গল্পঃ ভদ্র ছেলে vs রোমান্টিক বখাটে মেয়ে
পর্বঃ ৬
লেখকঃ Nirob Ahmed Kowcer
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
রেহেনা বেগমঃ ছোট্ট বোন এর কাছে কিছু শিখিস ও কি পড়ে আর তুই কি পড়িস এই রকম আজে বাজে ড্রেস না পড়ে রাস্তায় গুন্ডামী না করে বাসায় বসে থাকতে পারিস না মেয়ে মানুষ কি রাস্তায় ঘুরে এই রকম ড্রেস পরে ।
সামিয়াঃ কেউ না পড়ুক আমি পড়বো কেউ না ঘুরুক আমি ঘুরবো এখন যাও তো ।
রেহেনা বেগমঃ দূর তকে বলা যেই কথা না বলা একি কথা।
সামিয়াঃ হুম এইতো বুঝতে পারছো।
তখন রেহেনা বেগম তার মেয়ের রুম থেকে বের হয়ে একা একা বলতে লাগলো।
রেহেনা বেগমঃ মেয়েটা কে মানুষ এর মতো মানুষ করতে পারলাম না ছোট্ট থাকতে বাঁধা দেই নি এখন আর দিলে কি হবে দোষ তো আমাদেরই বেশি আদরে শাসন না করায় এমন হয়ে গেছে ।
তখনি নুপুর এসে বললো।
নুপুরঃ কাকে আম্মু মানুষ এর মতো মানুষ করতে পারলা না।
রেহেনা বেগমঃ কাকে আবার তর বড় বোন কে দেখিস না ছেলেদের মতো চলাচল করে রাস্তায় গুন্ডামী করে কথা শুনে না ।
নুপুরঃ ওহ চিন্তা করো না একদিন না একদিন ঠিক হয়ে যাবে ।
রেহেনা বেগমঃ কবে ঠিক হবে কে যানে বললেও তো কথা শুনে না এখন আর । আচ্ছা আমি রুমে গেলাম দেখি তর আব্বু কি করে ।
এইবলে চলে গেলো তখনি সামিয়া বের হলো রুম থেকে তখন নুপুর বললো।
নুপুরঃ কোথায় যা-ও আবার।
সামিয়াঃ একটু কাজ আছে মার্কেট যেতে হবে।
নুপুরঃ কেন এই মাত্র না আসলে।
সামিয়াঃ তো কি হয়েছে কোথাও লেখা আছে নাকি একবার গেলে দৃতীয় বার যেতে নেই ।
নুপুরঃ নাহ আসলে তা না আচ্ছা যাও।
তখন সামিয়া আর কিছু না বলে তারাতাড়ি বের হয়ে গেলোগাড়ি নিয়ে ।
।
এইদিকে নিরব রিকশা নিয়ে সোজা তাদের বাসার সামনে এসে গেলো তখন রিকশা থেকে নেমে রিকশা চালক কে বললো।
।
নিরবঃ এটাই কি এমপি আসিফ ইকবাল এর বাড়ি।
রিকশা চালকঃ হুম এইটাই বাড়ি।
তখন নিরব রিকশা ভাড়া দিয়ে দিলো।
আর রিকশা চালক চলে গেলো সেখান থেকে। তখন নিরব বাহির থেকে একটু বাড়ির দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো ।
নিরবঃ বাহহ বাড়ি তো খুবি সুন্দর অনেক বড় বাড়ি দেখা যাচ্ছে আর হবেই না কেন সরকারি টাকা আছে এমপি যেহেতু এমন বাড়ি তাদের কাছে কি আর।
এই বলে নিরব মুচকি হেসে তখন গেইট এর কাছে গেলো গিয়ে ভিতরে ডুকতে যাবে তখনি দারোয়ান এসে বললো।
দারোয়ানঃ এই দাড়ান কি চাই এইখানেই ভিতরে আসছেন কেন।
তখন নিরব বললো।
নিরবঃ আসলে আমি এমপি আসিফ ইকবাল এর সাথে দেখা করতে আসছি।
দারোয়ানঃ ও আচ্ছা ঠিক আছে ভিতরে আসুন স্যার ঘরে আছে ।
তখন নিরব ভিতরে গিয়ে একটু সামনে গিয়ে দাড়িয়ে আসে পাশে তাকিয়ে দেখতে লাগলো বাড়িটা অনেক বড় আর সাজানো খুব সুন্দর করে ।
।
বাড়িটার সামনে ঝরনার মতো পানি ঝড়ছে একটি মাছের মুখ দিয়ে।
।
সাথে এক সিরিয়ালে ৩ টি গাড়ি রাখা দামি গাড়ি।
।
আরেক পাশে অনেক রকম ফুল গাছ অনেক গুলো।
।
তখনি নিরব দেখলো ফুল গাছে একজন মেয়ে পানি দিচ্ছে কিন্তু নিরব সেই দিকে তেমন আর লক্ষ্য না করে দেখতে লাগলো বাড়িটা ।
।
তখন মেয়েটি হঠাত দেখতে পেলো কেউ একজন দাড়িয়ে আছে মেয়েটি হচ্ছে নুপুর। সে ফুল গাছে পানি দিচ্ছিলো। তখন নুপুর মনে মনে বলতে লাগলো।
।
নুপুরঃ এটা আবার কই থেকে আসলো যাই হোক দেখতে তো ভালোই কিউট আছে দেখিতো গিয়ে কে।
।
তখন নুপুর নিরব এর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।
আর গিয়ে সালাম দিলো প্রথম তখন নিরব সালাম এর উত্তর দিলো সাথে সাথে।
।
তখন নুপুর নিরব এর মাথা থেকে পা অব্দি ভালো করে তাকিয়ে দেখতে লাগলো তারপর সামনে পিছনে ঘুরে দেখতে লাগলো । নিরব এমন করতে দেখে কিছুটা অবাক হলো তখন নুপুর দেখে সামনে এসে বললো।
।
নুপুরঃ নাহ ঠিকি আছে সব কিছু ।
দেখতেও মাশাআল্লাহ চলবে সমস্যা নেই,,,,,।
নিরব কিছুটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো।
নিরবঃ ঠিক বুঝতে পারলাম না আপনার কথা কি ঠিকি আছে ।
নুপুরঃ সেটা বুঝতে হবে না। আমি বুঝতে পারছি আপনার না বুজলে ও চলবে ।
নিরবঃ আ,,,,,,,,।
নিরবের কথা থামিয়ে দিয়ে বললো।
নুপুরঃ যাই হোক নাম কি আপনার ।
নিরবঃ আমার নাম নিরব আহমেদ।
নুপুরঃ খুবি সুন্দর নাম ৷ বাড়িতে কে কে আছে আর কি করা হচ্ছে এখন পড়াশোনা নাকি জব।
তখন নিরব কিছুটা অবাক হয়ে গেছে এইগুলা জিজ্ঞেস করলো বলে তখন নুপুর আবার বললো।
নুপুরঃ কি হলো বলুন।
নিরবঃ বাড়িতে আমি আম্মু বোন আর আব্বু চারজন আমরা আর আমি পড়াশোনা করি।
নুপুরঃ কিসে পড়েন ।
নিরবঃ ইন্টারে উঠছি মাত্র।
নুপুরঃ সমস্যা নেই এক দেড় বছরের বড় চালিয়ে নিবো।
নিরবঃ কি চালিয়ে নিবেন আর আপনি কে কিসের জন্য এতো পরিচয় নিচ্ছেন ।
নুপুরঃ সেটা পরে বলছি তর আগে বলুন এইখানে কেন আসছেন।
নিরবঃ আমি আসছি এমপি আসিফ ইকবাল এর সাথে কথা বলতে।
নুপুরঃ কি কথা।
নিরবঃ সেটা আমি আপনাকে বলবো কেন আপনি কে।
নুপুরঃ আমি তার ছোট্ট মেয়ে নুপুর।
নিরব অবাক হয়ে বললো।
নিরবঃ ওহ তাহলে আপনি তার ছোট মেয়ে।
নুপুরঃ হুম এখন বলুন । আর গালফ্রেন্ড আছে আপনার।
নিরবঃ নাহ গালফ্রেন্ড নেই তবে একজন পিছনে লাগছে ঝালাচ্ছে অনেক ।
নুপুরঃ কিহহহ,কে, সে, নাম কি কোথায় থাকে বলুন ।
নিরব অবাক হয়ে গেছে তার ব্যাবহার দেখে। এইগুলা শুনে নুপুর এর তার চোখে মুখে রাগ দেখতে পেলো নিরব তখন বললো।
নিরবঃ এই বাড়িতে থাকে আপনার বড় বোন সামিয়া।
নুপুরঃ কিহহহহ আপু।
নিরবঃ হুম।
নুপুরঃ তুমি কি পছন্দ করো আপু কে।
নিরব তুমি ডাক শুনে কিছুটা অবাক হলো আরো তখন বললো।
নিরবঃ নাহ এই জন্য বলতে আসছি তার আব্বুর কাছে যাতে আমায় ডিসটার্ব না করে।
নুপুরঃ যাক ভালোই হয়েছে আমার রাস্তা পরিষ্কার শুনো আমি তোমার সাথে রিলেশন করতে চাই তোমার সব কিছু পছন্দ হয়েছে।
নিরব এটা শুনে অবাক হয়ে গেছে আর বললো।
নিরবঃ কিহহহহ সব কিছু মানে ।
নুপুরঃ নাহ কিছু না মানে তোমাকে ভাল্লাগছে।
নিরবঃ তুমি যানো তুমি আমার ছোট্ট।
নুপুরঃ বিয়ে হলে বাচ্চা কাচ্চা দুই চারটা হলে বুঝা যাবে না।
নিরবঃ কিহহহ পাগল নাকি। আমি তোমাকে পছন্দ করি না।
নুপুরঃ কিন্তু আমি তো পছন্দ করি।
নিরবঃ কই আইসা পড়ছি আমি দূর যান তো।
নুপুরঃ শুনো সামিয়া আপু কি আর করছে বেশি কিছু করে নাই তুমি সামিয়া আপু কে কতটা রাগী দেখছো আমি তার চেয়ে বেশি রাগি শুনো ছোট্ট বেলা থেকে আমার সব কিছু ভাগ নিয়ে নিয়ে গেছে আমার সব কিছু নিয়ে গেছে কিছু বলি নাই এইবার আমি তোমাকে নিবো এই জিনিস আর দিবো না।
নিরব কি বলবে বুঝতে পারছে না তখন নুপুর বললো।
নুপুরঃ তোমার তো গালফ্রেন্ড নাই আর আপু কে তো পছন্দ করো না তাহলে আমার সাথে করো।
নিরবঃ নাহ কারো সাথে করবো দুজনের নামে বিচার দিবো।
নুপুরঃ তাই নাকি আব্বু তো চলে গেলো এই-যে দেখো এখন কার কাছে বিচার দিবা।
তখন নিরব দেখলো সত্যি চলে যাচ্ছে একটা গাড়ি নিয়ে নিরব এর দিকে হয়তো তারা খেয়াল করে নি নিরব তখন যেই দৌড়ে যেতে যাবে তখনি নুপুর দুই হাতে ধরে রাখলো নিরব ছুটতে চেষ্টা করলো কিন্তু পারছে না তকন নিরব বললো।
নিরবঃ আরে ছাড়েন আমায়।
নুপুরঃ নাহ আগে বলো আমায় ভালবাসো।
নিরবঃ একটুও না সামিয়া আমায় মেরে কেটে ফেলবে।
নুপুরঃ ওই শয়তান কুত্তি কিছু করতে পারবে না আমি আছি।
নিরবঃ দূর ছাড়েন তো।
নুপুরঃ নাহহ ছাড়মু না বলো আগে।
তখনি নিরব দেখলো নুপুর এর আব্বু চলে গেছে গাড়ি নিয়ে তখন নুপুর ছেড়ে দিলো তখন নিরব বললো।
নিরবঃ আপনার জন্য বলতে পারলাম না দুই বোন আসলেই পাগল একটা দূর আর আসবোই না।
নুপুরঃ তুমি না আসলে আমি কিন্তু যাবো।
নিরবঃ তোমার বোন এটম বোম মেরে তোমাকে উড়িয়ে দিবো এই কথা শুনলে।
নুপুরঃ কিছু হবে না আমিও দেখবো কি করে শুনো আমি তোমাকে ভালবাসি।
নিরব আর কিছু না বলে চলে আসলো দারোয়ান এতখন দেখছিলো আর মিটমিট করে হাসছে তখন নিরব মনে মনে বললো।
নিরবঃ একটার ঝালাই বাঁচি না আরেকটা আসছে।
দুই বোন আসছে দূর,,,,,,,,,,।
{ আমি খুবি দুঃখিত গল্পটা দিতে লেট হলো।
আসলে আমি সমস্যার মাঝে ছিলাম সাথে ডিপ্রেশনে ছিলাম অনেক তাই গল্প লিখার মতো মন ছিলো না ডিপ্রেশন কি তা যে ভুগছে সে যানে কেমন ভয়ংকর না ভালো থাকা যায় না কিছু করা যায় আমি ছিলাম এখনো আছি হয়তো বুঝাতে পারবো না কি কিন্তু যারা ডিপ্রেশনে আছেন তার বুজেন একটু হলেও তাই গল্পটা দিতে লেট হলো আমি খুবি দুঃখিত ইনশাআল্লাহ এখন থেকে লেট হবে না গল্প লেখায় মন দিয়েছি }
বানান গুলো ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
কেমন হয়েছে গল্পটা তা অবশ্যই কমেন্ট করে বলে দিবেন।
চলবে,,,,,,,।