#লেখ_MR_S
পর্ব_৩
আমাকে কিছু বলতে না দিয়ে মিতালী বলল
মিতালী,,,, আমরা স্বামী-স্ত্রী
আমি অনেকটা অবাক হয়ে কানে কানে জিজ্ঞেস করলাম
আমি,,,, এই তুই কি বলছিস এসব (ফিসফিসিয়ে)
মিতালী,,,,তুই চুপ কর আমি যা বলছি তুই শুধু তাল মিলিয়ে যা (ফিসফিসিয়ে)
আমি,,,, কিন্তু
মিতালী,,,, কোনো কিন্তু নয়। এছাড়া কোন উপায় নেই। আমরা জদি বলি আমারা ফ্রেন্ড তাহলে থাকতে দেবে না
(আমি আর কিছু বললাম না)
মুরব্বি,,,,ও তোমরা স্বামী-স্ত্রী
আমি,,,, জি
মুরব্বি,,,, তোমাদের দেখেতো মনে হচ্ছে তোমাদের অল্প বয়স। তা এই অল্প বয়সে তোমাদের বিয়ে বুঝলাম না
মিতালী,,,,আসলে আমাদের পরিবার অনেক আগে থেকেই বিয়ে ঠিক করা ছিল। তাই একটু সমস্যার কারণে তারাতাড়ি বিয়ে হয়েছে
মুরব্বি কিছুক্ষণ আমাদের দিকে তাকিয়ে তারপর বললো
মুরব্বি,,,,তোমাদে কাবিননামা দেখি
আমি আর মিতালী এবার পরলাম চিন্তায়। আমাদের কাছে কোনো কাবিননা নাই। এবার কি করবো
আমি,,,, এবার কি হবে (চিন্তিত হয়ে আস্তে আস্তে)
মিতালী,,,,দারা দেখছি কি করা যায়(আস্তে আস্তে)
মুরব্বি,,,,কি হলো তোমাদের কাবিননা কই
মিতালী,,,,ইয়ে মানে হয়েছে কি চাচা। আমাদের কাছে তো কোনো কাবিননামা নাই। আসলে আমরাতো ভেবেছিলাম আমার ভালো ভাবে বাসায় যেতে পারব তাই আনি নাই
মুরব্বি কিছুক্ষণ আমাদের দিকে তাকিয়ে থেকে। তার ঘরে চলে গেল। তারপর দেখলাম এক লোককে সাথে করে নিয়ে আসলো। দেখেতো মনে হচ্ছে হুজুর। তারপর মুরব্বি বলল
মুরব্বি,,,, তোমাদের সাথে যেহেতু কাবিননা নাই। তাই আমরা চাইছি তোমাদের বিয়ে দিতে। তাহলে আর আমাদের সন্দেহ থাকলো না।আর তোমরা তো বিবাহিত তাহলে আর কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়
আমি আর মিতালী মুরব্বির কথায় অনেক আচর্জ হয়ে গেলাম। দেখলাম মিতালীও অনেক আচর্জ হয়েছে।
আমি,,,,কিহ বিয়ে (অনেক অবাক হয়ে)
হুজুর,,,,হ্যা বিয়ে
আমি,,,,, কিন্তু আমরাতো বিয়ে করেছি তাইনা। তাহলে আবার কেনো করব
হুজুর,,,,তাতে কি হয়েছে
মিতালী,,,,না মানে আরেকবার বিয়ে করা কি জরুরি। আর এখন ঝর বিষ্টির রাতে কাজী কই পাবেন
মুরব্বি,,,, এইতো আমার ছোট ভাই কাজি (হুজুর লোকটাকে দেখিয়ে দিয়ে)
কথায় আছে না যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধে হয় আমি বিরবির করে বললাম
মুরব্বি,,,, কিছু বললে বাবা
আমি,,,,না আংকেল। কিন্তু শেরওয়ানি শাড়ি কোথায় পাব
হুজুর,,,, সেসব চিন্তা করতে হবেনা
আমাদের বিয়েতা হয়ে গেলো। অনেক চেষ্টা করলাম আটকানোর কিন্তু পারলাম। ভাবতেই কেমন লাগছে। যে আমার বেস্ত ফ্রেন্ড ছিল এখন সে আমার বউ।
কি থেকে কি হয়ে গেল। আমাদের বিয়ের পর আমাকে আর মিতালী কে একটা ঘরে থাকতে দেওয়া হলো
ঘরে যাওয়ার পরে মিতালী কান্না করতে আরম্ভ করে দিল।
আমিও যে মিতালী কে শান্তনা দেব তাও পারছিনা আমি মেঝেতে শুয়ে পরলাম। আবার মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেল তখনো শুনি মিতালী ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে।
আমিও আর কিছু বললাম না সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মিতালী খাতে বসা আর ওর চোখ ফুলে গেছে। সেখান থেকে তাদের বিদায় জানিয়ে বেড়িয়ে পরলাম বড়ির উদ্যেস্যে।
যখন বাইক চালাচ্ছিলাম তখন মনে হলো মিতালী আমার থেকে অনেক দুরত্ব বজায় রেখে বসেছে আগে এরকম বসতো না। আমরা দুজনে আমার বাসায় চলে আসলাম। কলিং বেল শুনে মা দরজা খুলে দিল
মা,,,,কিরে তোদের এই অবস্থা কেন। আর মিতালীর বা কি হয়েছে। এমন দেখাচ্ছে কেনো। কাল সারারাত কই ছিলি
মা এইসব জিজ্ঞেস করছে। তখনি মিতালী মাকে জরিয়ে ধরে কেদে দেয়।
মা,,,,কি হয়েছে কাদিছ কেনো ওকি কিছু বলেছে তোকে (রাগ দেখিয়ে)
মিতালী কেদেই চলেছে। আমার তো ভয়ে অবস্থা খারাপ। তারপর মা কান্না থামিয়ে জিজ্ঞাসা করল
মা,,,,কি হয়েছে বল আমাকে। কান্না থামা বল
মিতালী,,,,আন্তি কাল (কাল থেকে যাযা হলো সব বলে মাকে)
আমি মাথা নিচু করে বসে রয়েছি। মা সব শুনে আমার উপর সেই ক্ষেপে গেছে । মা বাবাকে ফোন করে তারাতাড়ি বাসায় আসতে বলল। আর মিতালীর মা বাবাকে আসতে বলল।
আমরা এ বিষয়ে কোনো চিন্তা নেই। আমার চিন্তা হলো মোবাইলে চার্জ নাই।
তারা তারি মোবাইল চার্জে বসিয়ে দিলাম। আমি আমার রুমে বসে আছি আর মিতালী সোফায় বসে কান্না করছে।
তখন কে জেনো কলিং বেল বাজলো। আমিও নিচে গেলাম মা গিয়ে দরজা খুলে দিল। দেখি বাবা এসেছে সাথে মিতালীর বাবা-মা ও রয়েছে।
বাবা,,,, কি হয়েছে জরুরী কিছু তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেনো
মা,,,,আগে বসো তারপর সব বলছি। আপনারাও বসেন (মিতালীর বাবা মাকে উদ্দেশ্য করে)
তারপর মা সব কিছু খুলে বলল। বাবা তো এসব শুনে রাগে ফেটে পরছে আমার কাছে এসেই ঠাসসস ঠাসসস করে দুইটা থাপ্পর মারল
_________চলবে________