গিয়ে রুমের দরজা টা আটকিয়ে দিলাম। এরপর নিশি আমাকে বললো..........

নিশিঃ কি হলো দরজা বন্ধ করলি কেনো? 

আমিঃ তোর ডিভোর্স চাইনা, তার ব্যাবস্থা করার জন্য। তোর জন্য আমার চরিত্র নিয়ে কথা উঠেছে। সমাজে চরিত্রহীন ছেলের খ্যেতি পেয়েছি। বাবা মা তাদের সম্মান হারিয়েছে। আর তুই ভাবলি কি করে, আমি তোকে এত সহজে ছেড়ে দিবো? 

নিশিঃ মানে তুই কি করতে চাচ্ছিস আমার সাথে? 

আমিঃ তুই যেটা ভাবছিস সেটাই? 

__এই কথাটা বলেই আমি শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে নিশির দিকে এগিয়ে গেলাম। নিশি আমাকে বলতে শুরু করলো........ 

নিশিঃ কি ব্যাপার তুই আমার দিকে এগিয়ে আসছিস কেনো? 

আমিঃ এতদিন তোর উপর কোনো অধিকার খাটাইনি। কিন্তু আজ যখন চরিত্রহীন ছেলে উপাধি দিয়েই দিলি, সো আজ অধিকার জোর করে আদায় করবো? 

নিশিঃ প্লিজ আমার দিকে আসিস না, আমি তোর পায়ে পড়ি? 

আমিঃ তোর কোনো কথাই শুনবো না কারন আমি তো চরিত্রহীন। চরিত্রহীন ছেলেরা কখনো কারো আকুতি মিনতি শুনতে পায় না? 

তারপর নিশিকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় পেলে দিলাম।নিশি নিজেকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করছে, 
বাট আমার শক্তির সাথে পেরে উঠতে পারেনি।
একটু পর নিশি শুধুই কান্না করতেছে৷ আমি নিশির কান্না দেখে বললাম.......... 

**যারা কষ্ট করে গল্প পড়ে লাইক কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করেন। এবং যারা গল্প সেয়ার করেন। তাদের প্রতি অন্তরের অন্তস্তল থেকে ভালোবাসা রইলো😍😍
 ইতিঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল। 

আমিঃ কান্না থামা, কান্না করতেছিস কেনো? 

নিশিঃ.........?? ( কান্না করেই যাচ্ছে )

আমিঃ এই তোর ন্যাকা কান্না বন্ধ করবি। কান্না বন্ধ কর, নয়তো কপালে খারাপ আছে৷ এতদিন ভালো ব্যাবহার করেছি, কিন্তু আর না?

নিশিঃ তুই আসলেই চরিত্রহীন ছেলে? 

আমিঃ চরিত্রহীন ছেলে সেটাতো তুই আমাকে বানালি। আমি তো চরিত্রহীন ছিলাম না, একজন সাধারন ভদ্র ছেলে ছিলাম। কিন্তু তুই আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে চরিত্রহীন ছেলে বানিয়েছিস সমাজে.??
|||
তোকে ভালোবাসা টা কি আমার ভুল ছিলো।। যেহেতু আমি ভুল করেছি,সেহেতু আমাকেই ভুলটা শোধরাতে হবে। সুতারাং আজ থেকে তুই এখানেই থাকবি, এই বন্ধী অবস্থায়। এই চরিত্রহীন ছেলের সাথে.?? 

নিশিঃ প্লিজ আমাকে যেতে দাও? 

আমিঃ এসব ন্যাকা কান্না করে কোনো লাভ হবে না। চুপচাপ বসে থাক? 

নিশিঃ তুমি আমার সাথে যা করার তা তো করেই নিছো এখন আমাকে যেতে দাও? 

আমিঃ এখনও আমার প্রতিশোধ নেওয়া হয়নি। কিভাবে যেতে দিবো তোকে? 

নিশিঃ প্রতিশোধ......? 

আমিঃ হুম প্রতিশোধ। আমি যেমন কষ্ট পেয়েছি তেমন কষ্ট আমি তোকেও দিবো। তুই বিয়ের পর আমার 
সাথে যা যা করেছিস, সব করবো তোর সাথে?

নিশিঃ সব মানে? 

আমিঃ সেটা সময় হলে বুঝতে পারবি৷ এখন থাক তুই, আমি বাহিরে থেকে আসতেছি? 

এই বলে আমি দরজা লক করে রান্না ঘরে চলে গেলাম খাবার রান্না করতে। আমি শুধু আজকে রান্না করবো। কালকে থেকে সব নিশিকে দিয়ে করাবো৷ খাবার রান্না করে নিশির কাছে গেলাম। তারপর আমি নিশিকে বললাম......... 

আমিঃ খাবার টা খেয়ে নে? 

 নিশিঃ..........? ( কান্না করেই যাচ্ছে )

আমিঃ কি হলো, কি বলতেছি কানে যায় না? 

নিশিঃ প্লিজ আমাকে যেতে দাও, আব্বু আম্মু খুব চিন্তা করবে আমার জন্য? 

আমিঃ চিন্তা করবে কেনো তুই এখন আমার কাছে আছিস৷ তোর বরের কাছে সুতারাং কিসের এতো চিন্তা। আচ্ছা এই নে ধর ফোন দে বাসায়? 

নিশিঃ কেনো? 

আমিঃ ফোন দিয়ে বল আমি শ্বশুড় বাড়িতে আছি? 

নিশিঃ না আমি বাড়িতে যাবো? 

ঠাসস ঠাসস করে দুইটা চড় বসিয়ে দিলাম ওর কোমল দুটি গালে এরপর বললাম....... 

আমিঃ সোজা কথা বুঝতে পারিস না। চড় আরেক টা দেওয়ার আগে ফোন দিয়ে বল? 

নিশিঃ হুমম বলতেছি, তবুও মেরো না.? ( কান্না করতে করতে বললো )

সবশেষে নিশির হাতে আমার মোবাইল টা দিয়ে তার আব্বুকে আমার শিখিয়ে দেওয়া কথা গুলো বলে দিলো।। কথা শেষ করার পর আমি নিশিকে বলতে শুরু করলাম......

আমিঃ এই নে খাবার টা খেয়ে নে? 

নিশিঃ খাবো না? 

আমিঃ এত ডং করিস না। কালকে থেকে তোকে বাসার সব কাজ করতে হবে? 

নিশিঃ খাবো না, খাবো না? 

আবার ঠাসসস করে দিলাম একটা চড় বসিয়ে। এরপর আমি নিশিকে বললাম........ 

আমিঃ চুপচাপ খেয়ে নে। হ্যা কর, কর হ্যা? 

নিশিঃ কথায় কথায় মারা লাগে? ( কান্না করতে করতে বললো )

আমিঃ তুই আমার সাথে কি করেছিস মনে নেই৷ ভুলে গেছিস নাকি সব কিছু। এখন হা কর খাবার খা?

এরপর নিশিকে আমি নিজ হাতে খাইয়ে দিলাম৷ খাবার খাওয়ানোর পর আমি নিশিকে বললাম......... 

আমিঃ এখন শুয়ে পড় আমি এগুলো রেখে আসতেছি? 

খাবার প্লেট রেখে এসে দেখি নিশি ঘুমিয়ে গেছে।। এতো তাড়াতাড়ি কি ভাবে ঘুম ধরে। ৫ মিনিটের মধ্যে ঘুমিয়ে গেলো।নাকি ঘুমের নাটক করতেছে৷ চেক করার 
জন্য ডাক দিলাম। কিন্তু নাহহ সত্যি সত্যি ঘুমিয়ে গেছে। এর পরেও আবার ডাকতে লাগলাম........ 

আমিঃ এই কথা বলছি কানে যায় না। তাড়াতাড়ি উঠ বলছি, লাঠি নিয়ে আসলে কিন্তু খবর আছে? 

কথাটা বলতেই নিশি এক লাপে উঠে পড়লো। আমি তো অবাক হয়ে গেলাম। এরপর আমি নিশিকে বললাম.....

আমিঃ হুমম ভালো করেছিস। এখন আমার মাথা আর পা, টা টিপে দে? 

নিশিঃ কে আমি? 

আমিঃ হুমম তুই? 

নিশিঃ পারবো না? 

আমিঃ বেশি কথা বলিস না, যা বলছি তাই কর..? (থাপ্পড় দেখিয়ে বললাম )

নিশিঃ দিতেছি দিতেছি? 

আমিঃ আগে পা টিপে দে, পরে মাথা টিপে দিস? 

নিশিঃ হুমমমম? 

আমিঃ এতো জোরে দিতেছিস কেনো আস্তে আস্তে দে? 

নিশিঃ হুমমমম?

নিশি আমার মাথা টিপে দিতেছে।।আর আমি সুয়ে সুয়ে তা উপভোগ করতেছি। সুয়ে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি, নিজেও জানিনা। মাঝ রাতে ঘুম ভাঙ্গতেই দেখি কেউ একজন আমার বুকের উপর সুয়ে আছে। আর একটা হাত আমার মাথায় ছিলো। তার মানে নিশি এতক্ষণ আমার মাথা টিপে দিতেছিলো।

তারপর আমি নিশিকে বুকের উপর থেকে নামিয়ে দিতে চাইলাম। কিন্তু নিশি ঘুমের ঘোরে আমাকে আরও 
শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। তারপর ভাবলাম না থাক, এরপর আমিও ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি নিশি নেই।। ভাবলাম পালিয়ে গেছে নাকি।

তাই তাড়াতাড়ি উঠে রুম থেকে বাহির হয়ে বাসার সব যায়গায় খুঁজলাম কিন্তু পেলাম না। মনে হয় চলে গেছে আর প্রতিশোধ নেওয়া হলো না।

হতাশ হয়ে রুমে ফিরে এলাম৷ রুমে এসে বিছানায় মাত্র বসলাম। এমন সময় দেখি নিশি বাথ রুম থেকে গোসল করে বের হলো। এটা দেখে তো আমার মাথা হ্যাং হয়ে গেলো। নিশির চুল গুলো ভিজা। টপ টপ করে পানি পড়ছে। মেয়েটার চুল গুলো খুব সুন্দর। ইচ্ছে করে তার চুলে নিজেকে হাড়িয়ে ফেলি।

ঠোঁটগুলো পানিতে ভিজে কেমন যেনো আকর্ষনিয় হয়ে গেলো। যা আমাকে বার বার তার দিকে টানতেছে। 
আমি আস্তে আস্তে নিশির দিকে এগিয়ে যেতে 
লাগলাম নেশা ভরা চোখের চাহনি নিয়ে। আর নিশি আস্তে আস্তে পিছনে যেতে লাগলো,আমি একটা ঘোরের মধ্যে আছি।। কি করছি নিজেই জানিনা। ঠিক তখনই নিশি আমার দিকে তাকিয়ে বললো........ 

নিশিঃ তু তু তুমি আমার দিকে এভাবে তা তাকিয়ে আছো কেনো? 

কথাটা বলার সাথে সাথেই আমি নিশির হাত ধরে টেনে আমার বুকে জড়িয়ে নিলাম। আমার ঠোঁট গুলো 
নিশির ঠোঁটের সাথে মিলিয়ে দিলাম। আহ কি যে মিষ্টি লাগছে বলার ভাষা আমার নেই। ইচ্ছে করছে ঠোঁট গুলো ছিড়ে খেয়ে ফেলি। কিন্তু চিন্তা করলাম এখন যদি ছিড়ে খেয়ে ফেলি পড়ে কি খাবো😄😄

বেশ কিছুক্ষণ পর আমার হুঁশশ আসলো। এই আমি কি করছি যে মেয়ে আমাকে চরিত্রহীন বানিয়েছে তাকে আমি....না না, তাড়াতাড়ি নিশিকে ছেড়ে দিয়ে 
বাথরুমে চলে গেলাম ফ্রেশ হওয়ার জন্য। ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি নিশি এখনও সেখানে দাড়িয়ে আছে। আমি নিশির ওই রকম দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বললাম.......... 

আমিঃ কি ব্যাপার এখনও এখানে দাড়িয়ে আছিস কেনো? 

নিশিঃ না মানে.......? 

আমিঃ কি মানে মানে করছিস। এখানে এভাবে দাড়িয়ে থাকলে সকালের নাস্তা কে বানাবে? 

নিশিঃ সকালের নাস্তা তো একটু আগেই খেয়েছিস? 

আমিঃ কথা না বলে তাড়াতাড়ি নাস্তা রেড়ি করতে যা?

নিশিঃ আমি তো কিছু করতে পারি না? 

আমিঃ কি কারনে পারিস না। বাসার সব কাজ তোকে করতেই হবে। এখন যা আমার জন্য কিছু খাবার বানিয়ে নিয়ে আয়। আমার খুব ক্ষুদা লাগছে? 

নিশি চুপ করে দাড়িয়ে আছে। আমি তাকে বললাম.....

আমিঃ কি হলো তাড়াতাড়ি যা??( ধমক দিয়ে বললাম ) 

নিশিঃ যাচ্ছি যাচ্ছি? 

কিছুক্ষণ পর নিশি একটা প্লেট হাতে করে নিয়ে রুমে আসলো। আর আমাকে বললো........ 

নিশিঃ এই নাও? 

আমিঃ কি এগুলো? 

নিশিঃ ডিম আর পরোটা? 

আমিঃ এটা পরোটা.?? 😲😲

নিশিঃ কেনো কি হয়েছে? 

আমিঃ পরোটা এতো কালো কেনো? পরোটা না ছাই। পরোটা একদম পুড়িয়ে ফেলেছিস?

নিশিঃ সেটাতো বলতে পারবো না কেনো? 

আমিঃ পরোটা এভাবে বানায়? 

নিশিঃ পারিনা তো, যা পারছি তাই বানিয়েছি?? ( গল্প পড়ে এমন অনেক আপু আছে, যারা পরোটা বানাতে গেলে আদা মরিচ ব্যাবহার করে 🥴🥴) 

আমিঃ আচ্ছা যা ফ্রিজ খুলে জ্যাম আর ডাইনিং টেবিল থেকে পাউরুটি নিয়ে আয়? 

নিশিঃ পাউরুটি তো আমি খেয়ে ফেলেছি? 

আমিঃ কিহহ সব খেয়ে ফেলেছিস? 

নিশিঃ হুমমম? 

আমিঃ আমি তাহলে কি খাবো এখন হ্যা? 

নিশিঃ আসলে খুব ক্ষুদা লেগেছিলো তাই খেয়ে ফেলেছি? 

আমিঃ আমাকে জিজ্ঞেস না করে এখন থেকে এক গ্লাস পানিও খাবি না।৷ আর হ্যা ইউটিউব দেখে রান্না করা শিখে নিবি কেমন। বিকেলে রান্না করে নিবি। আমি বাহিরে চলে গেলাম। রুমে এসে জেনো দেখি রান্না করা হয়ে গেছে। রান্না হলে আমার এই জামা কাপড় গুলো ধুয়ে দিবি কেমন?

নিশিঃ হুমমম? 

আমিঃ আর সব কাজ গুলো জেনো সঠিক ভাবে হয়। নয়তো খবর আছে। আর তোর মোবাইল টা দে? 

নিশিঃ কেনো? 

আমিঃ দে বলছি? 

নিশিঃ দিবো না? 

আমিঃ দিতে বলছি দে.?? ( চড় দিয়ে বললাম )

নিশিঃ এই নাও??( গালে হাত দিয়ে কান্না করে বললো )

আমিঃ হুমমম। আর আমি বাহিরে তালা দিয়ে যাবো? 

নিশিঃ কেনো? 

আমিঃ যদি পালিয়ে যাস তাই৷ আর মোবাইল নিলাম জেনো কাউকে কল না দিতে পারিস? 

নিশিঃ প্লিজ দরজায় তালা দিয়ে যেওনা। আমার এভাবে থাকতে ভয় করবে? 

আমিঃ হুহহহহ তা হবে না? 

এই বলে বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম। আসার সময় দরজা লাগিয়ে দিয়েছি বাহির থেকে। বিকেলের দিকে বাসায় এসে দেখি নিশি সুয়ে সুয়ে টিভি দেখছে। আমি নিশিকে বললাম........... 

আমিঃ কি ব্যাপার এভাবে বসে বসে টিভি দেখতেছিস রান্না করেছিস? 

নিশিঃ হুমমম? 

আমিঃ কাপড় গুলো ধুয়েছিস? 

নিশিঃ আসলে.......? 

আমিঃ আসলে কি হ্যা, কি কারনে ধুয়ে রাখিস নাই। মাথা নিচু করে আছিস কেনো এদিকে তাকা৷ তাকা আমার দিকে, হুমম এবার বল কি কারনে ধুয়ে দিস নাই...?? 

নিশিঃ আমি ধুইলে পরিস্কার হয় না তাই? 

আমিঃ পরিস্কার হোক বা না হোক সেটা জানার বিষয় না। তোকে ধুইতে বলেছি তুই ধুয়ে দিবি। এখন তাড়াতাড়ি গিয়ে কাপড় গুলো ধুয়ে দে যা? 

নিশিঃ আচ্ছা ঠিক আছে? 

আমিঃ হুমমম যা? 

আমি রুমে সুয়ে সুয়ে টিভি দেখতেছি।।হটাৎ করে নিশি বাথরুম থেকে আহহ বলে চিৎকার দিয়ে উঠলো। 
আমি দৌড়ে বাথরুমে গেলাম। গিয়ে দেখি নিশি ডিটারজেন্ট পাউডার এর উৎপন্ন ফেনায় পিচলে পড়ে গেছে। নিশি কান্না করতে করতে বললো..... 

নিশিঃ মাগো কোমর টা মনে হয় ভেঙে গেলো? 

আমি নিশির কান্ড দেখে হাসতে লাগলাম। নিশি আমার হাসি দেখে আমাকে বললো...... 

নিশিঃ এভাবে হাঁসার কি আছে। আমি পড়ে গিয়ে ব্যাথা পাইছি। আমাকে না তুলে হাঁসছো কেনো? 

আমিঃ এই টুকুতেই এই অবস্থা। আর তুমি আমাকে দিয়ে কি কি করিয়েছিলে মনে নেই?

আমার কথা শুনে নিশি চুপ করে আছে..। কোনো কথা বলছে না। আমি নিশির কাছে গেলাম,,,গিয়ে নিশিকে কোলে তুলে নিলাম। নিশি আমার গলা জড়িয়ে ধরে এক মনে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি বিছানায় গিয়ে নিশিকে বিছানায় ফেলে দিলাম। 

নিশিঃ আহহহ..?? ( কোমরে হাত দিয়ে )

আমিঃ এভাবে চিৎকার দিতেছিস কেনো? 

নিশিঃ এভাবে কেউ ফেলে দেয়। কোমরে প্রচন্ড ব্যাথা পাইছি। এর মধ্যে এত জোরে ফেলে দিলে চিৎকার দিবো না? 

আমিঃ হইছে হইছে এখন চুপ করে থাক। আমি মলম নিয়ে আসতেছি? 

মলম নিয়ে এসে নিশির হাতে দিলাম। আর বললাম....

আমিঃ এই নে এটা কোমরে লাগিয়ে দে। কোমরের ব্যাথা কমে যাবে? 

মলম নিয়ে নিশি কোমরে লাগাতে চেষ্টা করতেছে। কিন্তু পারছে না। আমি বসে বসে শুধু দেখতেছি। নিশি যখন মলম লাগাতে ব্যার্থ হলো, তখন আমার মুখের দিকে অসহায়ের মতো তাকালো। আর আমাকে বললো........

পর্বঃ 
চলবে কি? 

ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট করে সাথে থাকবেন। আপনাদের মতামত আমার অনুপ্রেরণা। ভালো রিসপেন্স পেলে পরের পর্ব দ্রুত পোস্ট করার আগ্রহ বাড়বে?
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post