গল্পঃ ভার্সিটির গুন্ডি মেয়ের ভালোবাসা পর্ব ১

 #গল্পঃ ভার্সিটির গুন্ডি মেয়ের ভালোবাসা
পর্ব_১
#লেখক_MR_S
,,,,মা তারাতাড়ি নাস্তা দাও ভার্সিটিতে যেতে দেরি হয়ে যাবে(আমি)

,,,,, টেবিলে গিয়ে বস আমি এখুনি আনছি(মা)

আমি টেবিলে গিয়ে বসে পরলাম। মা এসে নাস্তা দিচ্ছে

,,,,বাবা নতুন যায়গা নতুন কলেজে। প্রথম দিন কারো সাথে ঝামেলা করিস না(মা)

,,,,,আরে চিন্তা করোনা আমি একদম ভদ্র ছেলের মতো থাকবো(আমি নাস্তা খেতে খেতে বললাম)

,,,,, আমার লক্ষী ছেলে (আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো)

তারপর নাস্তা করে রওনা দিলাম ভার্সিটির উদ্যেসে। যেতে যেতে আমার পরিচয় দিয়ে দি
আমি নীরব বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বেশি ভালো ছাত্রও নয় খারাপ ছাত্রও নয়। ফাস্ট বেঞ্চার ও নয় ব্যাক বেঞ্চার ও নয়। ফ্যানের নিচে বসা স্টুডেন্ত
আগে একটা ভার্সিটিতে পড়তাম বাবার বদলি হয়ে যাওয়ার কারনে। নতুন ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি।
আপনাদের পরিচয় দিতে দিতে আমি ভার্সিটিতে চলে এলাম। আজকে নতুন তাই একটু নার্ভাস লাগছে ধুর এতো ভেবে লাভ নাই। 
তারপর গেট দিয়ে ভার্সিটির ভিতরে ঢুকে পড়লাম। আমার এক বন্ধু আবীর এই ভার্সিটিতে পড়ে তাকে খুঁজছিলাম। তখন পেছন থেকে কয়েকটা ছেলে ডাকলো। আবার রেগিনং ট্যাগিং করবে নাতো

,,,,,ওয়ে সাদা শার্ট এদিকে (কয়েকটা ছেলে বসে ছিল তাদের মধ্যে থেকে একজন ছেলে)

,,,,,জি ভাই আমাকে বলছেন (আমি তাদের কাছে গিয়ে)

,,,,, এখানে আর কেউ সাদা শার্ট পড়া আছে। তুই যখন পড়েছিস তাই তোকে ডেকেছি। নতুন নাকি। তা জুনিয়র না সিনিয়র (প্রথম জন)

,,,,, জুনিয়র না কি সিনিয়র তাতে তোর কি যা করতে বলবি কর। আর না শুনলে রাম ধোলাই (দ্বিতীয় জন)

আমি তো ওদের কথা শুনে রিতিমত ভয় পেয়ে গেলাম। তারপর তার আমার কাছে একটা গোলাপ ফুল এগিয়ে দিয়ে বললো

,,,,, ওইযে একটা মেয়ে গোলাপী শার্ট আর চুল বাঁধা গলায় ওড়না পেঁচানো। ওই মেয়েটাকে গিয়ে প্রপোজ করবি(তৃতীয় জন)

,,,,,ভাই আমি পারবো না যদি আমাকে কিছু বলে। তার চেয়ে আপনাদের মধ্যে থেকে একজনকে বলেন (আমি)

,,,,,, তোকে বলছি তুই যাবি। আর কিছু বললে আমারা আছিতো।আর জদি না যাস তাহলে তোকে মেরে পা ভেঙ্গে দেবো(তারা অনেক রেগে বললো)

আমি তাদের কাছ থেকে গোলাপটা নিয়ে। ভয়ে ভয়ে মেয়েটার কাছে গেলাম। তার দিকে গোলাপটা এগিয়ে দিয়ে

,,,,,আই লাভ ইউ(আমি চোখ বন্ধ করে বলে দিলাম)

যখন চোখ খুললাম তখন দেখলাম মেয়েটি আমার দিকে প্রচন্ড রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে। মাসাল্লাহ দেখতে একদম পরির মতো।‌ আমি এক ধ্যানে তার দিকে চেয়ে ছিলাম তখনি। মেয়েটা আমার কলার ধরে

,,,,,কিরে তুই কি বললি। আবার বল (প্রচন্ড রেগে)

,,,,,,আসলে আপু আমি ক

আমাকে আর বলতে দিলো না পেছন থেকে একটা মেয়ে বলে উঠলো

,,,,,শ্রাবণী ওকে আমাদের হাতে তুলে দে দেখ ওর কি অবস্থা করি(পেছন থেকে একটা মেয়ে বলে উঠলো)

তখন পেছনে কয়েকটা গুন্ডা টাইপের মেয়ে হাতে হকিস্টিক স্টাম্প নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তখন ওই মেয়েটা ওদের কাছে গিয়ে দাঁড়াল। 

,,,,,, বিশ্বাস করুন আমি ইচ্ছে করে কিছু করি নাই(আমি)

ওরা সবাই আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো। (আজকে আর বাঁচার উপায় নাই। বুদ্ধি পেয়েছি মনে মনে বললাম)

,,,,,স্যার ভালো আছেন (ওদের পেছনে তাকিয়ে)

আমার কথা শুনে সবাই পিছনে তাকালো। এই সুযোগ। খিচ্চা দৌড় দিলাম কোনোমতে সেখান থেকে পালিয়ে আসলাম। আর ওদিকে মেয়ে গুলো পেছনে কাউকে না দেখে আমার উপর আরো খেপে গেলো

,,,,,হারামি টা আমাদের বোকা বানালো(একটা মেয়ে)

,,,,, ওকে তো পরে দেখে নেবো। আয় একটু পর ক্লাস শুরু হবে (শ্রাবণী)

আমি একটা নিরিবিলি জায়গায় গিয়ে আমার বন্ধু আবীরকে ফোন দিলাম। রিং হওয়ার পর ধরলো

,,,,, কোথায় তুই (আমি)

,,,,,আমি ক্যান্তিনে। তুই কোথায় (আবীর)

,,,,,, ভার্সিটিতে একটা বড় বকুল গাছ আছে তার নিচে দাঁড়িয়ে আছি। অনেক বড়ো ঝামেলা হয়ে গেছে তারাতাড়ি আয়(আমি)

,,,, ওয়েট কর আমি এখনি আসতেছি(আবীর)

কিছুক্ষণ পর আবীর এলো। আমাকে দেখে বললো

,,,,,কি রে তোর এই অবস্থা কেনো(আমি)

,,,,,,আর বলিস না

তারপর সবকিছু বললাম আমার কথা শুনেতো আবীর অবাক। প্রথম দিন এসেই আমার সাথে এই হলো

,,,,,আচ্ছ মেয়েটার নাম কি শ্রাবণী (আবীর)

,,,,,,তুই কি করে জানলি (আমি)

,,,,, কারন এরকম করলে শুধু শ্রাবণী করতে পারে। এমন কোনো ছেলে নেই যে ওর হাতে মার খায় নাই এমনকি আমিও। তুই নতুন পরে বুঝতে পারবি(আবীর)

তারপর আমি আর আবীর ক্লাসে চলে এলাম। একটু পরে স্যার এলো তারপর দেখি ওই মেয়েটা ও মানে শ্রাবণী আর ওর গুন্ডী বান্ধবী গুলোও ক্লাসে এলো।
 তার মানে আমাদের সাথে সেম ইয়ারে পড়ে। আমাকে দেখে আমার দিকে রাগী চোখে তাকালো। 
আমাদের পাশের বেস্নে বসলো। ক্লাস চলা কালিন বারবার আমার দিকে রাগী ভাবে তাকাচ্ছিলো। মনে হয় যেনো আমাকে চিবিয়ে খাবে। 
ক্লাস শেষে যখন বাইরে বের হয়েছি তখনি কে জেনো পিছন থেকে কলার টেনে ধরলো। পিছনে তাকিয়ে দেখি শ্রাবণী ওকে দেখে তো আমি শেষ

______চলবে______
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post