গল্পঃ ভদ্র ছেলে vs রোমান্টিক বখাটে মেয়ে পর্বঃ ৩

গল্পঃ ভদ্র ছেলে vs রোমান্টিক বখাটে মেয়ে 
পর্বঃ ৩
লেখকঃ Nirob Ahmed Kowcer 
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
। 
তখন নিরব সামনে তাকিয়ে দেখে সামিয়া আসছে তার দিকে তখন নিরব তার আব্বুর পিছনে লুকিয়ে পড়লো তারাতাড়ি । 

তখন নিরবের আব্বু এই দেখে বললো। 

নিরবের আব্বুঃ কিরে তুই আমার পিছনে চলে গেলি কেন এমন করে সামনে আয়। 

তখন নিরব বললো। 

নিরবঃ সমস্যা নেই তুমি আগে যাও আমি পিছনে আসছি। 

তখনি সামিয়া নিরবের আব্বুর সামনে এসে বললো। 
সামিয়াঃ আংকেল আসসালামু য়ালাইকুম। 

তখন নিরবের আব্বু দাড়িয়ে পড়লো আর উওর দিলো। 

নিরবের আব্বুঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম। 

সামিয়াঃ আংকেল একটা কথা জিজ্ঞেস করি। 

নিরবের আব্বুঃ হুম জিজ্ঞেস করো মামনি। 

সামিয়াঃ আপনার পিছনে যে ছেলেটা আছে আপনার কি হয়। 

নিরবের আব্বুঃ আমার ছেলে হয় কেন । 

তখন সামিয়া আসতে আসতে বললো। 

সামিয়াঃ জিনিসটা হেব্বি। একের মাল তাই । 

নিরবের আব্বুঃ কি বললে একটু জোরে বলো। 

তখন সামিয়া বললো 

সামিয়াঃ না না আংকেল কিছু না এমনি জিজ্ঞেস করলাম আসলে আপনার পিছনে লুকিয়ে আছে তো তাই। 

নিরবের আব্বুঃ আর বলো না এর কথা এটা শুধু বড় হয়েছে আর কিছু না হয়নি একদম ভিতু আর বোকা এখনো চালাক হতে পারেনি। 

তখন নিরব বিরক্তি কন্ঠে বললো। 

নিরবঃ আব্বু চলো তো লেট হয়ে যাচ্ছে। 

নিরবের আব্বুঃ আরে দাড়া একটু। 

তখনি সামিয়া বললো 

সামিয়াঃ আচ্ছা আংকেল কেমন আছেন আপনি । 

নিরবের আব্বুঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুমি কেমন আছো। 

সামিয়াঃ আগে ভালো ছিলাম আংকেল। 
কিন্তু এখন একজনের এন্ট্রি হয়েছে আমার জীবনে তাই এখন আর ভালো নেই সান্তি নেই । 

নিরবের আব্বুঃ ঠিক বুঝিনি কিসের এন্ট্রি কি বললে । 

সামিয়াঃ আচ্ছা থাক সে কথা অন্য দিন বলবো আংকেল। 

নিরবের আব্বুঃ আচ্ছা তোমাকে তো চিন্তে পারছি না কে তুমি । 

সামিয়াঃ আপনি আমায় চিনবেন না আংকেল আব্বুর নাম বললে হয়তো চিনবেন । 

নিরবের আব্বুঃ কি নাম তোমার আব্বুর। 

সামিয়াঃ আসিফ ইকবাল । 

নিরবের আব্বুঃ সরি মামনি চিনি না আমরা নতুন আসছি তো এই এলাকায় তাই কাউকে চিনি না ঠিক মতো । 

সামিয়াঃ ও আচ্ছা এমপি আসিফ ইকবাল কে তো চিনেন। 

নিরবের আব্বুঃ হুম চিনি খুব ভালো মানুষ একজন । 
সামিয়াঃ তিনি আমার আব্বু। 

নিরব তো এই কথা শুনে অবাক হয়ে গেছে তখন নিরব মনে মনে বললো। 

নিরবঃ তার মানে গতকাল সেটা এমপি আসিফ ইকবাল ছিলো আমি চিনলাম না তাকে। 

তখন নিরবের আব্বু বললো। 

নিরবের আব্বুঃ ও এইবার চিনতে পারছি। তা এইদিকে কই যাচ্ছিলে মামনি । 

সামিয়াঃ একজনকে খুজতে। আপনারা কই যাচ্ছেন। 

নিরবের আব্বুঃ এইতো সামনের কলেজে নিরব কে ভর্তি করাতে। 

সামিয়াঃ ও আচ্ছা আমিও ওই কলেজে পড়ি ।তাহলে আংকেল ভর্তি করিয়ে দিন গিয়ে । 

নিরবের আব্বুঃ হুম আচ্ছা ঠিক আছে মামনি যাচ্ছি তাহলে অন্য দিন কথা হবে । 

এইবলে নিরবের আব্বু চলে যেতে লাগলো তখন সামিয়া বললো। 

সামিয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে আসসালামু য়ালাইকুম শশুর আব্বা এখন যান। 

নিরব তো এই কথা শুনে অবাক হয়ে গেছে । 
আর সামিয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো অবাক দৃষ্টিতে 
তখন নিরবের আব্বু উত্তর দিলো। 

নিরবের আব্বুঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম। 

তখন সামিয়া নিরব এর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেলো। 

তখনি নিরবের আব্বু নিরব কে জিজ্ঞেস করলো। 

নিরবের আব্বুঃ এই নিরব মেয়েটা কি বললো,রে শশুর বললো নাকি বললো। 

তখন নিরব তারাতাড়ি বললো। 

নিরবঃ আরে না শশুর বলেনি বলছে সাইট দিয়ে যেতে রাস্তা দিয়ে না যেয়ে। 

নিরবের আব্বুঃ নাহ এইটা বলেনি মনে হয় তুই আবার ডাক তো মেয়েটি কে জিজ্ঞেস করি । 

নিরবঃ চলে গেছে মেয়েটি বিশ্বাস করো তুমি ভুল শুনছো এখন চলো তো লেট হয়ে গেছে। 

নিরবের আব্বুঃ ঠিক আছে চল তাহলে। 

তারপর নিরব আর তার আব্বু চলে গেলো কলেজ গিয়ে নিরব কে ভর্তি করে দিলো তার আব্বু ভর্তি হওয়ার পর প্রিন্সিপাল বলে দিলো আগামীকাল থেকে ক্লাস করতে তারপর নিরব সেখান থেকে চলে আসলো বাসায় তার আব্বু চলে গেলো অফিসে। 
তারপর নিরব আর বাসা থেকে বের হলো না 
বিকেলে নিরব শুয়ে আছে তখনি তার আম্মু এসে বললো। 

নিরবের আম্মুঃ নিরব ঘুমিয়ে আছিস তুই। 

নিরবঃ নাহ কেন বলো। 

নিরবের আম্মুঃ একটু বাজার থেকে গরুর দুধ নিয়ে আয়তো সেমাই রান্না করি। 

নিরবঃ আমি পারবো না যেতে তুমি যাও। 

নিরবের আম্মুঃ আমি যাবো কেন বাজারে তুই যা নিয়ে আয়। 

তখনি নিরব এর বোন ঝুমুর এসে বললো। 

ঝুমুরঃ ভাইয়া আসার সময় আমার জন্য ডিং ডাং চিপস নিয়ে এসো দুইটা। 

নিরবের আম্মুঃ যলদি যা এই নে টাকা গিয়ে নিয়ে আয় তুই আসলে রান্না করতে হবে। 

নিরব মনে মনেঃ দূর ছাই শান্তি নেই এখন গেলেই শয়তান মেয়েটা ধরবে আমায়। 

নিরবের আম্মুঃ কিরে তারাতাড়ি যা বসে আছিস কেন। 

নিরবঃ যাচ্ছি তো বলেই পাগল করে ফেলে। 

নিরবের আম্মুঃ তারাতাড়ি যা গিয়ে নিয়ে আয়। 

তখন নিরব না চাইতেও বাসার থেকে বের হলো রাস্তায় মানুষ নেই একদম ফাকা রাস্তা তকন নিরব আসতে আসতে যেতে লাগলো কিছুটা সামনে গিয়ে দেখে সামিয়া আর তার বান্ধবীরা একটা ছেলে কে মাটিতে ফেলে হকিস্টিক দিয়ে মারছে এটা দেখে নিরব অনেক ভয় পেয়ে গেলো আর বলতে লাগলো। 

নিরবঃ বাবাহ কি ডেঞ্জারাস মেয়ে। 

তখন নিরব তাদের থেকে একটু দূর দিয়ে যাচ্ছিলো তখন সামিয়া ফোনে কাউকে চিল্লাতে চিল্লাতে বললো। 

সামিয়াঃ নিজের বাপের হোটেলে খাই আর মায়ের কোলে ঘুমাই কারো Attitude দেখার সময় আমার নাই নিজের Attitude নিয়ে বেস্ত আমি কারোটা দেখার সময় নাই নিজের মতো চলি যে ভালো তার সাথে ভালো আমি যে খারাপ তার বাব আমি তরে একশো কল দিলাম আমি রিসিভ করলি না বাড়িতে গেলাম দেখা করলি না Attitude দেখাস আমার সাথে তর Attitude আছে আমার নাই শুন তর ছেলে কে তুলে আনছি আমার বান্ধবী তর ছেলে কে পছন্দ করছে তাই কথা বলতে চাইলাম তর সাথে কিন্তু তুই Attitude দেখালি আমি এমপির মাইয়া শুন তর ছেলে রাজি হয় নাই তাই এখন মেরে রাজি করছি খুব তারাতাড়ি বিয়ে দিবো বায় ভালো থাকিস। 

এইবলে সামিয়া ফোন কেটে দিলো নিরব তো অবাক হয়ে দাড়িয়ে আছে এইটা শুনে তখন নিরব মনে মনে বললো। 

নিরবঃ আল্লাহ এইডা কি কোনো মাইয়া নাকি আর কিছু এই মাইয়া তো পারমানিক বোমার চেয়ে বেশি ডেঞ্জারাস বাবা গো ছেলে কে মাইরা হাড্ডি গুড্ডি ভেঙ্গে রাজি করিয়ে ছাড়ছে ভালবাসতে আমার সাথে কি হবে কে যানে । 

তখন নিরব তারাতাড়ি সেখান থেকে চলে যেতে লাগলো তখনি সামিয়া নিরব কে দেখে ফেললো আর তখন সামিয়া নিরব কে ডাকলো কিন্তু নিরব না শুনে যেতে লাগলো ভয়ে তখন সামিয়া আবার ডাকলো কিন্তু নিরব শুনলো না যেতে লাগলো তখন সামিয়া দৌড়ে গিয়ে নিরব এর পিছনে দিয়ে ধরলো । 

বানান গুলো ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। 

কেমন হয়েছে গল্পটা তা অবশ্যই কমেন্ট করে বলে দিবেন। 

সবাই লাইক কমেন্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু। 

কেমন হচ্ছে গল্পটা তা বলে দিবেন উৎসাহ মূলক কমেন্ট করবেন। 

চলবে,,,,,,,।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post