#মায়ের_বান্ধবীর_মেয়ে_যখন_বউ
পর্ব_৭/শেষ
#লেখক_MR_S
যাই হোক বাড়িতে এসে সব বন্ধুদের খবর দিলাম তারা সবাই তো অবাক।
আজকে আমার বাসর রাত। বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছি
,,,, দোস্ত বিয়েতো করে ফেললি (মুন্না)
,,,,হ্যা (আমি)
,,,,,তা সেই খুশিতে ট্রিট দিবি না (হাসি মুখে মুন্না বললো)
,,,,,হ্যা হ্যা ট্রিট চাই কিন্তু (সবাই একসাথে)
,,,,, তোদের মতো ফকিন্নি গুলারে দাওয়াত দিছি এই কতো আবার ট্রিট। যা ভাগ (আমি মুখ ভেংচি করে)
,,,,,কিহ তুই আমাদের ফকিন্নি বললি(নিশি)
,,,, আমিতো বাংলাতেই বললাম। নাকি আবার লিখে দিতে হবে (আমি)
,,,,,কিহ তারমানে আমরা ফকিন্নি(নিশি)
,,,,আরে আরে নিশি তুই রাগীছ কেনো। ভাই ব্রাদার মানুষ বলতেই পারে। তাই বলে কি ও ট্রিট দেবে না (রাফি)
,,,,,হ্যা হ্যা তাই তো (মুন্না)
,,,,, হালার পুতেরা যা ভাগ (আমি)
,,,,,যদি ট্রিট না দিস তাহলে আর কোনো দিন তোর বিয়েতে আসবো না (নিশি)
,,,,হ আমি তো প্রতিদিন বিয়ে করবো(আমি একটু রেগে)
,,,,আরে আমরা তা বলি নাই(নিশি)
আমি কিছু বলতে যাবো তখনি ভাবীরা এলো
,,,,কি দেবর তোমার বউ তো সেই কতক্ষন থেকে অপেক্ষা করছে তারাতাড়ি যাও(ভাবিরা)
,,,,,যাচ্ছি(আমি)
আমি এখন আমার রুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। তখন একজন ভাবী বললো
,,,,, ঠিক মতো বেড়ালটা মেরো কিন্তু
আমি কিছুই বুঝলাম না বিড়াল মারতে কেনো বলছে তাই জিজ্ঞেস করলাম
,,,,,আচ্ছা ভাবী বেড়াল মারাটা কি জরুরী। না মানে এই অসময়ে বেড়াল কোথায় পাবো তাই আরকি(আমি)
আমার কথা শুনে সবাই হাসতে লাগলো
,,,,, ভিতরে যাও তোমার বউয়ের কাছে আছে (ভাবী)
তারপর আমি ঘরে ঢুকলাম। দেখি রিয়া খাতে এক হাত ঘোমটা দিয়ে বসে আছে। আমি দরজা দিয়ে তার কাছে এগিয়ে গেলাম। ভেবেছিলাম আমাকে সালাম করবে কিন্তু তার কিছুই করলো না। আমি যখন রিয়ার ঘোমটা তুলতে যাবো তখনি
,,,,, খবরদার আমার শরীরের টাস করবে না(রিয়া রেগে বললো)
,,,,,কেনো (আমি অনেক অবাক হয়ে)
তখনি রিয়া তার ঘোমটা খুলে শাড়ির আঁচল কোমোরে পেঁচিয়ে বললো
,,,,,,আমি তোমাকে স্বামী হিসেবে মানি না (রিয়া রেগে)
এমনিতে রিয়াকে আজকে অনেক সুন্দর লাগছিলো। আর রেগে গেলে ওকে দেখতে আরো সুন্দর লাগে।
,,,,, কিন্তু কেনো (আমি)
,,,,, কারন তোমাকে আমার পছন্দ না(রিয়া)
এখন আমার নিজেকে মনে হচ্ছে বাপ্পারাজ প্রো ম্যাক্স। শেষ পর্যন্ত নিজের বউ আমাকে ছ্যাকা দিলো।
,,,,, আমাকে পছন্দ না হওয়ার কারণ
,,,,, অনেক কারণ আছে তুমি সিগারেট খাও পড়াশোনা করো না আর সব থেকে বড় কথা তুমি একটা ভিতুর ডিম (রিয়া)
,,,,,, আগের গুলো মানলাম কিন্তু আমি মোটেই তো ভিতু না
,,,,,ভিতু না হলে আমি যখন কালকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আমাকে কিছু বলতে চাও তখন তুমি সাহস করে বলতে পেরেছিলে যে তুমি আমাকে ভালোবাসো (রিয়া অভিমানি শুরে)
,,,,,না মানে তখন একটু তেনসনে ছিলাম। প্লিজ মাফ করে দাও(আমি)
,,,,,কোনো মাফ হবেনা তুমি নিচে ঘুমাবে এতটাই তোমার সাস্তি
,,,,,প্লিজ নিচে আমি ঘুমাতে পারি না খাতে ঘুমতে দাও(ইনোসেন্ট ভাব নিয়ে বললাম)
,,,,, আচ্ছা মাঝখানে কিন্তু কোল বালিশ থাকবে (রিয়ার মনে হয় আমার উপর দয়া হলো)
,,,,, আচ্ছা তাহলে লাইট নিভাই
,,,,,, না তোমাকে বিশ্বাস নেই (রিয়া)
তারপর মাঝখানে কোলবালিশ রেখে রিয়া শুয়ে পড়লো আমি তার পাশে সুয়ে পরলাম। তারপর ঘুমিয়ে পড়লাম হঠাৎ মাঝরাতে মনে হলো কেউ আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে ।আমি চোখ খুলে দেখি রিয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে। আমিও রিয়াকে জড়িয়ে ধরে কপালে একটা চুমু দিলাম।
তখনি রিয়া জেগে গেলো ভাবলাম আমাকে বকাবকি করবে কিন্তু না আমার দিকে কিভাবে জেনো তাকিয়ে থাকলো আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
,,,,,জানো যখন শুনলাম আমার বিয়ে হয়ে যাবে তখন খুব কষ্ট হয়েছিল। তাই তোমার কাছে জিজ্ঞেস করেছিলাম জদি বলতে তুমিও আমাকে ভালোবাস তখনই আমি তোমার হাত ধরে সেখান থেকে চলে আসতাম।
যখন শুনলাম রিয়াজ ভাইয়া পালিয়েছে তখন খুব খুশি লাগছিলো। কিন্তু তোমার উপর একটা অভিমান থেকেই গেলো ((রিয়া যখন কথা গুলো বলছিলো তখন ওর চোখের কোনায় স্পষ্ট জল দেখতে পাচ্ছিলাম))
,,,,, আমার পাগলি টাকে আর কখনো কষ্ট পেতে দেবো না। কখনো ছেড়ে যাবে না তো (আমি)
,,,,,, কোনোদিনো না আমার পাগলটা (রিয়া)
,,,,,, আচ্ছা ভাবীরা বলছিলো বেড়াল মারার কথা। বেড়াল মারা কি(আমি)
দেখলাম রিয়া কথাটা শুনে লজ্জা পেলো
,,,,,আসো শিখিয়ে দিচ্ছি। আগে আলো নিভাও(রিয়া)
এই বলে আমার ঠোঁটের সাথে ওর গোলাপী ঠোঁট এক করে দিলো। দুজনে হারিয়ে গেলাম অজানা সুখের সাগরে।
________সমাপ্ত_______
জদি আপনাদের সাপোর্ট পাই তাহলে একটা বোনাস পর্ব দিবো।