গল্প/:::: #ছদ্মবেশী ছেলে বনাম মেজরের মেয়ে।
*
*
* লেখক/::::: #রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷
*
*
* পর্ব/:::::::::: ( ২ ) ::::::::: ( #দুই ):::::?????
*
*
*
*
*
* তার পর সেনাবাহিনী যেটা বললো। আমি তো পুরো অবাক হয়ে গেলাম। ওনি কি সেনাবাহিনী , নাকি অন্য কিছু। তখন সেনাবাহিনী বললো।
সেনাবাহিনী/: তোমাকে দেখে বুঝা যাচ্ছে, তুমি অনেক গরীব ঘরের ছেলে। আমার বিশ্বাস আছে। তুমি ম্যাডাম এর সাথে কিছুই করিনি। আমি জানি ম্যাডাম অনেক জেদি, সে ছেলেদের গরীবদের দেখতে পারে না। এবার আমাকে বলো , তোমার সাথে কি হয়েছে।
আমি/: আসলে আমি আপনার ম্যাডামের সাথে বন্ধুত্ব করতে আসলাম। তার পর আমাকে নানান কথা বলে গালে দুইটা থাপ্পড় মেরে দিলো।
সেনাবাহিনী/: ম্যাডাম আগে এমন ছিলো না। স্যার আমাদের সব খুলে বলেছে। একটা ছেলের কারনে আজ ম্যাডাম সব ছেলে এবং গরীবদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে।
আমি/: কেনো , সে ছেলে কি করছে ওর সাথে।
সেনাবাহিনী/: আমি স্যারের কাছে জানতে পারলাম। ম্যাডাম একটা ছেলের সাথে ফেসবুকে প্রেম করতো। কিন্তু কেউ কখনো কাউকে দেখে নাই। না দেখে দুজনে দুজনকে পাগলের মত ভালবাসে। কিন্তু হঠাৎ দুই বছর আগে ছেলেটা অফ লাইনে চলে যায়, আজ দুই বছর হয়ে গেছে। এরপর থেকে ম্যাডাম ছেলের সাথে এমন করে ।
আমি/: সব ছেলেরা তো এরকম না।
সেনাবাহিনী/: সেটা আমি আর তুমি জানি। কিন্তু ম্যাডামের কাছে সব ছেলেরা খারাপ। আমাদের কিন্তু অনেক ভালো। তাই একমাত্র মেয়ের জন্য সবকিছু করতে পারে। বাসায় সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে। কিন্তু বাহিরে আসলে এমন করে।
আমি/: ওহ,
সেনাবাহিনী/: তোমাকে একটা কথা বলি, ওর সাথে বেশি কিছু করতে যেওনা। আজকে তো থাপ্পড় মেরেছে। বেশি জিদ উঠলে পা থেকে জুতা খুলে মারতে পারে। তাই বলছি ওর থেকে দুরে দুরে থেকো। বায়।
সেনাবাহিনী এ কথা বলে আমার সামনে থেকে চলে গেলো। সেনাবাহিনী ভাই টির কথা শুনে বুঝতে পারলাম। ভাইটা অনেক ভালো। কিন্তু আমি ভাবছি জান্নাত এর কথা। একটা ছেলের কারনে সে সব ছেলের সাথে খারাপ ব্যবহার করবে। হঠাৎ পিছন থেকে রাফি আর আলাউদ্দিন আমার গাড়ে হাত দিলো। তখন রাফি বলল।
রাফি/: কিরে তুই জান্নাত কে এভাবে ছেড়ে দিলি কেন।
আলাউদ্দিন/: তুই শুধু হাতের ইশারা করার কারণে কিছু করি নাই। তা না হলে ওর মতো মেয়েকে এমন শিক্ষা দিতাম। সারা জনম মনে রাখতো।
আমি): এখন ওর সাথে ঝামেলা করতে চাই না। আমি ওকে ভালোবেসে দেখাবো। ওকে কিছু করি নাই। কারন তাকে প্রথম দেখায় ভালোবেসে ফেলেছি।
রাফি/: তাই বলে ওর অত্যাচার সয্য করে যাবি। ও তোকে এই পোষাকে কখনো ভালো বাসবে না। কিন্তু ওতো জানে না, তোর আসল পরিচয় কি।
আলাউদ্দিন/: যার নাম শুনে পুরো বাংলাদেশের সবাই আতঙ্কে থাকে। কিন্তু আফসোস , কেউ এখনো তোকে দেখে দেখে নাই।
রাফি/: ওর মেজর বাপ আমাদের একটা আংগুল বাঁকা করতে পারবে না। আমাদের আসল পরিচয় পেলে , মানুষ জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করে দিবে।
আমি/: আচ্ছা এসব কথা বাদ দেয়। চল বাসায় যাই।
আর কোনো কথা না বলে যে যার বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে কলিং বেল চাপ দেওয়ার পর রাইসা দরজা খুলে দিলো। তখন আমি বললাম।
আমি/: কিরে তুই কোন সময় তোর বান্ধবীর বাসা থেকে আসলি।
রাইসা/: সকালে চলে এসেছি। আমাকে তার সাথে শশুর বাড়ি যেতে বলছে। কিন্তু আমি যাইনি। বাসায় আম্মু একা একা থাকে, তাই চলে আসলাম।
আমি/: খুব ভালো করেছিস। কালকে থেকে কি কলেজে যাবি।
রাইসা/: হুম যাবো। তুই ভিতরে আয়।
আমি ভিতরে ঢুকে নিজের রুমে চলে আসলাম। ফ্রেশ হয়ে দুপুরে আম্মু রাইসা আর আমি খাবার খেয়ে নিলাম। নিজের রুমে এসে একটা ঘুম দিলাম।
পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে, কলেজের জন্য রেডি হয়ে নিচে গেলাম। আমি একটা চেয়ার টেনে বসলাম। তখন আব্বু বললো।
আব্বু): রাসেল তোর সাথে করে , রাইসা কে কলেজে নিয়ে যাস।
আমি/: বাসায় তো অনেক গাড়ি আছে। ও গাড়ি নিয়ে তো কলেজে যেতে পারে। আমি তো রিকশা করে কলেজে যাবো।
রাইসা/: সমস্যা নেই ভাইয়া। আমি তোর সাথে রিকশা করে কলেজে যাবো।
আব্বু/: রাইসা তোর মাথা ঠিক আছে। তুই দেখি রাসেল এর মতো কথা বলছিস।
রাইসা/: আব্বু আয়য়য়
রাইসা কে আব্বু কিছু বলতে না দিয়ে বললো।
আব্বু/: আমি তোর কোনো কথা শুনতে চাই না। তুই গাড়ি নিয়ে কলেজে যাবি। তোর সাথে সিকিউরিটি গার্ড যাবে। আমি শুধু রাসেল এর কাছে শুনতে চেয়েছি, ও কি বলে।
আমি/: রাইসা আব্বু ঠিকই বলেছে। তুই গাড়ি নিয়ে কলেজে যা।
এই বলে আমি নাস্তা করে বাসার বাহিরে এসে একটা রিকশা নিয়ে কলেজে চলে আসলাম। আমার পিছন দিয়ে রাইসা গাড়ি থেকে নামলো।
রাইসা/: ভাইয়া আমাকে একটু প্রথম বর্ষের ক্লাস রুম টা দেখিয়ে দেয়।
আমি/: আচ্ছা দিবো , এখন আমার সাথে চল। রাফি আর আলাউদ্দিন এর সাথে কথা বলে আসি।
তার পর রাইসা কে নিয়ে রাফি এবং আলাউদ্দিন এর সামনে গেলাম। আমার সাথে রাইসা কে দেখে রাফি বললো।
রাফি/: আরে রাইসা কেমন আছিস। বাসার সবাই কেমন আছে।
রাইসা/: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আর বাসার সবাই ভালো আছে। তুমি কেমন আছো ভাইয়া।
রাফি/: আমি ও ভালো আছি। তা এ কয়দিন কলেজে আসলি না কেন।
রাইসা/: আমি আমার এক বান্ধবীর বিয়েতে গেছি। তাই আসতে পারি নাই। তা আলাউদ্দিন ভাইয়া তুমি কেমন আছো।
আলাউদ্দিন): আমি আছি পুরো বিন্দাস। তুই কেমন আছিস।
রাইসা/: আমি ও ভালো আছি। তা রিয়া ভাবীর সাথে কেমন প্রেম চলছে।
আলাউদ্দিন এ কথা শুনে আমার দিকে তাকালো। আমি অন্য দিকে তাকিয়ে গেলাম। আলাউদ্দিন বললো।
আলাউদ্দিন/: তোমাকে এ কথা কে বলছে।
রাইসা/: আরে আমি তোমাদের খবর রাখি। প্রতিদিন ভাইয়ার কাছ থেকে খবর নি। এখন বলো রিয়া ভাবীর সাথে কেমন প্রেম চলছে।
আলাউদ্দিন/: অনেক ভালো। এখন অলরেডি বিয়ের কথা বার্তা চলছে ওর আর আমাদের বাসায়।
রাইসা/: তাহলে তো ভালোই। একটা বিয়ের দাওয়াত পাবো।
আমি/: আচ্ছা ঠিক আছে, তোরা ক্লাসে যা। আমি রাইসা কে তার ক্লাস রুম টা দেখিয়ে দিয়ে আসি।
এই বলে রাইসা কে নিয়ে তার ক্লাস রুম টা দেখিয়ে দিলাম। এতোক্ষণ তো আমি লক্ষ্য করি নাই। কলেজের সব ছাএ ছাত্রী আমার দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছে।
কারন টা তো বুঝতে পারলাম না। হঠাৎ রনি আমার সামনে এসে বললো।
রনি/: কিরে তোর সাথে ওই মেয়েটা কে ছিলো। মেয়েটা কে দেখলাম সিকিউরিটি গার্ড নিয়ে কলেজে এসেছে। তার পর গাড়ি থেকে নেমে তোর সাথে রাফি আর আলাউদ্দিন এর কাছে গেলো।
আমি/: আমি কিছু বলবো না। তুই আলাউদ্দিন এর রাফির কাছ থেকে জেনে নিস। এখন ক্লাসে চল।
রনি আর কোনো কথা না বলে আমার সাথে ক্লাসে যেতে লাগলো। দুজনে ক্লাসের ভিতরে ঢুকে পিছনের সিটে বসলাম। তখন রনি রাফি কে জিগ্যেস করল।
রনি/: আচ্ছা রাফি তোদের সাথে যে মেয়েটা কথা বলছিলো। ওই মেয়েটা কে।
রাফি তখন আমার দিকে তাকালো। আমি তাকে হাতের ইসারা দিয়ে বললাম। আমার পরিচয় না দিতে। তখন রাফি রনিকে বললো।
রাফি): আরে ও আমার মামাতো বোন। একদিন রাসেল এর ছবি আমার মোবাইলে দেখেছে। তাই কলেজে আসার পর রাসেল কে দেখে কথা বলতে বলতে আমাদের কাছে গেলো।
রনি/: তুই তো কখনো ওর কথা আমাকে বলিস নাই।
রাফি/: আসলে ও এতো দিন বাহিরে ছিলো। তাই তেমন ওর সাথে কথা বার্তা হতো না।
তার পর রনি আর কিছু বললো না। কিছুক্ষণ পর স্যার ক্লাসে ঢুকলো। কিন্তু আজকে জান্নাত কে দেখছি না কেনো। হঠাৎ দেখি জান্নাত দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বললো।
জান্নাত/: মে আই কামিন স্যার।
স্যার/; আরে জান্নাত মামুনি যে, আসো ভিতরে আসো। আজকে আসতে লেট হলো কেনো।
জান্নাত/: স্যার সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে।
স্যার): কোনো সমস্যা নেই। যাও সিটে গিয়ে বসো।
জান্নাত আর কোনো কথা না বলে সামনের সিটে গিয়ে বসে পড়লো। আর আমি এখান দিয়ে স্যারের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করছি।
সালা টাকলা, আমরা কেউ কলেজে আসলে, অনেক কথা শুনিয়ে দিতো। আর এখন মেজরের মেয়ে কে কিছুই বললো না।
তো যাই হোক। সব গুলো ক্লাস শেষ করে বাহিরে চলে আসলাম। কিছুক্ষণ পর দেখি জান্নাত তার কিছু মেয়ে বান্ধবীর সাথে বেরিয়ে আসতেছে। আমি তাদের সামনে গিয়ে বললাম।
আমি/: হায় মিস জান্নাত। কেমন আছো।
জান্নাত/: তুই আবার আমার সামনে আসছিস। তোকে না গতকাল উচিত শিক্ষা দিছে। তার পরেও তুই কোন সাহসে আমার সামনে আসলি।
আমি/: আরে গতকাল তো তোমার সেনাবাহিনী আমাকে ছেড়ে দিছে। আমার কিছুই করেনি। শুধু আমাকে বুঝিয়ে বলছে, তোমাকে যেনো ডিস্টাব না করি।
জান্নাত/: তাহলে আজকে আমার সামনে আসলি কেন।
আমি/: আমি তোমার সাথে বন্ধুত্ব করতে চাই।
জান্নাত/: তুই নিজের দিকে দেখেছিস। তুই কি করে ভাবলি, আমি তোর মতো ক্ষেত এবং গরীব ছেলের সাথে বন্ধুত্ব করবো।
আমি/: কেনো আমাদের সাথে কি বন্ধুত্ব করা যায় না। আমরা কি মানুষ না।
জান্নাত/: কিন্তু আমি তোদের মতো ছেলেদের দেখতে পারি না। আর কখনো তুই আমার সামনে আসবি না। আর যদি আসিস , তাহলে তোর অবস্থা খারাপ করে ছাড়বো। কথাটা মনে রাখিস।
আমি/: আমি সবসময় তোমার সামনে আসবো। দেখি তুমি আমার কি করতে পারো। আমি তোমার সাথে বন্ধুত্ব করবোই।
জান্নাত/: আমি তোর সাথে কখনো বন্ধুত্ব করবো না। এই তোরা চল।
এই বলে জান্নাত তার বান্ধবীদের নিয়ে চলে গেল। হঠাৎ রাইসা আর আমার সব হারামি বন্ধুরা আমার সামনে আসলো। তখন রাইসা বললো।
রাইসা/: আচ্ছা ভাইয়া মেয়েটা তোর সাথে এমন ভাবে কথা বললো কেনো।
রাফি/: আরে রাইসা , তোর ভাইয়া ওই মেয়ের প্রেমে পড়েছে। কিন্তু মেয়েটা তোর ভাইয়াকে পাত্তা দিচ্ছে না।
আলাউদ্দিন/: তুই জানিস, গতকাল তোর ভাইকে ওই মেয়ে থাপ্পড় মেরেছে।
হইছে কাম। রাইসা এ কথা শুনে বলতে লাগলো।
রাইসা)' কিহ, ওই মেয়ের এতো বড় সাহস। আমার ভাইয়ের গায়ে হাত তোলে। ওই মেয়ে জানে ভাইয়ার আসল পরিচয়।
আমি/: আরে রাইসা এসব কথা বাদ দেয়। আমি ওকে ভালবাসি। তাই ওর অত্যাচার সয্য করি।
রাইসা/: তাই বলে তুই কিছুই করবি না। মেয়েটার কথা শুনে বুঝতে পারলাম। ওর অনেক দেমাগ।
আমি/: সমস্যা নেই, আমার ভালোবাসা দিয়ে, সব দেমাগ দূর করে দিবো। এখন তুই বাসায় চলে যা।
রাইসা আর কোনো কথা না বলে গাড়ি নিয়ে বাসায় চলে গেলো। রাইসা চলে যাওয়ার পর রাফি আর আলাউদ্দিন কে ইচ্ছা মতো মাইর দিতে লাগলাম। তখন রাফি বলল।
রাফি/: আরে ভাই থাম। আর মারিস না।
আমি/: সালা তোরা রাইসা কে এ কথা বললি কেন। এখন যদি রাইসা বাসায় আব্বু আম্মুর কাছে বলে দেয়। তখন কি হবে।
আলাউদ্দিন/: সমস্যা নেই। তুই রাইসা কে বলতে মানা করিস । তাহলে রাইসা আর বলবে না।
আমি/: যদি আমি বাসায় যাওয়ার পর শুনি , রাইসা সব বলে দিছে। তাহলে তোদের অবস্থা খারাপ করে ছাড়বো।
এ বলে দ্রত একটা রিকশা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। কলিং বেল চাপ দেওয়ার পর আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো।
আমি/: আম্মু রাইসা কোথায়।
আম্মু/: ও তো কলেজ থেকে এসে, তার রুমে গেছে। কেনো বলতো।
আমি): না এমনে জিগ্গেস করলাম। ঠিক আছে আমি রুমে গেলাম।
বলে নিজের রুমে চলে আসলাম। ফ্রেশ হয়ে রাইসার রুমে গেলাম। রাইসার রুমে গিয়ে দেখি বিছানায় শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপতে আছে। আমাকে দেখে উঠে বসলো। তখন রাইসা বললো।
রাইসা): কিরে তুই আমার আসলি যে। কিছু বলবি।
আমি/: রাইসা তুই কলেজের ব্যাপার টা কাউকে কিছু বলিশ না। তুই তো আব্বুকে ছিনিস।
রাইসা/: আরে আমি কাউকে কিছু বলবো না। ভাইয়া মেয়েটা কিন্তু অনেক সুন্দর। আমার অনেক পছন্দ হয়েছে।
আমি): ওই মেয়ে কি, এখন থেকে ভাবী বলবি।
রাইসা/: ইস , এখনো তার সাথে প্রেম করতে পারে নাই। এখন বলছে ভাবী বলতে।
আমি/: তুই দেখিস, ওর সাথে আমি প্রেম করে , তোকে দেখাবো।
রাইসা/: তাই না কি। তুই যে জামা কাপড় পড়ে কলেজে যাস, এই পোষাকে কোনো মেয়ে তোকে ভালোবাসবে না।
আমি/: ঠিক আছে, আমি ও দেখবো। জান্নাত আমাকে ভালো না বেসে কোথায় যায়। এখন চল খাবার খেতে।
রাইসা/: আমি ও দেখবো। ঠিক আছে চল।
আমি আর রাইসা রুম থেকে বেরিয়ে খাবার খেতে চলে আসলাম। খাবার খেয়ে রুমে চলে আসলাম। তার পর বিছানায় শুয়ে একটা ঘুম দিলাম।
আমার লেখা গল্প নিয়মিত পড়তে চাইলে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে ইনবক্সে মেসেজ দিবেন তা না হলে ঝুলে থাকবেন।
রাতে আমার কম ঘুম হয়। এখানে একটা রহস্য আছে। গল্পের সাথে থাকুন। সব কিছু জানতে পারবেন।
দেখতে দেখতে আজ এক মাস চলে গেছে। এই এক মাসে জান্নাত এর সামনে প্রতিদিন গেছি। বিনিময়ে তার কাছ থেকে থাপ্পড় উপহার পেলাম।
কিন্তু আমি ও না ছাড়ার বান্দা , আমি ওর সাথে প্রেম করবোই।
আজকে কলেজে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছি। হঠাৎ জান্নাত আমার সামনে এসে , এমন কিছু বলবে , আমি তো কল্পনাও করতে পারিনি।
হারিয়ে ফেলার পর আফসোস করে লাভ নেই।
থাকতে মূল্য দিতে শিখো, যাওয়ার পরে না।
তোমার শহরের কোথাও আমি নেই অথচ আমার পুরো শহরটাই তুমি,,
তুমি আমার ব্যস্ততা আর আমি তোমার অবসর।
*
*
*
* চলবে
*
*
* ( এই গল্পে অনেক কাহিনী বাকি আছে। কিন্তু আপনাদের তেমন সাড়া পাচ্ছি না। তাই ভাবছি তাড়াতাড়ি শেষ করে দিবো )
*
*
*
* তো কেমন হয়েছে জানাবেন। ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই লাইক এবং কমেন্ট দিয়ে পাশেই থাকবেন।
*
*
* ধন্যবাদ সবাইকে পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন 🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿 রোমান্টিক গল্প লেখক রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿
ছদ্মবেশী ছেলে বনাম মেজরের মেয়ে গল্পের সকল পর্বের লিংক এক সাথে