গল্পঃ সিনিয়র চাচাতো বোন এর রোমান্টিক প্যারা পর্ব ঃ--১২ & শেষ

গল্পঃ  সিনিয়র চাচাতো বোন এর রোমান্টিক প্যারা
পর্ব ঃ--১২ & শেষ 
লেখকঃ নিরব আহমেদ কাউছার 
তখন আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম আর বললাম 

> এই না না আমি যাচ্ছি ফ্রেশ হয়ে আসছি যাবো আমি ( আমি বললাম) 

> Good Boy যলদি যাও ( মায়া বললো) 

তারপর উঠে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম । 
ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি মায়া আমার ঘর ঘুছিয়ে দিয়েছে সাথে বিছানায় একটা শার্ট আর প্যান্ড রেখে দিয়েছে পাশে মায়া বসে আছে  তখনি মায়া আমায় দেখতে পেলো আর অদ্ভুত নেশার দৃষ্টিতে তাকিয়ে  বললো।

> ইস কি হট লাগছে তকে মন চাইছে,, আয় না একটু আদর করি তকে ,এখন ,,,,( মায়া বললো ) 

> কি লিচু মাইয়া একটুও শরম নাই ( আমি মনে মনে) 

তখন মায়া আবার বললো। 

> দাড়া আমি এসে আদর করছি ( মায়া বললো) 

> এই না না একদম কাছে আসবে না বলে দিলাম  নয়তো আমি যাবো না ( আমি বললাম) 

> ঠিক আছে ঠিক আছে  এখন এইগুলো পড়ে নাও। বিয়ের পর তো আর বাঁধা দিতে পারবে না তখন সব পুষিয়ে নিবো  ( মায়া বললো) 

> আমি তোমার পছন্দ মতো পড়বো কেন আমার যেটা পছন্দ যেটা ইচ্ছা পড়বো কিন্তু এটা পড়বো না ( আমি বললাম) 

> ভার ভার রাগ তুলিস কেন বলতো এত কথা বলে।  চুপচাপ এইগুলা পড়ে নে এখন নয়তো মাইর দিবো ( মায়া রাগী গলায় বললো)  

> ঠিক আছে তুমি নিচে যাও আমি এটা পড়ে আসছি ( আমি বললাম) 

> সত্যি তো এটা পড়ে আসবি ( মায়া বললো) 

> হুম সত্যি বলছি যাও ( আমি বললাম) 

> ঠিক আছে আয় তাহলে আমি যাচ্ছি  ( মায়া বললো) 

এইবলে মায়া চলে গেলো তখন আমি রেডি হতে লাগলাম। মায়া থাকলে আরো দুষ্টুমি করবে তাই নিচে যেতে বললাম।  
কিছুখন পর রেডি হয়ে নিচে গেলাম গিয়ে দেখি মায়া আর আদিবা বসে আছে খাবার টেবিলে তখন আমিও গিয়ে বসলাম তখন আম্মু এসে সবাই কে খাবার দিলো খাবার খেয়ে উঠা মাত্র আম্মু বললো। 

> নিরব মায়ার সাথে একটু যা তো কোথায় যায় ( আম্মু বললো) 

> হুম যাচ্ছি আর বলা লাগবে না ( আমি বললাম) 

> হুম সাবধানে যাস ( আম্মু বললো) 

 তারপর মায়ার সাথে আমি বাসার বাহিরে চলে আসলাম তখন এসে  মায়া কে বললাম। 

> কোথায় যাবে তুমি এখন ( আমি বললাম) 

> রূপগঞ্জে যাবো আমার মনি খালার বাসায় ( মায়া বললো) 

> কিহহহহ এত দূরে বাবাহ আমি যাবো না তুমি যাও একা  ( আমি বললাম) 

> একটু সামনে তাকিয়ে দেখতো কে ( মায়া বললো) 

> কে কোথায় ( আমি বললাম) 

> সামনে রাস্তায় দেখো ভালো করে ( মায়া বললো) 

তখন আমি তাকিয়ে দেখি দুর্জয় ভাই  বসে আছে গাড়িতে তখন একটু ভয় পেয়ে গেছি আর বললাম। 

> ঠিক আছে চলো যাচ্ছি কিন্তু যাবো কি করে ( আমি বললাম) 

> কেন আমার স্কুটি বাইক দিয়ে যাবো এই তো সামনে ( মায়া বললো) 

> হি 😁 হি 😁 হি 😁 এই বাইক দিয়ে গেলে তিনদিন লাগবে তাছাড়া আমি এই বাইক চালাবো না ( আমি বললাম) 

> তোমাকে কে বলছে চালাতে আমি চালাবো তুমি পিছনে বসবে ( মায়া বললো) 

> কিহহহহ তুমি চালাবে প্লিজ ছেড়ে দাও আমাকে এখনো বিয়ে করিনি এত আগে মরার ইচ্ছে নাই আমার আমারে ছাইড়া দাও  ( আমি বললাম) 

> চুপ করে উঠে পড়ো আমি তোমার চেয়ে ভালো চালাতে পারি ( মায়া বললো) 

> হ যানি কতটুকু ভালো চালাতে পারো বলতে হবে না  ( আমি বললাম) 

> আজাইরা কথা না বলে উঠে পড়ো ( মায়া বললো) 

কি আর করা দুর্জয় ভাই সামনে না চাইতেও বসে যেতে হবে পিছনে কিছু বলতে পারবো না।  
তখন মায়া উঠে বসে পড়লো। আর  আমি উঠে বসে পড়লাম পিছনে তখন মায়া তার টমটম থুক্কু স্কুটি বাইক চালু দিয়ে যেতে লাগলো কিছুটা দূরে যাওয়ার পর বললো। 

> কি হলো ভালো করে জরিয়ে দরে বসো এমন করে বসে থাকলে পড়ে যাবে ( মায়া বললো) 

> হি 😁 হি 😁 হি 😁 তুমি যে জোরে গাড়ি চালাচ্ছ এর চেয়ে দ্রুত হেটে যাওয়া যাবে আর ধরে বসে থাকা  লাগবে না ( আমি বললাম)  

 > তুমি ধরে বসছো না দেখে আমি আসতে চালিয়ে যাচ্ছি তুমি আমায় জরিয়ে দরে বসো আমি জোরে চালাচ্ছি ( মায়া বললো) 

> মাথা খারাপ আমার এই রাস্তায় তোমাকে জরিয়ে দরে বসে থাকবো কখনো না কত মানুষ রাস্তায় আছে সবাই দেখবে ( আমি বললাম ) 

> আরে আমরা গাড়িতে সমস্যা কোথায় মানুষ দেখলে দেখুক বেশি কথা না বলে জরিয়ে দরে বসো নয়তো গাড়ি থামিয়ে দুর্জয় ভাই কে বলবো ( মায়া বললো) 

> ভাব ভার খালি ভয় দেখায় দুর্জয় ভাই এর আচ্ছা জরিয়ে দরে বসছি ( আমি বললাম) 

> কথা না শুনলে কি করবো তাহলে ( মায়া বললো) 

তখন আমি মায়ার কোমড়ে দুইহাত দিয়ে পেচিয়ে শক্ত করে দরে বসে পড়লাম তখন মায়া হালকা কেপে উঠলো তখন আমি বললাম। 

> সমস্যা হচ্ছে ছেড়ে দিবো। ( আমি বললাম) 

> নারে ছাড়িস না আরো শক্ত করে জরিয়ে দরে বসে থাক ( মায়া বললো) 

> ঠিক আছে এখন দ্রুত গতিতে যাও এত আসতে গেলে হবে না ( আমি বললাম) 

তখন মায়া দ্রুত গতিতে বাইক চালিয়ে যেতে লাগলো তখন আমি একটু পিছনে তাকিয়ে দেখি দুর্জয় ভাই এর গাড়ি একটু দূরে আছে। 
দুই ঘন্টা পর একটা  রাস্তায় ডুকলো গাড়ি নিয়ে   রাস্তার দুইপাশে ধান ক্ষেত হালকা পানি আছে। 
অনেকটা যায়গা এমন 
দেখতে খুব ভালো লাগছিলো তখন একটু ভাবলাম মায়ার সাথে দুষ্টমি করি এই রাস্তায় কেউ নাই। 
যেই বলা সেই কাজ। 
মায়াকে শক্ত করে জরিয়ে দরে আরো কাছে চলে গেলাম একদম মিশে গেলাম মায়ার সাথে। 
তখন মায়ার কাদে হালকা ভাবে একটা কিস করলাম মায়া সাথে সাথে কেপে উঠলো তখন আমি কিস করতে লাগলাম আর আসতে আসতে কিস করতে করতে উপরে উঠতে লাগলাম। 
মায়া আদর পেয়ে গাড়ি চালানো ছেড়ে দিলো আর তার ফলে গাড়ি গিয়ে আমাদের সাথে নিয়ে পড়লো পানিতে পানি ছিলো অল্প ধান লাগানো ছিলো তাই বড় দূর ঘটনা থেকে বেচে গেছি  তখন  দুর্জয় ভাই এর লোক দৌড়ে  এসে উঠালো আমাদের । 
তারা সবাই আমাদের দেখে হাসছিলো তখন একটা লোক বলে উঠলো। 

_ এত যায়গা রেখে শেষ পযন্ত ধানের জমিতে নিয়ে গাড়ি ফেললে কেন.। 

তখন আমার রাগ উঠে গেলো মায়ার প্রতি আর তখন মায়া কে বললাম। 

> এটা কি করলে তুমি গাড়ি চালাতে পারো চালাতে বসছো কেন সব কাপড় নষ্ট করে দিলে ফালতু মেয়ে  ( আমি ধমক দিয়ে বললাম) 

> ইস আমার দোষ দিচ্ছে সব দোষ তোমার তোমাকে কে বলছে তখন এমন করে কিস করতে আমি বলছি তোমায় কিস করতে এমন আদর করতে  তখন কি নিজেকে সামলাতে পারা যায় আমি আর গাড়ি দুজনেই কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলছি সব দোষ তোমার  ( মায়া বললো) 

আমি আর কি বলবো দোষ তো আমারি তাই চুপ করে রইলাম। 

> দেত সব শেষ কাঁদা লেগে গেছে সারা সরিলে আজাইরা ডাইবার । ( আমি বললাম) 

 তখন দুর্জয় ভাই এসে বললো। 

> সামনে একটা ঘর দেখা যাচ্ছে সেখানে নিশ্চয়ই পানি আছে যাও কাদা গুলো পরিষ্কার করে আসো পানি দিয়ে তারপর আমাদের গাড়ি করে যেও স্কুটি বাইক পানিতে পড়ার কারনে আর ইস্টাট নাও নিতে পারে একটু দেখে চালাতে পারলে না বাইক   ( দুর্জয় ভাই) 

তারপর আমি আর মায়া সামনে বাড়িতে যাওয়ার আগে একটা ছোট্ট পুকুর দেখতে পেলাম পানি ভালো তখন সেখান থেকে পরিষ্কার করে চলে আসছি মায়া তখন বললো। 

> আজ সূর্য কোন দিকে উঠছে আজ কি মনে করে আদর করলে বলো তো হঠাত করে কি হলো ( মায়া বললো) 

আমি কোনো উওর না দিয়ে  দুর্জয় ভাই এর গাড়িতে বসে পড়লাম সাথে মায়া তারপর  চলে গেলাম মায়ার মনি খালার বাসায় । 
দুর্জয় ভাই আমাদের দিয়ে চলে গেলো মায়া অনেক রিকোয়েস্ট করছে আসার জন্য কিন্তু সে কাজ দেখিয়ে চলে গেলো। আর বলে গেলো মায়ার স্কুটি বাইক ঠিক করে দিয়ে যাবে তার লোক। 
বিতরে যাওয়ার পর মায়া তার খালা কে বললো। 

> কেমন আছো তুমি খালা ( মায়া বললো) 

> এইতো ভালো তা এতদিন পর আমার কথা মনে পড়লো তর ভুলেই গিয়েছিস আমায় ( মায়ার খালা) 

> কিজে বলো খালা তোমাকে ভুলে যাবো আমি কখনো না ( মায়া)  

> তর আব্বু আম্মু কেমন আছে ( মায়ার খালা) 

> এইতো ভালো আছে ( মায়া)

> এই ছেলেটা কে তুই যে বলছিস ফোনে,,এইসে ( মায়ার খালা)

> হুম হুম ( মায়া বললো) 

তখন আমার কাছে আসলো আমি সালাম দিয়ে বললাম. 

> কেমন আছেন ( আমি বললাম) 

> ভালো আছি তুমি কেমন আছো ( মায়ার খালা) 

> ভালো আছি ( আমি বললাম) 

> মাশাআল্লাহ মায়া তর পছন্দ আছে বলতে হবে ( মায়ার খালা) 

> যাও লজ্জা দিও না তো ( মায়া বললো) 

> বাবাহ কি লজ্জা  থাক হয়েছে লজ্জা পেতে হবে না ( মায়ার খালা) 

> সব রেডি করে রাখছো তো ( মায়া বললো) 

> বাকি লোক কোথায় ( মায়ার খালা) 

> আগামীকাল সকালে আসবে তুমি চিন্তা করো না রেডি করে রাখো  ( মায়া বললো) 

> ঠিক আছে  আর তোদের কাপড় বেজা কেন। ( মায়ার খালা)

> আসার সময় পানিতে পড়ে গেছি গাড়ি নিয়ে ( মায়া)

> বলিস কি ব্যাথা পাসনি তো ( মায়ার খালা) 

> নাহ ব্যাথা পাইনি ( মায়া)

> গাড়ির ডাইবার কে ছিলো ( মায়ার খালা) 

> আমি ছিলাম ( মায়া)

> এই জন্য এমন হয়েছে ফালতু ডাইবার ( মায়ার খালা) 

> বাঁধ দাও তো এইগুলা ( মায়া বললো) 

 > তুই আমার ঘরে গিয়ে দেখ একটা শাড়ি আছে সেটা তুইপড়ে নিস আর দেখিস লুঙ্গি আছে সেটা নিরব কে দিস যা গিয়ে তারাতাড়ি কাপড় পালটিয়ে আয় দুজন  আর ফ্রেশ হয়ে আয় খাবার দিচ্ছি বাবা নিরব তুমি মায়ার সাথে যাও ( মায়ার খালা,) 

নিরব কিছুই বুঝতে পারছে না তাদের কথা তখন মায়ার সাথে একটা ঘরে চলে আসলো আর এসে বললো। 
> কে আসবে বললে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না কি বললে ( নিরব) 

> কিছু না দুর্জয় ভাই এর কথা বলছে ( মায়া বললো) 

> নাহ কেমন যানি তবুও সন্দেহ লাগছে ( আমি বললাম) 

> হ তোমার তো আজাইরা সন্দেহ লাগবেই তুমি মানুষ এমনি ( মায়া বললো)  

এইবলে তখন মায়া গিয়ে একটা শাড়ি নিলো আর আমাকে লুঙ্গি দিয়ে বললো। 

> যাও গিয়ে এটা ওই ঘর থেকে পড়ে আসো ( মায়া বললো,) 

তখন আমি নিয়ে চলে গেলাম গিয়ে লুঙ্গি পড়ে ফ্রেশ হয়ে বসে রইলাম কিছু খন পর মায়া আসলো শাড়ি পরে আমার সামনে। 
মায়ার দিকে তাকিয়ে আমি অবাক হয়ে গেছি অনেক 
সুন্দর লাগছিলো শাড়িতে আমি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম তখন মায়া তা বুঝতে পেরে বললো। 

> এমন করে না তাকিয়ে চলো খিদে পেয়েছে পরে দেখতে পারবে চাইলে আদর করতে পারবে ( মায়া বললো)  

মায়ার কথায় আমায় দেন ভাঙ্গলো তখন আমি আর কিছু না বলে চলে গেলাম গিয়ে খাবার টেবিলে বসে পড়লাম তখন মায়ার খালা আমাদের খাবার দিলো 
তারপর খাওয়া শেষে আমি চলে আসলাম রুমে মায়া বসে আছে তখন তার খালা বললো। 
> তুই বসে থাক আমি বাজার থেকে আসছি একটু ( মায়ার খালা)  

> ঠিক আছে যাও কিন্তু তোমার  ছেলে আর ঝুমুর কোথায় ( মায়া) 

> ঝুমুর গিয়েছে কলেজ আর সুমন গিয়েছে সেখানে ( মায়ার খালা) 

> আচ্ছা ঠিক আছে, ( মায়া বললো) 

তারপর মায়ার খালা চলে গেলো । 
এখন ছোট করে পরিচয় দেই  মায়ার খালু থাকে বিদেশে আর সুমন হচ্ছে বড় ভার্সিটি পড়ে ঝুমুর কলেজে মাত্র উঠেছে
তারপর মায়া চলে আসলো আমার কাছে এসে বললো। 

> তোমাকে কিছু বলার আছে ( মায়া বললো) 

> হুম বলো কি বলবে ( আমি বললাম)

তখন মায়া শাড়ির আঁচল ফেলে দিলো তখন আমি এটা দেখে চোখে হাত দিয়ে  বললাম। 

> কি করছো তুমি এইগুলা আঁচল তুলো ( আমি বললাম) 

> একটু ভালো করে তাকাও আমার দিকে তাহলে বুঝতে পারবে কেন ফেলছি  ( মায়া বললো) 

তখন আমি একটু তাকিয়ে দেখি কোমড়ে অনেক গুলো দাগ কিসের যানি হয়তো পিঠেও আছে আরো তখন আমি অবাক হয়ে বললাম। 

> এইগুলা কিসের দাগ ( আমি বললাম) 

> তোমাকে কিছু সত্যি কথা বলতে এখানে নিয়ে আসছি কারণ আমি আর পারছি না দুইটা বছর ভালবেসে  কষ্ট সয্য করছি আর পারছি না আমি  ( মায়া বললো) 

> কি বলো ( আমি বললাম) 

> তুমি কি যানো নিলা কেন তোমার পিছু ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। 

> আমিও সেটাই ভাবছিলাম কি করে আর নিলা বিরক্ত করা ছেড়ে দিবে বললো ( আমি বললাম)  

> তুমি একবার চিন্তা করছো নিলার আব্বু আম্মু কেন তার পরের দিন আসে নি ( মায়া বললো) 

> কেন আসেনি একটু বলো তো কারণ কি এইগুলার ( আমি বললাম) 

> আমি মামা কে দিয়ে ঠেড দিয়েছি যাতে তোমার বাসায় না যায় বিয়ের কথা বলতে । ( মায়া বললো) 

আমিতো অবাক হয়ে গেছি শুনে তখন মায়া আবার বলতে শুরু করলো। 

> নিলা সেদিন সত্যি আমায় তুলে  নিয়ে গেছিলো মারতে আমরা সেদিন গেয়েছি দুর্জয় ভাইএর সাথে কথা বলতে কিন্তু উল্টো আমাদের তুলে নিয়ে গেলো ভাগ্য ভালো অহনা লুকিয়ে দুর্জয় ভাই কে ফোন করছে কারণ লোক গুলো ছিলো দুর্জয় ভাই এর আমি বলেছি ফোন করে আমার কথা বলতে দুর্জয় ভাই কে  আর একটা কথা । 
তোমাকে  ভাগ্নী যে বললো সেটা নিলা না আমি তার ভাগ্নী কিন্তু আপন না।  সেদিন সে আমায় বাঁচিয়েছে নিলা কে সেদিন সে অনেক হুমকি দিয়েছে মেরে ফেলতে চেয়েছে কিন্তু তা না করতে তোমার মুখ থেকে শুনতে চেয়েছে তুমি কাকে ভালবাসো তারপর তো তুমি বললে আমায় ভালবাসো । আমাদের হাসপাতালে পাঠিয়ে নিলা কে বাসায় দিয়ে এসেছে হুমকি দিয়েছে যাতে তোমার পিছনে না ঘুরে। 
 তুমি যখন বাসায় নিয়ে দিয়ে আসলে তখন আমি আব্বু আম্মু কে সব খুলে বলে দিয়েছি  তোমাকে ভালবাসি আর আব্বু তখন অনেক রাগ করে। 
সেখানে তোমার আম্মু ছিলো। অহনা চলে গিয়েছিলো
 বিশ্বাস করো আব্বু লাঠি দিয়ে অনেক মারছে এর জন্য কারণ আমরা চাচাতো ভাই বোন বলে । 
অনেক মারছে এই দাগ গুলো সে গুলো আরো আছে পিঠে সেদিন আব্বু দুইবার মারছে আমায় রাগে কিন্তু আমার একটুও কষ্ট হয়নি যানো । 
কারণ এই কষ্ট কিছুই না তোমাকে পাওয়ার জন্য আমি আরো কষ্ট পেতে রাজি আছি কিন্তু তোমাকে হারাতে রাজি নয় আরেকটা কথা কি যানো আম্মু আগেই যানতো আমি তোমাকে পছন্দ করি কিন্তু কিছু বলতো না  সেদিন আম্মু আমায় সাথে মারছে। 
 তোমার আম্মু না থাকলে মৃত্যু হতো সেদিন  তোমার আম্মু বাচিয়েছে। 
আর কিছু খেতে দেয়নি যানো সারা রাত কান্না করছি   তোমার আম্মু বুঝিয়ে গেছে তাই আর মারেনি রাতে । 
এখন বলো আর কি করতে হবে তোমাকে পেতে 
 নিলার হাতে মার খেয়েছি যে আব্বু আমায় কোনো দিন গায়ে হাত তুলেনি গতকাল আমায় লাঠি দিয়ে মারছে দুইবার  সাথে আম্মু আর কত মার খেতে হবে আর কত কষ্ট সয্য করতে হবে বলো তোমাকে পেতে আর পারছি না আমি প্লিজ আর কষ্ট দিও না এখন মেরে ফেলতে পারো কষ্ট না দিয়ে। 
তুমি যানো তোমাকে ছাড়া আমি একটা মুহূর্তের জন্য ভালো থাকতে পারি না হাসতে পারি না খেতে পারছি না ঘুমাতে পারছি না যখন তুমি কাছে থাকো তখন আমার চেয়ে খুশি এই পৃথিবীতে আর কেউ হয়তো হয় না। 
প্লিজ তোমায় ছাড়া আর থাকতে পারছি না।  
আর কষ্ট নিতে পারছি না একটু বুকে টেনে নাও। 

মায়া এতখন কথা গুলো বললো আমি নিশ্চুপ হয়ে শুনছিলাম মায়া কথা গুলো বলে কান্না করতে লাগলো আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না । মাথা কাজ করছে না  
সত্যি তো আমি তার ভালবাসা বুঝতে পারলাম না পাগলের মতো ভালবাসে আমায় আর আমি তার ভালবাসা  বুঝতে পারছি না  । 
হক না সে চাচাতো বোন তাতে কি হয়েছে যদি সত্যি কাকের ভালবাসা থাকে  তাহলে কি। 
জীবনে তো এমনি একজন মানুষ প্রয়োজন।  

মায়া বসে বসে কান্না করছিলো তখন আমি গিয়ে উঠিয়ে চোখের পানি মুছে বললাম  

> আমি যানি না কেন তোমার ভালবাসার সাড়া দিতে পারছি না হয়তো চাচাতো বোন ভাবছি বলে তাই পারছি না কিন্তু বিশ্বাস করো তোমার প্রতি কেমন যানি একটা ফিলিংস আছে আমার তুমি  দূরে থাকলে কেমন যানি একটা শূন্যতা অনুভব করতে পারি যানি না এটা কি বলে হয়তো ভালবাসা এটাই বলে । তোমার সত্যি কারের  ভালবাসার কাছে আমি হেরে গেছি এখন আর চাচাতো বোন নয় বউ হিসেবে দেখতে চাই আমার । 
হবে আমার বউ। ( আমি বললাম) 

তখন মায়া এটা শুনে খুশিতে জরিয়ে দরে কান্না করে বললো। 

> হুম হুম আমি রাজি আছি তোমার বউ হতে ( মায়া বললো) 

তখনি দরজার বাহির থেকে কাশি দিলো আর হাত তালি দিতে লাগলো তাকিয়ে দেখি মায়ার খালা আর তার ছেলে মেয়ে দাড়িয়ে আছে দরজা খোলা ছিলো  তারা কখন যে এসে দেখছিলো খেয়ালি করা হয়নি তখন মায়ার খালা বললো। 

> এর চেয়ে ভালো রোমান্টিক দৃশ্য আর হতেই পারে না বাবাহ তোদের কাহিনি শুনে আমি নিজেই কেঁদে দিছিলাম একটুর জন্য  ( মায়ার খালা) 

তখন তার মেয়ে ঝুমুর বললো। 

> হুম আম্মু আমিও  ( ঝুমুর বললো) 

> তাহলে আর দেখাদেখি কি কাজি এখনি ডাকছি ( সুমন) 

> হুম গিয়ে কাজি সাহেব কে বলে আয় ( মায়ার খালা) 

> কিন্তু এখন কি সবাই কে না জানিয়ে বিয়ে করা ঠিক হবে ( আমি বললাম) 

> শুনো যদি তোমরা বিয়ে করে ফেলো তারপর বাসায় যাও তাহলে কিছু হবে না কারণ মায়া তো আগেই বলে দিয়েছে যদি তোমাদের সবাই তাড়িয়ে দেয় তাহলে আমার কাছে থাকবে এসে ঠিক আছে বিশ্বাস রাখো সবাই মেনে নিবো ( মায়ার খালা) 

> ঠিক আছে ( আমি বললাম) 

> কিরে মায়া কথা বল দেখলি লজ্জায় একেবারে শেষ ( মায়ার খালা) 

মায়া লজ্জা পেয়ে আমার বুকে মুখ লুকিয়ে রাখলো তখন মায়ার খালা বললো। 

> তুমি কি যানো মায়া কেন এখানে নিয়ে আসছে তোমাকে বিয়ে করার জন্যই আসছে তাই তো তখন আমি জিজ্ঞেস করছিলাম বাকি লোক কোথায় এই সে ছেলে ( মায়ার খালা) 

তখন আমি অবাক হয়ে বললাম। 

> কি বলছেন কিন্তু কোন লোকের কথা বললেন ( আমি বললাম) 

> আরে এই দুর্জয় ভাই না কি এর নাম তার কথা বললাম মায়া বলছে আসবে তাই জিজ্ঞেস করলাম ( মায়ার খালা) 

> ওহ আচ্ছা ঠিক আছে ( আমি বললাম) 

> কিরে মায়া এখন তো আয় কাজ আছে অনেক পরে সময় পাবি অনেক ( মায়ার খালা) 

> তুমি যাও আমি আসছি ( মায়া আমার বুকে মুখ লুকিয়ে বললো) 

তারপর মায়ার খালা চলে গেলো আর মায়া তখন বললো। 

> আমি তাহলে যাই এখন পরে আসবো তুমি বসে থাকো ( মায়া বললো) 

> ভাবছি কি আব্বু আম্মু কে বলবো ( আমি বললাম) 

> সমস্যা নেই আগামীকাল আমরা চলে যাবো তখন গিয়ে একেবারে বললো ( মায়া বললো) 

> ঠিক আছে তাহলে তাই হবে ( আমি বললাম)  

তারপর মায়া চলে গেলো আর আমি বসে রইলাম। 
সন্ধ্যা কাজি নিয়ে আসলো আমি জাহিদ কে ফোন করে সব বলে দিয়েছি তাই জাহিদ এখানে আসছে সাথে আমার আরো দুই বন্ধু আসলো ফাহাদ  আর সাব্বির আসার সময় শাড়ি আর আমার জন্য পাঞ্জাবি নিয়ে আসলো  তারপর কাজি বিয়ে পড়িয়ে চলে গেলো। 

তখন আমি আর  সব বন্ধুদের নিয়ে সুনম কে নিয়ে আড্ডা দিতে লাগলাম বাহিরে তখনি আম্মু কল দিলো ফোন রিসিভ করার পর বললো। 

> কিরে আজ বাসায় কি আসবি না ( আম্মু বললো) 

> নাহ আম্মু আমরা মায়ার খালার বাসায় আসছি আগামীকাল আসবো আজ আসতে দিলো না ( আমি বললাম) 

> ঠিক আছে আয় আর একটা কথা তর চাচার সাথে বসে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ( আম্মু বললো) 

> কি আম্মু ( আমি বললাম) 

> তর আর মায়ার বিয়ের কথা বললাম সামনের মাসে বিয়ে কিন্তু  ( আম্মু বললো) 

> সত্যি বলছো আম্মু কিন্তু কি  ( আমি বললাম) 

> হুম কিন্তু  তুই তো সেখানে গিয়ে বিয়ে করে ফেললি শুনলাম আমাদের না বলে ঠিক আছে আয় বাসায় তারপর দেখাচ্ছি ( আম্মু বললো) 

> আম্মু তুমি কি করে যানলে ( আমি অবাক হয়ে বললাম) 

> মায়া  আর তর বন্ধুরা বলছে তুই আয় খালি বাসায় আগামীকাল ( আম্মু বললো) 

এইবলে ফোন কেটে দিলো আম্মু। 

> যাক চিন্তা নেই আম্মু তো রাজি আছে সবাই রাজি আছে কিছু মাইর খেলে কিছু হবে না ( আমি মনে মনে) 

তখনি জাহিদ বললো। 

> দেখলি তর পরিবার সবাই রাজি আমি আগেই বলছিলাম তরা রাজি থাকলে পরিবার কিছু বাঁধা দিতে পারবে না ( জাহিদ বললো) 

> হুম ঠিক বলেছিস ( আমি বললাম) 

তারপর আরো কিছু আড্ডা দিয়ে চলে আসলাম বাসর ঘরে রুমে এসে দেখি মাএ ১০ বাজে গ্রাম তো তাই সময় যেতে চায় না মায়া ঘোমটা দিয়ে বসে আছে তখন আমি দরজা বন্ধ করে কাছে আসার পর মায়া খাট থেকে নেমে সালাম করে বললো। 

> চলো এখন শুরু করা যাক রোমাঞ্চ ( মায়া বললো) 

> এত যলদি না একটু পর আগে বলো তুমি আম্মু কে সব বলছো কেন ( আমি বললাম) 

> আরে আমায় ফোন করে বলছে তোমার আম্মু আমাদের বিয়ে ঠিক করছে কারণ আমি সকালে রাগ করে বাসা থেকে এসেছি তাই আম্মু আব্বু সবাই কথা বলে ঠিক করছে তখন আমি বলে দিয়েছি ( মায়া বললো) 

> যাক খুব ভালো কাজ করছো চিন্তা কমিয়ে দিলে ( আমি বললাম) 

তখন মায়া আমায় খাটে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো আর বললো। 

> হয়েছে অনেক দিন দরে আদর করতে পারি না আজ সব আদর করবো আর একটা কথা আমার দুইটা বেবি লাগবে কিন্তু তোমার মতো ( মায়া বললো) 

> ঠিক কি আর করা একটু কষ্ট বেশি করতে হবে আমার সিনিয়র  বউ ( আমি বললাম ()

> হুম চলো শুরু করি তাহলে ( মায়া) 

এই বলে মায়া আমার উপর ঝাপিয়ে পড়লো আমার ঠোঁট গুলো তার দখলে নিয়ে নিলো তারপর কিস করতে লাগলো। 

তারপর,,,,, 

নাহ আর বলবো না লজ্জা করে। 

আর বেশি গভীরে গিয়ে লাভ নেই বাকিটা ইতিহাস। 😁

এই ইতিহাস যানতে হলে বিয়ে করে বাসার ঘরে যান তাহলে যানতে পারবেন।😁😁

আমি তো বিয়ে করিনি তাই যানি নাহ 😁😁 
আপনারা যানলে বলবেন কিন্তু।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post