#অবহেলিত_প্রেমিক_যখন_বিমান_বাহিনীর_বড়_অফিসার🦋
⏪ ⏪লেখখ:রাসেল"কালো ভূত⏩ ⏩
---------শেষ পর্ব--------
⏪⏩▶
⏩▶
🎤
রাফি:-দোস্ত তুই এখানে কিভাবে,তোকে এতো বছর পর এইভাবে দেখতে পারবো ভাবতেই পারিনি।
রাসেল:-আমি মনে হয় আগে থেকেই ভেবে রেখেছি তোর সাথে এইভাবে দেখা হবে তাইনা।আমি কি জানতাম নাকি তোকে এখানে পাবো,তাহলে তো আরো আগেই চলে আসতাম।
রাফি:-তুই মামা আগের মতোই আছিস একটুও পরিবর্তন হস নাই,তা কেমন আছিস।
রাসেল:-হুম ভালো আছি,তুই আর রাইসা ভাবি কেমন আছেরে।
রাফি:-আমি অনেক ভালো আছি আর রাইসা ও অনেক ভালো আছে,আর রাইসা ও এখানেই আছে।
রাসেল:-কি বলিস একসাথে দুইজন একই বাড়িতে বেপার কি মামা।
রাফি:-মামা আমরা তো বিয়ে করে ফেলেছি,আর তুই এই বাড়িতে এসেছিস কার বিয়ের অনুষ্ঠানে সেইটা জানিস না।
রাসেল:-হুম জানিতো আমার হবু বউয়ের পরিচিত ইসরাতের বিয়েতে,কিন্তু তাকে এখন ও আমি দেখিনি।
রাফি:-কি বলিস দেখিসনি, আর তুই যদি জানিস সে কে তাহলে নিজেকে তুই কি সামলাতে পারবি।
রাসেল:-কেনো পারবোনা,আর কি এমন বেপার একটু খুলে বলতো।
রাফি কিছু বলতে যাবে তার আগেই ওখানে নিধি ও আহানা চলে আসে।
নিধি:-তুমি এখানে আর আমি সারা বাড়িতে খুজে বেড়াচ্ছি,তোমাকে আমার বান্ধবী দেখার জন্য পাগল হয়ে আছে।
রাসেল:-ওহহহ বুঝতে পারছি,আর নিধি এ হলো রাফি আমার সেই ফ্রেন্ড,যার কথা তোমাকে বলেছিলাম।
নিধি:-তা ভাইয়া আপনে কেমন আছেন,আর ভাবি কোথায়।
রাফি:-হুম আমি অনেক ভালো আছি ভাবি,আর আপনে কেমন আছেন।আপনে মনে হয় আপনার ভাবিকে দেখেছেন ইসরাতের সাথে।
নিধি:-ওহহহহহহ তাহলে রাইসা ভাবি,আপনাদের দুইজন কে অনেক মানিয়েছে,ঐ চলোতো ভিতরে যায়।
রাসেল:-হুমচলো যায়,আমাকে আবার চলে যেতে হবে একটা কাজে।
রাফি:-রাসেল তুই যাসনা ভিতরে কারণ নিজকে ধরে রাখতে পারবিনা।
নিধি:-ভাইয়া আমি কিন্তু কিছুই বুঝতে পারলাম না,একটু বুঝিয়ে বলেন তো।
রাসেল:-হুম বুঝিয়ে বলতো আমি ভিতরে গেলে কি এমন ক্ষতি হবে শুনি।
রাফি:-কারণ ইসরাত আর কেউ না,তুই যাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসতি ইসরাত সেই মেয়ে।
রাফির কথা শুনে রাসেল তো অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে,আর নিধি ও আহানা তো অবাক হয়ে তাকিয়েই আছে।
রাসেল:-কি বলিস এই বেঈমান মেয়ের বিয়েতেই আল্লাহ আমাকে নিয়ে আসলো,আমি আগে জানলে কখনোই আসতাম না।
নিধি:-আমি জানি তুমি কখনোই আসতে না তাইতো তোমাকে না জানিয়েই আমি তোমাকে এনেছি,কেননা ইসসরাত খুব করে বলেছিলো যেনো শেষ বারের মতো তোমাকে দেখতে পায়।
রাসেল:-নিধি তুমি ও আমার সাথে এমন করলে,আমি তো সব সময় ভাবতাম তুমি আমার থেকে কিছুই লুকাবেনা।
ইসরাত:-উনার কোনো দোষ নেই কেননা আমি তাকে খুব করে বলেছিলাম,আমি আসলেই অভাগি যে তোমার মতো কাউকে পেয়েও হারিয়ে ফেলেছি,আপুকে কিছু বলিওনা।
রাসেল:-আপনার মতো মানুষের সাথে কথা বলতেও আমার ঘৃণা করে,আপনে একটা বেঈমান।
ইসরাত:-হুম আমি বেঈমান,কারণ আমি তোমার পথ চেয়ে দিনের পর দিন চোখের জল ফেলেছি,না ঘুমিয়ে চোখের জলে বালিশ ভিজিয়েছি।
রাসেল:-তাতে কি,ঐ নিধি চলো আমি গেলাম,এখানে এক মূহুর্তের জন্য থাকতে চাইনা।
ইসরাত:-যাবে তো কিন্তু আমার বরের সাথে দেখা করে যাও,সে বিমান বাহিনীতে চাকরি করে,সে তোমার মতো এতিম আর ছোটলোক না।
রাসেল:-দেখেছিস রাফি আজো সেই এতিম ছেলেটাকে অপমান করতেছে,নিজের বর বিমান বাহিনীর অফিসার তো কি হয়েছে।
ইসরাত:-কি হয়েছে মানে,আমি এতোদিন না বুঝে তোমার অপেক্ষায় বসেছিলাম,কিন্তু যখন বুঝলাম,বিমান বাহিনীর অফিসার কে রেখে তোমার মতো এতিমের জন্য বসে থাকা বকামি ছাড়া কিছুই না।
নিধি:-ইসরাত তুমি তাহলে আমার হবু স্বামী কে এইভাবে অপমান করার জন্য নিয়ে আসতে বলছো।
ইসরাত:-হুম আমি আগেই যানতাম এই এতিম টাই আপনার হবু স্বামী,তাইতো এইভাবে নিয়ে আসতে বলি।
ইসরাত কথাগুলো বলেই হো হো করে হাসতে থাকে,আরো কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনই ভিতর থেকে ইসরাতের বর চলে আসে।
আকাশ:-আরে স্যার আপনে এখনে,কতো করে বললাম আমার এখানে আসার জন্য কিন্তু আপনেতো বার বার মানা করে দিলেন।
রাসেল কে স্যার বলতে দেখে,ঐখানে উপস্থিত রাসেলের পরিচয় জানা লোক বাদে সবাই অবাক।
ইসরাত:-তোমার মাথা কি গেছে যে ওকে তুমি স্যার বলতাছো হুম,ওর মতো ছোটলোক এতিম কে স্যার বলতেছো।
ইসরাতের কথা শুনে আকাশ ঠাসসসস ঠাসসসস করে দুইটা থাপ্পড় লাগিয়ে দেয় আর বলে ওঠে।
আকাশ:-এই তুমি জানো কাকে কি বলতেছো,উনি আমার স্যার বিমান বাহিনীর সিনিয়র অফিসার,আর এই শহরের নামকরা ব্যবসায়ীর ছেলে।
আকাশের মুখে এই কথা শুনেতো ইসরাত মনে হলো আসমান থেকে পরলো,কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা,মনের কোণে হয়তো এখন একটু অনুশোচনা ভোধ কাজ করতেছে,এতো বড়ো মাপের মানুষ কে নিজের কাছে পেয়েও হারিয়ে ফেললো।
রাসেল:-আপনার মাঝে সেই অবহেলা আর অহংকার টা আজো আছে,ভাবতেই অবাক লাগে।যাই হোক আপনার বিবাহিত জিবন শুখের হোক।
নিধি:-আমি কখনো ভাবতেই পারিনি আপনে দাওয়াত করে এনে আমার হবু স্বামী কে এইভাবে অপমান করবেন,আগে যদি বুঝতাম আপনার মনটা এতো কুৎসিত তাহলে এখানে কখনোই আসতাম না।
নিধির কথা শুনে ইসরাত কি আর বলবে কিছুই বলার নেই বলতে লজ্জায় বলার সাহস টুকুও পায়না,এইদিকে আকাশ তো বলেই ওঠে।
আকাশ:-স্যার আমি আগে জানতাম না ইসরাত সেই কালনাগীনী,যে কিনা আপনার মতো মানুষের জীবন টা ভেঙ্গে তছনছ করে দিছে,আমি আগে জানলে ওর মতো ছোট মনের মেয়ে কে কখনোই বিয়ে করতাম না।
রাসেল:-আকাশ সাহেব এইভাবে বলবেন না,আমার সাথে যা হয়েছে আমি সেই সব নিধির ভালোবাসাই ভুলে গেছি,একটা রিকুয়েস্ট করবো রাখবেন।
সবাই রাসেলের কথা শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,কি রিকুয়েস্ট করবে সেইটা ভেবে।
আকাশ:-আপনার কথা রাখবোনা এই সাহস আমার হয়নি স্যার,আমি আপনার কথা রাখবো আপনে শুধু বলেই দেখেন।
রাসেল:-আপনের ওকে বিয়ে করে সুখে সংসার সাজান,হয়তো আপনার ভালোবাসা পেয়ে নিজেকে শুধরে নিতে পারবে।
আকাশ:-দেখেছিস যেই মানুষটার সাথে এতো কিছু করেছিস,আজ সেই তোর জন্য আমার কাছে রিকুয়েস্ট করছে।
ইসরাতের মুখে কোনো কথা নেই এক গিয়ে চুপটি করে দাঁড়িয়ে থাকে।
রাসেল কথাগুলো বলেই সেখান থেকে আহানা ও নিধিকে নিয়ে রাফি ও রাইসাকে বলে বাড়িতে চলে আসে।
নিধি:-সরি আমি ভাবতে পারিনি আমার জন্য তোমাকে এতোটা অপমানীত হতে হবে,আর ইসরাতের মন যে এমন সেটা কখনোই কল্পনা করিনি।
রাসেল:-আরে সরি বলার কি আছে,আর এখানে তোমার কোনো দোষ নেই সবটা আমার কপালেই লেখা ছিলো,আর ধন্যবাদ তোমাকে।
রাসেলের এই অবস্থায় ধন্যবাদ কথাটা শুনে নিধি অনেক টাই অবাক হয়ে যায়।
নিধি:- ধন্যবাদ কেনো দিচ্ছ শুনি।
তুমি আমাকে ঐখানে না নিয়ে গেলে আমার জানের জিগার বন্ধুর সাথে দেখা হতো না,আর ইসরাতের কথায় আমি কিছুই মনে করিনি কেননা এইগুলো আগে অনেক শুনেছি,তাই সহ্য হয়ে গেছে।
এইভাবে কথা বলতে বলতে ওরা বাসাই চলে আসে,কিছুদিন পরে রাসেল ও নিধির বিয়ে হয়ে যায়।
রাশিদা চৌধুরী:-বৌমা তোমাকে কাজ করতে হবেনা,তুমি বরং রাসেলের পাশে বসো,কাজের লোক তো খাবার দিচ্ছেই।
নিধি:-না মা আমার ওদের সাথে একটু কাজ করতে ভালোই লাগে,এতে তো ওদের একটু কষ্ট কম হচ্ছে,এমনিতেই তো খুব একটা কাজ করার সময় পায়না।
রফিকুল:-আমার বৌমার কাছ থেকে কিছু শেখো বুঝলে রাসেলের মা।
রাশিদা:-ওহহহহ তার মানে তুমি বলতে চাইছো আমি কোনো কাজ করিনা(রাগি কণ্ঠে)
রফিকুল:-কি আর কাজ করো,ঐ একটা কাজই তো পারো শুধু নির্দোষ মানুষ কে শাস্তি দিয়ে অপরাধিকে খালাস করতে।
চলতে থাকে শশুর শাশুড়ির মিষ্টি ঝগড়া আর সিনেমা দেখার মতো উপভোগ করতে থাকে তিনজন মানে,রাসেল নিধি ও আহানা,কিছু সময় পরে ঝগড়া শেষ হলে রাসেল ও নিধি রুমে চলে আসে।
নিধি:-ঐ আব্বু আম্মু তো সেই ঝগড়া করতে পারে।
রাসেল:-হাহাহা কেন পারবেনা বলো,আব্বুর তো অফিসে কোনো কাজ নেই আর আম্মুর অনেক কাজ করতে হয় আদালতে,এইদিকে আব্বু অফিসে ভাবে কিভাবে আম্মুর সাথে ঝগড়া করবে,বাড়ি এসে সেটাই করে।
নিধি:-ওহহহহ তাহলে তো শশুর আবব্আর কাছ থেকে আমাকে নিখুঁত ভাবে ট্রেনিং নিতে হবে।
রাসেল:-কেনো।
নিধি:-তোমার সাথে এইভাবে দুষ্ট মিষ্টি ঝগড়া করতে হাহাহা।
রাসেল:-ওরে দুষ্ট,দাড়াও ঝগড়া করা শেখাচ্ছি।
এইভাবে ওদের ভাঝে দুষ্ট মিষ্টি ঝগড়া চলতেই থাকে তাই বলে ভালোবাসার কখনো কমতি হয় না,বাড়ির সবাই নিধি কে খুবই ভালোবাসে,আর রাসেল তো নিধি কে ছাড়া পৃথিবীকেই অন্ধকার মনে করে,এইভাবে চলতে থাকে ওদের শুখের সংসার,আপনারা কাউকে ভালোবাসলে তাকে মন থেকে ভালোবাসবেন,টাইমপাছ করার জন্য অনেক কিছুই আছে,সেইগুলা করে সময় কাটাবেন তবুও পবিত্র ভালোবাসাকে নিয়ে টাইমপাছ করবেন না,হয়তো ছোট্ট একটা ব্রেকআপ শব্দে একজনের মনে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়,কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন,যার সাথে ব্রেকআপ করলেন,তার মনের অবস্থা কেমন হয়,বেচেতো থাকে কিন্তু জিন্দা লাস হয়ে,বারতি কথা বলার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি,আর আমার এই গল্পটার শুরু থেকে শেষ পযর্ন্ত সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ,,,,,,,
🌺❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣🌺
- আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম-
-ফের দেখা হবে কথা হবে নতুন কোনো গল্পে-
-সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন-
✍।।।।।।।।।।।।।।।।।।।✍
........চলবে........
🌺,আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে, তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো প্রকার ভুল ক্রটি হয়,তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,কেননা ভুল না করলে জীবনে কিছু শেখা যায় না🌺
💖💖💖
🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺
💖💖💖💖
💖💖💖সমাপ্ত💖💖💖