গল্পঃ ভদ্র ছেলে vs রোমান্টিক বখাটে মেয়ে পর্বঃ ১২ Last Part

 গল্পঃ ভদ্র ছেলে vs রোমান্টিক বখাটে মেয়ে 
পর্বঃ ১২ Last Part 
লেখকঃ Nirob Ahmed Kowcer 
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

নিরব মনে মনেঃ যাহহ বাবা এইটুকু সময়ের মধ্যে এতোকিছু করলো কেমতে আল্লাহ বাঁচাও এহন আমি কি করমু। 

তখন সামিয়া পাশে থাকা ছেলে গুলো কে বলতে লাগলো । 

সামিয়াঃ একে গাড়িতে তুলে রাখ অনেক হিসেব আছে আজ একে নিয়ে আজ রেপ ধর্ষণ নির্যাতন সবি করবো । 

নিরব এটা শুনে ভয় পেয়ে গেলো আর মনে মনে বলতে লাগলো। 

নিরব মনে মনেঃ নাউজুবিল্লাহ নাহ এটা হতে পারে না বাচাও আল্লাহ আমার এই নিরিহ ইজ্জত কে আমি এই মুখ কারে দেহামু আমার ইজ্জত শেষ আজ । 

তখন নিরব কে সামিয়ার চারজন লোক ধরে গাড়িতে তুললো নিরব এর মুখ বাঁধা থাকায় কিছু বলতেও পারছে না নিরব কে গাড়িতে তুলে একটি লোক সামিয়া কে বললো। 

লোকটিঃ ম্যাডাম গাড়িতে তুলেছি এখন কি করতে হবে। 

সামিয়াঃ চারজন সাথে গিয়ে বসে ধরবে আর একজন গাড়িটা ড্রাইভিং করবে আমাদের সেই পুরোনো বাড়িতে নিয়ে যাবে গিয়ে দৃতীয় রুমে নিয়ে খাটে ফেলে এক এক করে হাত পা খাটের সাথে বেধে রাখবে আর শার্ট খুলে ফেলবে আমি বাসা থেকে আসছি। আজ রেপ ধর্ষণ নির্যাতন সবি করবো কতো সাহস আমার কথা অমান্য করে। 

লোকটিঃ ঠিক আছে ম্যাডাম আমি। 

এইবলে লোকগুলো নিরব কে নিয়ে চলে গেলো সামিয়া সোজা বাসায় আসলো এসে তার আব্বু আম্মু কে বললো তার মামাতো বোন এর বিয়েতে চলে যেতে সামিয়া একটু পর আসছে কাজ আছে এই বলে সামিয়া আবার রওনা হলো। 

এদিকে নিরব কে গাড়িতে তুলে সামিয়ার বলা অনুযায়ী তাদের পুরনো বাসায় নিয়ে গেলো। 

নিয়ে গিয়ে একটা রুমে নিরব কে বেধে রাখলো এক এক করে হাত পা। 

নিরব অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে শুধু দেখছে তার মুখ বাধা যার কারনে কিছু বলতে পারছে। 

নিরব কে বেধে সবাই চলে গেলো তখন নিরব মনে মনে বলতে লাগলো। 

নিরবঃ লে এবার ধর্ষণ নির্যাতন সবি হালা তরে কইছিল কেডা ফোন বন্ধ করে ঘুমাইতে৷। 

এইবলে নিরব ছুটবার জন্য চেষ্টা করতে লাগলো কিন্তু অনেক শক্ত করে বাধা বলে পারলো না। 

তখন নিরব আবার বলে উঠলো। 

নিরবঃ এই মাইয়া কেন যে আমার উপর পড়ে আছে কে যানে ফাজিল মাইয়া লুচ্চা মাইয়া মনে হয় এরা জনি সিং এর বক্ত তাই এমন হয়েছে। 

তখনি নিরব শুনতে পেলো সামিয়ার কন্ঠ বাহির থেকে তখন নিরব বলে উঠলো। 

 
নিরবঃ আইয়া পড়ছে আল্লাহ বাচাও জীবনে কত শুনলাম মেয়ে রেপ ধর্ষণ নির্যাতন হয়েছে কিন্তু আজ তো দেখি আমি হমু এটা হতে পারে না আমি কেমনে এই মুখ সমাজে দেখাবো তাইলে । 

তখনি দরজা বন্ধ করার শব্দ আসলো নিরব তাকিয়ে দেখে সামিয়া আসছে দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে। 

নিরব তা দেখে মনে মনে বললো। 

নিরবঃ আইয়া পড়ছে বাঁচা কেডা কই আছিস ভাই এটা হতে পারে না এটা অন্যনায়। 

তখন সামিয়া দরজা বন্ধ করে হাতে একটা চাকু নিয়ে এসে সোজা নিরবের কাছে গিয়ে বসে বললো। 

সামিয়াঃ চুপচাপ শুয়ে থাকবি একটুও নড়াচড়া করতে পারবি না আমি আমার কাজ করবো রোমাঞ্চ করবো কোনো শব্দ করবি না অনেক রাগ আছে তর উপর এখন মারলাম না কিন্তু তার আগে তর হাতে আমার নাম লিখবো এই চাকু দিয়ে যদি নড়াচড়া করিস তাহলে তর গলা যাবে। 

নিরব এটা শুনে প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলো কি করবে বুঝতে পারছে না তার হাত কেটে নাম লিখবে নিরব এটা চাইছে না কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ বলে চুপ করে রইলো কি করবে নিরব এর মুখ বাধা। 

তখন সামিয়া নিরব এর হাত কেটে শুধু এস লিখে দিলো অনেক রক্ত পড়তে লাগলো তখন সামিয়া খাটের নিচে থেকে একটা বক্স বের করে বেন্ডেজ করে দিলো নিরব ব্যাথায় কান্না করতে লাগলো ফুপিয়ে। 

তার কিছু করার নেই হাত পা বাঁধা বলে তখন সামিয়া নিরব এর চোখের পানি মুছে বললো। 

সামিয়াঃ এই দেখো আমার হাতেও লিখছি কিছুদিন আগেই। 

নিরব কোনো মতে লক্ষ করে দেখলো সত্যি তখন সামিয়া আবার বললো। 

সামিয়াঃ আমি এটা লিখতাম না তোমার হাতে কষ্ট দিতে চাইছিলাম না কিন্তু তুমি গতকাল রাতে আমার কথা রাখো নাই বলে এই শাস্তি। এখন রোমাঞ্চ করবো মুখ খুলে দিচ্ছি কোনো কথা বলবে না 
 
নিরব মনে মনেঃ দাড়া একবার ছুটে নেই দেখাচ্ছি আগে মুখের বাধন খোল। 

তখন সামিয়া নিরবের মুখের বাধন খুলে দিলো তখন সামিয়া সাথে সাথে নিরবের ঠোঁট গুলো তার দখলে নিয়ে লিপ কিস করতে লাগলো নিরবও তার সাথে সায় দিতে লাগলো পাচ মিনিট পর সামিয়া ছেড়ে দিয়ে বললো। 

সামিয়াঃ এখন রোমাঞ্চ করবো। 

তখন নিরব বললো। 

নিরবঃ ঠিক আছে যা খুশি করো বাঁধা দিবো না কিন্তু। 

সামিয়াঃ কিন্তু কি। 

নিরবঃ আমি তো আদর করতে পারবো না হাত পা বাঁধা। 

সামিয়াঃ থাকুক আমি তো আছি আমি আদর দিলেই হবে। 

নিরবঃ নাহ আমিও আদর করবো। 

সামিয়াঃ ঠিক আছে খুলে দিচ্ছি তাহলে কিন্তু বেশি করে আদর করবে। 

নিরবঃ ঠিক আছে খুলে দাও বাঁধন। 

সামিয়াঃ ঠিক আছে খুলে দিচ্ছি। 

তখন সামিয়া হাতের বাঁধন খুলে দিলো পায়ের বাঁধন খুলে দিলো। 

খুলা মাত্র নিরব দাড়িয়ে সামিয়া কে ঠাসস ঠাসস করে চারটা চর মারলো সামিয়া তো নিরবের এমন ব্যাবহার দেখে অবাক তখন সামিয়া গালে হাতে দিয়ে বললো। 

সামিয়াঃ তুমি আমাকে মারলে কেন। 

নিরবঃ তাহলে কি করবো আদর করবো। 

সামিয়াঃ হুম তাই তো বললে। 

নিরব রাগী গলায়ঃ তুমি ভাবলে কি করে আমি এমন করবো ছি তুমি কেমন মেয়ে মানুষ ছি। 

সামিয়াঃ আমিতো অনেক ভালবাসি তোমাকে আর তুমি ও তো ভালবাসো তাহলে সমস্যা কোথায়। 

নিরবঃ তুমি কি ভাবছো আমি তোমাকে ভালবাসি মোটেও না আগে ভালবাসতাম কিন্তু তোমার এইরকম বখাটে গিরি দেখে তোমার থেকে ভালবাসা উঠে গেছে তোমাকে বিয়ে করা তো দূরের কথা আমার বাসায় যেতেও দিবে না আম্মু আব্বু যে মেয়ে রাস্তায় গুন্ডামী করে প্যান্ড শার্ট পড়ে যে মেয়ে মানুষকে সম্মান করতে যানে না বাবা মা কে সম্মান করতে যানে না তাদের কথা শুনে না পর্দা করে না সে মেয়ে আমার বউ হওয়ার যগ্য না এমন মেয়ের ভালবাসা আমার দরকার নেই । 

সামিয়া চুপ করে রইলো কথা গুলো শুনে তখন নিরব আবার বললো। 

নিরবঃ তোমার বাবা তোমার জন্য শান্তিতে বাহিরে ঘুরাঘুরি হাটতে পারে না কারন তার মেয়ে সামিয়া যে খুব ভালো যেখানে যায় নানান কথা শুনে আসে অপমান হয়ে আসে বুঝো এইগুলা একজন বাবার কতটা কষ্ট হয় তোমার বাবা খুব ভালো মানুষ কিন্তু তার মেয়ে সামিয়া এক নাম্বারে বখাটে একজন বাবার সব থেকে কষ্ট হয় তখন যখন তার ছেলে মেয়েদের নিয়ে অপমান করে তার ছেলে মেয়েকে এতো কষ্ট করে বড় করে যদি সম্মান এর চেয়ে বেশি অপমান হয় সমাজের মানুষ এর কাছে তাহলে কাউকে মুখ দেখাতে থাকে না আর আমি কিনা এমন মেয়ে কে ভালবাসতে যাবো ছি আজ বিয়ে করলে দুইদিন পর সমাজের মানুষ আমাদের নিয়ে নানান কথা বলবে। 

এটা বলে নিরব একটু থামলো সামিয়া চুপ করে কান্না করতে লাগলো হয়তো তার ভুল বুঝতে পারছে তাই তখন নিরব বললো। 

নিরবঃ তোমার ছোট্ট বোন কে দেখো কেমন তার কাছে গিয়ে শিখো ছোট্ট বোনটা এতো ভালো আর বড় বোন এটম বোম । এই শেষ বারের মতো বলছি যদি তুমি ভালো হতে পারো সবাই কে সম্মান করতে যানো বাবা মায়ের কথা শুনো নিজেকে পরিবর্তন করতে পারো পর্দায় রাখতে পারো তাহলে সেদিন আমার সামনে আসবে নয়তো আসবে না এই বলে দিলাম তার আগে আমার বাড়িতে ও যাবে না ফোন দেওয়ার চেষ্টা ও করবে না বায় ভালো থাকবে। 

এইবলে নিরব চলে আসলো রুম থেকে সামিয়া তখনো দাড়িয়ে দাড়িয়ে কাঁদছে নিরব বাহিরে এসে বলতে লাগলো। 

নিরবঃ দিছি এইবার কজ হবে ভালো হবে না মানে। 

তারপর নিরব সেখান থেকে সোজা বাসায় চলে আসলো বাসায় আসার পর নিরবের আম্মু জিজ্ঞেস করলো। 

নিরবের আম্মুঃ কিরে তুই সকাল সকাল কই গেলি। 

নিরবঃ এইতো একটু হাটতে। 

নিরবের আম্মুঃ আচ্ছা ঘরে যা তর। 

তখন নিরব তার রুমে এসে দেখে নুপুর শুয়ে আছে তখন নিরব গিয়ে ধাক্কা দিয়ে বললো। 

নিরবঃ কিরে পেত্নী তুই আমার ঘরে কি করিস। 

ঝুমুরঃ আমার রুমে শুয়ে থাকলে খালি ডাকে আম্মু ঝাড়ু দিয়ে মারে তাই এই রুমে চলে আসছি এখন আর ডাকতে পারবে না বুঝবে উঠে গেছি । 

নিরবঃ তাই নাকি এতো বুদ্ধি। 

ঝুমুরঃ হুম। 

নিরবঃ চল উঠ তারাতাড়ি গিয়ে রেডি হয়ে আয় ইস্কুলে যাবি না। 

ঝুমুরঃ হুম যাবো। 

নিরবঃ তারাতাড়ি যা । 

তারপর ঝুমুর উঠে চলে গেলো তখন নিরব ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলো কলেজ যাওয়ার জন্য কিছুখন পর খাওয়ার জন্য ডাকলো সবাই এক সাথে খেয়ে নিরবের আব্বু নিরব তার বোন এক সাথে বের হলো ঝুমুর কে ইস্কুলে দিয়ে নিরবের আব্বু অফিস চলে গেলো আর নিরব কলেজ চলে গেলো। 

কলেজ গিয়ে সব ক্লাস শেষ করে ঝুমুর কে নিয়ে বাসায় ফিরলো নিরব বাসায় আসার পর নিরব রুমে যেতেই তার ফোন বেজে উঠলো তাকিয়ে দেখে নুপুর তখন নিরব ফোন রিসিভ করতেই বলে উঠলো। 

নুপুরঃ কেমন আছেন। 

নিরবঃ ভালো তুমি 

নুপুরঃ ভালো আছি সামিয়া দেখি আজকের মধ্যে নিজেকে পাল্টে ফেলছে। 

নিরবঃ কি রকম বুঝলাম না। 

নুপুরঃ আমি আব্বু আম্মু আসছি মামাতো বোন এর বিয়েতে সামিয়া আমাদের সাথে আসে নাই আমরা আসছি ১১ টায় সকাল সামিয়া আসছে কিছুখন আগে কিন্তু আমরা তাকে দেখে বিশ্বাস করতেই পারছি না এটা সামিয়া সামিয়া আজ বোরকা পড়ে আসছে লং থ্রিপিস পড়ছে। 

নিরব অবাক হয়ে বললো। 

নিরবঃ কিহহহহ। 

নুপুরঃ হুম সত্যি অনেক সুন্দর লাগছে এখন আগের চেয়ে কিছু বলছেন নাকি। 

নিরবঃ হুম অনেক কিছু বলছি আরো পরিবর্তন হবে দেখো এখন নতুন সামিয়া কে দেখবে। 

নুপুরঃ তাহলে তো ভালোই হবে 

নিরবঃ আচ্ছা আমি মাত্র বাসায় আসছি কলেজ থেকে পরে আবার কথা হবে। 

নুপুরঃ ঠিক আছে। 

এইবলে নিরব ফোন কেটে দিলো তারপর ফ্রেশ হয়ে গিয়ে খাবার খেয়ে নিলো। 

এইভাবে কেটে গেলো তিন মাস 

এখন আর সামিয়া রাস্তায় গুন্ডামী করে না সবাই কে সম্মান করে বাবা মায়ের কথা শুনে সারাদিন বাসায় থাকে অন্য কলেজে ভর্তি হয়েছে সামিয়া নিজেকে পর্দায় রাখে ৷ 

 নিরবের এখন কলেজে অনেক বন্ধু বান্ধবী হয়েছে একদিন নিরব কলেজ মাঠে বসে আছে তখনি নিরব এর এক বান্ধবী রিয়া এসে বললো।

রিয়াঃ এদিকে আয় তো তুই একটু কথা আছে । 

নিরবঃ কে আমি। 

রিয়াঃ হুম যলদি আয়। 

তখন নিরবের কলেজ বন্ধু আরফাত বলে উঠলো। 

আরফাতঃ কি এমন কথা রে রিয়া এখানে বল। 

রিয়াঃ সবার সামনে বলা যাবে না। 

আরফাতঃ তাই নাকি। প্রপোজ করবি নাকি। 

রিয়াঃ দূর তর আজাইরা কথা রাখ তুই আয় তো। 

এইবলে নিরব কে টেনে নিয়ে একটু দূরে গেলো রিয়া তখন নিরব বললো। 

নিরবঃ বল কি হয়েছে। 

রিয়াঃ শুন না আমার বয়ফ্রেন্ড বলছে একটু পার্কে যেতে এখন গিফট দিবে চল না একটু তুই আমার সাথে গিয়ে নিয়ে আসি। 

নিরবঃ কোন পার্কে। 

রিয়াঃ এইতো মোড়ের পর যে পার্ক 

নিরবঃ পাগল নাকি এখন যাবো কি করে কিছু খন পর তৃতীয় ক্লাস শুরু হবে তা ছাড়া তোদের মাঝে আমি গিয়ে কি করবো। 

রিয়াঃ গেলে কিছু হবে না। 

নিরবঃ আমি গেলে সন্দেহ করবে তর বয়ফ্রেন্ড। 

রিয়াঃ তুই একটু দূরে থাকবি তাহলে হবে। 

নিরবঃ ঠিক আছে কিন্তু আমায় আইসক্রিম কিনে দিতে হবে । 

রিয়াঃ ঠিক আছে চল এখন তাহলে। 

নিরবঃ দাড়া এক মিনিট বিদায় নিয়ে আসি। 

রিয়াঃ যলদি আয় দাড়িয়ে আছে। 

তারপর নিরব গিয়ে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসলো তারপর রিয়া আর নিরব কলেজ থেকে চলে আসলো রাস্তায় এসে একটি রিকশা নিলো তখন নিরব বললো। 

নিরবঃ এক রিকশা দিয়ে যেতে হবে। 

রিয়াঃ চল তো কিছু হবে না আমরা বন্ধু। 

তখন নিরব রিকশার মাজে উঠে গেলো সাথে রিয়া। 

পার্কে যেতে ২০ মিনিট লাগলো সেখানে গিয়ে রিয়া ভাড়া দিয়ে নিরব এর হাত ধরে তারাতাড়ি টেনে নিয়ে যেতে লাগলো তখন নিরব বললো। 

নিরবঃ আরে কি করছিস দাড়া। 

রিয়াঃ যলদি চল অনেক গুলো কল৷ দিয়ে ফেলছে।

তখন নিরব দেখলো সামিয়া এই পার্কে আসছে গেইট এর সামনে দাড়িয়ে আছে। 

নিরব এটা দেখে ভয়ে কাঁপা-কাঁপি শুরু করে দিছে সামিয়া নিরব কে অন্য মেয়ে হাত ধরতে দেখে রাগে কটমট করতে লাগলো সামিয়ার হাতে ফোন ছিলো সেটা একটা আছাড় মেরে চলে গেলো এদিকে রিয়া টেনে পার্কের ভেতরে নিয়ে গেলো সেখানে একটা দোকান আছে দোকানে বসিয়ে নিরব কে বললো । 

রিয়াঃ তুই এইখানে বসে থাক আমি আসছি চিন্তা করিস না আমি খুব তারাতাড়ি আসবো এই নে ১০০ টাকা যা খুশি খা। 

নিরব টাকা নিয়ে মনে মনে বলতে লাগলো। 

নিরবঃ আজ খবর আছে আমার একশো বছরের হিসাব নিবে। 

রিয়া চলে গেলো আর নিরব মনের দুঃখে আইসক্রিম নিয়ে খেতে লাগলো আর বলতে লাগলো। 

নিরবঃ আজ কি হয় কে যানে আল্লাহ যানে। 

নিরব বসে বসে আইসক্রিম খাচ্ছে আর আসে পাশে তাকিয়ে দেখছে কিছুখন পর খাওয়া শেষ হলো কিন্তু রিয়া আসছে না ৩০ মিনিট হয়ে গেছে তবুও আসছে না তখন নিরব রিয়া কে কল দিলো। 

কল দেওয়া মাত্র ফোন রিসিভ করলো রিয়া তখন নিরব বললো। 

নিরবঃ কিরে কই তুই। 

রিয়াঃ আমি তো রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম সরি রে তুই একটু কষ্ট করে চলে যা। 

নিরবঃ এটা কোনো কথা। 

তখনি কেউ পিছন থেকে বলে উঠলো। 

_ কথা এটাই আজ যা বলবো তাই হবে গার্ড তুলে নিয়ে চলো একে । শয়তান কুত্তা বান্দর বিলাই তুই আমায় রেখে অন্য মেয়ে নিয়ে ঘুরিস চল তুই আজ। 

এটা আর কেউ না সামিয়া নিরব তো দেখে ভয়ে শেষ কারণ প্রচন্ড রেগে আছে তখন নিরব কে গার্ড তুলে নিয়ে যেতে লাগলো তখন নিরব বললো। 

নিরবঃ বিশ্বাস করো তুমি যা দেখছো ভুল ভাবছো ও আমার বন্ধু। 

সামিয়াঃ তা দেখা যাবে ভালো হয়ে গেছি তো কি হয়েছে নিজের ইস্টাই তো ভুলি নাই। 

তখন নিরব কে ধরে নিয়ে সোজা সামিয়ার বাসায় নিয়ে গেলো তার রুমে তখন সামিয়া তার আম্মু কে বললো। 

সামিয়াঃ আম্মু কাজি ডাকো তাদের বলো আসতে এইখানে বিয়ে আজকে করবো। 

সামিয়ার আম্মুঃ তর আব্বু গিয়েছে নিরবের আম্মু আব্বু কে আনতে তর বোন গিয়েছে কাজি আনতে। 

নিরব এটা শুনে অবাক তখন নিরব বললো। 

নিরবঃ কিহহহহ না আমি বিয়ে এখন করবো না। 

সামিয়াঃ আম্মু কতখন সময় লাগবে সবার আসতে। 

সামিয়ার আম্মুঃ এক ঘন্টা লাগবে। 

সামিয়াঃ তুমি একটু অন্য রুমে যাও এর সাথে হিসেব আছে আমার। 

সামিয়ার আম্মুঃ ঠিক আছে। 

এইবলে সামিয়ার আম্মু চলে গেলো তখন সামিয়া গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো তখন নিরব বললো। 

নিরবঃ দরজা বন্ধ করে দিলে কেন। 

তখন সামিয়া হাতে একটা চাকু নিলো তখন নিরব বললো। 

নিরবঃ কি ব্যাপার চাকু দিয়ে কি করবে। 

সামিয়াঃ কথা বললে এখনি মেরে ফেলবো। 

এইবলে আসতে আসতে এগিয়ে আসতে লাগলো তখন নিরব আবার বললো। 

নিরবঃ এমন করে আসছো কেন। 

সামিয়াঃ সেদিন তো কিছু করতে পারলাম না আজ রেপ ধর্ষণ সবি করবো। 

নিরবঃ কিহহহহহ 

সামিয়াঃ হুম 

নিরবঃ নাহ এটা হতে পারে না আমি রেপ হমু না। 

সামিয়াঃ আমি করবো। 

নিরবঃ তুমি মেয়ে হয়ে ছেলে কে রেপ করবে আমায় আমি হমু না। 

সামিয়াঃ আমি করমু আমি আমার বর কে করছি। 

নিরবঃ সে যাই হোক আমি হতে দিমু না। 

সামিয়াঃ আমি করমু। 

এইবলে সামিয়া নিরব এর উপর ঝাপিয়ে পরলো। 

নিরবঃ বাঁচাও,,,,,।

নিরব বলার আগেই কথা বন্ধ করে দিলো । 

এখনো বসে আছেন কেন চলুন আমরা কেটে পড়ি এইগুলা দেখা ভালো না। 

আমরা সাক্ষী হিসেবে মামলা করি গিয়ে চলুন এটা অন্যায় রেপ করা 😜 😁😁😁 

আর হলেও দোষ কি নিজের বউ তো। 😁😁😁

বানান গুলো ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। 

কেমন হয়েছে গল্পটা তা অবশ্যই কমেন্ট করে বলে দিবেন।

সময়ের জন্য লিখতে পারছি না গল্প আসলে আমি জব করছি এখন আমি তাই লিখার সময় পাই না সারাদিন কাজ করে রাতি ফিরি বাসায় তাই লিখার সময় পাই না 

গল্পটা আরো বড় করতাম কিন্তু তারাতাড়ি শেষ করে দিতে হলো কারন ইউটিউবের গল্প লিখার বাকি আছে সে গুলো লিখলে এটা লিখার সময় পেতাম না তাই এটা লিখে শেষ করলাম।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post