গল্প/: অফিসের বস যখন বউ
* লেখক/::: রাসেল চৌধুরী
* ::::::::::::::::: সূচনা পর্ব :::::::::::::::::
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
আমি/: হুম বলো , কেনো ডেকেছো। ( প্রেমার কেবিনে ঢুকে , একটা চেয়ারে বসে)
প্রেমা/: এই তুমি আমার কেবিনে আসতে অনুমতি নিয়ে আসলে না কেনো।
আমি/: মজা করা বাদ দিয়ে বলো। কেনো ডেকেছো, হাতে অনেক কাজ আছে।
প্রেমা/: এই ফাইল টা একটু ঠিক করে দাও। ( একটা ফাইল দিয়ে)
আমি/: আচ্ছা তুমি কি এখনো ছোট। খালি মোবাইলে এতো কার্টুন দেখো কেনো। ফাইল টা তুমি করতে পারো। আগে তো ঠিক মতো কাজ করতে। এখন করো না কেনো।
প্রেমা/: আমার কাজ করতে ভালো লাগে না। শুধু কার্টুন দেখতে ভালো লাগে। আগে করেছি , তখন তো বিয়ে হয়নি। এখন বিয়ে হয়েছে, তাই আমার কাজ সব তুমি করবে।
আমি/: তাহলে অফিসে আসো কেনো। বাসায় বসে বসে কার্টুন দেখতে পারো না।
প্রেমা/: আমি বাসায় বসে কার্টুন দেখবো। আর তুমি অফিসে বসে মেয়েদের সাথে আড্ডা দিবে। সেটা কি আমি জানি না।
আমি/: এসব তোমার ভুল ধারণা। আমি কখনো মেয়েদের সাথে আড্ডা দি না। কাজ করে শেষ করতে পারি না। মেয়েদের সাথে আবার আড্ডা দিবো।
প্রেমা/: তোমাদের মতো ছেলেদের, আমার ভালো করে চেনা আছে। এখন কথা না বলে , আমার ফাইল টা ঠিক করে দাও।
আমি/: ঠিক আছে দিচ্ছি।
একটু রাগ নিয়ে কথাটা বললাম। আর প্রেমা মুচকি মুচকি হাসছে। আমি প্রেমার সামনে বসে ফাইল টা ঠিক করতে লাগলাম। দশ মিনিট এর মধ্যে কাজ শেষ হয়ে গেল।
আমি/: এই নাও, তোমার ফাইল। আমি আমার কেবিনে যাচ্ছি।
প্রেমা/: যাওয়ার আগে , আমাকে একটা কিস করে যাও।
আমি/: প্রেমা এটা অফিস। তোমাকে বাসায় গেলে কিস করবো। আমার হাতে অনেক কাজ জমে আছে।
প্রেমা/: আমি তোমার কোনো কথা শুনতে চাই না। তুমি এখন আমাকে কিস করবে।
আমি/: তোমার সাথে পারা যাবে না। কে বলেছে তোমাকে বিয়ে করতে। আমার জীবন টা তুমি তেনা ফেনা করে দিচ্ছো।
প্রেমা/: কি , আমি তোমার জীবন টা তেনা ফেনা করে দিছি। লাগবে না তোমার কিস। তুমি গিয়ে তোমার কাজ করো।
আমি/: বাব্বাহ , আমার জানুটা দেখি আবার অভিমান করতে পারে।
প্রেমা/: আমি তোমার কে, যে আমি তোমার সাথে অভিমান করবো।
আমি/: তুমি তো আমার সব। তোমাকে ছাড়া এই রাসেল পুরো অসহায়।
চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে, প্রেমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে কথাটা বললাম। তখন প্রেমা বললো।
প্রেমা/: যদি তাই হতাম। তাহলে আমার সব আবদার পূরণ করতে। আমি বুঝেছি তুমি এখন আমাকে আগের মতো ভালোবাসো না।
আমি/: আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আর ভালোবাসি বলে তো, তোমার সব আবদার পূরণ করি।
প্রেমা/: তাহলে এখন আমাকে কিস করো।
আমি/: দাঁড়াও , দরজা টা বন্ধ করে দিয়ে আসি।
বলে কেভিনের দরজা বন্ধ করে প্রেমাকে জড়িয়ে ধরে তার ঠোঁটের সাথে আমার ঠোট লাগিয়ে দিলাম। পাঁচ মিনিট কিস করার পর ছেড়ে দিলাম। তখন আমি বললাম।
আমি/: এবার খুশি হয়েছো।
প্রেমা/: খুশি মানে, অনেক খুশি হয়েছি।
আমি/: ঠিক আছে। তুমি বসে বসে কার্টুন দেখো। আমি হাতের কাজ গুলো শেষ করে আসি।
প্রেমা/: ঠিক আছে যাও। ( কপালে চুমু দিয়ে)
আমি আর কোনো কথা না বলে নিজের কেবিনে চলে আসলাম। এতোক্ষণ তো বকবক করে গেছি। এখনো তো আমার পরিচয় দেওয়া হলো না।
আমি রাসেল। বর্তমানে শশুরের অফিসে কাজ করি। পরিবারে আব্বু আম্মু আর একটা ছোট বোন আছে।
আর প্রেমা , ও হচ্ছে এই অফিসের বস। তাহলে চলুন প্রেমা আর আমার কাহিনি একটু খুলে বলি। প্রেমার সাথে আমার বিয়ে কি ভাবে হলো।
সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে। আজকে অফিসে বসের মেয়ে আসবে। আমি অফিসে চাকরি করি আজ এক বছর ধরে। বস আমার কাজ দেখে অনেক ভালোবাসে। তাই দেরি হলে সমস্যা হয়না।
কিন্তু আজকে আমাকে একটু তাড়াতাড়ি অফিসে যেতে বলছে। সেখানে আজকেও লেইট। না জানি আজকে কপালে কি হয়েছে।
আমি ওয়াস রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে, রেডি হয়ে নাস্তার টেবিলের সামনে গিয়ে একটা চেয়ার টেনে বসলাম। তখন আমি রাইসা কে বললাম।
আমি/: ওই আজকে আমাকে সকালে ডাকলি না কেনো।
রাইসা/: আমি কি তো চাকর নাকি। যে প্রতিদিন তোকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিবো। একটা বিয়ে করতে পারিস না। তাহলে তোর বউ সবসময় উঠিয়ে দিবে।
আমি/: এই তোর মাথায় বিয়ে ছাড়া , আর অন্য কিছু আসে না।
রাইসা/: না , আমার তোর বিয়ে ছাড়া অন্য কিছু আসে না।
আমি/: তোকে বিয়ে , না দেওয়া পর্যন্ত আমি বিয়ে করবো না। তুই আমার জীবন টা শেষ করে দিচ্ছিস।
রাইসা/: আমার বিয়ে হয়ে গেলে, তোর সাথে প্রতিদিন যুদ্ধ করবে কে। আমি তোকে বিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত, আমি বিয়ে করবো না।
আমি/: ঠিক আছে, আমি তাড়াতাড়ি বিয়ে করে। তোকে বিয়ে দিয়ে এ বাসা থেকে বের করবো।
রাইসা/: আগে বিয়ে করে দেখা। তার পর আমার কথা বলিস।
আম্মু/: এই তোরা কী সারাদিন জগড়া করবি। এখনো কি তোরা ছোট আছিস।
আমি/: আমার কি দোষ। তোমার মেয়ে তো আমার সাথে সবসময় জগড়া করে।
রাইসা/: কি , আমি তোর সাথে প্রতিদিন জগড়া করি। নাকি তুই আমার সাথে করিস
আম্মু): এই তোরা থামবি। আজকে তোর বাবা বাজার থেকে আসুক। তোদের একটা ব্যবস্থা করতে বলবো। আমি তোদের দুই ভাই বোনের জ্বালায় বাঁচি না।
আমি/: তুমি যা খুশি করো। আগে আমাকে নাস্তা দাও।এমনে আজকে অফিসের লেট হয়ে গেছে। তার পর আজকে বসের মেয়ে অফিসে বসবে।
আম্মু/: এটা কি তোর আজকে নতুন নাকি। তুই তো প্রতিদিন সকালে দেরি করে উঠিস।
আমি/: আমি কি করবো। আমার যে প্রচুর ঘুম। তাই সকাল সকাল উঠতে পারি না।
আম্মু/: তাহলে একটা বিয়ে করতে পারিস না। তোর বউ তোকে প্রতিদিন ঠেকে তুলে দিবে।
আমি/: আম্মু তুমিও ওই খাচ্ছুনির মতো শুরু করছো। আগে ওটাকে বাসা থেকে বের করে , তার পর আমি বিয়ে করবো।
রাইসা/: আমি খাচ্ছুনি। তুই বিলাই, ছাগল, গুরু, আরো আছে, সব হচ্ছিস তুই।
আম্মু/: এই তোদের আবার শুরু হয়েছে। আর রাসেল তোর আজকে না অফিসের লেইট হয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি নাস্তা করে অফিসে যা।
আমি মনে মনে রাইসা কে স্বাধীন করলাম। আপনারা আবার ওকে বলে দিয়েন না। তা না হলে আমার অবস্থা খারাপ করে ছাড়বে।
নাস্তা শেষ করে, বাসার বাহিরে এসে বাইক নিয়ে অফিসে যেতে লাগলাম। ও আপনাদের তো রাইসার ব্যাপারে বললাম না। রাইসা এবার মাস্টার্স শেষ করছে। তাই বাসায় বসে থাকে। বিয়ের জন্য অনেক জায়গায় থেকে আসে। কিন্তু তার এক কথা, আমাকে বিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত, সে বিয়ে করবে না। তাই ওর বিয়ে টাও হচ্ছে না।
যতো জাগয়া থেকে বিয়ের জন্য আসে। রাইসা কিছু একটা বাহানা ধরে সবকিছু শেষ করে দেয়। আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে অফিসে চলে আসলাম। গেট দিয়ে ঢুকে বাইক পার্কিং করে , অফিসের ভিতরে চলে গেলাম।
নিজের কেবিনে বসতে না বসতেই পিয়ন সালা এসে বললো।
পিয়ন/: স্যার, ম্যাম আপনাকে ওনার কেবিনে দেখা করতে বলছে।
আমি/: ঠিক আছে, তুমি যাও আমি আসছি।
পিয়ন আর কোনো কথা না বলে চলে গেল। আমি দোয়া দরুদ পড়তে পড়তে ম্যামের কেভিনের সামনে গিয়ে বললাম।
আমি/: ভিতরে আসতে পারি ম্যাম।
ম্যাম/: হুম আসুন।
আমি ভিতরে ঢুকে দেখি ম্যাম অপর দিকে চেয়ার ঘুরিয়ে বসে আছে। তখন আমি বললাম।
আমি/: ম্যাম আপনি আমাকে ঠেকেছেন।
ম্যাম/: এখন কয়টা বাজে।
আমি/: ম্যাম , দশটা বাজে।
ম্যাম/: আপনার অফিস কয়টায়।
আমি/: জি ম্যাম , সকাল নয়টায়।
ম্যাম/: তো অফিসে আসতে এতো লেইট কেনো। প্রায় এক ঘন্টা লেইট। আপনাকে কি চেহারা দেখে বেতন দেওয়া হবে।
আমি/: আসলে ম্যাম, ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে। আজকে সকালে আমাকে কেউ ঘুম থেকে ঠেকে তুলে নাই। তাই লেইট হয়ে গেছে।
ম্যাম/: আপনি যে এরকম লেইট করে অফিসে আসেন। আব্বু আপনাকে কিছু বলে না।
আমি/: ওনি আমাকে কিছু বলে না। কারন আমার কাজ শেষ করেই , আমি বাসায় যাই। আর ওনি আমার কাজ দেখে অনেক খুশি হয়। এবং আমাকে অনেক ভালোবাসেন।
ম্যাম/: তখন তো আব্বু অফিসে ছিলো। তাই আপনাকে কিছু বলে নাই। এখন থেকে আমি অফিস দেখাশোনা করবো। আজকের পর থেকে যদি কোনো দিন আপনার অফিসে আসতে লেইট হয়। তাহলে আপনার বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে।
আমি/: ঠিক আছে ম্যাম, আজকের পর থেকে আর দেরি হবে না। আগামী কাল থেকে ঠিক টাইমে আসবো।
ম্যাম): ঠিক আছে। আপনি এখন আসতে পারেন।
আমি/: ওকে ম্যাম।
আমি আর কোনো কথা না বলে ম্যামের রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম। আসার সময় ম্যামের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করলাম।
আবার মনে মনে বললাম। ম্যাম তো ঠিকই বলেছে, এভাবে লেইট করে অফিসে আসলে , কোনো অফিসে আমাকে চাকরি দিবে না। নাহ কালকে থেকে ঠিক টাইমে আসতে হবে।
আর কিছু না ভেবে নিজের কাজ গুলো করতে লাগলাম। হঠাৎ রাফি আসলো, আমার কেবিনে। রাফি হচ্ছে আমার কলেজ ফ্রেন্ড দুজনে এই অফিসে চাকরি করি। তখন রাফি বলল।
রাফি/: কিরে ম্যামের কেভিনে এতোক্ষণ কি করছিস।
আমি/: কি আর করবো। ম্যাম আমাকে কিছুক্ষণ হেদায়েত করলো।
রাফি/: ঠিকই করেছে, তুই ঠিক টাইমে অফিসে আসিস না কেনো। আগে তো ম্যামের আব্বু ছিলো। এখন তার মেয়ে অফিস দেখাশোনা করবে। আগের মতো দেরি করে আসা যাবে না।
আমি/: ঠিক বলছিস। আচ্ছা তুই কি ম্যামের চেহারা দেখেছিস।
রাফি): হুম দেখেছি। কেনো বলতো, তুই দেখিস নি।
আমি/: দেখলে কি তোকে জিগ্গেস করতাম। শালি চেয়ার ঘুরিয়ে আমাকে বাসন দিচে।
রাফি/: তুই জানিস , ম্যাম দেখতে অনেক সুন্দর। যদি ওর মতো মেয়ের সাথে প্রেম করতে পারতাম।
আমি/: তাহলে রিয়াকে গিয়ে বলবো। রাফি তোকে এখন আর ভালোবাসে না। এখন অফিসের ম্যামের দিকে নজর দিছে।
রাফি/: না ভাই, তোর দোহাই লাগে। এমন কাজ ভুলেও করিস না। রিয়া আমাকে কাঁচা খেয়ে ফেলবে। আমি তো তোর সাথে মজা করছি।
আমি/: এখন কথা না বলে, নিজের কাজ কর গিয়ে।
রাফি আর কোনো কথা না বলে, তার কেভিনে চলে গেলো। আসলে রিয়া হচ্ছে রাফির গার্লফ্রেন্ড এর নাম। রাফি আর রিয়া, দুজন দুজনকে কলেজ লাইফ থেকে ভালোবাসে।
রিয়া রাফি কে সবসময় চোখে চোখে রাখে। তাই রাফি রিয়ার কথা শুনে ভয় পায়। কলেজ লাইফে আমিও অনেক মেয়ের প্রফোজ পেয়েছি। কিন্তু মনের মতো কাউকে পাইনি, তাই কোনো মেয়ের সাথে আজ পর্যন্ত প্রেম করি নাই।
কিন্তু কলেজের একটা মেয়ে আমাকে অনেক বার প্রফোজ করছে। কিন্তু আমি রাজি হইনি, কারন মেয়েটা ছিলো বড়লোক বাবার মেয়ে। তার নাম ছিল প্রেমা। তখন আমার বাবা একটা অফিসে চাকরি করতো। তার বাবা আমার সাথে কখনো রাজি হবে না বিয়ে দিতে। তাই সবসময় তাকে এড়িয়ে চলছি।
তো যাই হোক, আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে দুপুরের লাঞ্চ এর টাইম হয়ে গেছে। আমি হাতের কাজ রেখে, রাফি কে নিয়ে কেন্টিনে চলে গেলাম। দুজনে খাবার খেয়ে কেবিনে চলে আসলাম। তখন পিয়ন আমার কেভিনে আসলো।
পিয়ন/: স্যার ম্যাম, আপনাকে ওনার কেবিনে যেতে বলছে।
আমি/: কেনো যেতে বলছে, আপনি কি জানেন।
পিয়ন/: না স্যার, শুধু বলছে, আপনাকে গিয়ে বলতে।
আমি/: ঠিক আছে। আপনি যান।
পিয়ন আমার কেভিন থেকে বেরিয়ে গেলো। আমি বসা থেকে উঠে ম্যামের কেভিনের সামনে গিয়ে বললাম।
আমি/: ম্যাম ভিতরে আসতে পারি।
ম্যাম/: হুম আসুন।
আমি ভিতরে ঢুকে দেখি, ম্যাম আবার চেয়ার ঘুরিয়ে বসে আছে। তখন আমি বললাম।
আমি/: ম্যাম আমাকে আপনি ঠেকেছেন।
ম্যাম/: হুম ঠেকেছি। আপনি দুপুরে লাঞ্চ করেছেন।
আমি/: জি ম্যাম, খাবার খেয়ে নিজের কেবিনে বসতে বসতেই পিয়ন এসে বললো। আপনি আমাকে ডেকেছেন।
ম্যাম/: ওহ, ঠিক আছে, আপনি এখন আসতে পারেন। এটা বলার জন্য ঠেকে পাঠিয়েছি।
আমি/: ও আচ্ছা। তাহলে আমি আসি।
ম্যাম/: হুম।
আমি আর কোনো কথা না বলে ম্যাম এর কেভিন থেকে বেরিয়ে নিজের কেবিনে চলে আসলাম। শালি আমাকে এ কথা বলার জন্য ঠেকে পাঠিয়েছে। আমার খাবার গুলো হজম হতে দিলো না।
আচ্ছা আমি একটা জিনিস ভেবে পাচ্ছি না। ম্যাম আমাকে ওনার চেহারা দেখায় না কেনো। ম্যাম কি লজ্জা পায়, না না এ আমি ভাবছি, রাফি তো বললো ম্যামের চেহারা দেখছে। তাহলে আমাকে দেখাচ্ছে না কেনো।
দুর না দেখালে নাই। আমি আমার কাজ করতে থাকি। কিন্তু ম্যামের গলার কন্ঠ আমার কেমন জানি চেনা চেনা লাগছে।
আর কিছু ভাবতে পারছি না। নিজের কাজে মন দি। তার পর নিজের কাজে মন দিলাম। বিকালে অফিস ছুটি হওয়ার পর বাহিরে চলে আসলাম।
রাফি কে বিদায় দিয়ে বাইক নিয়ে সোজা বাসায় যেতে লাগলাম। হঠাৎ রাস্তায় এক বন্ধুর সাথে দেখা হয়। তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে বাসায় চলে আসি। । কলিং বেল চাপ দেওয়ার পর রাইসা এসে দরজা খুলে দিলো।
রাইসা): কিরে তোর অফিস থেকে আসতে দেরি হলো কেনো।
আমি/; আর বলিস না। আসার সময় রাস্তার পাশে দেখি , হালিম বিক্রি করে। দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। তাই বসে দুই ভাটি খেয়ে আসলাম।
রাইসা): তুই একা একা খেলি। আমার জন্য নিয়ে আসলি না কেনো।
। আমি): আমাকে পাগলা কুকুরে কামড় দিছে। তোর জন্য হালিম আনতে যাবো। তুই আম্মুর কাছে প্রতিদিন আমাকে বকা শুনাস।
রাইসা/: আরে এটা সয়তানি করি। তুই কি বুঝিস না। আমি চলে গেলে, তোর সাথে কেউ দুষ্টুমি করবে না।
কথাটা রাইসা মন খারাপ করে বলছে। আমি ওর মন খারাপ করা দেখে। তার জন্য যে হালিম এনেছি, তা ওর সামনে ধরে বললাম।
আমি/: এই পাগলি বোন আমার। তোর এই ভাই কি কখনো তোকে ছাড়া কিছু খেয়েছে। তুই জানিস না, তোর এই ভাই অনেক ভালোবাসে।
রাইসা আমার কথা শুনে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো। তখন রাইসা বললো।
রাইসা/: ভাইয়া তুই আমাকে এতো ভালো বাসিস।
আমি/: হুম রে পাগলি। তোর সাথে তো,আমি ইচ্ছে করেই দুষ্টুমি করি।
রাইসা/: ঠিক আছে, এখন ভিতরে আয়।
আর কোনো কথা না বলে ভিতরে ঢুকে নিজের রুমে চলে গেলাম। ওয়াস রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে মোবাইল টিপতে লাগলাম। আসলে ওই বন্ধুর সাথে কথা বলে আসার সময় হালিম দেখে লোভ সামলাতে পারি নাই,
তাই আমি দুই ভাটি খেয়ে। রাইসার জন্য দুই ভাটি নিয়ে আসলাম। আব্বু আম্মু আবার হালিম খায় না। আমার আর রাইসার হালিম অনেক পছন্দ।
তো যাই হোক, রাতে সবার সাথে খাবার খেয়ে রুমে চলে আসলাম। বিছানায় শুয়ে মোবাইল টিপতে গেলে, ম্যামের কথা গুলো মনে পড়ে যায়। মোবাইলে এলান দিয়ে রাখলাম। তাই আর মোবাইল না টিপে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠে গেলাম। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি মাত্র সাতটা বাজে, এখনো অফিসের টাইম দুই ঘণ্টা বাকি আছে।
বিছানায় থেকে নেমে ওয়াস রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে, একটা জামা গায়ে দিয়ে নিচে আসলাম। তখন আব্বু আম্মু এবং রাইসা আমার দিকে কেমন চোখে যেনো তাকিয়ে আছে। আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।
দিন শেষে সাবাই একজন নিদিষ্ট মানুষের অভাববোধ করে।
যাকে সবকিছু বলা যায়।বলা যায়,আজ আমার মন ভালো নেই।
- কারো রূপের সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ার চেয়ে।
-ফুলের সৌন্দর্যের প্রেমে পড়া অনেক ভালো।।
*
*
*
*
* চলবে
*
*
* তো কেমন হয়েছে জানাবেন। সাড়া না পেলে পরবর্তি পর্ব লিখবো না। শুধু শুধু সময় নষ্ট করে লাভ নেই। তাই সবাই আইডি টা বেশি বেশি শেয়ার করবেন।
*
*
* তো ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই লাইক এবং কমেন্ট দিয়ে পাশেই থাকবেন।
*
*
* ধন্যবাদ সবাইকে পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন