#ভাড়াটিয়ার_মেয়ে_যখন_বউ
#লেখক_M_R_S
পর্ব_৭/শেষ
,,,,তোমাকে একটা জরুরী কথা বলার ছিলো
,,,,,(আমি কিছু বললাম না)
,,,,,আমাকে ছেলের বাড়ি থেকে দেখতে এসেছে বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে। প্লিজ কিছু একটা করো আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না (তাসফিয়া)
এই কথা শুনে আমার বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠলো। নিজেকে শান্ত করলাম
,,,,তো আমি কি করবো। আপনার বাবা আপনার বিয়ে ঠিক করেছে আপনার উচিত তাকে বিয়ে করা(আমি)
,,,,, তুমি এই কথা বলছো। জানো না আমি তোমাকে ভালোবাসি। আর তোমাকে ছাড়া কাউকে আমার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব না
,,,,আমি তো তোমাকে ভালোবাসি না
আমি নিচে চলে যাচ্ছিলাম তখন তাসফিয়া আমার হাত ধরলো টেনে। আমি হাত সারিয়ে নিয়ে একটা থাপ্পর মারলাম। অনেক জোরেই মারলাম ফর্সা গাল লাল হয়ে গেছে।
,,,,, আপনাকে আর কতো বার বলবো আমি আপনাকে ভুলে গেছি। আপনাকে ভালো বাসি না
আর কখনো জেনো আপনাকে না দেখি আমার সামনে (চিৎকার করে বললো)
আমি নিচে চলে গেলাম। আর তাসফিয়া পিছন থেকে বললো
,,,,মনে রেখো তোমাকে সারা আমি কাউকে আপন করতে পারবোনা দরকার হয় নিজেকে শেষ করে দেবো(কাঁদতে কাঁদতে বললো)
আমারো খুব কষ্ট হচ্ছে সেখান থেকে চলে গেলাম নদীর পারে আমার যদি খুব কষ্ট হয় তখন এখানে আছি।
এক প্যাকেট সিগারেট এনেছি সব শেষ। নিকোটিনের ধোঁয়ায় নিজেকে পুরিয়েছি। কতক্ষন এসেছি জানি না।
হঠাৎ আমার মোবাইলের রিংটোন বেজে উঠলো। তাকিয়ে দেখি মা ফোন করেছে। ফোন রিসিভ করে
,,,,, আকাশ তুই কোথায় আছিস (মা একটু রাগি ভাবে)
,,,,,কেনো কি হয়েছে
,,,,,তারাতাড়ি সদর হাসপাতালে চলে আয় এখুনি
,,,, কেনো কি হয়েছে(আমি চিন্তিত হয়ে)
,,,,তুই তাড়াতাড়ি আয় এলেই বুঝতে পারবি
মা ফোন কেটে দিলো। আমি সেখান থেকে সোজা হাসপাতালে চলে গেলাম গিয়ে দেখি আমার মা বাবা বোন আর তাসফিয়ার মা বাবা ভাই রয়েছে। আমি তাদের কাছে যেতেই ঠাসস করে একটা থাপ্পর মারলো বাবা। আমি হাবলার মতো তাকিয়ে রইলাম
,,,,,তোর জন্য মেয়েটার আজ এই দশা(বাবা)
,,,,,কেনো কি হয়েছে (আমি)
,,,,,ব্লেট দিয়ে নিজের হাত কেটে সুইসাইড করতে গেছে
,,,,,কিহ এখন ওর কি অবস্থা (বলে কেঁদে দিলাম)
,,,,, এখন আর কেঁদে কি হবে(বাবা)
একটু পরে ডক্তর বের হলো বললো
,,,,,আউট অফ ডেন্জার। হাত দিয়ে অনেক রক্ত খরন হয়েছে আর একটু লেট করে আসলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হতোনা। রোগীর জ্ঞান ফিরলে দেখা করতে পারেন(ডক্তর)
কিছুক্ষণ পর নার্স এসে খবর দিলো তাসফিয়ার জ্ঞান ফিরেছে আমরা দেখা করতে পারি। সবাই কেবিনে গেলো আমি গেলাম না। কি মুখ নিয়েও বা যাবো
ওদিকে
,,,,,মা আমাকে তো একবার বলতে পারতি তুই আকাশকে ভালোবাসিছ তাহলে কি আমরা না করতাম। কেনো এতো ভয়ানক একটা কাজ করলি। যদি তোর কিছু হয়ে যেতো(আঙ্কেল)
,,,,,সরি আব্বু(তাসফিয়া কান্না করতে করতে)
তারপর সবাই এক এক করে দেখা করলো কিন্তু তাসফিয়া জেনো কাউকে খুঁজতে ছিলো। সবার শেষে আমি গেলাম আমাকে দেখে অভিমানে মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিয়েছে। আমি ওর মাথার কাছে বসে
,,,,,সরি(আমি)
,,,, (নিশ্চুপ ফুঁপিয়ে কান্না করছে)
,,,,প্লিজ এবারের মতো মাফ করে দাও আর কোনদিন তোমাকে কষ্ট দেবো না
,,,,(এখনো নিশ্চুপ কান্না করছে)
,,,,,প্লিজ কথা বলো আমার খুব কষ্ট হচ্ছে
,,,,, (এবার আমার দিকে ফিরলো কিন্তু কিছু বললো না)
,,,,,আচ্ছা তাহলে আমি চলে যাচ্ছি
বলে যেই উঠে হাটা দিলাম তখন আমার হত টেনে ধরলো তারপর আসতে বেডের উপর উঠে বসলো। আমাকে টান দিয়ে ওর কাছে নিয়ে গেলো। আর জরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো
,,,,, এমনটা কেনো করতে গেলে। যদি তোমার কিছু হয়ে যেতো(আমি জরিয়ে ধরে)
,,,,,হলে হতো তুমিতো আর আমাকে ভালোবাসো না(তাসফিয়া)
,,,,, কে বলেছে আমি তোমাকে ভালোবাসি না। আমি তোমাকে অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি (আমি)
,,,, সত্যি (তাসফিয়া)
,,,,,,হুম (চোখের জল মুছিয়ে দিলাম)
,,,,, কখনো ছেড়ে যাবে না তো(তাসফিয়া)
,,,,,যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন পর্যন্ত তোমার থাকবো।
,,,,, তোমাকে অনেক ভালোবাসি
,,,,, আমিও। আচ্ছা এবার ছাড়ো কেউ এসে যাবে (কপালে কিস দিয়ে)
,,,,না ছাড়বো না (তাসফিয়া)
,,,,,পরে জরিয়ে ধরে থাকো এখন শুয়ে পরো তুমি অসুস্থ
তারপর তাসফিয়ার সাথে আরো কিছুক্ষণ কথা বললাম। তাসফিয়া কে দুদিন পরে রিলিজ করে দিলো। আমাদের বাড়িতে এখন আমাদের বিয়ে নিয়ে কথা চলছে সামনের ১০ তারিখ বিয়ে। তাসফিয়া তো বেজায় খুশি।
আর এদিকে আসিক একটা মেয়েকে জোর করে তুলে নিতে যাওয়া সময় এলাকাবাসী ধরে পুলিশে দেয় এবং তিনবছরের জেল হয়
দশ দিন পর
আজকে আমার বিয়ে ।একটা আলাদা মেজাজে আছি। দেখতে দেখতে বিয়ে হয়ে গেলো এখন আমি আমার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছি
,,,,,কি মামা তাসফিয়া সত্যি সত্যি আমাদের ভাবী হয়ে গেলো (মুন্না)
,,,,, আমাদের দোস্ত একটা জিনিস প্রেম করে বিয়ে করে দেখিয়ে দিলো(রাফি)
,,,,,তাইলে দেখতে হবে তো(একটু ভাব নিয়ে)
,,,,,হ আইছে ভাব মারাইতে এখন থেকে বউয়ের আঁচল ধরে থাকতে হবে। ভেজা বেড়াল 🐱🐈 মেও(পারভেজ)
সাবাই হাসাহাসি করতে লাগলো। তারপর ভবীরা এসে নিয়ে গেলো আমাকে
,,,,,দোস্ত বিড়ালটা 🐱 মারিস ঠিক মতো(রাফি)
আমি এখন বাসর ঘরে সামনে ভেতরে ঢুকতে ভয় লাগছে। বুকের ভেতর ফু দিয়ে ঢুকে পরলাম। গিয়ে দেখি এক হাত ঘোমটা দিয়ে বসে আছে।
আমার জানা মতে নতুন বউ তো জামাইকে সালাম করে। মনে হয় আমি এসেছি বুঝতে পারে নাই তাই একটু কাশি দিলাম। তারপর ও দেখি কিছু করছে না আমি। ওর কাছে গেলাম যেই ঘোমটা টুললাম তখন
,,,,, খবরদার আমাকে টাস করবি না (তাসফিয়া রেগে আছে তুই করে বলছে)
,,,,এ কি কেনো(আমি অবাক হয়ে)
,,,,,কারন আমি সেই কখন থেকে এখানে ঘোমটা দিয়ে বসে আছি। আর তুই এলি এখন (তাসফিয়া)
,,,,সরি এবারের মতো মাফ করে দাও (আমি খাতে উঠতে গেলাম)
,,,,,তোর সাথে আমি এক বিছানায় ঘুমাবো না (আমাকে নামিয়ে দিয়ে)
,,,,,তা হলে আমাদের বাসর হবে না (আমি)
,,,,না হবে না এইটা তোর সাস্তি
তাসফিয়া খাতে শুয়ে পড়লো। আমার কি কাপল বাসর রাতে বউ আমাকে পাশে শুতে দেবে না। মনের দুঃখে আমার বইয়ের ভেতরে পৃষ্ঠা কেটে সিগারেটের প্যাকেটে রেখে ছিলাম।
তাই নিয়ে ব্যাল্কনি তবে গিয়ে সিগারেট টানতে লাগলাম।
তখনি আমার পেছন থেকে কে যেন চুল টেনে ধরলো। তাকিয়ে দেখি তাসফিয়া
,,,,আমি একা রয়েছি আর তুই সিগারেট খাচ্ছিস(আমাকে মারতে লাগলো)
,,,,আরে তুমি তো বললে আমাকে শুতে নিবে না। তাই আরকি(আমি)
,,,,,তাই বলে এখানে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাবি। আমাকে একটু জোর করতে পারলে না(তাসফিয়া)
,,,,,যদি তুমি রাগ করতে (আমি)
,,,,,সবাই সব বিষয় রাগ করে না বুঝলে
,,,,,সরি(আমি)
,,,,,আচ্ছা চলো
চলে আসলাম আমাদের বাসর ঘরে। আমি তাসফিয়ার ঠোঁট নিজের ঠোঁটের মধ্যে নিয়ে নিলাম। আমার প্রতিটা স্পর্সে কেঁপে উঠছে তাসফিয়া।
হারিয়ে গেলাম একটা অজানা সুখের সাগরে।
_________🥀🌹💕সমাপ্ত💞🌷🌹_________
🥀🌹গল্প আরো বড় করার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু মাগার পরিক্ষার জন্য হলো না🥀🌷