#অফিসের_রাগী_ম্যাম_যখন_বউ
পর্ব_৬
#লেখক_MR_S
এই বাড়িতে আগেও দুইবার এসেছি অফিসিয়াল কাজের জন্য আরোহীর বাবার কাছে।
আর আজকে জামাই হয়ে।
আরোহীর বাড়িতে যাওয়ার পর সেই খাতির আদর আপ্যায়ন নতুন জামাই বলে কথা। কিন্তু একটা দুঃখ আমার শাশুড়ি নেই আরোহী যখন ছোট তখন মারা গেছে।
শাশুড়ি থাকলে মনে হয় আদর যন্ত একটু বেশি হতো। আরোহীর বাবার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলাম।
,,,,,,বাবা কেমন আছেন (আমি)
,,,,,,ভালো বাবা তুমি কেমন আছো(আরোহীর বাবা)
,,,,,,, ভালো
,,,,,তা তোমাদের মধ্য সব ঠিকঠাক তো আমার মেয়ে কোনো ঝামেলা করছে নাতো
,,,,,,না সবকিছু ঠিকঠাক
,,,,,,দেখো বাবা মেয়েটা অবুঝ একটু মানিয়ে নিও। ছোটো বেলায় মা মারা তারপর থেকে ওর ফুফু আমাদের বাড়িতে থাকে
তারপর থেকে ফুফুর কাছে বড় হয়েছে আমিও ব্যাবসার কাজে ব্যস্ত থাকায় ওকে সময় দিতে পারিনি।
তারপর থেকেই এইরকম কিন্তু ওকে একটু ভালোবাসলে দেখবে তোমাকে ও তার থেকে বেশি ভালোবাসবে।
,,,,,,আচ্ছা
আরো কিছুক্ষণ কথা বললাম। তারপর রাতের ডিনার করে আরোহীর রুমে গেলাম। কিছুক্ষণ পর আরোহী এলো।
এখন সমস্যা বাঁধলো ঘুমানো নিয়ে কারন আরোহীর রুমে কোনো সোফা নেই। এতো বড়লোক রুমে একটা সোফা নেই। ইচ্ছা করছে কানের নিচে একটা দি
,,,,,,আমি ঘুমাবো কোথায় (আমি)
,,,,,, নিচে (আরোহী)
,,,,,, নিচে মানে
,,,,,ফ্লোরে বিছানা করে শুয়ে পড়
,,,,,,, কিন্তু আমার ফ্লোরে ঘুমালে ঠান্ডা লাগে তখন জ্বর সর্দি কাশি হয়। এখন আপনি বলুন প্রথম দিন শশুর বাড়িতে এসে ঠান্ডা লাগে লোকে কি বলবে(একটা ইনোসেন্ট ভাব নিয়ে বললাম)
আরোহী কিছুক্ষণ কি জেনো ভাবলো তারপর বললো
,,,,,,আচ্ছা খাতে ঘুমা
,,,,,, কিন্তু আপনি
,,,,,, আমিও খাতে ঘুমাবো। কিন্তু মাঝখানে একটা কোল বালিশ থাকবে তূই যদি কোলবালিশ ওভার করে আমার কাছে আসিছ তাহলে খুন করে দেবো
,,,,,, আচ্ছা আপনি কিন্তু আপনার সাইডে থাকবেন আপনি আমার কাছে আসলে আমার কোনো দোষ নেই (আমি)
,,,,,, আমার বয়ে গেছে তোর কাছে যেতে(আরোহী)
তারপর ঘুমি পড়লাম মাঝরাতে মনে হলো কেউ আমাকে জড়িয়ে ধরেছে।
তাই ঘুম ভাঙ্গে গেলে তাকিয়ে দেখি আরোহী আমাকে আরোহী আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে।
তাকিয়ে দেখি কোলবালিশ খাতের এক কোনায় পরে আছে। একটা সুন্দরী মেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে নিজেকে কি কন্ট্রোল করা যায় তাও নিজেকে কন্ট্রোল করলাম। যদি ঘুম থেকে উঠে দেখে আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে তাহলে আমার চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে দেবে।
তাই আমি আরোহীকে সারানোর চেষ্টা করলাম। যখন সারাতে জাবো তখন আরো জোরে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। তাই আমিও জরিয়ে ধরে শুয়ে পরলাম।
সকালে মনে হলো কেউ জোরে থাপ্পর মারলো তাই ঘুম থেকে উঠে দেখি আরোহী রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে
,,,,,,তুই আমাকে জড়িয়ে ধরলি কেনো(আরোহী আমার কলার ধরে)
,,,,,, কোথায় (আমি)
,,,,,,এই মাত্র ঘুম থেকে উঠে দেখলাম তুই আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছিস
এবার বুঝলাম আমাকে থাপ্পর মারার কারন
,,,,,,আমি তোমাকে জরিয়ে ধরি নাই। উল্টে তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরেছো
,,,,,,বললেই হলো আমার আমার নাই যে তোকে জরিয়ে ধরবো
,,,,, বিশ্বাস করলে করো নাহলে না
আমি সেখান থেকে উঠে ফ্রেস হতে গেলাম। তারপর আরোহীদের বাড়িতে আরো দুইদিন ছিলাম।
আজকে বাড়িতে ফিরেছি কাল থেকে আবার অফিস। তাই রাতে খাওয়া দাওয়া করে সুয়ে পরলাম। আমি সোফায় মহারানী খাতে
সকালে মনে হলো কেউ আমাকে জল দিয়ে ভিজিয়ে দিয়েছে। তাকিয়ে দেখি আরোহী একটা মগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
,,,,,কি ব্যাপার তুমি আমাকে ভিজিয়ে দিয়েছো কেনো(আমি)
,,,,,মা ডাকতে বলেছে(আরোহী)
,,,,,, ভালোভাবে ডাকা যায় না
,,,,,,এর চেয়ে ভালোভাবে পারবো না
তারপর আরোহী চলে যায় আমি ফ্রেস হয়ে অফিসের জন্য তৈরি হয়ে নিচে গেলাম দেখি আরোহী রেডি।
তারপর খাওয়া-দাওয়া করে বেরিয়ে পরলাম। বাড়ির সামনে বড় গাড়ি। মনে হয় আরোহীর তাই ওর কাছে গেলাম যদি গাড়িতে যাওয়া যায়।
কিন্তু আমাকে না নিয়েই চলে গেলো। আমিও একটা রিক্সা করে চলে গেলাম।
অফিসে যাওয়ার পর সবাই আমাকে স্যার স্যার বলছে জিজ্ঞেস করতেই বলে ম্যামের সাথে বিয়ে হয়েছে তাই।
,,,,,আরে স্যার কেমন আছেন (রোহান মজা করে বললো)
,,,,, শেষ পর্যন্ত তুইও(আমি)
,,,,, আচ্ছা দোস্ত বলবো না। এবার বল বাসর কেমন কাটলো
,,,,,,আর বাসর
,,,,,, মানে
তারপর রোহান কে সব বললাম। আমার কথা শুনে রোহান অবাক। তারপর রোহানের সাথে কথা বলে নিজের ডেস্কে বসলাম তখন অহনা
,,,,,হাই আকাশ কেমন আছো (অহনা)
,,,,, ভালো তুমি (আমি)
,,,,,,ভালো তা তুমি কি ম্যামের বিয়েতে গিয়েছিলে
,,,,,মানে (আমি অবাক হয়ে)
,,,,,, মানে আমি বিয়েতে যেতে পারি নাই তাই আরকি তোমাকে জিজ্ঞেস করলাম
,,,,,,,ও গিয়েছিলাম
,,,,,,ও আসলে আমার কাজ ছিলো তাই
অহনার সাথে গল্প করছিলাম তখন পিওন এসে বললো ম্যাম ডাকে। আরোহীর ক্যাবিনে যাওয়ার পর আমার উপর থেকে শুনামি বয়ে গেলো। কি হলো শুনবেন......
________চলবে_______