গল্প: অবহেলিত বয়ফেন্ড যখন কোটিপতি পর্ব ১০

 গল্পঃ #অবহেলিত_বয়ফেন্ড_যখন_কোটিপতি
লেখকঃ #Hkb_Ahamed 
পর্বঃ১০
#সিজন_2

★অনুমতি ছাড়া কপি নিষেধ★

নিলা ফাতিহা এবং ছাব্বির মিলে কিছু সময় আড্ডা দেয়, সন্ধায় হলুদ অনুষ্ঠান শুরু হয়, কিন্ত নিলার বারবার শুধু হৃদয়ের কথায় মনে পরতে থাকে কাল সে অন্য একজনের ঘরে বউ হয়ে যাবে হয়তো হৃদয়ের সাথে তার আর কোন দিন দেখা হবে না, এসব ভাবতে ভাবতে দেখে যে তার ফোন বাজছে, ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে যে হৃদয় ফোন দিয়েছে, সাথে সাথে তার মন ভালো হয়ে যায় কিন্তু এসব ভাবতেই তার মন আবার খারাপ হয়ে যায়, নিলা ফোনটা কেটে দেয় যাতে হৃদয় তাকে ইগ্নোর করে, কিন্তু হৃদয় তাকে আবার কল দেয়, এবার ও নিলা ফোন কেটে দেয়, এবং ফোন বন্ধ করে রাখে যাতে আর ফোন দিতে না পরে।

৯ম পর্বের পর থেকে,,,,,,,,,

💠অন্যদিকে, 💠

হৃদয় বার বার নিলাকে ফোন দিতে থাকে, কিন্তু বার বার নিলা ফোনটা কেটে দিচ্ছে জন্য তার ফোন ফ্লোরে ছুড়ে মারে, এবং কান্না করতে থাকে।
একটা সিগারেট ধরিয়ে টানতে থাকে, আর কষ্টগুলো সিগারেট এর ধোয়ার সাথে বিলিন করে দিচ্ছে,,,,,,,[বাকীটা আপনারা সিজন ১ পড়লে বুঝতে পারবেন]

এদিকে নিলা রাতে খাবার না খেয়েই ঘুমিয়ে পরে, নিলার মা নিলাকে ডাকতে এসে দেখে নিলা ঘুমিয়ে গেছে। তা না ডেকে নিলার মা চলে যায়।

পরেরদিন, নিলা খুব সকালেই ঘুম থেকে উঠে পড়ে, ঘুম থেকে উঠে ফোনটা হাতে নিয়ে হৃদয় এর দেওয়া মেসেজ এর অপেক্ষা করতে থাকে, কিন্তু আগের সব কিছু মনে পড়তেই তার মনটা আবার খারাপ হয়ে যায়, তখনই নিলার বোন ফাতিহা নিলার রুমে আসে,,,,,,,,

-------আরেকটু ঘুমিয়ে নে, আজকে রাতে দুলাভাই ঘুম নাও আসতে দিতে পারে 😉 😛 (ফাতিহা)

-------ফালতু কথা সব বাদ দিবি নাকি মাইর খাবি 😠 (নিলা)

------আচ্ছা বইন স্যরি, এখন চল খাবার খেয়ে পার্লারে যেতে হবে (ফাতিহা)

-------হুম চল (মন খারাপ করে নিলা বললো)

-----হুম চল (ফাতিহা)

তারপর ফাতিহা নিলাকে নিয়ে পার্লারে চলে গেল, নিলাকে মেহেন্দি পড়ানো হচ্ছে কিন্তু সেদিকে তার কোন মন নেই,আসলে তার মন পড়ে আছে হৃদয়ের দিকে সে হৃদয়ের পাগলামিটাকে খুব মিস করছে, এসব ভাবতে ভাবতে তার চোখ দিয়ে টপ করে দু ফোটা পানি পড়লো, নিলা আর কিছু না ভেবে চোখের পানিটা অপর হাত দিয়ে মুছে নিলো৷ 

এদিকে নিলার মেহেদী পড়ানো শেষ হলে ফাতিহা তার হাতে মেহেদী পড়তে লাগলো,একে একে পার্লারের সব কাজ শেষ করে তারা বাসার দিকে রৌনা দিল।
গাড়িতে নিলাকে জ্বালানোর জন্য ফাতিহা বলতে শুরু করলো

-----আজ দুলাভাই তোকে দেখে চোখ সরাতে পারবে না (ফাতিহা)

নিলা কিছু না বলে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে

-----কিরে কথা বলছিস না কেন (ফাতিহা)
একথা বলে নিলার মুখটা হাত দিয়ে উচু করতেই দেখে নিলা কান্না করছে

-----কিরে তুই কান্না করছিস কেন (ফাতিহা)

কিছু না বলে নিলা কান্না করেই যাচ্ছে 

-----কিরে বল (একটু ধাক্কা দিয়ে ফাতিহা বলল)

-----হৃদয়ের কথা খুব মনে পড়ছে, না জানি পাগলটা কি করছে (নিলা কান্না করতে করতে বলল)

----- হৃদয়টা আবার কে আগে তো কোনোদিন আমাকে ওর কথা বলিসনি (ফাতিহা) 

তারপর নিলা প্রথম থেকে সমস্ত ঘটনা ফাতিহাকে বলতে লাগলো, আসলে ফাতিহা আগে থেকে এ ব্যাপারে কিছুই জানতো না। 

----কিহ এত বড় ব্যাপারটা তুই আমাকে এখন বলছিস, এখন তো আমার হাতে আর কিছুই করার নেই (ফাতিহা)

----আমি হৃদয়কে ছাড়া কখোনই সুখি হতে পারবো না রে (নিলা)

----এখন আর কি করবি বল সবই ব্যাস্তবতা,আর ব্যাস্তবতা যত তারাতাড়ি মেনে নিবি ততই ভালো (ফাতিহা)

নিলা আর কিছু না বলে শুধু চোখের পানি ফেলছে, এদিকে ফাতিহা নিলার মনের কষ্ট দূর করার জন্য কথা বলছে, তাদের কথা বলতে বলতে তারা বাসায় চলে এসেছে, নিলা তার চোখের পানি মুছে ফাতিহার সাথে তার রুমে গিয়ে তার সাজ ঠিক করতে লাগলো,অন্যদিকে বর পক্ষ এসে পড়ায় সবাই তাদের নিয়েই ব্যাস্ত হয়ে পড়লো নিলা আর ফাতিহা শুধু বসে বসে গল্প করছে, তারপর আস্তে আস্তে বিয়ের সকল কাজ শেষ এখন কবুল বলার পালা। কাজী সাহেব নিলাকে কবুল বলতে বললে নিলা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেল তবুও মনের বিরুদ্ধে গিয়ে যখনই কবুল বলতে যাবে ঠিক তখনই,,,,,,,

ঠিক তখনি যা ঘটলো তা পরের পর্বে জানবেন 😁

চলবে,,,

এতদিন কেন গল্প দেই নাই, তা পড়ে অন্য কোন সময় বলবো 😁
আপনাদের সাড়া পেলে পরের পর্ব আজ রাতেই দিব, পরের পর্ব লেখা প্রায় শেষ। 
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 🙂
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post