গল্পঃ ভাড়াটিয়ার মেয়ে যখন বউ পর্ব ৪

গল্পঃ ভাড়াটিয়ার মেয়ে যখন বউ

#লেখক_M_R_S

পর্ব_৪

তারা স্বামী-স্ত্রী আর তাদের দুই ছেলে বড় ছেলে মনে হয় আমার থেকে বছর দুই একের ছোটা আর ছোটোটা এ বছর ক্লাস 7 পড়ে। বড় ছেলে নাম আসিক। 
দেখে মনে হয় অনেক ভালো ছাত্র। প্রায়ই পড়াশোনা নিয়ে থাকে। আর তাসফিয়া দের সাথে একই সাবজেক্টে পড়ে।
তাই তাসফিয়া আসিকের কাছে নোটস এবং বিভিন্ন বিষয় সাহায্য চাইতে যেতো। কিন্তু ইদানিং ওদের মেলামেশা বেড়ে গেছে প্রাই দেখতাম ছাদে বসে আড্ডা দিচ্ছে। 
একসাথে ভার্সিটিতে যাচ্ছে। আর এইটা আমার একদম সহ্য হচ্ছিলো না তাই একদিন তাসফিয়া বিকালে কোচিং থেকে ফিরছিলো তখনি ওর পথ আগলে দাড়াই আমাকে সাইড করে যাচ্ছিল কিন্তু আমি আবার ওকে আটকাই

,,,,,কি সমস্যা কি আপনার। এভাবে আমার পথ আটকাচ্ছেন কেনো(তাসফিয়া রেগে বললো)

,,,,,আগে বলো তোমার সমস্যা কি।প্রাই দেখি তুমি আসিকের সাথে মেলামেশা করো

,,,,,আমি কার সাথে কি করব কি করবো না সেটা সম্পুর্ন আমার পার্সোনাল বিষয়। আপনাকে কেনো বলবো (তাসফিয়া)

,,,,,আমাকে কেনো বলবে মানে। আমি তোমাকে ভালোবাসি (আমি)

,,,,, কিন্তু আমি তো আপনাকে ভালোবাসি না। কি ভেবেছেন এলাকার কিছু পোলাপান দিয়ে ভাবী ডাকাবেন। আর প্রতিদিন প্রপোজ করবেন এতেই ভালোবাসা হয়ে যাবে। 
ভালোবাসার জন্য মিনিমাম একটা যোগ্যতা লাগে। আর আপনার তো সেই যোগ্যতা নেই। সারাদিন তো বন্ধু বান্ধবদের সাথে আড্ডা দিয়ে বেড়ান (তাসফিয়া এসব বলে চলে গেলো)

,,,,, তুমি যাই বলো না কেনো ভালোতো তোমাকেই বাসি। আর জেনো আসিকের সাথে মেলামেশা করতে না দেখি(জোরে বললাম)

তাসফিয়া আমার দিকে একবার বিরক্তিকর ভাবে তাকিয়ে চলে গেলো।
এভাবে দুদিন কেটে গেলো। কিন্তু তাসফিয়া আর আসিকের মেলামেশা কমার কোনো নাম নেই তাই বন্ধুরা আমাকে বঙদ্ধি দিলো। আসিক কে মানা করতে। তো আসিক আর ওর ফ্রেন্ডরা ভার্সিটিতে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো।আমি গিয়ে

,,,,, এদিকে আসো তোমার সাথে কথা আছে (আমি আসিককে উদ্যেশ করে)

,,,,জি ভাইয়া বলেন (আসিক)

,,,,যে কথাটা বলতে ডেকেছি। তাসফিয়ার সাথে তোমাকে জেনো বেশি ঘোরাফেরা করতে না দেখি(আমি)

,,,,, কিন্তু কেনো ভাইয়া

,,,,,কারন তাসফিয়া আমাদের ভাবী হয়। মানে আকাশ তাসফিয়াকে ভালোবাসে(মুন্না)

,,,,, তাসফিয়া কি আকাশ ভাইয়া কে ভালোবাসে(আসিক)

,,,,এতো কিছু দিয়ে তো আর তোমার কাজ নেই। তোমাকে জেনো তাসফিয়ার আছে পাশে না দেখি। মনে থাকবে (আমি)

,,,,জি ভাইয়া

আসিক চলে যায়। আর আমারা ক্লাসে যাই
ওদিকে আসিক তাসফিয়ার গিয়ে বলে

,,,,, তাসফিয়া একটা কথা বলার ছিল (আসিক)

,,,,, হুম বলো(তাসফিয়া)

,,,,,না মানে তুমি কি আকাশ ভাইকে লাইক করো মানে ভালোবাস

,,,,,না 

,,,,, কিন্তু আকাশ ভাই বললো তুমি নাকি তাকে ভালোবাস সেও তোমাকে ভালোবাসে(মিথ্যা বললো)

,,,,,আমি কেনো এরকম একটা ছেলেকে ভালোবাসব।
আর ওর মতো ফালতু ছেলের কথায় কান দিও না তো(তাসফিয়া রেগে বললো)

,,,,, কিন্তু আকাশ ভাইতো আমাকে হুমকি দিয়েছে। আমাকে তোমার আছে পাশে দেখলে আমাকে মেরে ফেলবে। আরো অনেক কিছু বললো(আসিক মিথ্যা কথা বললো)

,,,,,আরে চিন্তা করোনা আমি আছিতো কিছু করতে পারবেনা দরকার হয় আসাদ আঙ্কেল কে গিয়ে বলবো(তাসফিয়া)

তারপর ওরা কিছুক্ষণ গল্প করলো। এদিকে আমি আর আমার বন্ধুরা মিলে যে যার বাড়ি চলে গেলাম। বিকেলে আবার বাবার দোকানে বসতে হবে। আমি বিকালে দোকানে বসে আছি তখন তাসফিয়া দোকানে এলো

,,,,আরে তাসফিয়া যে কি ব্যাপার তুমি এখানে (বাবা)

,,,,,আম্মু কিছু জিনিস কিনতে পাঠিয়েছে তাই(আমার দিকে একবার তাকিয়ে বাবার কাছে একটা ফর্দ এগিয়ে দিয়ে)

,,,,,আচ্ছা

বাবা তাসফিয়া সকল জিনিস দিলো। অনেক জিনিস থাকায় ব্যাগ অনেক ভারি ছিলো। তাই বাবা আমাকে বললো

,,,, আকাশ এই ব্যাগটা নিয়ে ওকে একটু বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আয়। একা পারবেনা

,,,,,ওকে (আমি খুশি হয়ে)

,,,,,আরে আঙ্কেল লাগবেনা। আমি একাই পারবো(তাসফিয়া)

,,,,আরে মা সমস্যা নাই ও এগিয়ে দিয়ে আসবে

তারপর আমি ওকে এগিয়ে দিতে গেলাম। দুজনেই চুপচাপ রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম। তখন আমি নিরবতা ভেঙ্গে বললাম

,,,,,আর কতোদিন বলোবো এবার তো রাজি হও(আমি)

,,,,, মানে কি বলছেন (না বুঝার ভান করে তাসফিয়া)

,,,,,এইজে আমি তোমাকে ভালোবাসি এই বিষয়ে

,,,,, দেখুন আমি আগেও বলেছি আমি আপনার মতো ছেলেকে কখনো ভালোবাসবো না। তাই বলছি আমার পিছনে ঘুরা ছেড়ে দাও

,,,, কিন্তু আমি তো তোমাকে ভালোবাসি। যত দিন না তুমি আমাকে ভালোবাসবে ততদিন পর্যন্ত আমি তোমার পিছন ছারবো না (আমি)

,,,,,ননসেন্স

,,,,, Love you too

,,,,, আমি কি আপনাকে লাভইউ বলেছি(রেগে)

,,,,,, আমারতো মনে হলো তুমি বলেছো(আমি)

,,,,,নির্লজ্জ, বেহায়া, অসভ্য

,,,,,থ্যাঙ্ক ইউ ভেরি ভেরি মাচ

আমরা এইভাবে বাড়ি পর্যন্ত চলে এলাম। রাস্তায় অনেক বার ঝগড়া হয়েছে। 
তাসফিয়া কে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আমি আবার দোকানে চলে গেলাম এভাবে কেটে গেলো প্রায় এক সপ্তাহ কিন্তু আসিক আর তাসফিয়ার মেলামেশা কমার কোনো নাম নেই। তাই একদিন আসিককে ডেকে নিয়ে। 
একটু হুমকি দিলাম যাতে তাসফিয়ার সাথে বেশি মেলামেশা না করে।
কিন্তু পরের দিন আমি আর আমার বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম তখন তাসফিয়া আসিককে নিয়ে আমাদের দিকে আচ্ছে। 
আসিককে দেখেতো আমি অবাক। ওর মাথায় হাতে পায় প্রায় সব জায়গাতেই ব্যান্ডজ মনে হয় কেউ বেধর পিটিয়েছে
তারপর তাসফিয়া আমার কাছে এসে যা করলো তাতে আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। এমন কি আমার বন্ধুরাও না

___________চলবে__________
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post