গল্প: কিং
লেখক: মোঃ শাহরিয়ার ইফতেখায়রুল হক সরকার
পর্ব: ৫
বাসায় এসে শাহরিয়ার ফ্রেস হয়ে টুকটাক কিছু খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরে। বিকালে ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেস হয়ে। বাহিরে একটু হাটাচলা করে সন্ধায়
বাসায় ফিরে আসে ।সঙ্গে রাতের জন্য কিছু খাবার
ও কিনে আনে । রাতে সেগুলো খেয়ে ঘুমিয়ে পরে ।
.......পরের দিন শাহরিয়ার সকাল সকাল
ঘুম থেকে উঠে । ফ্রেস হয়ে । টিভি চালু করতেই
..... ব্রেকিং নিউস ব্রেকিং নিউস দেশে চলে এসেছে
একদল পাচারকারি দিন দুপুরে মেয়েদের অপহরন
করে দেশের বাহিরে পাচার করে দেয়। এরিমধ্যে আমাদের শহরের নাম করা ব্যাবসায়ী সাকিবুল
চৌদুরীর একমাত্র মেয়ে মেঘলা চৌদুরী সহ
আরো নাম না জানা অনেকেই নিখোজ হয়েছে।
পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে কিন্তু এখনো
কোনো প্রমান পাওয়া যায় নাই।সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন।এম টিভির সঙ্গেই থাকুন আল্লাহ হাফেয।
শাহরিায়র, খবর শুনে আমি মাথায় হাত দিয়ে বসে পরি।তার মানে ও চলে এসেছে। যার জন্য আমার
ধুনিয়া অন্ধকার হয়ে গেছে যার জন্য আমার
সাজানো সব সপ্নো তিলে তিলে ভেঙ্গে গেছে
সে তাহলে ফিরে এসেছে। ছাড়বোনা তোদের
কাউকে ছাড়বোনা। কিন্তু কিন্তু ওর আস্তানাটা কোথায় ।কিভাবে খুজবো। না না আমাকে হেরে
গেলে চলবেনা। হঠাৎ আমার ফোনে টুং করে একটা
মেসেজ আসলো। আমি মেসেজটা পরতে লাগলাম
মেসেজে লেখা ছিলো যে
,,,,,,, আমি যানি শাহরিয়ার তুমিই কিং ।শহরের একটা পুরানো বাড়িতে আমাকে সহ আরো অনেক
কেই ধরে নিয়ে এসে বেধে রাখা হয়েছে। কালকেই
আমাদের সবাইকে দেশের বাহিরে পাচার কোরে ।
দেওয়া হবে। তুমিই একমাত্র আমাদের বাচাতে।।
পারো।অনেক রিস্ক ও কষ্ট করে মেসেজটা লেখছি।
প্লিজ বাচাও আমাদের আর পারলে আমার সমস্ত
ভুল মাপ করে দিয়ো
" " ইতি মেঘলা""
...........,,তারপর শাহরিয়ার মেসেজটা পরে তার
চোখ বন্ধ করে আর কিছুক্ষন পর শাহরিয়ারের
চোখ খুলার সঙ্গে সঙ্গে তার চোখ রাগে লাল হয়ে
যায়,,,,,,
শাহরিয়ার, তারপর আমি আর দেরি করলামনা আমার রুমে গিয়ে একটা ব্লাক কোর্ট পড়ি আর ব্লাক
রুমাল দিয়ে মুখ ডেকে ফেলি। তারপর একটা বন্দুক
আমার কোমরে গুজে নিই। আর সবচেয়ে
ধারালো ছুরি নিয়ে বাড়ি থেকে বাইকটা বের করি
যা আগে কোনোদিন বের করি নাই। তারপর ফুল
স্প্রিডে বাইক চালিয়ে মেঘলার দেওয়া ঠিকানা
অনুযায়ী যেতে লাগলাম । যেতে যেতে রাত হয়ে যায়
আমি এখন বিল্লার আস্তানা থেকে একটু
দুরে দাড়িয়ে আছি। ভাবছেন বিল্লাটা কে তাইতো বিল্লায় হলো সবকিছুর মূল
শাহরিয়ার, তারপর আমি এক পা দু পা করে সামনে
এগোতে এগোতে জোরে দৌড় দিয়ে বিল্লার একজন
লোক কে লাত্তি মেরে আমার ধারালো ছুরি দিয়ে
তার পাশের লোকের পেটে ডুকিয়ে দিই।
তারপর কোমর থেকে বন্দুক বের করে
আশেপাসে থাকা অনেক লোককে গুলি করি প্রায়
বিশজন লোক কে মেরে মাটিতে সুইয়ে দিই
তারপর বিল্লার বাকি লোকগুলো আমাকে গুলি করার আগেই আমি সেখান থেকে সরে গাছের আড়ালে গিয়ে এক একটাকে গুলি করি অনেক্ষুন
বিল্লার লোকেদের সাথে মোকাবেলা করতে করতে
অবশেষে আস্তানার বাহিরে থাকা বিল্লার সব
লোককে মেরে মাটিতে সুইয়ে দিই তারপর বিল্লার
আস্তানার ভিতরে ডুকার আগে পুলিশকে ফোন করে
সবকিছু জানিয়ে দিয়ে এখানে আসতে বলি।
আস্তানার ভিতরে গিয়ে দেখলাম অনেক মেয়েকে ধরে নিয়ে এসে বেধে রাখা হয়েছে তাদের মধ্যে মেঘলাও আছে।মেঘলা আমাকে দেখতে পেয়ে
অনেক খুশি হয়।
মেঘলা, জানতাম তুমি আসবেই( মনে মনে)
শাহরিয়ার, তারপর আমি সামনে তাকিয়ে দেখি বিল্লা
দাড়িয়ে আছে। বিল্লাকে দেখে আমার
মাথায় রক্ত ওঠে যায়।
বিল্লা, আসো আসো কিং অর্থাৎ শাহরিয়ার আসো
তোমার জন্যই তো অপেক্ষা করেছিলাম
আমি জানতাম তুমি আমাকে মারতে আসবেই
কিন্তু আমি মরবো না মরবি তুই
......তারপর বিল্লা তার লোকদের শাহরিয়ারকে মারতে বলে আর বিল্লার সব লোক শাহরিয়ারকে
ঘিরে ফেলে
শাহরিয়ার, আজ তোদের মধ্যে কেউ বাঁচবে না।
তারপর আমি বিল্লার এক একটা লোককে মারতে
থাকি। মারতে মারতে বিল্লার সব লোককে মেরে
ফেলি। হঠাৎ পিছন থেকে বিল্লা একটা বারি লোহার
রট দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে আর আমি
মাটিতে লুটিয়ে পড়ি।আমার মাথা ফেটে রক্ত
পরতে থাকে।
বিল্লা, কাকে মারবি তুই কাকে মারবি রে আজ
থেকে দুই আগে তোর প্রেমিকাকে যেভাবে। মারছি তার থেকে খারাপ ভাবে তোকে মারবো।
শাহরিয়ার, আমার চোখ প্রায় বন্ধ হয়ে আসতাছে তবে কি আমি হেরে যাবো। আমার চোখ বন্ধ হওয়ার
সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টির রক্ত মাখা মুখটা ভাসতে থাকে
আর সৃষ্টির বলা শেষ কথাগুলো মনে পরে যায়।
বিল্লা, হ্যাপি যার্নি টু মৃত্যু
,,,,,,,তারপর বিল্লা লোহার বারি রট দিয়ে
যখন শাহরিয়ারকে মারতে যাবে তখন শাহরিয়ার
চোখ মেলে তাকায় আর সঙ্গে সঙ্গে ওঠে দাড়িয়ে
লোহার রট টা শাহরিয়ার তার বাম হাত দিয়ে ধরে
ফেলে। আর ডান হাত দিয়ে শরীরের সমস্ত শক্তিতে
বিল্লার মুখে গুসি মারে। গুসি খেয়ে বিল্লা ছিটকে মাটিতে গিয়ে পরে।
শাহরিয়ার, তারপর আমি নিচ থেকে লোহার রট টা
উঠিয়ে বিল্লার পায়ে বারি মারি।বিল্লা ব্যাথায় জোরে
চিৎকার দিয়ে ওঠে ।তোর জন্য আমার জীবনটা
ছাড়খার হয়ে গেছে। আজ তোর মৃত্যু কেউ
আটকাটে পারবেনা।তারপর আমি বিল্লাকে তুলে
একটা আছার মারি। বিল্লার কোমরের হার ভেঙ্গে
যায়। বিল্লা মাটিতে গড়াগড়ি করে চিৎকার করতে
থাকে।
বিল্লা, কিং আমাকে ছেড়ে দেও তোমার দুটি পায়ে পরি।
শাহরিয়ার, তারপর আমি ধারালো ছুরি দিয়ে বিল্লার
পুরুষ অঙ্গ কুচি কুচি কুচি করে কেটে ফেলি
......,,,বিল্লা ব্যাথার জালায় জোরে জোরে চিৎকার
করছে বিল্লা কি করবে কিছুই বুঝতে পারছেনা
ব্যাথায় ছটপট ছটপট করছে। হাত পা লারিয়ে
জোরে জোরে চিৎকার করে করে মাটিতে গড়াগড়ি
করছে রক্তে মাটি লাল হয়ে যাচ্ছে।
শাহরিয়ার, বিল্লার কষ্ট দেখে আমি জোরে জোরে হাসতে থাকি। তারপর আমি বিল্লার মুখে হাত
ডুকিয়ে তার জিহবা টেনে ছুরি দিয়ে কেটে ফেলি
বিল্লা এবার কই মাছের মতো লাফাচ্ছে।
আর আমি শুধুই হাসতাছি।
তারপর আমি ধারালো ছুরি দিয়ে বিল্লার দেহ থেকে
মাথা আলাদা করে ফেলি । তারপর আমি ছুরি দিয়ে
বিল্লার বুকে অনাবরত আঘাত করতেই থাকি।
তোর কতো বড় কলিজা হয়েছিলো কুত্তারবাচ্চা।
,,,,,কিছুক্ষন পর পুলিশ চলে আসে আর সব মেয়েদের হাতের বাধন খুলে দেয়,,,,,,,
মেঘলা শাহরিয়ারের এমন ভয়ংকর রুপ দেখে ভয় পেয়ে যায়।
ওসি, কিং ও তো মারা গেছে তাও কেনো
পাগলামো করছো।
শাহরিয়ার, ........................
ওসি , কিং তোমাকে যতো ধন্যবাদ দিবো তাও কম হবে।তোমার জন্য শহরের সব নারিরা শান্তিতে
চলাফেরা করতে পারছে। আর আজকে এতো গুলো
মেয়েকে পাচারকারিদের হাত থেকে বাচিয়েছো।
আচ্ছা কিং তোমার ভিতরে কিসের এতো কষ্টো
কেনো আজ এই পথে তুমি। আশা করছি আজকে
তুমি আমাদের সবাইকে বলবে।
শাহরিয়ার, আমার বুকে খব ব্যাথা আমার বুকে খুব ব্যাথা আমি যদি আমার বুকটা ছিরে দেখাতে
পারতাম যে আমার বুকে কত ব্যাথা। শুনতে চাও সবাই তাহলে শুনো । আজ থেকে দুই বছর আগের
কথা। সৃষ্টি তার নাম যেমন সুন্দর সেও ছিলো
অনেক সুন্দর । সৃষ্টি ছিলো আমার ভালোবাসার মানুষ।যাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও মন
প্রান দিয়ে বেশি ভালোবাসতাম।ও ছিল
অসাধারন এক নারী।
যেখানে অন্যায় দেখতো সেখানেই প্রতিবাদ করতো
একদিন একজন মেয়েকে বিল্লা তুলে
নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করেছিল। কিন্তু সেদিন বিল্লার বিরুদ্ধে কেউ।প্রতিবাদ করে নি কারন বিল্লাকে
সবাই ভয় পেতো সেদিন একমাত্র সৃষ্টিই প্রতিবাদ
করেছিলো। আর বিল্লার বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমান ও জোগার।করে ফেলছিলো।যেদিন সমস্ত প্রমান নিয়ে
সৃষ্টি আদালতে যাবে সেদিনি হাজারো জনতার
মাঝে বিল্লার লোকেরা সৃষ্টিকে নির্মম ভাবে হত্যা
করে । সেদিন কেউ প্রতিবাদ করিনি শুধুই তামাসা
দেখেছে।খবর পেয়ে আমি ছুটে যায় অনেক লোকের
ভিড় লেগে গিয়েছিল ।কিন্তু এত মানুষের মাঝে কেউ সৃষ্টিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। আমি ভিড়ের
ভিতরে ডুকে সামনে গিয়ে দেখি সৃষ্টি রক্তাত্ব
অবস্থায় পরে আছে আমি দৌড়ে গিয়ে
সৃষ্টিকে ধরে কাদতে লাগলাম কিন্তু হঠাৎ সৃষ্টি রক্তাত্ত অবস্থায় আস্তে আস্তে বলতে লাগলো......
সৃষ্টি, হয়তো বা ভাগ্যে তোমার আমার মিলন ছিলোনা।
কষ্ট পেয়ো না। তুমি কষ্ট পেলে কিন্তু আমিও কষ্ট পাবো আমার শেষ কথা গুলো শুনো
আমাদের দেশে ধর্ষন কারিদের শাস্তি হয়না। অন্যায়ের প্রতিবাদ হয়না আজকাল মেয়েরা যেখানে সেখানে ধর্ষন হচ্ছে কেউ প্রতিবাদ করছে না । তুমি তুমি ওদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে বলো। আমার শেষ
কথাগুলো রাখবে বলো।
.......কথাগুলো বলেই সেখানেই মারা যায়
সেদিন আমি চিল্লিয়ে বলেছিলাম হ্যা রাখবো তোমার
শেষ কথাগুলো রাখবো। আমার কথাগুলো শুনে
ওসি সহ সবার চোখে জল এসে যায়।
ওসি, সত্যিই খুবি দুঃখজনক । আচ্ছা তুমি সবার সামনে কেনো আছসো না। আমার খুব ইচ্ছা
তোমার মতো একটা মহান মানুষের মুখ দেখবো।
শাহরিয়ার, কিং এর রহস্য রহস্যই থেকে যাবে। কিং কোনোদিন সবার সামনে আসবে না। ওদের
সবাইকে ভালোভাবে নিয়ে যাবেন।বলেই সেখান
থেকে বাইক চালিয়ে চলে যেতে লাগলাম
,,,,, তারপর মেঘলা সহ পুলিশ এখানে থাকা সব মেয়েদের গাড়িতে উঠিয়ে শাহরিয়ারের বাইকের পিছন পিছন যেতে লাগলো।
শাহরিয়ার, ফুল স্প্রিডে বাইক চালাচ্ছি আর মাথার মধ্যে সৃষ্টির সব সৃতি ঘুরপাক খাচ্ছে ।হঠাৎ বাইকের
বেলেন্চ রাখতে না পেরে বাইক নিয়ে ব্রিজ থেকে
নদীতে পরে যাই।
.................. ,,,,,,,,,,,চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,..........
,,,ভুল ক্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন,,,
,, গল্প প্রায় শেষের দিকে,,,,,,,,,,,,,,,,,