গল্পঃ বেষ্ট ফ্রেন্ড যখন বউ পর্ব ২

 

#বেষ্ট_ফ্রেন্ড_যখন_বউ

#লেখ_MR_S

পর্ব_২

ইন্টারনেট থেকে আমি রেজাল্ট দেখলাম মিতালী গোল্ডেন A+ পাইছে। আমরা রেজাল্ট দেখেতো পুরা টাস্কি খায়েছি। ভাই আমি A গ্ৰেট পাইছি।
বিশ্বাস করেন আমি কোনো দিনো তেত্রিশের উপরে যাইনাই। কিন্তু আজ A গ্ৰেট। মনে মনে সেই খুশি হলাম। বড়ি গিয়ে

আমি,,,,আম্মুউউউউউউ (চিৎকার করে)

মা,,,,কি হয়েছে ষাঁড়ের মত চিল্লাসচিছ কেনো 

আমি,,,, আম্মা তুমি আমাকে ষাঁড় বলতে পারলে (ইমোশনাল হয়ে)

মা,,,,নেকামি বাদ দে কি জন্য দেকেছিস বল

আমি,,,,আম্মু আমি পরিক্ষায় পাশ করছি। A গ্ৰেট পাইছি

মা,,,,শোন আমার এখন মজা করার মুড নেই হাতে অনেক কাজ। যা এখান থেকে

আমি,,,,আম্মু সত্যি বলছি আমি A গ্রেট পাইছি। বিশ্বাস না হলে তুমি নিজে দেখ(মোবাইল আম্মুর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে)

মা,,,,, কই দেখি

আম্মু আমার হাত থেকে মোবাইল নিয়ে। দেখতে লাগল। আমার রেজাল্ট দেখতো আম্মু এক প্রাকার আটকে উঠেছে। বিশ্বাসই করতে পারচ্ছেনা। একবার আমার দিকে একবার মোবাইলের দিকে তাকায়। অনেক বার ভালো ভাবে দেখলো। তারপর আমার হাতে মোবাইল দিয়ে তার ফোন দিয়ে বাবাকে ফোন দিল

বাবা,,,,হ্যালো কি হয়েছে। ফোন করেছ কেনো (ওপাশ থেকে)

মা,,,,শোনো তারাতাড়ি বাড়ি আছো

বাবা,,,,কেনো

মা,,,, আমাদের ছেলে‌ পরিক্ষা A গ্ৰেট পাইছে

বাবা,,,,কিহ 🤪‌ মজা করছো‌ আমার সাথে

মা,,,, বিশ্বাস করো মজা না আমারো প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। কিন্তু যখন রেজাল্ট দেখলাম

বাবা,,,,আচ্ছা আমি তারাতাড়ি বড়ি ফিরছি

আম্মু বাবার সাথে কথা বলে আমাকে খেতে দিল
আজ সেই যত্ন করে খাওয়াল।
আধাঘণ্টা পর বাবা আসলো। বড়িতে এসেই আমার এডমিট কার্ড নিয়ে রেজাল্ট সার্চ দিল।
আমরা রেজাল্ট দেখে বাবাও একপ্রকার অবাক হয়ে গেল। বারবার আমার এডমিট কার্ডের রোল দেখছে কোনো ভুল হয়নি তো। যখন একি রেজাল্ট বের হলো তখন‌ বাবা আমাকে এবং গড়ি নিয়ে ছুটলো আমার স্কুলে। স্যারেরাও বলল আমার রেজাল্ট দেখে ‌তারাও‌ অষ্টম আশ্চর্য দেখেছে। আমি আর বাবা বড়ি চলে এলাম। আজ বাবা-মা দুজনেই খুব খুশি। খুশিতে বাবা আমাকে বলল

বাবা,,,,আজ আমি অনেক খুশি বল তোর কি চাই

(এইটো সুযোগ পেয়েছি একটা বড় কিছু চাইতে হবে)

আমি,,,,ইয়ে মানে‌ বাবা তুমি চাইলে রাগ করবে নাতো

বাবা,,,,আরে না রাগ করবো কেনো। আজ তুই যা চাবি তাই পাবি (মা ও সেই কথায় সায় দিল)

আমি,,,,না মানে সামনে কলেজ যেতে হবে তো তাই যদি একটা বাইক দিতে (আমি মিন মিন করে)

বাবা,,,,আচ্ছা বাইক চালাতে পারিছতো

আমি,,,, হ্যা আব্বু পারি জিহাদ ভাইয়ের কাছ থেকে শিখেছি

বাবা,,,,তাহলে কি বাইক নিবি

আমি,,,,অ্যাপ্রিলিয়া আরএস৪ ১২৫ এইটা খুব ভালো

বাবা,,,,দাম কতো

আমি,,,,,ছয় লাখের মতো

বাবা,,,,এতো দামি কমের ভিতর হয়না।

আমি,,,,আব্বু তুমি বলেছ যা চাইব তাই দিবে

বাবা,,,,আচ্ছা কাল গিয়ে বাইক শরুম থেকে গিয়ে কিনেব

তারপর খাওয়া দাওয়া করে রুমে আসলাম। মিতালী কে ফোন দিলাম। মিতালীর সাথে কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরদিন বাবাকে নিয়ে ‌বাইক‌ কিনলাম। সারাদিন দিন বাইকে ঘুরলাম।
 এইভাবেই দিন কাটতে লাগলো। মিতালী কেও আমার বাড়ির সবাই চেনে। আমিও মিতালীর বড়ি মাঝে মাঝে যাই। 
আমি আর মিতালী একই কলেজে ভর্তি হয়েছি প্রথম দিন কলেজ তাই একটু গেটাপ টেটাপ নিলাম বাইক নিয়ে বেড়িয়ে পরলাম কলেজের উদ্যেস্যে। মিতালী ও চলে এসেছে। প্রথম দিন তাই ক্লাস করলাম। কলেজে সব পরীর মেলা আমিতো পরী দেখতে ব্যাস্ত। ক্লাসে কোনো মন নেই সব ক্লাস এইভাবে করলাম। প্রথম দিন দুই চার জন বন্ধু জুটিয়ে ফেললাম। কলেজে শেষে যখন গেট দিয়ে বড় হবো তখন একটা মেয়ে এসে

মেয়েটি,,,,হাই আমি শারমিন। আপনার নাম

আমি,,,, আকাশ

শারমিন,,,,ফাষ্ট ইয়ার আপনি

আমি,,,,জি

শারমিন,,,,আমিও। তাহলে আপনি আপনি নাবলে তুমি করে বলতে পারি

আমি,,,,অবশ্যই

আমি শারমিন কিছুক্ষণ কথা বললাম। শারমিনকে বিদায় দিয়ে যেই বের হব তখনি দেখলাম মিতালী আমার দিকে চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে। মনে হয় সেই রেগে আছে। আমি কাছে গিয়ে

আমি,,,, কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন। বড়ি যাবিনা

আমাকে আর বলতে দিল না। আমরা চুল ধরে উরা ধুরা মারতে লাগলো। আমিতো কিছুই বুঝতে পারছিনা কি হচ্ছে আমার সাথে। ও আমাকে এভাবেই বা মারছে কেনো

আমি,,,,আরে আমাকে মারছিস কনো (ওকে আটকানোর চেষ্টা করে)

মিতালী,,,,তুই ওই মেয়েটার সাথে এতক্ষন কথা বললি কেন (মেরেই চলেছে)

আমি,,,,আরে আমাদের সাথে পরে তাই পরিচয় হচ্ছিলাম

মিতালী,,,,সেই জন্য এতক্ষন কথা বলতে হবে। আমি এখানে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে রয়েছি জানিস

আমি,,,,আচ্ছা ভুল হয়ে গেছে

তারপর যে যার বড়ি চলে আসলাম। । কলেজে মিতালীর কোনো ছেলে ফ্রেন্ড নেই আমি ছাড়া। অনেকে ওকে প্রপোজ করেছিলো তাদের সবার গাল লাল করে দিয়েছে।
 এভাবে একবছর কেটে গেলো। এখন আমরা ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। আজ‌ পহেলা বৈশাখ আমি আর মিতালী ঠিক করি গ্ৰামে বৈশাখী মেলা দেখতে যাবো। 
আমি বাইক নিয়ে মিতালীদের বড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। এখনো আসার নাম নেই। প্রয় এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর আছলো। মিতালীকে দেখতে আজ পুরো পরির‌ মতো লাগছে আমি চা ফেরাতে পারছিনা

মিতালী,,,,বল আমাকে কেমন লাগছে

আমি,,,, একদম পেত্নীর মতো লাগছে (মাজা করে)

মিতালী,,,,হু তোকে একদম খবিশের মতো লাগছে। চল তাড়াতাড়ি না হলে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যাবে

আমি আর মিতালী বেড়িয়ে পরলাম। বিকেলের মধ্যেই আমার মেলায় পৌঁছে গেলাম। আমরা দুজনেই ‌মেলা‌‌ দেখে খুব খুশি। 
সন্ধা হয়ে এসে আমরা বড়ি ফিরব তাই রওনা দিলাম কিন্তু মাঝে পথে নামলো কাল বৈশাখী ঝড়। কি করব বৃষ্টি ও শুরু হয়েগেছে এমনিতে গ্ৰামের কাঁচা রাস্তা। 
কাদা কাদা হয়ে গেছে দুরে দেখলাম একটা বড়ি বাইকটা এখানেই পার্ক করে সেই বড়ির সামনে গেলাম। দরজা ধাক্কাতেই একজন মুরব্বি এসে দরজা খুললেন

মুরব্বি,,,,কি চাই

আমি,,,, চাচা আমার সহর থেকে এসেছি। ঝরের জন্য আমারা জেতে পারছি না। জদি আজকের রাতটা থাকটে দিতেন

লোকটা আমাদের দিকে কিছুক্ষণ ‌ তাকিয়ে থেকে জিজ্ঞেস করল

মুরব্বি,,,, তোমাদের পরিচয়

আমাকে কিছু বলতে না দিয়ে মিতালী যা বলল আমি শুনে পুরো আকাশ থেক পরলাম

______চলবে______
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post