পর্বঃ ৩
লেখকঃ Nirob Ahmed Kowcer
..........................................................
....................................................
.............................................
।
নিরবঃ মাশাআল্লাহ এতো পুরাই একটা পরি ড্রেস যেমন সাধা তেমনি সেও সাধা কিন্তু আমারে বাঁচায় আর কেডা এতো সেই জ্বিন মেয়েটি বাঁচাও ।
এইবলে দিলো দৌড় তখন জ্বিন মেয়েটি বলে উঠলো।
_ আরে দাঁড়া ও একটু শুনো.....{ জ্বিন মেয়েটি }
_ দাঁড়ানোর গুল্লি মারি আমি বাসায় যামু রাহুইলা তরে দেইখা লমু........
এটা বলেই নিরব দৌড়ে তার বাড়িতে চলে আসলো এসে দেখলো সবাই ঘুমাচ্ছে তখন নিরব তার রুমে গিয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে ভাবতে লাগলো।
_ এই মাইয়া তো এইখানে ও চলে আসবে কি করি কি করি এখন { নিরব }
কিছুক্ষণ ভেবে আবারও বলতে লাগলো।
_ আচ্ছা শুনছি ভুতেরা নাকি আগুন রে ভয় পায় তাহলে তো এই জ্বিন মেয়েটি ও ভয় পাবে জ্বিন ভুত একি তো কথা কিন্তু আগুন ধরাবো কি করে পাইছি কয়েলের মাঝে আগুন দেই তাহলে হবে { নিরব }
এইবলে কয়েলে আগুন ঝালিয়ে রেখে দিলো কয়েলের আগুন দেখে তখন নিরব বলে উঠলো।
_ দূর হালা...... যেখানে মাশারা কয়েল মানে না সেখানে ভুতে আর কি মানবো আসুক আজ জ্বীনের মাইয়া আমিও দেখে নিবো { নিরব }
তখনি পিছন থেকে বলে উঠলো ।
_ আসবে কি গো এসে গেছি তো যতখুশি দেখো নাও { জ্বিন মেয়েটি }
পিছনে তাকিয়ে দেখলো সত্যি তখন নিরব বলে উঠলো।
_ আপনি এইখানে কেন এসেছেন { নিরব }
_ কেন এসেছি মানে তুমি আমায় প্রপোজ করছো না আমি একসেপ্ট করে নিছি এখন থেকে তুমি আমার আমি তোমার আমি সবসময়ই আছি এখন তোমার সঙ্গে { জ্বিন মেয়েটি }
_ আমি কখন বললাম আমি আপনার { নিরব }
_ কেন মনে নাই কিছুক্ষণ আগে হাঁটু গেড়ে যখন বলছিলে ওগো ভুতের নানি তুমি হয়ে যাও এই শয়তানের নানার রানি রাখবো তোমাকে বুকের মাঝে চেপে ধরে ভালবাসার সফলে বিয়ে করে খাট কাপিয়ে রোমাঞ্চে গড়বো গুঁড়া গাড়া পোলাপান ঘরে যেখানে থাকবে তুমি আমি আর কোচ । প্লেয়ার থাকবে আমাদের গুঁড়া গাড়া গড়বো ফুটবল খেলার টিম। { জ্বিন মেয়েটি }
_ এটা তো আমি শয়তানী করে বলছি { নিরব }
_ আমি শয়তানী বুঝি না আমি এটাই বুঝি আমি তোমার তুমি আমার এখন থেকে আমি রাজি আর আমাদের বিয়ের পর অনেক গুলাই বাচ্চা হবে { জ্বিন মেয়েটি }
_ আমার লাগতো না ভুতের গুঁড়া গাড়া পোলাপান আমি বিয়ে করমু না আপনারে { নিরব }
_ বিয়ে তো করবোই তার আগে একটু প্রেম করে নেই তারপর বিয়ে করবো রাজি না হলে তুলে নিয়ে যাবো হু যেহেতু আমার চোখ তোমার উপর পড়ছে এই পৃথিবীতে আর কারোর শক্তি নেই আলাদা করার আমি মানুষ নয় আমি অন্য জগতের জ্বিন আমি আজ প্রথম দিন তাই রোমাঞ্চ করলাম না কিছু করলাম না আগামীকাল থেকে শুরু করবো রোমাঞ্চ হু { জ্বিন মেয়েটি }
_ আপনি আমারে ধমকি দিচ্ছেন ভয় দেখাচ্ছেন { নিরব }
_ ওয়ানিং দিলাম কোনো মেয়ের সঙ্গে যেন না দেখি তাহলে ক্ষতি সেই মেয়ের হবে { জ্বিন মেয়েটি }
_ এ্যাহ 😭 এ্যাহ 😭 এ্যাহ 😭 আমি আপনার সাথে প্রেম করবো না { নিরব ]
_ তোমার তো আরও খুশি হওয়ার কথা আমার মতো এত্তো সুন্দরী একটা জ্বিন গালফ্রেন্ড পাইছো { জ্বিন মেয়েটি }
_ লাগতো না আমার আপনি যান { নিরব }
_ হুম যেতে হবে আমার এখনি কিন্তু তার আগে একটু ভালবাসা দিয়ে যাই { জ্বিন মেয়েটি }
_ মানে কি করবেন { নিরব }
_ ভালবাসা কনফার্ম করবো কিস করে { জ্বিন মেয়েটি }
_ এই না না ছি আপনি যান { নিরব }
এটা বলেই নিরব বালিশ এর নিচে মাথা লুকিয়ে ফেললো কিন্তু জ্বিন মেয়েটি বালিশ সরিয়ে নিয়ে নিরব কে শক্ত করে ধরে ঠোঁট জোড়া এক করে দিলো পাঁচ মিনিট লিপ কিস করে ছেড়ে দিয়ে বললো।
_ ভালোই তো টেস্ট বাহহহ আগামীকাল এসে খেতে হবে এখন যাচ্ছি গো { জ্বিন মেয়েটি }
তখন নিরব ভেঙ্গিয়ে বললো।
_ ব্যা 😛😛 যা শয়তান ফাজিল জ্বিন মাইয়া লুচ্চা মাইয়া { নিরব }
_ উওর আগামীকাল এসে দিবো হু { জ্বিন মেয়েটি }
_ জ্বীনের নানিরে খালি ঘর যা { নিরব }
_ আচ্ছা এই নানিরে খালি ঘর এটা কি....{ জ্বিন মেয়েটি }
_ কিছু না { নিরব }
_ আচ্ছা যাচ্ছি উওর আগামীকাল এসে দিবো হু { জ্বিন মেয়েটি }
এটা বলেই অদৃশ্য হয়ে গেছে জ্বিন মেয়েটি তখন নিরব বলে উঠলো।
_ আগামীকাল তাবিজ তুবিজ দিয়া মারমু হু কি করে দূর করতে হবে তা যানি কবিরাজ এর কাছে যাইয়া লই { নিরব }
এটা বলেই নিরব শুয়ে পড়লো সকালে কারো ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো তাকিয়ে দেখলো নিরবের আম্মু। তখন নিরব উঠে ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় বসে পড়লো খাবার খেতে
তখন নিরবের আম্মু বলে উঠলো।
_ কিরে গতকাল রাতে কার সাথে এতো একা একা কথা বলছিলি হু { নিরবের আম্মু }
নিরব এটা শুনে অবশ্য কিছুটা অবাক হলো তখন নিরবের আব্বু বললো।
_ আমি শুনছি কিছুটা { নিরবের আব্বু }
_ তার মানে কি সবি যেনে গেছে নাহ লুকাতে হবে { নিরব মনে মনে }
_ ঘুমের মধ্যে হয়তো বলছিলাম { নিরব ]
_ হুম বুঝতে পারছি এখন যলদি খেয়ে কলেজ যা { নিরবের আম্মু }
আর কিছু না বলে চুপচাপ খেয়ে নিলো নিরব খেয়ে ঘরে যাওয়ার পর অনুভব করলো তার সরিলে জ্বর আসছে গা গরম হচ্ছে দূর্বল লাগছে তখন নিরব তার আম্মু কে গিয়ে বললো তখন কলেজ যাওয়ার জন্য না করে দিলো ঘরে জ্বর এর ঔষধ ছিলো সেটা খেয়ে শুয়ে রইলো নিরবের আব্বু বাহিরে চলে গেলো।
ওহ নিরব ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়ে কলেজ এই গ্রামেই নিরব তার বন্ধুদের ফোনে যানিয়ে দিলো আজ কলেজ যাবে না সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে দেখা করতে বললো।
সারাদিন ঘরে বসেই কাটিয়ে দিলো সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে গেলো নিরব সেখানে রাহুল আসিফ বসে ছিলো আগে থেকেই তখন নিরব যাওয়ার পর বলে উঠলো।
_ কিরে কি অবস্থা { রাহুল }
_ আর অবস্থা জ্বর এসে গেছে { নিরব }
_ বলিস কি ঔষধ নিয়ে আইছিস { আসিফ }
_ হুম তুই গতকাল রাতে পরে কই গেছিলি তর কথায় প্রপোজ করতে গিয়ে ফেসে গেছি { নিরব }
_ তুই দৌড় দেওয়ার পর আমিও দৌড়ে চলে গেছি { আসিফ }
_ আচ্ছা পরে কি হয়েছে বল [ রাহুল ]
_ বলছি দাঁড়া আগে একটু হিসু করে আহি { নিরব }
_ আচ্ছা চালু আয় { আসিফ }
নিরব তখন চায়ের দোকান থেকে বের হয়ে একটু দূরে যেতেই কেউ কানে কানে বললো।
_ আমি এসে গেছি { জ্বিন মেয়েটি }
তখনি নিরবের সরিলটা কেঁপে উঠলো সাথে সাথে দৌড়ে চায়ের দোকানে চলে গেলো চায়ের দোকানে লোক কম ছিলো সন্ধ্যা তাই খুব বেশি লোক নেই গ্রাম বলে তখন নিরব আসিফ রাহুল এর কাছে যেতে বলে উঠলো।
_ কিরে চলে এলি যে { রাহুল }
তখন নিরব আসতে করে বলে উঠলো।
_ জ্বিন মেয়েটি এসে গেছে এদিকেই আছে কানের কাছে বলা মাত্র সরিল কেপে উঠলো সকাল থেকে জ্বর এসে গেছে সরিলে দূর্বল হয়ে গেছে সরিল এখনি { নিরব }
রাহুল আর আসিফ শুনে অবাক হলো তখন বললো।
_ এটাতো তাহলে ভালো লক্ষ্যন নয় খারাপ ইঙ্গিত দিচ্ছে একটা কবিরাজ দেখাস { রাহুল }
_ হুল চল বাসায় যাই ভাল্লাগছে না কেন যানি { নিরব }
_ চল { আসিফ }
এটা বলে চায়ের দোকানে থেকে বের হয়ে গেছে সবাই কিছুটা দূরে যাওয়ার পর নিরবের কানের কাছে এসে আবারও ফিসফিস করে বলে উঠলো।
_ খাট কাঁপাবে না.....[ জ্বিন মেয়েটি ]
_ কি লুচ্চা মাইয়া জ্বিন রে বাবা { নিরব }
_ কিরে কি বলছিস { রাহুল }
কেমন হয়েছে তা কমেন্ট করে যানিয়ে দিন।
চলবে.......
গল্পঃ জ্বীনের মেয়েটি যখন রোমান্টিক গালফ্রেন্ড সকল পর্বের লিংক পাওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন