গল্পঃ জ্বীনের মেয়েটি যখন রোমান্টিক গালফ্রেন্ড পর্বঃ ৪


গল্পঃ জ্বীনের মেয়েটি যখন রোমান্টিক গালফ্রেন্ড 
পর্বঃ ৪ 
লেখকঃ Nirob Ahmed Kowcer 
..........................................................
....................................................
.............................................

এটা বলে চায়ের দোকানে থেকে বের হয়ে গেছে সবাই কিছুটা দূরে যাওয়ার পর নিরবের কানের কাছে এসে আবারও ফিসফিস করে বলে উঠলো। 

_ খাট কাঁপাবে না.....[ জ্বিন মেয়েটি ]

_ কি লুচ্চা মাইয়া জ্বিন রে বাবা { নিরব } 

_ কিরে কি বলছিস { রাহুল } 

_ নাহ নাহ কিছু না এমনি { নিরব } 

_ আচ্ছা শুন আগামীকাল গিয়ে আলম কবিরাজ কাকা কে দেখিয়ে আসিস তুই। { আসিফ } 

_ কিন্তু কেন { নিরব } 

_ দেখ তর আজকে সরিল দূর্বল খারাপ কালকে ওই ঘটনার পর থেকে এটা খারাপ ইঙ্গিত দিচ্ছে তাই একটু দেখিয়ে আসিস । { আসিফ } 

_ ঠিকি বলছিস { রাহুল } 

_ তিনি তো অনেক বড় কবিরাজ বাসায় খুবি কম থাকে কে যানে পাবো নাকি { নিরব } 

_ অবশ্যই পাবি আগামীকাল থাকবে বাসায় আমি শুনছি { রাহুল } 

_ ঠিক আছে যাবো আগামীকাল { নিরব } 

তখন কেউ একজন না বললো সেটা জ্বিন মেয়েটি। 
সেদিকে কেউ আর লক্ষ্য না করে যে যার বাসায় চলে যেতে লাগলো তখন নিরব লক্ষ্য করলো কারো ফুঁপানো শব্দ আসছে ভয়ংকর রকমের মনে হচ্ছে প্রচন্ড রেগে কেউ এমন করছে।
 কিন্তু কেউ তো নাই জ্বিন মেয়েটি কে ও দেখতে পারছে না। 
 নিরব এখন একা রাহুল চলে গেলো বাসায় আসিফ ও চলে গেলো তার বাসায় আসে পাশে কেউ নেই তখন নিরবের কিছুটা ভয় হলো....

আসতে আসতে যেতে লাগলো এদিকে রাহুল তার বাসায় যাচ্ছে তখনি পিছনে কারো হাঁটার শব্দ আসলো যখন পিছনে তাকালো তখন দেখলো কেউ নেই। 
তখন রাহুল নিজেকে বলে উঠলো। 

_ দূর শুধুই ভয় পাচ্ছি এটা তো নিজের পায়ের হাটার শব্দ ও হতে পারে { রাহুল } 

 এই ভেবে আবারও রাহুল যেতে লাগলো তখন আবারও অদ্ভুত শব্দ হতে লাগলো পিছনে যখনি পিছনে তাকাবে তখনি কেউ জোরে রাহুল কে ধাক্কা দিলো আর রাহুল ছিটকে গিয়ে কিছুটা দূরে পড়লো প্রচন্ড ব্যাথা পেলো যখন সামনে তাকালো তখন যা দেখলো তাতে চিৎকার দিয়ে রাহুল অঞ্জান হয়ে গেছে.....।
যখন রাহুল এর ঞ্জান ফিরলো তখন বেশ রাত হয়ে গেছে। 
তখন রাহুল পাশে দেখলো আলম কবিরাজ কাকা বসে আছে তার আম্মু আব্বু ও পাশে তখন রাহুল এর আব্বু বলে উঠলো। 

_ কিরে বাবা কি হয়েছে তর { রাহুল এর আব্বু } 

_ তুই চিৎকার দিয়ে এমন অঞ্জান হয়ে পড়ে ছিলি কেন { রাহুল এর আম্মু } 

যখন রাহুল কিছু বলতে যাবে তখনি আলম কবিরাজ কাকা বলে উঠলো। 

_ আপনারা সবাই একটু বাহিরে যান আমি রাহুল এ-র সাথে কথা বলছি তারপর সব যেনে নিবেন { আলম কাকা } 

তখন সবাই চলে গেলো তখন আলম কবিরাজ কাকা বলে উঠলো। 

_ এখন কেমন লাগছে { আলম কাকা } 

_ কাকা আমি আমি এমন জিনিস কখনো দেখি নাই এতটা ভয়ংকর তার চেহারা { রাহুল } 

_ কেমন চেহারা { আলম কবিরাজ কাকা } 

_ আমি নিরবের সাথে কথা বলে আসার সময় পিছনে কিছু একটা হাঁটার শব্দ পেলাম যখন তাকালাম তখন কেউ নেই তারপর হঠাৎ জোরে ধাক্কা দিলো আমি ছিটকে গিয়ে কিছুটা দূরে পড়লাম যখন তাকালাম তখন দেখলাম মুখটা একদম রক্তাক্ত চোখ লাল আগুনের মতো ছিলো আমি বলেও বুঝাতে পারবো না কতটা ভয়ংকর দেখতে । {, রাহুল } 

_ আমি সবি যানি শুধু তকে না আসিফ কেও ভয় দেখিয়ে ওয়ার্নিং দিয়ে গেছে তার কারণ হচ্ছে তুই নিরব কে পরামর্শ দিলি বলে আমার কাছে যেতে এটা নিরবের সাথে থাকা সেই জ্বিন মেয়েটি করছে { কবিরাজ কাকা } 

_ কি বলছো তুমি যানলে কি করে { রাহুল } 

_ আমি আরও অনেক কিছুই যানি যেগুলো তরা ও যানিস না { কবিরাজ কাকা } 

_ কি এমন সে গুলো বলো { রাহুল } 

 _ নাহ সেটা এখন বলার সময় না অবশ্যই বলবো সময় হলে { কবিরাজ কাকা } 

_ ঠিক আছে কিন্তু নিরবের কোনো ক্ষতি হবে না তো { রাহুল } 

_ শুন আগে তকে কিছু বলি এখন একটু নিরবের সঙ্গে কম কথা বলিস এবং কম যাবি কারন তোদের মৃত্যুর ঝুকি আছে { কবিরাজ কাকা } 

_ ঠিক আছে কিন্তু নিরবের কোনো ক্ষতি হবে না তো { রাহুল } 

 _ সেটা আমি এখনো যানি না এই জ্বিন মেয়েটি কি ভাবছিস দুই দিন ধরে আছে সাথে আছে দুইদিন আগে থেকে দেখছে { কবিরাজ কাকা } 

_ হুম দুইদিন আগেই তো দেখলো আমার কাছে রাতে এসে দৌড়ে বললো { রাহুল } 

_ হা হা হা নাহ রে পাগল এখন নিরব এর ২১ বছর চলছে তাই না { কবিরাজ কাকা } 

_ হুম আজ রাতে ২২ বছর হবে { রাহুল } 

_ এই দিনটার জন্যই অপেক্ষায় আছে জ্বিন মেয়েটি কিন্তু কেন সেটা আমিও যানি না অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে আর এই একুশটি বছর ধরে সাথে আছে জ্বিন মেয়েটি দুইদিন আগেই দেখা দিয়েছে ২২ বছর হবে তাই { কবিরাজ কাকা } 

_ কি বলছো কাকা { রাহুল } 

_ হুম আজ এই জ্বিন মেয়েটি নিরবের সাথে তার দেহের মিলন ঘটাবে একটা শারিরীক আর একটা তার সরিল নিজের কাছে নিবে এটার মাধ্যমে { কবিরাজ কাকা } 

_ বুঝলাম না { রাহুল } 

_ পরে এক সময় বলবো মানুষ যেমন ভালো খারাপ আছে তেমনি জ্বিন দের মধ্যে ও ভালো খারাপ আছে তুই হয়তো যানিস না আমি নিরব কে নিয়ে কবিরাজি অনেক আগে থেকেই করছি আর একটা কথা তুই নিজেও জানিস না নিরবের একটা বোন আর ভাই কে এই জ্বিন দের মধ্যে কেউ মারছে তার কারণ আছে দোষ নিরবের আম্মুর আব্বুর ছিলো তাই নিরব ও পড়ছে কিন্তু এই জ্বিন মেয়েটি দোটানায় পড়ে আছে সে ভালো জ্বিন আর খুবি শক্তিশালী জ্বিন মেয়েটি সে কি করবে বুঝতে পারছে না সে সত্যি নিরব কে ভালবাসে কিন্তু তার উদ্দেশ্য কি বুঝা যাচ্ছে না আর একটা কথা নিরবের আম্মু কে দেখিস কখনো ঘরের বাহিরে বের হয় না { কবিরাজ কাকা } 

রাহুল চিন্তিত হয়ে গেছে কি বলছে কি কারন কি জন্য আর নিরবের ভাই বোন ছিলো তাদের জ্বিন মেরেছে কিন্তু কি জন্য কারণ কি এটা রাহুল এর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো তখন কবিরাজ কাকা বলে উঠলো। 

_ এটা নিয়ে ভাবিস না শুন আজ জ্বিন মেয়েটি নিরবের সাথে তার দেহের মিলন ঘটাবে একটা শারিরীক আর একটা তার সরিল নিজের কাছে নিবে এটার মাধ্যমে কিন্তু কি করে সেটা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জানবো তারপর দেখা যাক কি করে আর ও অনেক কিছু রহস্য কথা লুকিয়ে আছে এখন বলার সময় নাই তুই হয়তো ভাবিস নিরবের ভাই বোন কে মারলো কেন সেটা ভয়ংকর এক কাহিনি পরে বলবো আজ নয় কাউকে কিছু এইগুলা বলিস না তর আব্বু আম্মু কে আমি পরে বুঝিয়ে বলবো আর আপাতত কিছু বলে দে চিন্তা করিস না তর কিছু হবে এখন আমি তাবিজ দিয়ে গেছি আজ রাত পার কর আগামীকাল দেখবি সব { কবিরাজ কাকা } 

_ আচ্ছা ঠিক আছে কাকা আর একটা কথা আমায় কিন্তু বলবে কি জন্য কি কারণে নিরবের ভাই বোন কে জ্বিন মারলো। কি এমন হয়েছে { রাহুল } 

_ ঠিক আছে এইগুলা গিয়ে আবার এখন নিরবের আম্মু আব্বু কে জিজ্ঞেস করিস না { কবিরাজ কাকা } 

_ ঠিক আছে 

_ অনেক রাত হয়েছে ঘুমা আমি যাচ্ছি { কবিরাজ কাকা } 
 

তারপর কবিরাজ কাকা চলে গেলো রাহুল এর আব্বু আম্মু আসলো অনেক কথা জিজ্ঞেস করলো। 

কিছু একটা বলে দিলো আপাতত। 

এদিকে নিরব খাবার খেয়ে শুয়ে আছে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তখনি কারেন্ট চলে গেলো । 
গ্রাম তো এমনিতেই গরম বেশি তখন নিরবের গরম লাগছিলো। 
তখন নিরব তার আব্বু আম্মুর ঘরে গেলো হাত পাখা নিয়ে আসতে দরজা খোলাই ছিলো ভিতরে দিয়ে দরজা ছিলো আর একটা। 

তখন গিয়ে তার আব্বু আম্মু কে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখলো কিছুক্ষণ ডাকলো হাত পাখা খুজে পাচ্ছে না বলে কিন্তু কিছুতেই উঠছে না কেউ সাড়া দিচ্ছে না। 
 তখন হাত পাখা অনেক খুজে পেলো আর নিয়ে আসার আগে আবার ও ডাকলো তখন জ্বিন মেয়েটি অদৃশ্য থেকে নিজের রুপে এসে পিছন থেকে বললো। 

_ ডেকে কোনো লাভ নেই আমি ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছি তুমি মেরে ফেললেও ঘুম ভাঙ্গবে না সকালের আগে { জ্বিন মেয়েটি } 

তখন নিরব তাকিয়ে দেখে জ্বিন মেয়েটি তখন বলে উঠলো। 

_ কিন্তু কেন এমন ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হলো { নিরব } 

_ কারণ আজকের রাতটা আমার জন্য বিশেষ রাত তোমার সঙ্গে আমার মিলনের রাত এই রাতটির জন্য দীর্ঘ ২১ টি বছর অপেক্ষা { জ্বিন মেয়েটি } 

চলবে.....

গল্পটা একটু রহস্যময় করতে হলো আর টুইস্ট আনতে হলো 

বানান ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। 

কেমন লাগলো আজকের পর্ব তা কমেন্ট করে বলে দিবেন।

গল্পঃ জ্বীনের মেয়েটি যখন রোমান্টিক গালফ্রেন্ড সকল পর্বের লিংক পাওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post