গল্পঃ #অবহেলিত_বয়ফেন্ড_যখন_কোটিপতি
লেখকঃ #Hkb_Ahamed
পর্বঃ১৩ এবং শেষ
#সিজন_2
সমাপ্তি পর্ব
★অনুমতি ছাড়া কপি নিষেধ ★
হৃদয়ের ঘুম ভাঙ্গে রুহির ডাকে, তারপর সে ফ্রেস হয়ে রুহিকেও তার স্কুলের জন্য রেডি করতে থাকে অন্যদিকে নিলার আজ প্রথম দিন অফিস তাই তার মা সকালেই তাকে ডেকে দেয়,নিলা ফ্রেস হয়ে অফিসের জন্য রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হয়ে রিক্সার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে কিন্তু কোন রিক্সা না পাওয়ার ফলে সে হেটেই রৌনা দেয়, সে রাস্তা পার হতেই,,,,,,,,,,,
💠১২ পর্বের পর থেকে💠
নিলা রাস্তা পার হতেই কোথা থেকে যেন একটা ট্রাক এসে নিলাকে ধাক্কা দেয় সাথে সাথে নিলার সাড়া দুনিয়া উলট পালট হতে থাকে চোখ দিয়ে সে ঝাপসা দেখছে,আস্তে আস্তে তার দেহটা নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে এমন সময় সে অজ্ঞান হয়ে যায়, এদিকে হৃদয় আর রুহি স্কুলের দিকে যাচ্ছিল এমন সময় হৃদয় একটা এক্সিডেন্ট দেখে তার গাড়ি দাড় করায় সে গাড়ি থেকে নেমে সামনে গিয়েই যা দেখে তাতে যেন তার বিশ্বাসই হচ্ছে না সাড়া দুনিয়া তার সামনে যেন ঘুরছে সে না চাইতেই তার চোখ দিয়ে পানি আটকে রাখতে পারছে না, সে নিলাকে কয়েকজনের সাহায্য নিয়ে তার গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায়, রুহি কান্না করছে, এদিকে নিলার অবস্থা খুব খারাপ নিলার বাবা মা খবর পেয়ে আর এক মুহূর্ত দেড়ি না করে হাসপালে ছুটে আসে, সাথে নিলার মামাতো বোন ফাতিহা ও আসে। এদিকে রুহির কান্না যেন থামছেই না, সে বার বার নিলার কথায় বলছে, হৃদয় রুহিকে কুলে নিয়ে অপারেশন থিয়েটারের সামনে বসে আছে, নিলার বাবা মা এবং ফাতিহা হৃদয়কে দেখে অবাক হয়ে যায়, ফাতিহা হৃদয়কে দেখে বলে উঠে
----হৃদয় নিলা কোথায় সে এখন কেমন আছে (কান্না করতে করতে ফাতিহা বলল)
----ডাক্তার নিলাকে OT তে নিয়ে গেছে এখনো কিছু বলতে পাচ্ছি না (হৃদয়)
এদিকে হৃদয়ের কথা শুনে নিলার বাবা-মা যেন পাগল হয়ে যায়, ফাতিহা তাদের শান্তনা দিচ্ছে এমন সময় একজন ডাক্তার বের হয়
----ডাক্তার সাহেব এখন নিলা কেমন আছে (হৃদয়)
---আলহামদুলিল্লাহ আমাদের অপারেশন সফল হয়েছে, সে এখন বিপদ মুক্ত জ্ঞান ফিরলেই দেখা করতে পারবেন (ডাক্তার)
----ধন্যবাদ ডাক্তার (হৃদয়)
----এখনে ধন্যবাদ দেওয়ার কিছু নেই সব কিছু মহান আল্লাহতায়ার হাতে আর আপনি যদি তাকে সঠিক সময় নিয়ে না আসতেন তাহলে হয়তো তাকে বাচানো সম্ভব হতো না (ডাক্তার)
একথা বলে ডাক্তার চলে যায়, এদিকে কিছুক্ষণ পর নিলার জ্ঞান ফিরে আসে সে তার মুখ দিয়ে অস্পষ্ট স্বরে শুধু হৃদয়ের নাম বলতে থাকে এদিকে নিলার জ্ঞান ফেরার কথা শুনে নিলার বাবা-মা নিলার কাছে যায়, নিলার মুখ থেকে হৃদয়ের নাম শুনে ফাতিহা বাইরে আসে এসে দেখে হৃদয় জানালা দিয়ে নিলাকে দেখছে আর চোখের পানি ফেলছে, হৃদয় ফাতিহা কে দেখে তার চোখের পানি মুছে চলে যেতে থাকে তখনি ফাতিহা বলতে শুরু করে,,,,
-----কোথায় যাচ্ছো দাঁড়াও (ফাতিহা)
হৃদয় ফাতিহার কথায় দাঁড়িয়ে যায়
----কি হলো চলে যাচ্ছো যে (ফাতিহা)
----না মানে রুহি তার আন্টিকে না দেখে যেতে চাচ্ছিল না তাই এতক্ষণ বসে ছিলাম, এখন দেখা শেষ তাই চলে যাচ্ছি (হৃদয়)
----সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ডেকে রাখা যায় না মি. হৃদয় (ফাতিহা)
এরপর হৃদয় কিছু বলতে যাবে তার আগেই ফাতিহা আগের সব ঘটনা বলতে থাকে, নিলার আগের সব ঘটনা শুনে হৃদয় যেন তার কথা বলার শক্তিটুকু হারিয়ে ফেলেছে, হৃদয় আর এর এক মুহূর্ত দেরি না করে এক দৌড়ে নিলার কেবিনে গিয়ে নিলার বাবা মায়ের সামনেই নিলাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকে নিলা হৃদয় কে দেখে তার চোখ দিয়ে পানি আটকে রাখতে পারছেনা
----এই পাগলি কান্না করছিস কেন, তোর কান্না যে আমার সহ্য হয়না সেটা জানিস না (হৃদয়)
নিলা হৃদয়ের কথা শুনে হৃদয় কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে যেন হৃদয় কোথাও যেতে না পারে এভাবেই কিছু দিন কেটে যায়, হৃদয় নিলাকে রেখে এক মুহূর্ত হাসপাতালের বাইরে বের হয়নি, রুহি নিলার বাবা মায়ের সাথে তাদের বাসায় চলে যায় এই দুইদিনে রুহির সাথে নিলার বাবা-মায়ের খুব ভালো মিল হয়ে গেছে, এদিকে নিলার আজকে রিলিজ ডে, তাই রুহি, নিলার বাবা-মা হসপিটালে আসে নিলা এখন আগের থেকে অনেক সুস্থ তাই ডাক্তার বলেছে বাসায় গিয়ে কিছুদিন রেষ্ট নিলেই ঠিক হয়ে যাবে, তাই নিলাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে কিছুদিনের মধ্যেই নিলা আবার আগের মতো সুস্থ হয়ে যায়, আজ হৃদয় এবং নিলার বিয়ে রুহি আজ খুব খুশি নিলা তার বাসর ঘরে বসে আছে সাথে রুহি তারা দুজনে মিলে গল্প করছে, হৃদয় যখন রুমে আসে তখন রুহি বলতে শুরু করে,,,,
----আব্বু তুমি এখানে কেন, তুমি দেখছো না আমি আর নতুন আম্মু গল্প করছি, তুমি পরে আসবা এখন এখান থেকে যাও না হলে আম্মু খুব বকা দিবে তাই না আম্মু (রুহি)
----হুম আম্মু, আমার আম্মুর কথার উপরে কি কথা আছে, এই তুমি যাও পরে আসবা নয়তো খুব করে বকা খাবা (নিলা)
----কি জামানা আগেয়া, মা মেয়ে দুজনেই আমাকে বয়কট করছো ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি (হৃদয়)
একথা বলে হৃদয় চলে যেতে চাইলে রুহি আবার বলতে শুরু করে
-----এই যে আব্বু দাঁড়াও, তুমি যদি এই রুমে থাকতে চাও তাহলে আমার একটা শর্ত আছে (রুহি তার কমরে হাত রেখে বলল)
----ও মা তাই নাকি তা আম্মুর কি শর্ত আছে যে সেই শর্ত মানলে সে তার ছেলেকে তার ছেলের বউয়ের রুমে থাকতে দিবে, হুকুম মেরে মাতা (হৃদয়)
----শর্তটা হচ্ছে আমার একটা ছোট্ট ভাই চাই, আমাদের ক্লাশের তন্ময়ের একটা ছোট ভাই আছে দেখতে অনেক কিউট তাই আমার ও একটা ছোট ভাই লাগবে (রুহি)
রুহির কথা শুনে নিলা লজ্জায় লাল হয়ে যায়, আমি নিলাকে আরো লজ্জায় ফেলার জন্য বললাম
----আপনার হুকুম চিরধার্য মাতা, আপনার পুত্র বধু যদি রাজি থাকে তাহলে খুব তারাতাড়ি আপনার আরেকটা ভাই হবে (হৃদয়)
----হুম মনে থাকে যেন (রুহি)
একথা বলে নিলাকে কানে কানে কি যেন বলে রুহি নিলার বাবা-মায়ের রুমে চলে যায়, ও হ্যা আপনাদের তো বলায় হয়নি নিলার বাবা-মা এখন থেকে আমাদের বাসায় থাকবে।
----এইটা কি হলো (নিলা)
----কোনটা কি হলো (হৃদয়)
এই কথা বলে হৃদয় নিলার দিকে এগুতে থাকে, নিলা পেছাতে থাকে একসময় নিলার পিঠ দেওয়ালে আটকে যায়,
----রুহি কি বলে গেল শুননি (হৃদয়)
----হুম শুনেছি কিন্তু আমি এখন এসব চাইছি না কারন রুহি এখনো ছোট আগে তাকে আমার মায়ের মমতা দিয়ে বড় করি তারপর ভেবে দেখবো, এখন চলো দু রাকাত নফল নামাজ দিয়ে আমাদের জীবনের পথ চলা শুরু করি
(নিলা)
----হুম চলো (হৃদয়)
এ কথা বলে তারা দু-রাকাত নামাজ পড়ে মহান আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করে তাদের সংসার জীবনের জন্য এভাবেই তাদের সুখের জীবন চলতে থাকে রুহিকে নিলা তার মেয়ের মতো ভালোবাসে এভাবেই দিন গুলো পার হচ্ছে রুহিকে খাবার খাওয়ানো,রুহিকে স্কুলে দিয়ে যাওয়া, এসব নিলা একাই করে রুহিও নিলাকে পেয়ে খুব খুশি,আপনারা সবাই দোয়া করবেন এভাবেই যেন তাদের ভালোবাসার সংসার চলতে থাকে আর হ্যা সবাই পাচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন কারন এপারের জীবনের চাইতে ওপারের জীবন বেশী দামী 💞
সমাপ্ত
গল্পটা কেমন হয়েছে সবাই জানাবেন, হয়তো শেষটা ভালো করতে পারিনি, আমার পরবর্তী গল্প সিনিয়র জমজবোন যখন বউ সেটি খুব তারাতাড়িই আসবে আর এই গল্পের সকল ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার অনুমতি ব্যতীত গল্পটি ইউটিউবে আপলোড সম্পূর্ণ নিষেধ।