#লেখ_MR_S
পর্ব_৪
তারপর মা সব কিছু খুলে বলল। বাবা তো এসব শুনে রাগে ফেটে পরছে আমার কাছে এসেই ঠাসসস ঠাসসস করে দুইটা থাপ্পর মারল। আমি আবালের মতো তাকিয়ে রয়েছি।
বাবা,,,,ছি ছি ছি ছি ছি তুই এইটা কিভাবে করতে পারলি। আর যাই হোক তুই এটা কিভাবে করলি। তোর বোন তোকে দেখে কি শিখবে (অনেক রাগী ভাবে)
মা,,,ও কি ইচ্ছা করে করেছে
মিতালীর বাবা,,,,আচ্ছা আসাদ ভাই (আমার বাবার নাম আসাদুজ্জামান আসাদ) যা হবার হয়ে গেছে এখন এর কোনো সামাধান বের করা উচিত
বাবা,,,, তোমারা উপরে গিয়ে অপেক্ষা করো। পরে আমরা দেকে নেব (আমাকে আর মিতালী কে উদ্যেস করে
মিতালী এতক্ষন ধরে কন্না করছিল। আমি তাদের কথা মতো উপরে নিজের রুমে চলে এলাম সাথে মিতালী ও এলো এখনো কান্না করছে।
আমি কি করব আমি কি ওর কান্না শুনব বসে বসে।
তখনি মনে পরলো আরে আজকে তো গেমে নতুন ইভেন্ট আসবে। তখনি গেমে ঢুকলাম প্রথম ইস্পিনেই একটা সেই ড্রেসাপ পেয়ে গেলাম। তারপর গেম স্টাট দিলাম।
র্্যাক খেলতেছি সোলো V/S এস্কট। আমি মন দিয়ে গেমস খেলতেছি কিছুক্ষণ আগে আমাদের সাথে কি হয়ে গেল। সেই বিষয়ে আমার কোনো খেয়াল নেই। এদিকে মিতালী আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে 🤔 ভাবছে কে এইটা কিছুক্ষণ আগে কি হয়েগেল। সেসব ভুলে গেম খেলছে। এদিকে আমি একটা ম্যাচ শেষ করলাম ভুঁইয়া ও পেয়েছি। আর একটা র্্যাক ম্যাচ শুরু করলাম
ওদিকে নিচে কথা বার্তা
মা,,,,দেখুন দাদা যা হবার তা হয়ে গেছে। এখন বলি কি। ওদের মেনে নেই কেমন
বাবা,,,,কি বলছ তুমি এসব। মেনে নি মানে
মা,,,,মেনে নি মানে ওদের যখন বিয়ে হয়ে গেছে তাই ওদের মেনে নেওয়া উচিত
মিতালীর বাবা,,,হ্যা ভাবী ঠিক বলেছে। আমাদের মেনে নেওয়া উচিত
বাবা,,,, কিন্তু
মিতালীর বাবা,,,, আপনার কি আমাদের মেয়ে কে পছন্দনা
বাবা,,,,না তা নয় আপনার মেয়েতো অনেক ভালো আর ভদ্র। যে ঘরে যাবে সেই ঘরের সাবাই সুখি হবে। কিন্তু সমস্যা হলো অই হারামজাদা তাকে নিয়ে। পড়াশোনা তো একদমি করে না। বখাটে বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ায়। আপনি বলুন বাঁদরের গলায় মুক্তোর মালা মানায়
মিতালীর বাবা,,,,এখনো তো ছোট বড় হলে সব ঠিক হয়ে যাবে
মিতালীর মা,,,, কিন্তু ওদের তো বিয়ে করার বয়স হয় নাই। তার ওপর পড়ালেখা।
মা,,,,আরে ভাবি ভাবেন নাতো। ওদের যতদিন পড়ালেখা শেষ না হয় ততদিন ওরা আলাদা ঘরে থাকবে। আর ওদের বেশি মেলা মেশা করতেও দেব না
মিতালীর বাবা,,,,আচ্ছা তাহলে এই কথাই রইল বিয়াইসাব হা হা হা হা 😆😅😅
বাবা,,,,,হা হা হা হা 😆😅 ঠিক বলেছেন বিয়াই
তারা হাসতে লাগল। এদিকে আমি
আর একটা এমনি বাকি গুলু ফেলিয়ে সামনে যাচ্ছি। এনিমি সাকুরা বান্ডিল পরা।
আমার মনে হলো কেযেন পিঠে খোচাচ্ছে আমার সেদিকে খেয়াল নেই আমার এনিমি মারতে হবে। যেই এনিমিতাকে গ্ৰাগ করে মারতে যাব অমনি কে যেনো আমার মোবাইল নিয়ে নীল সামনে তাকিয়ে দেখি মা ঝাটা হাতে দাঁড়িয়ে আছে।
মা,,,, তুই কি প্রতিজ্ঞা করেই জন্নেসিছ যে কখনো ভালো হবিনা (অনেক রেগে রেগে)
আমি,,,,না মানে গেম খেলছিলাম তো (মিন মিন করে)
মা,,,, তোদের নিচে ডাকছে
আমি আর মিতালী নিচে গেলাম তখন সাফাই কিছুনা কিছু উপদেশ দিল। আমি এক কান 👂 থেকে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দি। আমার চিন্তা মাইনাস খাবো নাতো। ঠিক হলো মিতালী আমাদের বড়িতেই থ কবে কিন্তু অন্য রুমে।
তারপর সবাই খাওয়া দাওয়া করে চলে গেলে মিতালীর বাবা মা যাওয়ার সময় অনেক কন্না করল।করবেই না কেনো এক মাত্র মেয়ে বলে কথা। আমি আমার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে চলে এলাম।
রাতে বড়িতে এসে শুয়ে পড়লাম। সকালে আবার কলেজ। সাকালে ফ্রেস হয়ে কলেজে যাচ্ছি মিতালীর জন্য অপেক্ষা করতেছি। কারন মিতালী যখন আমাদের বাড়ি তাই আমার সাথেই কলেজে যাবে। কিন্তু তখন মা বলল
মা,,,,কিরে দাড়িয়ে আছিস কার জন্য
আমি,,,,না মিতালী যাবেনা তাই ওর জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছি
মা,,,,তুই যা ও রিক্সায় চলে যাবে
আমি,,,,বাইক থাকতে রিক্সায় যাবে কেনো
মা,,,,না ও তোর সাথে যাবেনা। আর তোদের যেনো বেশি মেশা করতে না দেখি(করা ভাবে)
আমি,,,আচ্ছা
আমি কলেজে চলে এলাম তার কিছুক্ষণ পর মিতালী এলো আমি ওর সাথে কথা বলব বলে দারিয়ে রইলাম যখন আমার কাছ থেকে যাচ্ছিল। তখন ওর সাথে কথা বলতে চাইলাম।
কিন্তু মিতালী আমাকে ইগনোর করে চলে গেলো। আমি কোনো কিছু বুঝলাম না।
তারপর আমিও ক্লাশে চলে গেলাম গিয়ে মিতালীর পাশে যেই বসেছি তখনি মিতালী তার সিট থেকে উঠে আরেক যাগায় বসলো।
আমি যখনি মিতালীর কাছে বসতে যাব তখনি ক্লাসে স্যার এল। তারপর ক্লাস শেষে মিতালী ক্যাম্পাসে বসে রয়েছে আমিও। ওর কাছে গিয়ে
আমি,,,,কিরে কি হয়েছে। আমরা সাথে কথা বললি না কেনো
মিতালী,,,,(নিচ্চুপ)
আমি,,,, কি হলো
মিতালী,,,,(নিচ্চুপ)
আমি,,,,কথা বলিছ না কেনো
মিতালী,,,,মামনি কথা বলতে বারন করেছে। আপনার সাথে
আমি,,,, মামনি তা আবার কে। আর তুই আপনি করে বলছিস কেনো
মিতালী,,,, মামনি হলো আপনার মা। আর আমার মনে হয় আপনার সাথে তুই করে বলার সম্পর্ক আমাদের মধ্যে নেই
মিতালী এই বলে চলে গেল। আমি মিতালীর এই অদ্ভুত ব্যাবহারের কিছুই বুঝলাম না। এভাবে অনেকদিন চলে গেল। মিতালী আমরা সাথে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কথা বলে না। আমাকে ইগনোর করে বাড়িতে কলেজে এমন ভাব করে মনে হয় আমাকে চেনেই না। আমি ওর এমন আচরণ সয্যকরতে পারছিনা। মনে হয় মিতালীকে ভালোবেসে ফেলেছি
_______চলবে______