গল্পঃ ভদ্র ছেলে vs রোমান্টিক বখাটে মেয়ে
পর্বঃ ৯
লেখকঃ Nirob Ahmed Kowcer
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
নিরবঃ দূর যান তো আপনি এইখান থেকে।
এইবলে নিরব চলে আসবে তখন নুপুর গিয়ে নিরবের হাতে ধরলো।
তখন নিরব কিছু বলতে যাবে হঠাৎ তখন দেখলো সামিয়ার গাড়ি কিছুটা সামনে আর দেখলো গাড়ি থেকে সামিয়া বের হয়ে আসছে রাগি চোখে তাকিয়ে রেগে এটম বোম হয়ে এদিকে আসছে ।
তখন নিরব বললো।
নিরবঃ এইরে কাম সারছে আজ আমি শেষ আপনার বোন দেখে ফেলছে যলদি যান নয়তো আপনার তেরোটা বাজাবে সাথে আমার।
নুপুরঃ আসুক তাতে আমার কি আমি ভয় পাই নাকি।
নিরবঃ আল্লাহ দড়ি ফালাও আইয়া পড়ি আর থাকুম না এদের জন্য আমায় মরতে হবে ।
নুপুরঃ না গো তোমার কিছু হবে না আমি আছি তো।
নিরবঃ প্লিজ আপনি যান নয়তো দুজন কে আজ মেরে হাসপাতাল পাঠাবে।
নুপুরঃ যাবো কিন্তু তার আগে আমার শর্ত আছে সে গুলো মানতে হবে ।
নিরবঃ আপনি যান তো এখন পরে দেখা হলে শর্ত দিবেন আমি রাজি এখন যান।
নুপুরঃ নাহ যামু না যে আসার আসুক তাতে আমার কি। আমার শর্ত মানতে হবে শুনে।
তখনি সামিয়া দৌড়ে এসে নুপুর কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ঠাসস করে একটা চর দিলো নিরব কে আর কলার চেপে রাগি গলায় বললো।
সামিয়া রাগি গলায়ঃ আমি তকে বলছিলাম না কোনো মেয়ের দিকে তাকাবি না কোন সাহসে তুই অন্য মেয়ের দিকে তাকিয়েছিস। তর হাত কেন ধরে রাখছে।
কথা গুলো সামিয়া রেগে চিল্লাতে চিল্লাতে বললো নিরব কে।
।
নিরব সামিয়ার এমন রাগী চেহারা দেখে ভয় পেয়ে গেছে ভয়ে চুপচাপ হয়ে দাড়িয়ে আছে তখন সামিয়া নুপুর এর কাছে গিয়ে এক হাত ধরে মুচড়ে পিছনে ধরে বললো।
সামিয়াঃ কে তুই তর এতো সাহস হলো কি করে আমার জিনিস এর দিকে চোখ তুলে তাকাতে টাচ করার সাহস কই পেলি।
নুপুর ব্যাথায় ছটফট করতে লাগলো তখন নিরব বললো।
নিরবঃ প্লিজ একে ছেড়ে দাও এ আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।
সামিয়া রাগী গলায়ঃ রাখ তর বেস্ট ফ্রেন্ড তর ফুফাতো মামাতো চাচাতো খালাতো কোনো বোন ও তকে টাচ করতে পারবে না আর কোথা থেকে আসছে বেস্ট ফ্রেন্ড তুই আমার জান তকে আমি ছাড়া টাচ করার কারো অধিকার নেই।
নিরব মনে মনেঃ কি ডেঞ্জারাস মেয়ে আল্লাহ এই মেয়ে কে বিয়ে করলে জেলে যেতে হবে না জেল বাসায় থাকবে আমার জন্য।
তখন সামিয়া নুপুর কে বললো।
সামিয়াঃ তুই কেন হাত ধরবি কেন তুই তাকাবি তকে আমি আজ দেখাচ্ছি মজা।
এইবলে সামিয়া নুপুর কে ছেড়ে দৌড়ে গাড়ির দিকে যেতে লাগলো তখন নিরব বললো।
নিরবঃ নুপুর যলদি পালাও পরে যা বলবে তাই হবে এখন যাও।
নুপুরঃ ঠিক আছে আমার বোন এতোটা ডেঞ্জারাস আগে যানা ছিলো না ।
এই বলে নুপুর দৌড়ে চলে গেলো সামিয়া গাড়ি থেকে গিয়ে একটা হকিস্টিক নিয়ে আসলো এসে দেখলো নুপুর নেই তখন নিরব এর কাছে গিয়ে কলার চেপে ধরে বললো।
সামিয়াঃ যেই আমি গেলাম হকিস্টিক আনতে মেয়েটাকে বাগিয়ে দিলি খুব চালাক হয়ে গেছিস তাই না।
এইবলে নিরব কে একটা বারি দিলো তখন নিরব বললো।
নিরবঃ আরে আমি বাগিয়ে দেই নাই তোমার ভয়ে চলে গেলো তুমি তো ছাড়িয়ে দিলে।
সামিয়াঃ শুন তুই যদি কোনো মেয়ের সঙ্গে কথা বলিস তাহলে তকে মেরে তক্তা বানিয়ে দিবো আমি ছাড়া অন্য কারো নাম নিলে খবর আছে তর মনের দেয়ালে লিখে রাখ সামিয়া। আর আগামীকাল থেকে যতগুলি মেয়ে বেস্ট ফ্রেন্ড আছে সব গুলো কে বলবি কথা না বলতে বিয়ের পর চিন্তা করবো কথা বলা যাবে কি না।
নিরবঃ এটা কেমন কথা তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড আছে আমারও তো আছে তাতে কি হয়েছে।
সামিয়াঃ বেশি কথা বলবি না যা বললাম তাই করবি।
নিরব চুপ করে রইলো তখন সামিয়া বললো।
সামিয়াঃ চল আমার সাথে।
নিরবঃ কই যাবো আমার কাজ আছে।
সামিয়াঃ ওই মেয়ে তর শার্টের মাঝে ধরছে অপবিত্র হয়ে গেছে এই শার্ট ফেলে নতুন পড়াতে হবে আর হাত ধুয়ে দিতে হবে।
নিরবঃ কিহহহহহহহহহহ।
সামিয়াঃ হ্যা চল
নিরবঃ নাহ আমি যাবো না আব্বুর অফিসে যেতে হবে ফাইল দিতে।
সামিয়াঃ ফাইলটা কই দে।
নিরবঃ কেন কি করবে
সামিয়াঃ দিতে বলছি দে এতো কথা বলিস কেন।
তখন নিরব ফাইল দিয়ে দিলো আর সামিয়া ফাইল নিয়ে তার ড্রাইভার কি দিয়ে একটা রিকশা দিয়ে পাঠিয়ে দিলো।
তারপর নিরব কে বললো।
সামিয়াঃ এখন মাথা ঠান্ডা হয়েছে চলো।
এইবলে নিরব কে নিয়ে গাড়িতে তুলে মার্কেটে নিয়ে গিয়ে একটা শার্ট কিনে দিলো তারপর কিনে বাহিরে এসে গাড়ি দিয়ে একটা চায়ের দোকানে নিয়ে এসে এক মগ পানি নিয়ে নিরব এর ওই শার্ট খুলে ফেলে দিলো তারপর পানি দিয়ে পুরো হাত ধুয়ে দিলো আর বললো।
সামিয়াঃ এইবার শার্ট পড়ো।
নিরব চুপ করে রইলো কারণ কিছু বললেও শুনবে না চুপচাপ শার্ট পড়ে মনে মনে বলতে লাগলো।
নিরব মনে মনেঃ কি পাগল মাইয়ারে বাবা সামান্য হাত ধরার জন্য শার্ট খুলে ফেলে দিলো আমার পানি দিয়ে ধুয়ে দিলো হাত বাবাহহ এর সাথে সাথে বিয়ে হলে জীবন তো আর জীবন থাকবে না তেজপাতা হয়ে যাবে।
তখন সামিয়া একটু সাইটে নিয়ে এসে হাতে ধরে কয়েটা কিস করলো হাতে নিরব কে আর বললো।
সামিয়াঃ এইবার শান্তি আহা এখন আর কিছু করবো না যা করার রাতে গিয়ে করবো।
নিরবঃ রাতে কোথায় যাবে।
সামিয়াঃ তোমার বাসায় তোমার রুমে কেন মনে নেই দরজা না খুললে কিন্তু মেরে ফেলবো।
নিরবঃ এতো রাতে আমার রুমে কি করবে দরকার নেই মানুষ খারাপ ভাববে।
সামিয়াঃ যে যাই ভাবুক তাতে আমার আসে না যাও না চুপ কোনো কথা বলবে না তাহলে কিন্তু এখন।
নিরবঃ ঠিক আছে কিছু বলবো না।
তারপর সামিয়া চায়ের দোকানে বসে কাউকে ফোন দিয়ে আসতে বললো তারাতাড়ি ৫ মিনিট পর একজন ছেলে আর মেয়ে আসলো তখন সামিয়া মেয়েটাকে বললো।
সামিয়াঃ তরা আসছিস
দুজনেইঃ হুম আসছি।
সামিয়াঃ শুন লিপি { ওই মেয়েটির নাম } আমি তো কলেজ যাই না বেশি কিন্তু এখন থেকে যাবো নিয়মিত কিন্তু তিন চার দিন লেট হবে কারণ আমার মামাতো বোন এর বিয়ে সেখানে যেতে হবে এই দেখ [ নিরব কে দেখিয়ে } এটা হচ্ছে আমার জান হবু বর।
তখন মেয়েটি আর ছেলেটি নিরব কে সালাম দিলো নিরব উওর দিলো ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করলো দুজনেই উত্তর দিলো নিরবও জিজ্ঞেস করলো উত্তর দিলো তারপর সামিয়া আবার বললো।
সামিয়াঃ শুন তুই দেখে রাখবি তিন দিন কলেজে যেন কোনো মেয়ে কাছে না আসে কোনো মেয়ের দিকে যেন না তাকায় কথা বলে সবাই কে বলে দিবি।
লিপিঃ ঠিক আছে।
সামিয়াঃ আর জিহাদ { ছেলেটির নাম } তর কাজ এই তিনদিন দেখবি কোনো সিগারেট যাতে না খায় সব দোকানে বলি দিবি একে যেন সিগারেট না দেয় আর বাহিরে বেশি আড্ডা না দেয় মেয়েদের সাথে কথা না বলে।
জিহাদঃ ঠিক আছে।
সামিয়াঃ এখন যেতে পারিস।
দুজনেইঃ ঠিক আছে।
তখন দুজনেই চলে গেলো আর নিরব তো এইগুলা শুনে বেআক্কল হয়ে গেছে সে হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারছে না তার উপর জোর করা হচ্ছে সব কিছু তখন সামিয়া বললো।
সামিয়াঃ চলো এখন বাসায় যাও আমি রাতে আসবো কোনো চিন্তা করো আজ রোমাঞ্চ হবে।
নিরব মনে মনেঃ এমপির মাইয়া বলে কিছু করতে পারছি না যেমন রাগি তেমন বখাটে বাশ দিয়ে বলে কিছু না আহো খালি রাতে তখন দেখাবো মঝা সব উসুল করে নিবো তখন দৌড়ে চলে যাবে আর আসবে না বিয়ে তো দূরের কথা প্রেম করতেও আসবে না ।
বানান গুলো ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
কেমন হয়েছে গল্পটা তা অবশ্যই কমেন্ট করে বলে দিবেন।
চলবে..........