আজ আমি আর আমার স্ত্রী কোটে দাড়িয়ে আছি ।
- ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম আমার স্ত্রী নীরা কে ! কিন্ত তার খিটখিটে স্বভাবে আমার জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে। কেনো যে সে হঠাৎ বদলে গেলো তাও জানি না । এমন ও না যে নীরা অন্য কাউকে ভালোবাসে বা তার কারো সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে তাও না । সে আমাকে ছাড়া কাউকে ভালোবাসে না তা আমি জানি ।
- কিন্ত কিছুদিন ধরেই সে আমাকে এড়িয়ে এড়িয়ে চলছে । ঠিক মতো কথা বলে না চুপচাপ থাকে ।
কথা বলতে গেলে রাগ দেখায় । আর ছোট ছোট
বিষয় নিয়ে ঝগরা করে ।
- এক রাতে বিছানায় শুয়ে আছি নিরা রান্নাঘর থেকে এসে আমাকে বলল !
- আমার ডিভোর্স চাই (নীরা)
চমকে উঠলাম নীরার কথাশুনে।নিজের কানকে
বিশ্বাস করতে পারছিলাম না মনে হচ্ছিলো ভুল শুনেছি কিছু ।
- কি বলছো কি ! মাথা ঠিক আছে তোমার (আমি)
- আমার মাথা একদম ঠিক আছে আমার শুধু ডিভোর্স চাই ব্যাস (নীরা )
- নীরা কি হয়েছে তোমার ! তুমি না আমাকে ভালোবাসতে ! আমরা তো দুজনকে দুজনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম তবে কেনো এমন করছো নীরা (আমি)
এই বলে নীরাকে নিজের বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরি । কিন্ত সে আমাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে বলল ।
- দেখো এইসব কথা আমার ভালো লাগে না।
আমার আর তোমার সংসার করতে ভালো লাগছেনা পিল্জ আমাকে মুক্তি দাও আমি তোমার কাছে মুক্তি চাই । (নীরা)
কেনো জানি না নীরার কথা শুনে সেইদিন
নিজের অজান্তে চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিলো । কিন্ত তা নীরা একটিবার ও তাকিয়ে
দেখেনি । সেদিন তার কথা মেনে নিয়ে তাকে মুক্তি দেওয়ার সীদ্ধান্ত নেই । কি দরকার শুধু শুধু একটি মানুষকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বেধে রাখার ।
যে যেতে চায় তাকে শত চেষ্টা করলেও আটকে
রাখা যায়না ।
আর আজ আমি আর নীরা দাড়িয়ে রয়েছি কোটে কিছুক্ষন পরই হয়তো তাকে হারিয়ে ফেলবো ।
কেনো জানি না মনে খুব বেশিই কষ্ট হচ্ছে ।
একটু একটু করে বুকে ব্যাথা বাড়ছে ।
কেনোই বা কষ্ট হবে না যতটা ভালো তাকে বাসি ততটা ভালো নিজেকেও বাসি না আর আজ সেই ভালোবাসার মানুষটি ছেড়ে চলে যাচ্ছে আর আমি বোকার মতো শুধু তার দিকে তাকিয়ে আছি । তবুও শেষ বার নীরাকে জিজ্ঞেস করলাম
- নীরা !(আমি)
- কি ? (নীরা )
- থাকতে পারবে আমায় ছেড়ে ? (আমি)
- খুব! (নীরা)
- কষ্ট হবে না !(আমি)
- একটু ও না ! ( নীরা)
- সত্যি ? (আমি)
- হমমম ! (নীরা)
- এত তাড়াতাড়ি ভালোবাসা ফুরিয়ে যাবে জানলে
কখনোই তোমার হাত ধরে সারাজীবন এক সাথে
চলার স্বপ্ন দেখতাম না (আমি)
নীরা চুপ করে রইলো আমার প্রশ্নের জবাব হয়তো তার কাছে নেই । অবশেষে আমার আর নীরার
ডিভোর্স হয়ে গেলো ।
সে চলে যাচ্ছিলো পেছন থেকে তাকে ডাক দিলাম
- নীরা (আমি)
- কি ? (নীরা)
- না কিছু না ! (আমি)
- কিছু বলবে ? (নীরা )
- ভালো থেকো ! (আমি)
- তুমি ও (নীরা)
- চেষ্টা করবো (আমি)
- আমার বিশ্বাস তুমি ভালো থাকবে আসলে
আমি তোমার যোগ্য নই তুমি আমার থেকে বেটার কাউকে ডির্জাভ করো ? (নীরা)
- হা হা ! (আমি)
- হাসলে যে? (নীরা)
- কিছুনা আসি ভালো থেকো (আমি)
চলে আসলাম সেখান থেকে দাড়িয়ে থাকলে হয়তো কষ্টে মারা যেতাম । বাড়ি আসতেই
মা বলতে লাগলো -
- কেনো করলো নীরা এরকম (মা )
- জানি না মা ! ( আমি)
বলেই মা কে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলাম ।
- কি দোষ ছিলো মা ! কেনো এরকম করলো ও
বলো না মা ! বলো (আমি).
- কাদিস না বাবা ! দেখে নিস যে তোকে এইভাবে
কষ্টদিয়ে চলে গেলো সে কোনোদিন সুখে থাকতে পারবে না (মা )
- না মা এরকম বলো না আমি চাই সে সুখি হোক
আমায় ছাড়া সুখে থাক ! (আমি)
আর কিছু না বলে ঘরে চলে আসলাম ।
বিছানায় শুতেই ঘুম এসে গেলো ।
রাতে ঘুম ভাঙলে মা খেতে ডাকলে নিষেধ করে দিয়েছি । ঘর টা কেমন ফাকা ফাকা লাগছে ।
নীরা শূন্যতা খুব করে অনুভব করছি ।
কি করছে সে এখন । খেয়েছো তো নাকি ?
কিছু না ভেবে ফোনটা নিয়ে কল দিলাম নীরাকে
তিনবার রিং হতেই নীরা রিসিব করলো !
- কি হয়েছে কল দিয়েছেন কেনো (নীরা)
চলবে !!
#পূর্নতা
#আলোক_আহমেদ
#পার্ট_১