গল্পঃ জ্বীনের মেয়েটি যখন রোমান্টিক গালফ্রেন্ড পর্বঃ ২


গল্পঃ জ্বীনের মেয়েটি যখন রোমান্টিক গালফ্রেন্ড 
পর্বঃ ২
লেখকঃ Nirob Ahmed Kowcer 
..........................................................
....................................................
.............................................


নিরব তাকিয়ে দেখে সেই জ্বিন মেয়েটি তখন নিরব বলে উঠলো। 

_ দুস্ত বাঁচা এটাই জ্বিন মেয়ে আমি যামু না { নিরব } 

এইবলে নিরব দৌড়ে রাহুল এর ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো রাহুল কে বাহিরে রেখেই রাহুল জ্বিন মেয়েটি কে দেখে দৌড়ে দরজার কাছে গিয়ে বলতে লাগলো। 

_ হালারপুত দরজা খোল তর নানিরে খালি ঘর আমারে বাহিরে রেখে দরজা বন্ধ করে দিছিস ক্যা { রাহুল } 

কিন্তু নিরব ভিতর থেকে কোনো উওর দিচ্ছে না দরজা খোলার নাম নেই তখন রাহুল আবার বলে উঠলো। 

_ হালারপুত তর মতো বন্ধু থাকলে শত্রু লাগবো না নিজের চিন্তা আগে করে ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিছে খোল দরজা { রাহুল } 

_ তুই ভুতের লগে ডান্স কর বাহিরে থেকে দরজা খোলা যাবে না এখন । { নিরব } 

তখনি ঘরে নিরবের পিছন থেকে কেউ বলে উঠলো। 

_ Hi মিষ্টার আমি এসে গেছি জ্বিন ভুতের প্রপোজ কারিগরি এই যে আমি তোমার পিছনে দাড়িয়ে আছি { জ্বিন মেয়েটি } 

_ কেডা কই দেহি না ক্যা { নিরব ভয়ে } 

_ এবার তাকাই দেখো { জ্বিন মেয়েটি } 

নিরব পিছনে তাকিয়ে দেখলো সত্যি জ্বিন মেয়েটি এখন ঘরে অবাক হয়ে তখন চিৎকার দিতে যাবে কিন্তু হঠাৎ শব্দ বন্ধ হয়ে গেলো তার গলা থেকে কোনো আওয়াজ বের হচ্ছে না তখন দরজা খোলার চেষ্টা করতে গেলেই জ্বিন মেয়েটি তখন গিয়ে দুই হাত চেপে ধরে বললো। 

_ পালাচ্ছিস ক্যান হু তুই কি মনে করছিস দরজা বন্ধ করে দিলে আমি আসতে পারবো না তুই যেখানে যাবি আমি যেতে পারবো। { জ্বিন মেয়েটি } 

_ আমি ভুলে প্রপোজ করে দিছি শয়তানি করে আমি ভুতের লগে প্রেম করুম না ছাইড়া দেন { নিরব } 

_, কিন্তু আমি তো তোমার সাথেই প্রেম করবো তারপর বিয়ে করবো তারপর আমাদের ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাকাচ্চা হবে { জ্বিন মেয়েটি } 

_ আমার লাগতো না ছোট্ট ছোট্ট ভুতের বাচ্চাকাচ্চা আমি প্রেম বিয়ে কিছুই করমু না ভুতের লগে { নিরব } 

_ কেন কেন প্রপোজ করছো না আমিও একসেপ্ট করে নিলাম এখন থেকে আমি তোমার গালফ্রেন্ড { জ্বিন মেয়েটি } 

_ আমি প্রপোজ ফিরিয়ে নিলাম { নিরব } 

_ আর কোনো ফিরিয়ে নেওয়া নেইয়ি নেই এখন নিলে আমাকেই না নিলে আমি তোমাকেই { জ্বিন মেয়েটি } 

_ ভুতের লগে প্রেম আম্মা এ্যাহ 😭 { নিরব } 

_ হি 😀 হি 😀 হি 😁 { জ্বিন মেয়েটি হাসতে লাগলো }.

তখনি বাহির থেকে রাহুল বলে উঠলো। 

_ এইবার তো দরজা খোল { রাহুল } 

_ তুমি বসো আমি একটু আসছি এইখান থেকে যাবে না কথা আছে আমার বান্ধবী কে নিয়ে আসছি গিয়ে { জ্বিন মেয়েটি }.

এটা বলেই অদৃশ্য হয়ে গেছে জ্বিন মেয়েটি তখন নিরব দরজা খোলে দিলো আর বললো। 

_ গেছে শয়তান ফাজিল ভুতনী মাইয়া আয় বন্ধু ঘরে আয় { নিরব } 

তখন রাহুল ঘরে এসে দিলো মাইর নিরইব্বা কে আর বললো। 

_ হালারপুত তর নানিরে খালি ঘর আমারে বাহিরে রাইখা আমার ঘরের দরজা বন্ধ করে দিছে { রাহুল } 

_ মারিস না ভয়ে বন্ধ করে দিছি { নিরব } 

_ ভুত জ্বিন গো কি দরজা জানালা লাগে ঘরে ঢুকতে তারা এমনিতেই যেতে পারে { রাহুল } 

_ তাই তো দেখলাম { নিরব } 

_ যা এখন তর বাসায় যা { রাহুল } 

_ নাহ আজ তর লগেই থাকমু { নিরব } 

_ এহ দূর হ হালা পাঁচ মিনিট হাটলেই তর বাসা তুই তর বাসায় যা { রাহুল } 

_ তুই এই নিরিহ শিশুর উপর এমন করতে পারলি { নিরব } 

_ এটা তর শাস্তি যা { রাহুল } 

_ আচ্ছা ঠিক আছে এগিয়ে দিয়ে আয় { নিরব } 

_ পারবো না ফোনের লাইট অন করে যা { রাহুল } 

_ ঠিক আছে তুইও আমারে একা একা পাঠাচ্ছিস যাচ্ছি যদি আমার কিছু হয় তাহলে তর গুঁড়া গাড়া পোলাপান গুলা সব নেংটু হয়ে জন্মাবে দেখিস { নিরব } 

_ কেডা আবার শার্ট প্যান্ড পড়ে আইছে 🙄 দূর হ হালা ভিতু না হলে একাই যাবি { রাহুল } 

_ আমি ভিতু না যাচ্ছি দেখ { নিরব } 

_ হুম যা যা যলদি { রাহুল } 

 তখন নিরব আসতে করে ঘর থেকে বের হয়ে ফোনটা নিয়ে সময়ের দিকে তাকিয়ে দেখে 
ঘরির কাটায় এখন সময় রাত ১২ টা বাজতে চলছে একাই নিজের বাসার যেতে লাগলো গ্রামের মধ্যে সবাই গভীর ঘুমে হারিয়ে গেছে নিরব গ্রামেই থাকে বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে তাদের বাসা কালীগঞ্জে এটি গ্রাম এইখানেই গ্রামের মানুষ গুলো সাধারণত সন্ধ্যা হলেই সবাই ঘুমিয়ে পড়ে সবাই এখন ঘুমের মধ্যে কেউ যেগে নেই । 
গ্রামে শহরের মতো গাড়ি নেই চলাচল করার । 
নেই কোনো শব্দ গ্রামে রাত হলেই ঝিঝি পোকার ডাক দূর থেকে কুকুর এর কান্নার শব্দ বেড়ালের শব্দ সব মিলিয়ে মধ্যো রাতে ভয়ংকর করে তোলে তাই তো নিস্তব্ধতা অন্ধকারে হয়ে উঠে ভয়ংকর রাত গ্রামে । 
আর এই নিস্তব্ধতায় এমন ভয়ংকর কিছু মিশে থাকে যা রাতেই শুধু বের হয় কারো সাথে দেখা দেয় আর কাউকে তার ভয়ংকর রুপে ভস করে নেয় । 

এদিকে।

 নিরব রাহুল এর ঘর থেকে বের হয়ে তাদের উঠানে চলে গেলো সেখানে চাদের আলোয় সব দেখা যাচ্ছে হালকা ঠান্ডা বাতাস বইছে
তখন নিরব সেখানে একটু দাড়ালো আর কিছুখনের মধ্যে তার সরিল ঠান্ডা হয়ে গেলো তখন নিরব তার বাসার উদ্দেশ্য যেতে লাগলো । 
তখন দেখলো রাহুল এর বাসার সামনে দৃতীয় নারকেল গাছের নিচে একটি মেয়ে মানুষের মতো দেখা যাচ্ছে শুয়ে আছে চাদের আলোর জন্য ভালো করেই দেখা যাচ্ছে মেয়েটি সাদা ড্রেস পরা ।
তখন নিরব ভাবতে লাগলো। 

নিরবঃ এত রাতে কে হতে পারে এইখানে নিশ্চয়ই খারাপ কিছু হবে আয় নয়তো সেই জ্বিন মেয়েটি কিন্তু আর যদি তেমন কিছু না হয় মেয়ে মানুষ কি করে এইখানে আসবে বুঝতে পারলাম না। 
থাক বাবা কাছে যাওয়ার দরকার নেই যদি ভুত থাকে তার চেয়ে ভালো বাসায় চলে যাই। 

এই বলে নিরব তার বাসায় চলে আসবে তখন আবার ভাবলো। 

নিরবঃ আমার কি এখন চলে যাওয়া ঠিক হবে হতেও পারে এটা সত্যি মেয়ে অন্য কিছু না আর হতে পারে মেয়েটি পথ ভুলে এইখানে আশ্রয় নিয়েছে গতকাল শুনলাম রহিম চাচার বাসার সামনে একটি লোক এসে রাতে বসে ছিলো ভুত ভেবে আর যায়নি চাচা কিন্তু সকালে দেখলো মানুষ হতে পারে সে একটি মেয়ে যাই গিয়ে দেখি সে এইখানে কেন হেল্প করে আসি রাহুল কে ডাকার দরকার নেই । 


তখন নিরব তার ফোনে লাইট অন করে যেতে লাগলো তখনি তার সামনে দিয়ে একটা চুয়া দৌড়ে গেলো আর নিরব ভয়ে উল্টো দৌড় দিয়ে বললো। 

_ আব্বা,গো,,ডেডি,গো বাচাও,গো, ভুত,গো,ভুত । { নিরব }
এইবলে তখন দৌড়ে নিরব রাহুলের রুমের দিকে চলে গেলো আর গিয়ে বললো। 

নিরবঃ এই যাহ বাবাহ এটা তো চুয়া ছিলো হালার পো হালা মন খালি ভয় দেহাই কাঁপাই ফেলছে। 

তখন রাহুল বলে উঠলো। 

_ কি হয়েছে { নিরব } 

_ কিছু না কিছু না তুই দরজা বন্ধ করে শুয়ে থাক { নিরব } 

_ ঠিক আছে। 

তখন নিরব আবার মেয়েটির কাছে যেতে লাগলো এক কেজি সাহস নিয়ে এইবার নিরব মেয়েটির কাছে গেলো আর গিয়ে দেখলো মেয়েটি উল্টো হয়ে শুয়ে আছে তখন নিরব একটু দূর থেকে বলতে লাগলো। 

নিরবঃ ও টুনির মা ভুতের নানি তুমি এইহানে কি করো। 

কিন্তু নিরব কোনো উওর পেলো না মেয়েটির কাছ থেকে তখন আবার জিজ্ঞেস করলো। 

নিরবঃ ওই টুনির মা তুমি কি করো এইখানে শুয়ে কেন। 

কিন্তু নিরব তবুও কোনো উওর পেলো না তখন নিরব তাকে গিয়ে ধাক্কা দিলো আর বললো। 

নিরবঃ এইযে উঠেন কে আপনি । 

তখন নিরব অনুভব করলো তার পিছনে কেউ দাড়িয়ে আছে তখন নিরব সাথে সাথে পিছনে ফিরলো কিন্তু কাউকে দেখতে পেলো না তখন আবার মেয়েটিকে নিরব ধাক্কা দিয়ে বলতে লাগলো। 

নিরবঃ আরে সাধা কাপড়ে ময়লা লাগছে তো উঠেন কে আপনি। 

তবুও নিরব উত্তর পেলো না। 
মেয়েটি কোনো কথা বলছে না 
তখন নিরব বললো। 

নিরবঃ কি ব্যাপার কথা বলছে না কেন মেয়েটি আচ্ছা মেয়েটিকে সোজা করে তারপর দেখি। 

তখন নিরব মেয়েটিকে সোজা করে তার মুখের দিকে তার ফোনে লাইট দিয়ে চেহারা দেখে নিরব বললো। 

নিরবঃ মাশাআল্লাহ এতো পুরাই একটা পরি ড্রেস যেমন সাধা তেমনি সেও সাধা কিন্তু আমারে বাঁচায় আর কেডা এতো সেই জ্বিন মেয়েটি বাঁচাও । 

এইবলে দিলো দৌড় তখন জ্বিন মেয়েটি বলে উঠলো। 

_ আরে দাঁড়া ও একটু শুনো.....{ জ্বিন মেয়েটি } 

_ দাঁড়ানোর গুল্লি মারি আমি বাসায় যামু রাহুইলা তরে দেইখা লমু........ 

কেমন হয়েছে তা কমেন্ট করে যানিয়ে দিন। 

চলবে.......

গল্পঃ জ্বীনের মেয়েটি যখন রোমান্টিক গালফ্রেন্ড সকল পর্বের লিংক পাওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন 
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post